āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ē āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2282 (3)

গল্পঃ- পিচ্চি বউ
লেখাঃ- WäHîdūl Ïslâm
.
#৫ম_পর্বঃ- গত দিনের ঘটনার পর, নিজের কাছে কিছুটা বিব্রত লাগছে, কখনও ভাবী নি ইহিতার সাথে আবার দেখা হতে পারে। রাতে ভালো ঘুম হয় নি, ঘুমোতে হবে। বিছানায় টান টান হয়ে শুয়ে পরলাম, মিথু রেডি হয়ে কোথায় যেন বের হবে আয়োজন করছে, ভাবলাম কপাল হয়ত আজকেও পুড়েছে, ঠিকমত ঘুমোনোর সুযোগ পাচ্ছি না। চোখ লেগে আসতে শুরু করেছে, তখন মিথু ডাকল,
-অভ্র, ঘুমিয়েছিস?
-হু
-কি হু হু? শোন আমি একটু বাইরে যাচ্ছি, ঘন্টা খানের মধ্যে ফিরব। তুই ঘুমো!
-হু
-আর শোন, তোর জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে
ঘুমের মধ্যে আর কিছু বলেছিলাম কি না মনে পড়ছে না,
গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম...
.
আজকাল আমি দিবা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি, দেখলাম আমি আর মিথু কোনো এক পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছে, হঠাৎ সে আমার হাত ফসকে এক খাঁদে পরে গেল। শুধু একবার তার চিৎকার শুনলাম, তারপর চারিদিক নিস্তদ্ধ হয়ে আসল, আমিও অতলে হারিয়ে যেতে শুরু করলাম। কে যেন আমার হাত ধরে টেনে তোলার চেষ্টা করছে, চেহারা ঝাপসা, ঠিকমত বুঝতে পারছি না। এইটুকু দেখার পর আর ঘুমিয়ে থাকতে পারলাম না, লাফ দিয়ে উঠে বসলাম, হার্টবির্ট অনেকটা বেড়ে গেছে। পাশে রাখা গ্লাস থেকে পানি খেয়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেলাম। কত সময় ঘুমিয়েছি? ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি প্রায় দু’ঘন্টার অধিক হয়ে গেছে। মিথু বলে গেল কোথায় যেন যাবে। সে এখনো ফিরে আসে নি। চিন্তা লাগছে, ফোন দিলাম,
-হ্যালো মিথু! কোথায় তুই?
-এইত এসে পরেছি, রিসোর্টের পাশেই।
.
আর কিছু বললাম না, ফোন কেটে দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম শাওয়ার নিতে । বেশ লম্বা সময় শাওয়ার নিয়ে বের হলাম সাথে সাথে কলিং বেলে চাপ পড়ল। ভাবলাম হয়ত মিথু চলে এসেছে। রুমের দরজা খুলে দিয়ে বললাম,
-কোথায় গিয়েছিলি হ্যাঁ? এত লেট হল কেন ফিরতে?
এবার উপরে তাকালাম, আমার শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে গেল, মিথু একা না, তার সাথে ইহিতাও দরজার সামনে দাঁড়ানো...
.
রিসোর্টের বারান্দায় বসে আছি, পিন পতন নিরবতা, কেউ কোনো কথা বলছে না, আমার আসলে রাগ করা উচিত কি না বুঝে উঠার চেষ্টা করছি, মিথিলা নিরবতা ভাঙ্গে,
-অভ্র, কফি খাবি? ইহিতা তুমি?
আমি এবার মিথুর দিকে ক্রুর দৃষ্টিতে তাকালাম। সে হুট করে কফি আনতে বেড়িয়ে গেল। রুমে আমি আর ইহিতা, আমি বুঝে উঠতে পারছি না, মিথিলা আমার বউ হয়ে ইহিতাকে কেন বাসায় নিয়ে আসল? আর এখন একা রেখে কেন বাইরে গেল? আসলে ও চাচ্ছে টা কি? ইহিতা এবার কথা বলতে শুরু করল,
-কেমন আছিস অভ্র?
-ভালো থাকার কথা ছিল...
-তোর পেঁচিয়ে কথা বলার অভ্যাস টা এখনো রয়ে গেল?
-অনেক অভ্যাস এখনো আগের মতই আছে। বিন্দু পরিমাণ পরিবর্তন হয় নি বা করার চেষ্টা করি নি!
-বিয়েটা কি ইচ্ছে করে করেছিস?
-তোর কি তাই মনে হয়?
-এখন আর আগের মত কিছু মনে করতে ইচ্ছে হয় না রে!
.
কিছু একটা বলতে চেয়েছিলাম, তার আগেই মিথু  কফি নিয়ে হাজির। কফি রেখে সে আবার কোথায় যেন যাওয়ার উদ্দেশ্যে পা বাড়িয়েছে,
-কোথায় যাচ্ছিস তুই?
-এক মিনিট অপেক্ষা কর।
সে রুমে চলে গেল। নিজের ব্যাগ বের করে কি যেন খুজতে লাগল, আমি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছি, কি যেন একটা বের করে আবার আমাদের কাছে ফিরে আসল।
-হ্যাঁ কি যেন বলছিলি অভ্র?
কিছু না বলে ওর হাতের দিকে লক্ষ্য করলাম। একি? আমার ডায়েরী ওর হাতে কেন? এই ডায়েরী তো গত ৬বছর আমি নিজেই খুলি নি।
-মিথু, এটা তোর কাছে কেন?
-কোনটা??
-ডায়েরীটা
-ও এইটা? তোর ওয়ারড্রপ থেকে জামাকাপড় সড়াতে গিয়ে পেয়ে ছিলাম।
-ধরেছিস কেন?
-কি বলিস? আমি না তোর স্ত্রী? এইটুকু অধিকার কি আমি সংরক্ষণ করি না?
.
কিছু বললাম না। চুপসে গেলাম। যেহেতু ডায়েরী মিথিলার হাতে সুতরাং ইহিতা সম্পর্কে কিছুই তার অজানা থাকার কথা না! এবার ইহিতা শুরু করল,
-আচ্ছা, তোমাদের সম্পর্ক এই রকম কেন?মনে হয় ইঁদুর বিড়ালের মত সারাদিন ঝগড়া কর।
আমি কিছু একটা বলতে চেয়েছিলাম, তার আগেই মিথিলা জবাব দিল,
-আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে, আমার কোনো ইচ্ছে ছিল না এই গবেট টাকে বিয়ে করার। কিন্তু ফ্যামিলি হুট করে বিয়ে দিয়ে দিল। বিয়ের ৪ ঘন্টা আগে শুনলাম আজকে আমার বিয়ে। ব্যাপারটা অসাধারণ না?
.
ইহিতা একটু হাসল। এবার আমি শুরু করলাম,
-আমি কি তোকে বিয়ে করার জন্য বসে ছিলাম? তুই তো ৪ ঘন্টা সময় পেয়েছিস, আর আমি তো বিয়ের আসরে গিয়ে শুনেছি আমার বিয়ে।
ইহিতা এবার খিলখিল করে হেসে উঠল। ওর হাসিটা আগের মতই আছে। মিথু আবার শুরু করল,
-আচ্ছা বাদ দে, ডায়েরীতে তুই ১১ পৃষ্ঠার পর আর কিছু লেখিস নি! কেন?
চুপ করে থাকলাম। আসলে আমি কখনো চাইনি এই ডায়েরী কারো হাতে পৌঁছুক, আর পড়া তো দূরে থাক। মিথুর কথার ভাবে যা বোঝা যাচ্ছে, সে শুধু ডায়েরী পড়ে নি, সকল কাহিনি আদি অন্ত বুঝে ফেলেছে। আর সেই সুবাদে আজকে ইহিতা আবার সামনে হাজির। কি দরকার ছিল সেদিন রেস্টুরেন্টে ডিনার করা, কি দরকার ছিল আবির ভাইয়ের সাথে পরের দিন দেখা হওয়া। দেখা হল ভালো, বাসার ঠিকানা কেন দিল? আর আমিই বা কেন সেটা মিথুর কাছে রেখে দিলাম? কথা গুলো মনে পরলে নিজের মাথা দেওয়ালের সাথে ঠুকতে ইচ্ছে হচ্ছে। মিথুর কথায় আবার বাস্তবে ফিরে আসলাম,
-ইহিতা, ডায়েরীটা তুমি দিয়েছিলে এই বানরটাকে?
-হ্যাঁ
-কিন্তু দেখছ? গবেট টা শুধু মাত্র ১১ পৃষ্ঠা লিখে আর মনে হয় ছুঁয়েও দেখে নি।
.
ইহিতা এবার বলতে শুরু করে,
-জানো মিথিলা, অভ্র আমার খুব ভাল বন্ধু ছিল। অনেকটা সময় এক সাথে পার করেছি। হাইস্কুল, কলেজ ইভেন ভার্সিটিরও কিছুটা সময়। আমার থেকে ভালো মনে হয় পাগল টাকে কেউ চিনবে না। ওর পছন্দ, অপছন্দ, রাগ, অভিমান,প্রতিটি জিনিস খুব কাছ থেকে দেখেছি। জানি না সেই সময়ের মধ্যে অভ্র কখন এত কাছে চলে এসেছে। আমিও বুঝতে পারি নি, অনেক চমৎকার সময় একত্রে পার করেছি।
-জানি ইহিতা। তোমাদের গল্পটা চাইলে ভিন্ন রকম হতে পারত।
-আসলে ততটা সহজ ছিল, আমি আবিব কে দেওয়া কথা কোনো মতেই ফেলতে পারতাম না। আর অভ্রর আশে পাশে থাকলে কোন দিন আমার পক্ষে সম্ভব হত না। তাই পালিয়ে এসেছি অনেক দূরে। জানি আমাকে অনেক খুঁজেছে সে। কষ্টও পেয়েছে নেহাৎ কম নয়। আমি নিরুপায় ছিলাম।
.
ইহিতার গলা কেঁপে উঠছে কথা বলতে গিয়ে, তাই আর সামনে এগুতে চাইলাম না।
-আচ্ছা বাদ দে এইসব। তারপর ইহিতা, বিয়ে করলি কবে?
-এইত, ৬মাসের মত। দেশ থেকে আসার পর ইতালী ছিলাম মামার কাছে। অনেক দিন আবিরের সাথে যোগাযোগও করিনি। তারপর হঠাৎ বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম।
-ভালো তো।
মিথু, আবার কোথায় যেন যেতে উঠে গেল, এবার সে একা নয়, ইহিতাও উঠল তার সাথে, আমি ভাবলাম হয়ত ইহিতা তাড়া আছে তাই ওর চলে যেতে হবে। কিন্তু মিথু কোথায় গেল? একা বসে থাকলাম বারান্দায়। একটু পরে দেখি দুজন আবার ফিরে এসেছে, উভয়ের মুখে বিজয়ীর হাসি। একটু সামনে এগিয়ে হামলে পড়ল আমার উপর। ইহিতার হাতে কেক, মিথু পার্টি স্পে দিয়ে আমাকে প্রায় ঢেকে ফেলেছে। ওহ, ভুলেই গিয়েছিলাম, আজকে আমার জন্মদিন! আসলে এই সব ব্যাপারে আমার কোনো আগ্রহ নেই। এইজন্য তাহলে মিথিলা বলেছিল আমার জন্য সারপ্রাইজ আছে? আর ইহিতার সাথে আবার দেখা হওয়ার চাইতে বড় সাইপ্রাইজ আর কি ই বা হতে পারে? মিথু চিৎকার করে বলে উঠল,
-হ্যাপি বার্থডে অভ্র...
ইহিতাও সাথে যোগ দিল। ভালো লাগছে, মিথু এত খবর নিয়েছে তাহলে? পিচ্চি টা তাহলে আসলেই বড় হয়ে গেল?
কেক কাটার পর সবাই একত্রে লাঞ্চ করার জন্য বের হলাম।  লাঞ্চ শেষ করে অনেকটা সময় বীচে ঘুরলাম। বিকেল গড়িয়ে গোধুলি হয়ে এসেছে, রিসোর্টে ফিরলামও এক সাথে। এবার ইহিতাকে যেতে হবে। অনেক কথা বলার ছিল তাকে, তব কেন জানি আর ইচ্ছে করল না। উঠে দাঁড়িয়েছে সে,
-অভ্র
-হু
-একটা কথা রাখবি?
-কি?
-ডায়েরী টা আমাকে দিবি?
মৃদু হাসলাম। যার জিনিস তার কাছে থাকা ভালো। মিথুর কাছ থেকে ডায়েরী  নিয়ে তাকে ফিরিয়ে দিলাম। কেন যেন চোখটা ভিজে আসতে চাইছে বড্ড জোর করে। বুকের বা পাশটায় চিনচিনে ব্যাথা অনুভব হচ্ছে। আর কথা না বলে ইহিতা পা বাড়ল চলে যাবার জন্য, যাবার আগে মিথিলাকে শুধু একটা কথা বলে গিয়েছিল,
-পাগলটাকে আগলে রেখ...
.
বারান্দায় আমার গিয়ে দাড়ালাম। রিসোর্টের সামনের সরু রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে ইহিতা। বাতাসে তার চুল উড়ছে, হয়ত এই শেষ বার, আর কোনো দিন দেখা হবে না তার সাথে। সর্ব শেষ স্মৃতিটুকুও ফিরিয়ে দিলাম। মিথিলা খুব কাছে এসে দাঁড়াল। একটু হাসি দিয়ে বললাম,
-কিছু ভালোবাসার সমাপ্তি অপূর্ণ থেকে যায়, তাই না?
-হ্যাঁ, তবে সেটুকু পূর্ন করার জন্য আমি আছি...
.
[চলবে...]
.

গল্পঃ- পিচ্চি বউ
লেখাঃ- WäHîdūl Ïslâm
.
#৬ষ্ঠ_পর্বঃ- রাত হয়ে এসেছে। ডিনার শেষ করে সোফায় এসে চোখ বন্ধ করে বসলাম।খুব মাথা ব্যথা করছে। মিথিলা এসে আমার পাশে বসল,
-অভ্র
-বল
-তুই ঠিক আছিস?
-হ্যাঁ
-চোখ বন্ধ করে আছিস কেন?
-মাথা ব্যথা করছে খুব।
-তোর মাথা ম্যাসেজ করে দিব?
কিছু বললাম। আগের মত চুপ করে বসে থাকলাম। মাথায় কমল হাতের স্পর্শ পেলাম। খুব যত্ন করে ম্যাসেজ করে দিচ্ছে মিথিলা। স্বপ্নের কথা কিছু বলা হয় নি তাকে,
-মিথু
-হু
-জানিস, আজকে যখন তুই বাসার বাইরে গিয়েছিলি, আধো ঘুম, আধো জাগরণের মাঝে খুব বাজে একটা স্বপ্ন দেখলাম...
-কি দেখলি?
-তোকে সাথে নিয়ে কোনো এক পাহাড়ি এলাকার ঘুরতে গিয়েছি। হাত ধরে হাটছিলাম, হঠাৎ তুই আমার হাত ফসকে পাহাড়ের খাঁদে পরে গেলি। সাথে আমিও অতলে হারিয়ে যেতে শুরু করলাম। কিন্তু কে যেন আমার হাত ধরে টেনে তোলার চেষ্টা করল। তার চেহারা দেখতে পেলাম না।
চোখ খুললাম, আমার কথা শুনে মিথু কিছুটা হাসতে শুরু করল,
-তুই আমাকে নিয়ে আজকাল স্বপ্নও দেখিস?
-ব্যাপারটা মোটেও হাস্যকর না।
-জানি তো। কেন জানি হাসতে ইচ্ছে করল।
-তোর বাচ্চামি স্বভাব ভালো হবে না কোনদিন?
-সম্ভবনা শূন্যের কাছাকাছি।
.
এবার আমার হাসি পেল। পাগলি টা আসলেই মনে হয় কখনও গম্ভীর হতে পারবে না।
-অভ্র, তোর হাসিটা সুন্দর!
-বাব্বাহ, তুই আমার হাসিও খেয়াল করেছিস? আর কি কি দেখলি?
-এই, তুই একটা গবেট, ছাগল, গরু, উজবুক, ছন্নছাড়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
খুব জোরে হেসে উঠলাম। কারণ আমাকে নিয়ে কেউ এ ধরণের কথা কোন দিন বলে নি।
-তোর কেন এমন মনে হয়?
-কেন বলব তোকে?
.
উঠে গেলাম! ঘুমোতে হবে গত ২দিন অনেক ধকল পার হয়েছে।
কিন্তু এ কি? বেডে গিয়ে দেখি কোলবালিশ নেই।
-মিথু
-বলে ফেলুন অভ্রবাবু
-কোলবালিশ কোথায়?
-রুম সার্ভিসে ফেরত দিয়ে দিয়েছি।
-কিইইইহ? কেন?
-কোলবালিশটাকে কেন যেন সতিন সতিন মনে হয়
-তোকে কি করা দরকার এখন? ভালো কথা, কোলবালিশ ছাড়া তুইও তো ঘুমোতে পারিস না!
-আমার বর আছে না? তাকেই না হয় কোলবালিশ বানিয়ে নেব।
-কিসের বর? আমি তোর কোলবালিশ হতে রাজি না!
-যাহ, লাগবে না, আমি বুঝি না তোর মত আন রোমান্টিক একটা ছেলে কোন মেয়ে বিয়ে করতে চাইবে?
-ছাড় তোর রোমান্টিকতা। আমি ঘুমাতে গেলাম
.
এইটুকু বলে বেডের এক পাশে গিয়ে শুয়ে পরলাম, মিথুও এসে আমার কাছ ঘেষে শুয়ে পরল।কিছু বললাম না। চোখ লেগে এসেছে। গভীর ঘুমে তলিয়ে যাচ্ছি, হঠাৎ মিথুর হাত আমার বাহুর উপর চলে আসল, নাহ এ মেয়েকে নিয়ে মত বিশাল মুসীবত! কোলবালিশ ছাড়া ঘুমায় না, অথচ তাকে সতিন মনে করে ফেরত দিয়ে এসেছে। নিজের কাছে কিছুটা অস্বস্তি লাগছে। কিন্তু কিছু করার নেই।
.
পাগলীটা দিন দিন আপন করে নিতে চাচ্ছে! আমি কি পারছি ওর প্রাপ্য ওকে ফিরিয়ে দিতে? নাকি অবিচার করছি মেয়েটার সাথে? এমন কোনো মেয়েকে এখনও দেখি নি, যে তার বরের পুরনো ভালবাসাকে তার জন্মদিনে বাসায় হাজির করে। সব কিছু জানার পরেও কোনো রকম হাঙ্গামা না করে সব কিছু নিরবে নিভৃত্বে মেনে নিয়ে আমাকে ভালোবাসতে চাইছে। আমি কি পারব ওকে ভালোবাসা দিয়ে আজীবন নিজের কাছে আগলে রাখতে? পারব কি সুন্দর একটি জীবন তাকে উপহার দিতে? ভাবতে ভাবতে আমিও ঘুমিয়ে গেছি। আগে কার সেই কোলবালিশের বদ অভ্যাসের দরুণ কখন আমার একটা হাত তার বাহুতে চলে গেছে খেয়াল করিনি। যেহেতু কিছু করার নেই তাই মিথুর দিকে ঘুরে শুলাম। ঘুমন্ত অবস্থায় একদম পরীর মত লাগছে তাকে, কি মায়াবী চেহারা, মনে হচ্ছে তার প্রতিটি নিশ্বাস অনুভব করতে পারছি,সাথে  বুকের প্রতিটি  হৃদ স্পদন স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি...  
.
সকাল হয়ে গেছে, মিথুর মিস্টি কন্ঠে ঘুম ভাঙ্গল
-এই অভ্র, অভ্র।
-কি হয়েছে?
-উঠ না। দেখ সকাল টা কত সুন্দর আজকে। চল বাইরে থেকে ঘুরে আসি।
-আরেকটু ঘুমাই?
-চা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে, ওঠ না!
.
উঠে পারলাম। চা খেয়ে ফ্রেস হয়ে পাগলীটাকে নিয়ে বেরিয়ে পরলাম। রিসোর্ট থেকে একটু এগিয়ে দেখি ফুলের দোকান। মিথুকে নিয়ে আগে সেখানে গেলাম। সুন্দর দেখে একগুচ্ছ কালো গোলাপ কিনে তার হাতে ধরিয়ে দিলাম। আবার হাঁটতে শুরু করেছি, আজকে মিথু না, আমিই আগে ওর হাতটা ধরলাম, একটু লজ্জা পেল মনে হচ্ছে। তাতে কি? সে তো আমার স্ত্রী। সকাল টা আসলেই আজ খুব সুন্দর। রৌদ্রজ্জল চারিদিক। বেশ লাগছে তাকে নিয়ে হাঁটতে। দেশ থেকে কেউ এখনো ফোন দেয় নি, আসলে ফোনে কথা বলতে বরাবরই আমার কেন জানি না বিরক্ত লাগে। তবে আজকে কি মনে করে যেন আম্মু কে ফোন দিলাম,
-হ্যালো আম্মু।
-কি বাবা? ভুলে গেছিস আমাদের এখনই?
-কি যে বল না?
-হা হা, সময় কেমন কাটছে।
-যার সাথে পাঠিয়েছ, কেমনই বা কাটতে পারে?
মিথু পাশ থেকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকাল আমার দিকে।
-মিথু কোথায়?
-পাশে আছে।
-দে তো। মেয়েটার সাথে ভালো ভাবে কথা বলতে পারলাম না!
ফোনটা মিথুর কাছে দিলাম। তাও লাউড স্পিকারে,
-আসসালামুওয়ালাইকুম ফুপ্পি
-ওয়ালাইকুমুসসালাম মা, কেমন আছিস?
-ভালো ফুপ্পি! আপনারা কেমন আছিস?
-ভালো মা। তোদের ছাড়া বাড়িটা শুন্য শুন্য লাগছে...
-আমারও খুব খারাপ লাগছে।
-তাড়াতাড়ি চলে আয় তো, আর পাগলটার দিকে খেয়াল রাখিস!
-ঠিক আছে ফুপ্পি
.
বলে ফোন রেখে দেয়। বীচ থেকে একটু সামনে নাকি খুব সুন্দর একটা জায়গা আছে। মোটামুটি স্বচ্ছ পানি, সামনে সু-বিশাল ঝর্ণা, আশেপাশে লম্বা লম্বা গাছ। বোর্ট নিয়ে চলে গেলাম সেখানে। পাশাপাশি বসেছি দুজন। চারিদিকের পরিবেশ দেখে হঠাৎ মাথায় কু-বুদ্ধি চাপল। এখানকার পানির গভীরতা বেশ অনেকটা, ভাবলাম মিথুকে একটু ভয় দেখানো যাক, ওর পাশ থেকে উঠে বোর্টের একদম সামনে চলে গেলাম,
-কোথায় যাচ্ছিস?
-এখানেই
-কি হল আবার?
-শরীর টা ভালো লাগছে না!
একদম সামনে গিয়ে মাথা ঘুরে পানিতে পরে যাওয়ার ভান করলাম। পরে সাথে সাথে ওখান থেকে একটু দূরে সাঁতরে চলে আসলাম। মিথু দৌড়ে এসে আমাকে দেখতে না পেয়ে চিৎকার দিল, সাথে কান্না জুড়ে দিল। মুখে বেদনার ছাপ স্পষ্ট খেয়াল করলাম। বাচ্চা মেয়েদের মত কাঁদছে আর আমার নাম ধরে ডাকছে। বোর্টের ক্রু অনেকে ঝাঁপিয়ে পরেছে আমাকে উদ্ধার করতে, নাহ বেশি হয়ে যাচ্ছে। সাঁতরে কাছে চলে গেলাম। মিথু যে রেলিং ধরে দাঁড়ানো ঠিক সেখানে গিয়ে উঠলাম,
-কি হয়েছে আমার বউটার?
-অভ্র...
বলে আবার কাঁদতে শুরু করেছে, উপরে উঠে আসলাম।
-হা হা, একটু মজা করছিলাম, জানিস আমি কলেজে থাকতে সুইমিং চ্যাম্পিয়ন ছিলাম।
কিছু না বলে মিথু আমাকে জড়িয়ে ধরল, এখনো কেঁদেই যাচ্ছে।
-এই মিথু!
-কোনো কথা বলবি না! [ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে]
-ভয় পেয়েছিস?
-হু
.
বুঝলাম অনেক বেশি ভয় পেয়েছে। তাই ওকে বুকে আগলে রেখে আরো অনেক টা সময় ঘুরে সন্ধ্যার পরে রিসোর্টের দিকে রওনা দিলাম। আসতে আসতে রাত হয়ে গেল, তাই একবারে ডিনার করে রুমে আসলাম। মিথুর মনটা মনে হয় এখনো খারাপ হয়ে আছে তখনকার কাজটার জন্য। আসলেই এমন ফাজলামো উচিত হয় নি। ওর খুব কাছে গিয়ে বসলাম,
-আচ্ছা, তখন যদি আমার কিছু হয়ে যেত?
মিথু ক্রুর দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষণ, তারপর শার্টের কলার ধরে টান দিয়ে খুব কাছে নিয়ে, পরম ভালোবাসায় আলিঙ্গন করে নিল...
.
[চলবে...]

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ