----শিপুর নিশু----
Foysal Hasan
শিপু প্রতিদিনের মত আজো ফেসবুকে নোটিফিকেশন গুলো চেক করছে। তখন রাত প্রায় ১২টার মত। এই টাইমে ডুকার একটাই কারন যাতে কেউ বিরক্ত করতে না পারে। হঠাৎ নিশো মেহজাবিন নামের একটা আইডি থেকে মেসেজ আসে,,,
---হাই,কেমন আছেন?
---ভালো।
---আমি কেমন আছি জিজ্ঞাসা করলেন না যে?
---সরি,কেমন আছেন?
---ভালো। আমি নিশু,,
আমি শিপু।
---আপনি খুব ভালো গল্প লিখেন তাই ভাবলাম একটু কথা বলি।
---না,আমি তেমন ভালো লিখিনা।
---যাই হোক আমার কাছে ভালো লাগে। আপনি কোথায় থাকেন?
---চট্টগ্রাম। আপনি?
---চট্টগ্রামের কোন যায়গায়?
অবশেষে যা দেখা গেলো শিপু আর নিশুর ঠিকানা প্রায় একি যায়গায়।
নিশুও তার ঠিকানা বলে দিলো শিপুকে।
এভাবে প্রতিদিন চ্যাট হতো তাদের।
তারা এখন ভালো বন্ধু। পাঁচ মাস হলো তাদের ফ্রেন্ডশিপ।
এরি মাঝে ফেসবুকে ছবি দেওয়া নেওয়া হয় তাদের। ফোনে কথা হয় প্রতিনিয়ত।
---আচ্ছা শিপু তুমি কাউকে ভালোবাসো?
---না,ওরকম মেয়ে পাচ্ছিনা। তুমি?
---না আমি ভালোবাসিনা।
--- আচ্ছা নিশো আমরা কি দেখা করতে পারি?
---হ্যা,,,,আচ্ছা কাল,, তাহলে কাল দেখা কর।
---আচ্ছা ঠিক আছে।
নিশো খুব খুশি। আগামিকাল সে শিপুর সাথে দেখা করবে।
শিপুও খুব অস্থির। নিশু মেয়েটাকে ওর ভালো লাগে। কাল প্রোপজ করবে ওকে।
পরদিন নির্ধারিত স্থানে দুজনের দেখা।
অনেক্ষন একসাথে হাটা,খাওয়ার পর একটা বেঞ্চে বসে আছে দুজন।
---নিশু আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই!
---হ্যা বলো।
---নিশো তোমার সাথে কথা বললে আমার সময়টা ভালো যায়,তোমার সাথে থাকলে আমার মূহুর্তগুলো ভালো কাটে।
আমি তোমাকে ভালোবাসি নিশু!
---নিশু কাঁদছে, আরে গাধা এই কথাটা বলতে এত সময় নেওয়া লাগে?
আমিও তোমায় আরো আগেই ভালোবেসে ফেলছি। শুধু বন্ধুত্বের ভয়ে কিছুই বলিনি।
এভাবেই তাদের ভালোবাসার পবিত্র রিলেশনটা শুরু হয়। প্রতিদিন তাদের কথা হয়।একদিন শিপু একটা মজার কথা বললে নিশু হাসতে হাসতে ফোনটা কেটে দেয়। শিপু অনেক চেষ্টা করে আর কল দিতে পারেনি। পরদিন জানতে পারে নিশু হাসপাতালে। ছুটে যায় শিপু সেখানে।
এখন একটু সুস্ত আছে। ওর কি হয়েছে কিছুই বলেনি ডাক্তার শিপুকে।
শুধু বলেছে ও যেনো বেশি না হাসে আর উচ্চস্বরে কথা না বলে।
নিশুর বেডের কাছে বসে আছে শিপু।
---আর কখনো তুমি হাসবেনা আর আমিও হাসির কথা বলবোনা।
---না হেসে রোবট হয়ে থাকবো নাকি?
---হ্যা রোবট হয়েই তুমি আমার সাথে বেঁচে থাকবে।
---না শিপু,হাসিখুশি ভাবে দু'দিন বেঁচে থাকাই ভালো।
---দুদিন হাসিখুশি দিয়ে আমায় ছেডে চলে যাবে তাতো হবেনা।
তার চাইতে রোবট হয়েই আমার সাথে বাঁচবে।
:-আরে পাগল আমি কোথাও যাবোনা।
আর কাঁদা লাগবেনা।
এভাবে তাদের সম্পর্কটা চলতে লাগলো। কিছুদিন পর শিপুর মাষ্টার্স পরীক্ষা। সারাক্ষন পড়া নিয়ে ব্যাস্ত।
হঠাৎ নিশুর মোবাইল থেকে ফোন আসে-
---হ্যালো..
---শিপু আমি নিশোর আম্মু বলছি। তুমি কোথায় আছো?
---কি হইছে আন্টি? আপনি কাঁদছেন কেন?
---নিশু রাতে অসুস্থ হইছে। এখন হাসপাতালে আছি। ও তোমাকে খুব দেখতে চাচ্ছে। তুমি চলে আসো।
--- আমি এখনি আসছি আন্টি।
আজ নিশুকে কেমন মলিন দেখাচ্ছে।
চোখের নিচে কালি পরে আছে।
সেই মায়াবী হাসিটা হারিয়ে গেছে চোখের আডালে।
---নিশু কি হইচে তোমার?
---আমি একটা কথা বলবো। তুমি রাগবেনা বলো?
---আচ্ছা ঠিক আছে।
---শিপু আমার ফুসফুসে ক্যান্সার। আমি আর অল্প কিছু সময় তোমার সাথে আছি।
---তুমি কি পাগল হয়ে গেছো? কি বলছো এসব?
---যা সত্য তাই বললাম। তুমি ভেংগে পরোনা প্লিজ।
আমি চাই আমার চলে যাওয়ার সময় তুমি আমার পাশে থাকো শিপু।
---আমি তোমাকে ছাড়া কিভাবে থাকবো?
--সবাইকে যেতে হবে।আমি হয়ত একটু আগেই যাচ্ছি।
আমাকে ক্ষমা করে দিও শিপু।
-**-
অবশেষে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে পরাজিত হয় নিশু।
শিপুর হাতে হাত রেখেই সে চলে যায় না ফেরার দেশে।
একা করে দিয়ে যায় শিপুকে।মুছে দিয়ে যায় সব ভালোবাসা।
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ