গল্পঃ "থ্রি-কোয়ার্টার"
.
.
প্রতিদিনের মতো আজকেও হাতে এক কাপ কফি নিয়ে বারান্দায় দাড়িয়ে প্রকৃতি উপভোগ করছে তিতলি। সাথে আছে তার প্রিয় সাদা খরগোশ তিরু। তিরু অবশ্য খাঁচাবন্দী।
.
তিতলি লক্ষ করলো, তার খরগোশ খাঁচা থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য খুব চেঁচামেচি করছে। হটাৎ করে তিরু এমন করার কথা না। তিরুর এমন চেঁচামেচির কারণ খুঁজতে গিয়ে সে দোতলা থেকে নিচে তাকালো এবং দেখলো, একটা ছেলে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরে সবুজ ঘাসের উপর বসে বসে অন্য একটা খরগোশ নিয়ে খেলা করছে। ছেলেটা কি অদ্ভুতভাবে খরগোশটাকে চুমু খাচ্ছে, বুকে জড়িয়ে নিচ্ছে। ছেলেটার এই অদ্ভুত কান্ড দেখে তিতলি প্রায় কফি খাওয়া ভুলেই গেছে। তার নজর এখন সেই ছেলেটার প্রতি।
.
খেলা করতে করতে খরগোশ তার টি-শার্টে কামড় বসিয়ে দিল। ছেলেটা বারবার খরগোশের মুখ থেকে টি-শার্ট ছাড়তে চেষ্টা করছে আর ব্যর্থ হচ্ছে। তারপর পোষা প্রাণীটা ছেলেটার টি-শার্ট রেখে দিয়ে, থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্টে কামড় বসিয়ে দেয়। এখন প্যান্ট ছাড়তে ছেলেটার অবস্থা প্রায় নাজেহাল হয়ে যায়। এদিক ওদিক তাকায়, কেউ আসে কিনা। না কেউ নেই। ছেলেটা প্রায় ২ মিনিটের বেশি চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে যায়। এদিক ওদিক বারবার তাকনোর সময় হটাৎ দোতলায় দাড়িয়ে থাকা তিতলির দিকে তার নজর পড়লো। তিতলিকে দেখা মাত্র সে খুব বেশি লজ্জা পায়! আর লজ্জা পাবেই না কেন? একটা ছেলেকে যদি কোনো মেয়ে এই অবস্থায় দেখে তখন তার কি অবস্থা হবে তা নিশ্চই বুঝে গেছেন। তিতলিকে দেখে সে আরও বেশি তাড়াহুড়ো করে। কিন্তু বারবার সে ব্যর্থ হয়।
.
ছেলেটার অবস্থা খারাপ দেখে, তিতলি দোতলা থেকে নিচে নেমে সরাসরি থ্রি-কোয়ার্টার পরা ছেলেটার কাছে গেলো। গিয়ে খরগোশটাকে মিষ্টি করে একটা ডাক দিতে না দিতেই খরগোশটা ছেলেটাকে ছেড়ে দেয়।
.
_ বাবা, কি বিপদ থেকে যে আপনি উদ্ধার করলেন বলে বুৃঝাতে পারবো না! আর একটু দেরী হলে আমিতো একদম লজ্জায় শেষ হয়ে যেতাম। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আন্টি!
_আন্টি! আমাকে আপনার আন্টির মতো লাগে? এই জন্য তো খরগোশটা আপনাকে এমনভাবে ধরেছে! ধুর, কেন যে আসলাম আপনাকে বাঁচাতে !
_স্যরি, আসলে খরগোশের সাথে এতক্ষণ ছাড়াছাড়ির ঝামেলা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমার মাথাটা এলোমেলো হয়ে গেছে।
_ হয়েছে হয়েছে, আর ন্যাকামো করতে হবে না। এখানে খরগোশ নিয়ে আসছেন কেন, বাসা কোথায় আপনার?
_আমি আপনাদের বাসায় গতকাল উঠেছি।
_ও, নতুন ভারাটিয়া! নাম কি আপনার?
_ জ্বি, আমার নাম খরগোশ, আরে কি বলি এসব, আমার নাম অভি!
_হি হি হি! আপনার নামটা খরগোশ হলেই ভালো হতো! তবে আপনার 'অভি' নামটা কিন্তু চমৎকার!
_সবাই বলে, আপনিও বলবেন এটা আমি জানতাম। যাইহোক ধন্যবাদ! আপনার নাম কি?
_তিত্তিরি, স্যরি আমার নাম তিতলি।
_হা হা হা! নিজেও নিজের নাম বলতে গিয়ে ভুল করলেন! 'তিতলি' থেকে 'তিত্তিরি' নামটা কিন্তু বেশি চমৎকার ছিল। আমি আপনাকে 'তিত্তিরি' বলে ডাকবো।
_ঐ মিয়া, বলছি না আমার নাম তিতলি, আপনি 'তিত্তিরি' বলবেন কেন?
_সত্যিকার অর্থে আপনার নামাটা তিত্তিরি হলেই ভালো লাগতো। আপনি এতো রাগ করেন কেন? এটা কিন্তু ভালো না।
_আপনার ভালো লাগা অার খারাপ লাগা দিয়ে আমার কি হবে?
_তা ঠিক, বাট মানুষতো মানুষের জন্য, তাই না?
_আপনি কি মানুষ?
_কেন আমাকে কি মানুষ মনে হয় না!
_না, আপনি একটা খরগোশ! হি হি হি!
_যাক, বাঁচা গেলো! অন্ততপক্ষে খরগোশ বলেছেন!
_খরগোশ টা কি আপনার?
_না, আমার ছোটো বোন আরিশার। কিন্তু মাঝেমধ্যে আমি এটা নিয়ে অবসর সময় ব্যয় করি।
_এটার নাম কি? আমারও একটা খরগোশ আছে, যার নাম 'তিরু'। নামটা সুন্দর না?
_ হুম, আপনার নামের সাথে মিল আছে। তিতলি আর তিরু।
_আপনি জানেন, এই 'তিরু' নামের জন্য আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস পর্যন্ত দিয়েছি। প্রায় ৩০০শত নাম কমেন্ট করা হয়েছিল, তার মধ্যে এই নামটাই আমি সিলেক্ট করেছি। আপনারটার নাম কি, বলেন না কেন? নাকি নাম রাখেন নাই?
_হুম, নাম আছে। 'পাপ্পি' নামে ডাকি।
_ওহ, ভালো। যাইহোক আপনি কিন্তু অনেক বোকা!
_কিভাবে, জানতে পারি?
_অবশ্যই জানতে হবে, না হয় সারাজীবন বোকার কারাগারে থেকে যাবেন।
_তো বলেন, কিভাবে বোকা?
_আসলেই আপনি একটা বোকা! এতো তাড়াহুড়ো করেন কেন? নিজের মধ্যে কি কোনো কনফিডেন্স নেই?
_কিভাবে আমি বোকা বলেন, প্রমাণ দেখান?
_আমি মজা করেই বলছি,বাট আপনিতো সত্যি সত্যি বোকা। বোকা না হলে নিজেকে বোকা হিসেবে প্রমাণ করতে চাচ্ছেন কেন?
_হুম, আমি বোকাই, তাতে আপনার কি?
_কেন, মানুষতো মানুষের জন্য,তাই কি নয়?
_হুম, মানুষ মানুষের জন্য। কিন্তু আপনি তো মানুষ না!
_তাহলে আমি কি?
_আজ বলতে পারবো না,আরেকদিন বলবো।
_আজকেই বলতে হবে এবং এখনি বলতে হবে।
_ না বললে কি করবেন?
_ কি করবো, দেখতে চান?
_হুম, দেখতে চাই। দেখি আপনার কি ক্ষমতা আছে?
_ঐদিকে তাকান। দেখেন এটা আমাদের পোষা কুকুর, আপনার পেছনে কুকুর লেলিয়ে দিবো। তখন বুঝবেন ঠেলার নাম বাবাজী! তখন চিৎকার করলেও আর বাঁচাবো না। আর এই কুকুর আমার কথা ছাড়া শান্ত হয় না।
_ধুর, হয়েছে হয়েছে, পারলে কুকুর লেলিয়ে দেখান তো! আপনি আমাকে কি পেয়েছেন, আপনার কুকুরকে এক ধমকে ঠান্ডা করে দিবো।
_এইযে মিঃ থ্রি-কোয়ার্টার ম্যান, এতো লাফিয়ে লাভ নেই। আপনি জীবনে যত পাপ করেছেন তার মাশুল আজ দিতে হবে। কারণ আমার কুকুর পাপীদের ভীষণ লাইক করে। তবে এই লাইক আদর করার জন্য না, এটা কামড়ানোর জন্য। আর আমি সিউর আপনি আর থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরে এখান থেকে ফিরতে পারবেননা
_কেন, আমার প্যান্ট কি করবেন? প্যান্ট খুলে রাখবেন নাকি?
_আমি রাখবো না, আমার কুকুর রাখবে।
_ধুর, যতসব ফালতু কথা। পারলে বলেনতো দেখি আপনার কুকুরের কি ক্ষমতা আছে?
.
তিতলি কুকুরকে ডাক দিলো এবং সাথে সাথে লেজ নাড়াতে নাড়াতে কুকুর আসলো। এসেই অভির সামনে, পেছনে ঘুরলো। তার শরীরের গন্ধ শোঁকাতে শোঁকাতে ঘেউ ঘেউ করতে লাগলো। অভি প্রথমে কুকুরকে ধমক দিলো। কিন্তু তার ধমকে কুকুর আরো বেশি উত্তেজিত হয়ে যায়। তিতলি হাসে আর বলে, 'দেখেন এবার কেমন লাগে।'
_প্লীজ, কুকুরকে থামান! আমি কুকুর অনেক ভয় পাই।
_না, কখনও না। আপনি এতক্ষণ বাহাদুরি দেখালেন কেন? এখন আপনার ক্ষমতা দিয়ে কুকুর থেকে বাঁচেন।
.
এইদিকে কুকুর ঘেউ ঘেউ করেই চলছে। মনে হয় কামড় বসিয়ে দিবে। পায়ের কালো পশমগুলো সজারুর মতো শক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু মেয়েটা হেসেই যাচ্ছে। অভি ডান পা দিয়ে কুকুরকে এক লাথি মারলো। কিন্তু লাথি মারার সাথে সাথে কুকুর রেগে গিয়ে তার পায়ে কামড় বসিয়ে দেয়। পা থেকে রক্ত ঝরছে। লাল রক্ত.....
(ভাল লাগলে নিজের মতামত জানাবেন.. অাপনাদের মতামতের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পর্বটা লিখতে বসবো।
.
লেখকের অাইডি:বিনয়ী অাবির
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§§ā§Š āϏেāĻĒ্āĻেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
1514
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Šā§Ē AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ