āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ŧ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

1766

-"এই নিন আপনার চা।"
.
নীরার কাছে চা চেয়েছি বলে আমার মনে পড়ছে না।ওর মতো মেয়েদের থেকে না চাইতেই চা পাওয়াটা ভাগ্যের।আর তাছাড়া অষ্টাদশী মেয়েরা সজ্ঞানে, স-ইচ্ছায় অর্ধপরিচিত কোনো যুবকের জন্য চা বানায় না।সে যদি হয় ছোট ভাইয়ের আনস্মার্ট কম্পিউটার টিউটর, তাহলেতো একদমই নয়।
আর যদি বানায়,তাহলে বুঝতে হবে যুবকের কর্ম অথবা কান্ডে মেয়ে ইম্প্রেস।পাতি বাংলায় যাকে বলে, পটে যাওয়া।
নীরার মতো মেধাবী এবং রূপবতী মেয়েদের ইম্প্রেস করা অতো সহজ নয়।এদের ইম্প্রেস করতে হলে সুদর্শন এবং পাবলিক ভার্সিটি'তে ভালো কোনো বিষয় নিয়ে পড়া লেখা করা যুবক হতে হয়।আমার মতো দুইবারে এইসএসসি ফেল করা আনস্মার্টা ছেলে ওদের ঘৃণার তালিকায়ও থাকার কথা না।
.
ট্রে থেকে চায়ের কাপটা হাতে নিলাম।এক মুহূর্তের জন্য চায়ে চুমুক দিবো কিনা ভাবছি।কারণ নীরা আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে।ব্যাপারটা আমি আড়চোখেই লক্ষ করেছি।সরাসরি তাকানোর সাহস হয়নি । আর তাছাড়া রূপবতীদের দিকে সরাসরি তাকাতে নেই।
এতে রূপবতীর রূপের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়।
-"কি হলো! চা খাচ্ছেন না যে?
ঠান্ডা হয়ে যাবেতো।"
প্রতিউত্তরে আমি কিছু বললাম না।চুপই রইলাম।
নীরা আবার বলল,
-"তাড়াতাড়ি খেয়ে নিন।ঠান্ডা হলে চা শরবতে পরিণত হবে।"
-"ঠান্ডা হলেই বা কি? তোমার রূপের আগুনে ঝাপ দিয়েছি বালিকা। চা! এখন শুধুই জল।"
কথা গুলো মনে মনেই বলেছি।মুখে বলতে পারলে ভালো লাগতো কিছুটা।কিন্তু সেটা সম্ভব নয়।এমনিতেই রূপবতীদের রূপের অহংকার থাকে বেশ।তার উপর প্রশংসা করাটা আগুনে কেরোসিন ডালার মতো।
-"কি ভাবছেন এতো কিছু? চা খেতে বসেছেন চা খান। অন্য বিষয়ে মনবিশ্লেন পরেও করতে পারবেন।"
কথাটা বলে নীরা হালকা করে হাসলো।রূপবতীদের এই হালকা হাসি এবং বিভ্রান্তের মধ্যে দারুণ যোগ সূত্র।এরা হালকা করে হাসলেই মনের মধ্যে বিভ্রান্ত এসে ঘর বাঁধে।খড় কুড়োর ঘর নয়,একদম দালান ঘর।
যেটা এই মুহূর্তে আমার সাথে হচ্ছে।
আচ্ছা সৃষ্টি কর্তা কী রূপবতীদের রূপ দানের পাশাপাশি অন্যের মনের অবস্থা বুঝারোও ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছে?
দিলেও দিতে পারেন।কিছু কিছু সৃষ্টিতে সৃষ্টি কর্তা খুব কমই অপূর্ণতা রেখেছেন।নীরা সম্ভবত ঐ সৃষ্টিভুক্ত।
আচ্ছা ও কি আমার ভাবনা গুলো বুঝতে পারছে?
কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে বুঝতে পারলে।
যতোসব উল্টাপাল্টা ভাবনা।
-"আজ অপুকে দেখছি না যে?" (আমি)
নীরার মুখটা হঠাৎ করেই কেমন যেনো হয়ে গেলো।চঞ্চল ভাবটা কেটে গেলো মুহূর্তেই।সে মাথাটা নিচু করে পাতলা স্বরে বলল,
-"অপু'তো বাসায় নেই।নানু বাড়িতে গেছে আজ সকালে।"
কথাটা শুনে আমি বেশ খানিকটা অবাক হলাম।ভাণ করার মতো অবাক নয়,সত্যি সত্যি অবাক।ভাণ করে অবাক মেয়েরাই  হতে পারে।তবে আধুনিক কালে একশ্রেণী মেয়েলি স্বভাবের যুবকের মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য বিদ্দমান।
-"নানু অসুস্থতো,তাই আম্মু নানুকে দেখতে গেছে।সাথে অপুকেও নিয়ে গেছে।"
কথা গুলো নিচের দিকে তাকিয়েই বলল ও।
এবার আমি পুরোপুরি অবাক হলাম।সাধারণত,অপু বাসায় না থাকলে আমাকে ফোন করে আসতে বারণ করা হয়।
আজতো আন্টিও নেই।
বালিকার সামনে অবাক হয়ে থাকাটা মোটেও ভালো কথা নয়।
আমি অবাকের ভাবটা কিছুটা কাটিয়ে হাসি মুখে বললাম,
-"ও আচ্ছা।"
ভাবটা এমন, যেনো আন্টি বাসায় থাকা না থাকাটা কিছুই না।অতি স্বাভাবিক ব্যাপার।
-(নীরা নিশ্চুপ)
-"আচ্ছা! এখন উঠতে হবে নীরা।একটা কাজের কথা মনে পড়ে গেলো হটাৎ করে।"
কথাটা শুনেই নিচের দিক থেকে চোখ উঠিয়ে ও আমার দিকে তাকালো।দৃষ্টিতে তার আহত ভাব।হয়তো আমার বাহানা বুঝতে পেরেছে।
আমার মনে পড়ল, আমি দারুণ অন্যার করে ফেলেছি।যেনো-তেনো অন্যায় নয়,ঘোর অন্যায়।
নীরার দিকে সরাসরি তাকিয়ে তার রূপের প্রতি অসম্মান দেখিয়েছি।
সাথে সাথেই দৃষ্টি সরিয়ে নিলাম নিচের দিকে।তারপর সোফা থেকে একটু উঠতেই হালকা গোঙানির স্বরে নীরা বলে উঠলো,
-"আপনার পাশে একটু বসতে পারি?"
বাক্যটা উচ্চারণে কোনো জড়তা ছিল না।সত্যি বলতে মেয়েরা জড়তা পছন্দ করে খুব।সহজ একটা কথাকে ঘুরিয়ে পেছিয়ে বলা এদের সৃষ্টিলগ্ন স্বভাব।নীরা সম্ভবত তার সৃষ্টিলগ্ন স্বভাব ভুলে গেছে।আমি সম্মান অসম্মানের কথা ভুলে আবার নীরার দিকে তাকালাম।
সে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। ল্যাকরিমাল গ্ল্যান্ড উত্তপ্ত হয়ে সৃষ্টি হওয়া নোনা জল হয়তো আমার থেকে লুকাতে চাইছে।কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ ফুঁপিয়ে উঠাটা প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে বারবার।
অনুমতির অপেক্ষা না করেই সে আমার পাশে বসে পড়লো।বেশ খানিকটা দূরত্ব রেখেই বসেছে।কিছুক্ষণ নীরব থেকে তারপর  অভিমানের স্বরে বলল,
-"চা'টা শেষ করেন,তারপর যেখানে ইচ্ছে সেখানে যান।"
আমি নীরার দিকে তাকিয়ে রইলাম বেশ কিছুক্ষণ,তারপর কাপটার দিকে।ধোয়া উঠছে এখনো চা থেকে।ভাবছি কাপটা হাতে নিবো কিনা...!
.
প্রত্যেকটা মেয়েই চায় প্রিয় মানুষটাকে পাশে বসিয়ে কিছু একটা খাওয়াতে।
সেটা অতি সামান্য চা কিংবা অন্য যাই হউক।এই খাওয়ানোর মধ্যে আনন্দ আছে।সুতীব্র আনন্দ,সুখের এক অনুভূতি।
নীরা এই আনন্দ এবং অনুভূতি থেকে কোনো ভাবেই বঞ্চিত হতে চায় না।
কোনো ভাবেই না...!
.
লেখকঃ Sohan Fahad

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ