āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ŧ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

1769

গল্প: মিষ্টি মেয়েটি
-- এই যে নবাব সাহেব এখন কি ঘুম থেকে উঠবে নাকি তোমার উপর পানি ঢালতে হবে।
-- ওকে ঢালো।
.
আরে এই মেয়েরে উপরওয়ালা কি দিয়ে বানালো যে কোন কিছু বলতে দেরি হয় কিন্তু ওই কাজটা করতে লেট করে না। মেয়েও দেরি না করে ঢেলে দিলো পানি।
-- আরে কি করছো এইসব?
-- আপাতত বলতে পারো তোমায় গোসল করাচ্ছি।
-- দেখো নিহা তোমার কিন্তু এই রকম ব্যবহার করার কোন অধিকারই নাই।
-- এই যে মিস্টার, এটা কোন আদালত না যে এখানে অধিকার আর অনাধিকার নিয়ে কথা হবে। এখানে প্রেমের কথা হবে।
-- এ আসছে প্রেম করতে। যখন তোমার পিছন পিছন ঘুরছি তখন তো আমার দিকে ফিরেও তাকাও নি।
-- আসলে ওই সময় ঘাড়ে একটু সমস্যা ছিল তাই ফিরে তাকাতে পারি নি।
-- কী?
-- না মানে তখন তো ভুল রাস্তায় হাটছিলাম। আর এখন তো ভুল গুলো বদলাতে চাইছি। একটা সুযোগ দিলে কি এমন ক্ষতি হয়।
-- এইসব কথা বাদ দাও। তুমি যে আমার বাসায় আসলে তা মাকে কি বললে?
-- বললাম আপনার হবু নাতির মা আমি...
ওর কথা শুনে চোখ গুলো যেন বার হয়ে যাচ্ছিল। ও যদি মারে এই কথা বলে তাহলে তো আমার ব্যান্ড বেজেঁ যাবে।
-- ওই তুমি এইসব কি বলছ? সত্যি করে বলো মাকে কি বলছো?
-- যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে যাও তোমার মায়ের কাছে যাও।
আমিও আর লেট না করে খাট থেকে নেমে মায়ের কাছে যেতে যাবো। যখনই দরজার সামনে গেলাম তখনই মা এসে হাজির আর হাতে নাস্তার প্লেট।আমি কিছু বলতে যাবো তখনই মা বলল....
-- রাজ তুই বললিও না যে তোর ফ্রেন্ড আজ সকালে আসবে। তাহলে ভাল কিছু রান্নার ব্যবস্থা করতাম।
--কিন্তু মা....
-- কী?
-- না কিছু না তুমি যাও।
-- যাচ্ছি তবে তোর সাড়া শরীর ভিজলো কেমনে?
-- মা ঘরে একটা সুনামি বয়ে গেছিল তো তাই ভিজে গেছি।
.
মা আর কোন কথা জানতে না চেয়ে একটা হাসি দিয়ে চলে গেল। আমি ওর সামনে গেলাম আর বললাম....
-- ওই নিহা আমার কাছে কেন আসলে এটা বলো?
-- আজ সাড়া দিন তোমার সাথে ঘুরবো তাই।
-- কিন্তু আমি তো আজ ফ্রি নেই।
-- ওই আমার সাথে ঘুরতে যাবে কি না বলো নয়ত আমি তোমার বাড়ির সামনে দাড়িয়ে লোক দেখিয়ে কাদঁতে কাদঁতে জয় বাংলা বাধিয়ে দিবো। আর সবাইকে বলবো তুমি আমায় বিয়ে করছো কিন্তু এখন মানতে চাও না।
-- ওই না। তুমি বসে নাস্তা খাও আর আমি রেডি হয়ে আসছি।
-- এই তো লক্ষি ছেলে।
.
ওরে নাস্তা খেতে দিয়ে আমি ওয়াশ রুমে গেলাম। এই প্রথম মেয়েটা আমার বাড়িতে আসলো আর প্রথমেই আমায় ভিজিয়ে দিলো। যদি ও আমার ভবিষ্যৎ এ এন্ট্রি পায় তাহলে প্রতি দিন আমায়..... না থাক চিন্তা না করে ওর সাথে আগে বাইরে যাই আর ওরে ভাল করে বুঝাই।
তারাতারি ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বার হতেই দেখি নিহা ঘরে নেই আর নাস্তার এক টুকরা রুটিও ও খায় নি। আমার ঘর থেকে বার হতে দেখি নিহা মায়ের সাথে বসে গল্প করছে। যাক ভাল হইছে যে বলল ও আমার ফ্রেন্ড নয়ত আমার চোখে জয় বাংলা হয়ে যেত।তারপর আমি আমার রুমে এসে নিহার পছন্দ আকাশী রং এর একটা শার্ট পড়ে রেডি হয়ে নিলাম। হঠাৎ তখনই পিছন থেকে নিহা বলল....
.
-- বাহ্ এতো দিন এমন হ্যান্ডসাম ছেলে আমার চোখে পড়ে নি। ধিক্কা জানাই আমার চোখ কে।
-- আগে দেখলেই হয়ত ভাল ছিল। এখন সব শেষ হওয়ার পর কেন আসলে।
-- আমি একা আসি নি তো....
-- তাহলে?
-- সাথে করে দুই টাকা দামী একটা দিয়াশলাই কিনে আনছি। জানো অনেক গুলো কাঠি আছে। একটার পর একটা জ্বালাবো আর অন্ধকারে অালোয় আলোকিত করে দিবো।
-- ওই তুমি এমন জোকস মারা শিখলে কই থেকে।
-- এতো কিছু জেনে তুমি কি করবে? তারাতারি চলো তো বাইরে যাই।
-- হুম চলো।
.
আর কোন কথা না বলে মায়ের কাছে বলে নিহাকে নিয়ে বার হলাম। বাড়ি থেকে বার হয়েই একটা রিকশা ঢাকলাম। আর নিহার কাছে জানতে চাইলাম কোথায় যাবে তখন ঠিকানা বলল আর দুইজনে রিকশায় উঠলাম। রিকশা চলতে লাগলো। আমাদের এলাকায় তো একটা পার্ক আছে কিন্তু নিহা অাধা ঘন্টার রাস্তার ওই নদীর পাড়ে গিয়ে কি করবে? হঠাৎ নিহা আমার হাত ধরলো....
-- নিহা কি করছো?
-- একটু হাতটা ধরি। প্রমিস কাল থেকে তোমায় আর ডিস্টার্ব করবো না।
ওর কথায় কেমন যেন মায়া ছিল তাই আর মানা করলাম না। আজ ও আমার পাশে কিন্তু গত দুইটা বছরের গল্পটা একটু ভিন্নই...
.
ভার্সিটির গেটের কাছে দাড়িয়ে আছি নিহাকে দেখার আসায়। যখনই ওকে নবীন বরনে প্রথম দেখি তখন দেখি ওরে দেখতে মন চাইতো। তাই প্রায় সময় ওদের ডিপার্টমেন্ট ভবনের সামনে দাড়িয়ে থাকতাম কিন্তু কখনো কিছু বলতাম না। হঠাৎ দেখি নিহা আসতেছে আর আমিও প্রতিদিনের মত ওর পিছু নিলাম। তবে সেই পিছু নেওয়াটা শুধু ওর ক্লাসরুম পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। ও কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টের আর আমি ছিলাম সিভিলের। তাই প্রতিদিন ওরে ওর রুম পর্যন্ত দিয়ে আমি আমার ক্লাস রুমে যেতাম। জানি না মেয়েটি বুঝতে পারতো কি না? আমি আর নিহা দুই জনের এবার ১ম বর্ষের। তাই আমি কিছু বলার তেমন একটা সাহস পাই না। শুধু অপেক্ষা করি মেয়েটা একটু বুঝুক আমি যে ওরে পছন্দ করি। পছন্দ করি বললে ভুল হবে কারন যাকে আমরা পছন্দ করি তাকে নিয়ে তো স্বপ্নবুনি না। তবে আমি বলতে পারি আমি নিহাকে ভালবাসি আর স্বপ্নও দেখি।
.
একদিন ভার্সিটি থেকে বলা হলো আমাদের সকল ১ম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হবে। আমিও এটা শুনে ভাবলাম ওই দিনই নিহাকে বলে দিবো আমার মনের কথা।
তারপর নির্দিষ্ট দিন আমাদের সকল কে এক সাথে নিয়ে গাড়ি ছাড়া হলো কুমিল্লা কোট বাড়ির উদ্দেশ্যে। তবে যার যার ডিপার্টমেন্টেরর আলাদা আলাদা বাস। নিহা ওদের গ্রুপে আর আমি আমাদের সিভিলের গ্রুপে।
.
প্রায় ৫ ঘন্টা পরে আমরা নির্দিষ্ট জায়গাতে আসলাম। গাড়ি থেকে নেমেই আমি কম্পিউটারদের বাসের সামনে গেলাম। সবাই আস্তে আস্তে নামছে। হঠাৎ দেখি নিহা নামতেছে বাস থেকে।
তারপর সবাই যার যার মত ঘুরতে ছিলাম আর আমার সাথে ঘুরছিল তুহিন। তবে আমার অন্য কোন কিছু দেখায় মন ছিল না কারন আমার সম্পূর্ণ ধ্যান ছিল নিহার দিকে।
-- কিরে রাজ তুই ওই মেয়ে গুলোর পিছন পিছন হাটছিস কেন? চল আমরা অন্য দিকে ঘুরে দেখি।
-- কেন তোর কি কোন সমস্যা হচ্ছে?
-- আরে সমস্যা নেই তবে ওরা যে দিকে যাচ্ছে আর আমরাও ওই দিকে যাচ্ছি এই বেপারটা কেমন যেন লাগছে। কোন চক্কর চলছে নাকি?
-- এই জন্যই তোরে আমার এত্তো ভাল লাগে তুহিন। তুই আমার মনের কথা কি করে যে বুঝে যাস?
-- পাম কম দে আর কাহিনী কি এটা বল?
-- আসলে ওই গুলোর মাঝে একটা মেয়েকে আমি পছন্দ করি।
-- এতটুকু অনেক আগেই বুঝছি আর মেয়েটা কে এটা তো বল।
-- আকাশী ড্রেসে মেয়েটা। আর ওর নাম হলো নিহা। সেই নবীন বরনের পর আজ তিন মাস ওর পিছনে ঘুরছি আর পাত্তাও পাচ্ছি না।
-- মামা মেয়েটা দেখতে সুন্দর তাই আর হাত ছাড়া করিস না নয়ত পরে দেখবি তোর বউ হওয়ার বদলে তোর ভাবী হয়ে যাবে।
-- দেখ এমন দোয়া করবি না। কি করে জানাবো একটু তো বলবি?
-- সামনে যাবি আর বলবি তুই ওরে ভালবাসিস।
-- এত্তো নরমাল ভাবে বললে মানবে।
-- ওই নিজেরে কি ফেসবুকের লেখক ভাবছ যে রোমান্টিক ভাবে প্রপোজ করবি।
-- এমন করে বলতে পারলি।
-- হুমম এবার যা ওরে বল।
.
নিহা আরো ৩টা মেয়ের সাথে দাড়িয়ে আছে আমি আমি খুব সাহস নিয়ে সামনে এগিয়ে গেলাম। আর পিছন থেকে তুহিন আমায় সাহস দিচ্ছে। আমি ওই মেয়ে গুলোর সামনে যেতে ওরা কেমন করে যেন আমার দিকে তাকালো...
-- নিহা একটু এই দিকে আসবে। তোমার সাথে একটু কথা বলার ছিল।
-- এখানেই বলো যা বলার।
-- আসলে কথাটা আলাদা বললেই খুব ভাল ছিল।
-- কিন্তু কথাটা আলাদা শুনার ইচ্ছা আমার ছিল না।
-- আমি তোমায় ভালবাসি।
-- কী?
-- (আমি চুপ)
পাশে থাকা দুইটা মেয়ে হেসে দিলো। আর নিহাও হাসলো তবে আমার দিকে তাকিয়ে আর হাসলো না।
-- আচ্ছা শুনো আমার বয়ফ্রেন্ড আছে।
কথাটা শুনে একা ধাক্কা খেলাম তবে নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম....
-- ও আচ্ছা নাম কি ওনার?
-- ওর নাম শাওন আর ও সিভিলে ৩য় বর্ষের ছাত্র।
-- ও আচ্ছা। সরি আমি আসি।
.
আর একটা কথা না বলে চলে আসলাম। আর ফিরে এসে তুহিনকে সব বললাম। তুহিন আমার কাধেঁ হাত দিয়ে বলল....
-- এতো ভেঙ্গে পড়ার কি আছে? আগে চল সেই শাওনের খুজ নেই। ছেলে যদি ভাল হয় তাহলে নিহাকে তুই ভুলে যাবি আর যদি শাওন খারাপ হয় তাহলে শাওনকে ভুলতে হবে নিহা কে?
-- বাদ দে দোস্ত । ও যেমন থাকতে চায় তাই থাকতে দে।
.
এরপর আর তেমন মজা করি নি কারো সাথে। তবে আমাদের সিভিল গ্রুপের সাথেই ছিলাম। তবে বার বার নিহা দেখতে ছোট্টে যেতে ইচ্ছা করতে ছিল কিন্তু আর যাই নি। আর সব থেকে বড় কথা হলো আমি যতখন ঘুরছি ততখন তুহিন আমার হাতটা ধরে রাখছে।
এই জার্নি শেষ করে বাড়ি আসলাম। আমার বাড়ি আর তুহিনের বাড়ি খুব কাছাকাছে তাই তুহিন আমায় বাসায় দিয়ে পরে নিজে বাড়িতে গেল।
তারপর থেকে প্রতিদিন সরাসরি ভার্সিটিতে গিয়ে নিজের ক্লাসে চলে যেতাম। কখনো নিহাদের দিকে যেতাম না। তবে খুব মিস করতাম মেয়েটাকে।
.
হঠাৎ একদিন দেখি নিহা আমাদের ভবনের নিচে দাড়িয়ে আছে। আর তখন আমাদের ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষার চলছে। তবে কথা হলো, নিহা পরীক্ষা না দিয়ে নিজে আমাদের ভবনের নিচে কি করে? আর ওর ও তো পরীক্ষা চলছে। ওর কি কোন সমস্যা হলো এটা ভেবে ওর কাছে যাবো ভাবলাম তখনই দেখি শাওন ওর সামনে এসে হাজির। প্রথমে ভাবলাম চলেই যাই আর ওদের দেখতে ইচ্ছা করছে না। তবে আমার আর যাওয়া হয় নি। কারন, ওদের কথার এক পর্যায় নিহা শাওন কে চড় মেরে বসে আর কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল। তখন মনের মাঝে শুধু আনন্দ লাগছি। ইচ্ছা লুঙ্গী ডান্স করি কিন্তু এটা তো পাবলিক প্লেস। আগে পরীক্ষা শেষ করি তারপর খুজ নিবো কি কারনে এমন ক্লাইমেক্স ঘটলো ওদের মাঝে।
.
তারতারি পরীক্ষা শেষ করে কম্পিউটার ভবনের সামনে দাড়িয়ে আছি। যদি নিহা পরীক্ষা দেয় তাহলে সে শিউর আসবে। আমি বার হইছে হাতে আরো ৪৫ মিনিট রেখে। প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করা পর দেখি নিহা ভবন থেকে বার হচ্ছে। তাই এবার বুকে সাহস নিয়ে ওর সামনে গেলাম।
-- এই যে নিহা শুনো...
-- তুমি?
-- আমি রাজ। যে তোমায় ঘুরতে গিয়ে প্রপোজ করছিলাম।
-- তো এখানে কেন?
-- এমনি তোমায় দেখতে মন চাচ্ছিল তাই চলে আসলাম।
-- এতো দিন মন চায় নি আর আজ হঠাৎ মন চাইলো যে, কি কারন?
-- এটাও তো কথা। তোমায় দেখলাম শাওনের সাথে কথা কাটাকাটি করতে আর এক পর্যায় চড়ও মারলে। কি বেপার?
-- ও একটা লুচ্চা আর লম্পট। গতকাল ওর সাথে আমার এক বেস্ট ফ্রেন্ডের ফেসবুকে চেট দেখলাম। ও আমার নামে খুব নোংরা নোংরা কথা বলছে। তাই আর ইচ্ছা মত দিছি ভার্সিটিতে এসে।
-- ও আচ্ছা তা পরীক্ষা কেমন হলো??
-- ভাল না। আসলে এইসব প্রেমের কারনে পড়ার দিকে মনই দিতে পারি নি।
-- আরে সমস্যা নেই। ফেল করাও একটা আর্ট যা সবাই পারে না ।
-- কি বললে?
-- না কিছু। আচ্ছা নিহা আমায় না হয় বয়ফ্রেন্ড বানাতে আপত্তি কিন্তু শুধু ভাল বন্ধু তো বানাতে পারো।
-- সেটা দেখি তবে আমায় একটু একা থাকতে হবে। শাওন কে তো আমি খুব ভালবাসতাম।
-- ওকে তবে কাল আমায় একটু সময় দিতে পারবে।
-- কিসের জন্য?
-- একটা পার্টি আছে।
-- ওকে
.
এরপর ওরে বিদায় দিয়ে আমি চলে আসি আর বাসায় এসেই তুহিনকে সব বলি। তুহিনও এখন প্রেম করে যার কারনে আমায় একটু সময় কম দেয়। আর ও সব শুনার পর বলল নিহার পিছনে লেগে থাকতাম আর ওরে হাসাতে চেষ্টা করতাম।
পরের ভার্সিটিতে এসে ঠিক আগের মত নিহার ভবনের সামনে দাড়িয়ে আছি। ওরে দেখবো বলে তবে ওর তো আসার নামই নেই। আর ১৫ মিনিট পরে পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। হঠাৎ দেখি মেডাম আসছে তবে কাছে আসতেই দেখি ওর চোখ গুলো ফোলা। তার মানে রাতে নিশ্চই কেদেঁছে।
-- এই যে নিহা..
-- আরে তুমি।
-- কেন আসতে পারি না বুঝি?
-- হুমম কিন্তু তোমারও তো পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে।
-- হুমম জানি। তবে একটা জিনিসের জন্য আসছিলাম।
-- কী?
-- নিহা তোমার ফোন নাম্বারটা কি দেওয়া যাবে? যদি বিশ্বাস করো তাহলেই দিয়ো।
-- আচ্ছা
.
এরপর ওর থেকে নাম্বারটা নিয়ে চলে আসলাম। তারপর খুশি খুশি মনে পরীক্ষা হলে গেলাম। যেতেই ঘন্টা পরে গেল আর প্রশ্নও দিতে লাগলো। আমি প্রশ্ন হাতে নিয়ে দেখি কমন তেমন একটা পরে নি। এখন বুঝলাম একেঁ বলে কপাল, বেশি খুশিতে থাকলেও পড়া হয় না, কষ্টে থাকলেও হয় না। আর পড়তে বসলে পড়ার চাপেই পড়া হয় না।
পরীক্ষা শেষ করে আবার নিহার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। কারন আজ তো আমি ওরে পার্টির দাওয়াত দিছি তবে কিসের পার্টি এটা তো নিজেই জানি না। যদি জানতে চায় কিসের পার্টি তাহলে কি বলবো? এটা ভাবলাম আর তখনই নিহা এসে হাজির...
-- এই যে তুমি কি পরীক্ষা দাও না। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় দেখি তুমি আবার বার হয়ে দেখি তুমি।
-- আরে তোমায় নিয়ে পার্টি দিবো তো তাই দাড়িয়ে আছে।
-- ও আচ্ছা তা কিসের পার্টি? মানে কি উদ্দেশ্যে?
-- আসলে আমার মামার বোনের মেয়ের ভাইয়ের কপালে একটা ইচ্ছা পূরন হইছে তাই।
-- সম্পর্ক টা আরেক বার বলো তো।
-- আরে বাদ দাও তো, চলো ফুসকা খাই।
.
এরপর ওরে নিয়ে ফুসকা খেলাম আর অনেক মজার মজার কথাও বললাম। ওরে একটু একটু হাসতে দেখে আমারও ভাল লাগছে। খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিহা কে আমি রিকশা করে দেই বাড়ি যাওয়ার জন্য।
.
রাতে ছাদে বসে বসে ভাবছি নিহাকে ফোন দিবো কি না? যদি ফোন দেই তাহলে কি বলবো? এতো কথা না ভেবে ফোনটা দিয়েই দিলাম।
-- হ্যালো কে বলছেন?
-- পরিচয় দেওয়াটা কি খুব জরুরী?
-- হয় পরিচয় দেন নয়ত আমি ফোন রাখছি।
-- আরে আমি রাজ। আজ তোমার থেকে নাম্বার নিলাম।
-- ও আচ্ছা বলো।
-- তোমার মেয়েরা না আজব যদি কোন মেয়ের বয়ফ্রেন্ড থাকে তাহলে তাকে ফোন দিলে হয় ওয়েটিং পাওয়া যায় নয়ত লাইন মারতে গেলে ধেতানি খেতে হয়। আর যদি মেয়ের কোন রিলেশন না থাকে তাহলে ফোন দিয়ে প্রথম লাইন মারতে গেলে রিনার খানের নাতির অভিনয় শুনিয়ে দেয়।
-- ও তা এমন কয়টা অভিজ্ঞতা আছে।
-- এই না না আমার এইসব নাই।
-- একেঁ বলে ছেলে জানি। কিছু বলার সময় বিশ্ব জয় করে ফেলবে আর নিজের বেলা না না আমি এইসব করি না।
-- ওই আমি সত্যি কোন মেয়ের চক্করে নাই।
-- তাহলে মেয়েদের বেপারে এতে জানে কেমন?
-- আন্দাজে বলে দিলাম আর কি?
-- হুহহ ওকে এবার বলো কেন ফোন দিলে?
-- না এমনি খুজঁ নিতে। কাল কি আমার দেখা করতে পারি।
-- পরীক্ষা চলতেছে এখন। মনোযোগ দিয়ে পরো, পরীক্ষার পর না হয় দেখা করা যাবে।
-- পাক্কা তো।
-- হুমম পাক্কা।
-- আচ্ছা তাহলে রাখি শুভ রাত্রি
-- এই যে নিহা শুনো...
-- বলো?
-- আচ্ছা আমরা রাত্রি বলার আগে শুভ বলি কেন? শুভ তো একটা মানুষের নাম। আমরা তো বলে পারি নিহা রাত্রি, রাজ রাত্রি।
-- এই যে মিস্টার শুভ বলা হয় যেন রাতটা যেন ভাল যায় আর এই শুভ কারো নাম উদ্দেশ্য করে বলা হয় না। আর তাছাড়া এই পেচেঁর কথা তুমি কই থেকে শিখলে।
-- আমার বোন দিয়া একবার আমায় এই প্রশ্নটা করছি।
-- ও আচ্ছা। যাও এবার ঘুমাও।
-- ওকে বায়।
.
এরপর এমন ভাবে দিন গুলো ভালই যাচ্ছিল আর নিহাও নরমাল হতে লাগলো। হয়ত শাওনকে কিছুটা হলেও ভুলতে পেরেছে। আমাদের পরীক্ষাও শেষ আর বন্ধুত্বও জমে উঠেছে আর ২য় বর্ষের মাঝা মাঝি চলে এসেছে।
.
দুইজনে ভার্সিটির মাঠে বসে আছি। হঠাৎ নিহা বলল....
-- আচ্ছা রাজ আমায় প্রপোজ করার পর আর কয়টা প্রপোজ করছো?
-- এই তো দশ বারটার কম তো হবে না।
-- কী?
-- আরে একটাও না। প্রথম তোমাকে দেখে ভাল লাগলো তাই তোর পিছেই আছি।
-- তার মানে যদি আমার থেকেও ভাল কাউকে পাওও তাহলে আমায় ছেড়ে চলে যাবে।
-- আরে বন্ধুকে কেউ ছাড়তে পারে।
-- ওকে কাল সকালেই তোমাকে মজা বুঝাবো।
-- মানে তোমারর বাড়ির ঠিকানা দাও তো।
-- কেন?
-- বলছি তাই।
এরপর বাড়ির নাম্বারটা সহ সম্পূর্ণ ঠিকানা দিয়ে দিলাম। তাই আজ সকালে এসেই এসেই আমায় গোসল করালো।
.
-- কি হলো? রিকশা থেকে নামবে না নাকি...
-- হুমম
-- দাও এবার ভাড়াটা দিয়ে দাও।
ভাড়াটাও দিলাম তবে ওর দিকে তাকিয়েই। আজ কি মতলবে এসেছে কে জানে?তারপর ভাড়া দিয়ে দুইজনে নদীর পাড় ধরে হাটতে লাগলাম। তখন নিহা বলল...
-- রাজ চলো নৌকায় চড়ি...
-- আমি সাতাঁর পারি না তাই নৌকায় উঠবো না।
-- ওকে বাদ দিলাম। তাহলে চলো বাদাম খাই।
-- সেটা খাওয়া যেতে পারে। তবে অর্ধেক টাকা তুমি দাও।
-- আমি কেন টাকা দিবো?
-- সবই অর্ধেক অর্ধেক হবে ওকে। আমিও তো স্টুডেন্ট আর তুমিও স্টুডেন্ট ওকে।
-- ও এই বেপার। যখন ১ম বর্ষে আমায় প্রপোজ করছিল তখন ভাবো নি কই থেকে খাওয়াবে।
-- আরে ওইটা তো....
-- ওইটা তো চাপা ছিল। হুহ...
-- আরে রেগে যাচ্ছো কেন??
-- কেন রাগছি এটা জানতে না চেয়ে পারলে রাগ কমাও?
-- কি করে?
-- একটা ছোট নৌকা ভাড়া করো। ওই ভাড়াটা না হয় আমিই দিবো।
-- ওকে।
তারপর আমি গিয়ে একটা নৌকা ভাড়া করলাম ১ ঘন্টার জন্য। আর নিহাকে নিয়ে গেলাম। যখন নৌকা ছাড়লো তখন ও কি পরিমানে যে পাগলামি শুরু করলো। আর মাঝি আস্তে নৌকা বাইছে।
.
-- রাজ একটু দাড়াও না।
-- না আমার ভয় করে। আমি পারবো না।
-- দাড়াবে নাকি ধাক্কা দিবো।
-- ওকে দাড়াচ্ছি। সকাল থেকে আমায় ব্লেক মেইল করে চলেছো।
তারপর দাড়ালাম তবে খুব ভয় লাগছে কারন নদী আমি এমনি খুব ভয় পাই। তখন নিহা বলল...
-- জানো রাজ শাওনের আসল রূপটা যখন জানতে পারি তখনই নিজে ঘৃনার চোখে দেখতে শুরু করি।কিন্তু তখনই তুমি বন্ধু হয়ে আসো আমার জীবনে আর আমার খুব খেয়াল রাখো। কখনো আমায় বুঝতে দাও নি যে আমি একা। এটা ঠিক যে ওই দিন তোমার প্রপোজ আমি ফিরিয়ে দিছিলাম কিন্তু আমি কি এখন থেকে তোমার জীবনের একা অংশ হতে পারি। কথা দিচ্ছি বাকি টা জীবন তোমার হাত ধরেই কাটাবো।
-- আচ্ছা এখন যদি আমি তোমার প্রপোজ ফিরিয়ে দেই তাহলে কি করবে তুমি?
-- ধাক্কা দিয়ে ফেলেই দিবো। হুহ
-- ওকে তাহলে আমি রাজি।
-- নদীর পাড়ে নামলে তখন তো আবার মত বদলাবে না তো।
-- যদি বদলাই তাহলে...
-- তাহলে খুন করেই ফেলবো।
-- তাহলে থাক মারামারির দরকার নেই। চলো পাড়ে ফিরি আর আমিও তো তোমায় ভালবাসি সেটা হয়ত এতদিনে তুমি বুঝেও গেছো।
.
এরপর নিহা এসে আমার পাশে দাড়ালো আর আমার হাতটা শক্ত করে ধরে আমার কাধেঁ মাথা রাখলো। একটু ভিন্ন রকম ভাবেই না হয় শুরু হোক আমাদের কাহিনী।
সমাপ্ত

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ