āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧧⧍ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

1472 (5)

গল্প-"সেই রুপা"
(Polok Hossain)
.
Part-9
.
আপুনি সময় পেলে ফোন দেয়।আর মা মাঝেমাঝে ফোন দিয়ে কথা বলে। আজ বাবা ফোন করলেন।ফোন ধরা মাত্রই চোখের পানি বেরিয়ে আসছিল। বাবা অসুস্থ হলে আমিই ওষুধের কথা মনে করিয়ে দিতাম কিন্তু এখন কেউ হয়তো যত্ন করছে না।অযত্নে বাবার কি হাল হয়েছে কে জানে! আমি নেই, আপুনিও নেই বাড়িটা হয়তো খালি পরে আছে।আমি ফোন ধরে সালাম দিলাম আর কান্নার ভাংঙা কন্ঠে বললাম -
-কেমন আছো বাবা!ওষুধ খাও তো ঠিক মতো!
-আমি ভালো আছি রে মা..তুই কেমন আছিস? ওখানে সব ঠিক ঠাক আছে তো!
-তা আছে।তুমি মোটেও চিন্তা করবে না।আমি খুব ভালোআছি।দাদু কেমন আছে?
-ভালো। তোর কথাই বলে সারা দিন।তোর বিদায় দেখতে পারলো না।এই নিয়ে অনেক দু:খ করে।
বাবার সাথে কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল।বুক ফেটে কান্না আসছিল আর মনে হচ্ছিল এখনি ছুটে যাই সবার কাছে।কিন্তু আমার এখানেও থাকা এখন জরুরি কারন আমার নতুন জীবনটা যে এখনও অনেক দুর্বল অবস্থান। আমাকে গভীরতর করতে হবে নয়তো এই নতুনের মাঝে ফাটল দেখা দিবে।
কথা শেষ করে ফোন কেটে দিলাম।হাতে অনেক কাজ পরে আছে।শোভনের শার্টগুলো ইস্ত্রি করে নিতে হবে।রান্না,ঘর মোছা,কাপড় ধোয়া আরও অনেক কাজ।তবে কাজকে কখনও বিরক্তের সাথে দেখি নি।এই কাজগুলোতে এখন আমার দায়িত্ব জড়িত রয়েছে।কি যেন ভুলে যাচ্ছি মনে হচ্ছে।প্রায়ই এইরকম হয়ে থাকে এখন।
যা-ই হোক কাজ সেরে একা বসে আছি।শোভন তার কাজের জন্য বাহিরে।একা সময় কাটানো কষ্টকর। এখন তা আন্দাজ করতে পারি।কিন্তু একসময় একাকিত্বকে নিজের সঙ্গি করে নিয়েছিলাম।তখন অন্ধকারে পথ হারিয়ে ফেলেছিলাম আর এখন মনে হচ্ছে আলোর সন্ধান পেয়েছি।অপেক্ষা করছিলাম তার জন্য। কখন অফিস থেকে আসবে আর আমি দৌড়ে ছুটে যাবো দরজা খুলতে।মিষ্টি এক হাসির আগমন ঘটিয়ে নিজ হাতে বানানো খাবার খাওয়াবো।আজ সকালে অফিস যাওয়ার আগেই মন টা উদাসিতার রুপ নিয়েছিল।হাসিটা স্থগিত হয়ে আছে।শোভন ঘরে ফিরলেই যেন আত্মার শান্তি মেলে।
বারান্দা আর ছাদটাই এখানে ঘুরার জায়গা।আমি বারান্দায় চুল মেলে বসে আছি। ফোনটা হঠাৎ বেজে উঠলো। ফোন ধরলাম আর অপরপ্রান্তে শোভন।ফোন ধরেই বলতে লাগলো -
-খেয়েছো?
বললাম -
-হ্যাঁ।খেয়েছি। আপনি খেয়েছেন?
-হুম।একা একা কি করছিলে!
-বারান্দায় বসে রয়েছিলাম।
-ভয় পাও না তো..
আমি হাসি দিয়ে বললাম -
-হ্যাঁ পাই।একটু একটু।
দুজনে স্বাভাবিক কথা বলে কথার ইতি ঘটিয়ে ফোন কেটে দিলাম। আমার ফোন কাটতে ইচ্ছে হচ্ছিলো না।মনে হচ্ছিল সময়টা যদি এইভাবেই ফোনে কথা বলে কাটিয়ে নেওয়া যেতো...যদি কোনো এক উড়ন্ত পাখি এসে আমার মনের বার্তা তার নিকট পৌঁছে দিয়ে আসতো.... সবই কাল্পনিক চিন্তাভাবনা মনের মধ্যে পুষে আছি।
দেখতে দেখতেই বিকেল ঘনিয়ে এলো। বিকেল ও সন্ধের মাঝ পর্যায় এখন।কখন শোভন বাড়ি ফিরবে..আমি সেই অপেক্ষায় বসে আছি।খানিকটা সময় চলে গেল কিন্তু আসছে না।ভয় গভীরতর হচ্ছে।এতোক্ষন তো আর দেরী হবার কথা নয়।হাতে ফোন নিয়ে বসে আছি।ফোন দিবো নাকি আরেকটু অপেক্ষা করে দেখবো। সময় যাচ্ছে আর দিন সন্ধ্যার রুপ নিচ্ছে।আর আমি আছি শোভনের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়।
সময় প্রায় অনেকক্ষন কেটে গেল।হাতে ফোন টা নিয়ে ফোন দিচ্ছি।ফোন ধরছে না।কোনো বিপদে আছে না তো নাকি আমিই টেনশন করে যাচ্ছি।দরজা খুলে কি বাহিরে যেয়ে দেখে নিবো..অনেক ভাবনা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
দরজায় একবার কড়া নারানোর আওয়াজ হতেই চমকে গেলাম।শোভন এসেছে বোধ হয়।দৌড়ে ছুটে গিয়ে দরজা খুললাম।কিন্তু কেউ নেই।কে দরজা ধাক্কালো তবে।তাড়াহুড়ো করে দরজা বন্ধ করে আবার বসে রইলাম। ভয় আরো বেড়ে যাচ্ছে।
একটু পর কলিং বেলের আওয়াজ। এইবার দরজা খুলবো না।আমি ধীরে ধীরে দরজার সামনে যেতে লাগলাম আর হাতে লাঠি নিয়ে প্রস্তুত হয়ে নিলাম। অপরিচিত কেউ এলেই এইবার রক্ষা নেই।দরজা খুলেই হাতের লাঠিটা বের করবো আর দেখলাম শোভন দাঁড়িয়ে আছে।আমায় বলছে-
-কী ব্যাপার! দরজা খুলতে দেরী হলো!
আমি বললাম -
-আসতে দেরী হলো কেন!আগে আসলেন না কেন!ফোন দিয়েছি তাও ধরলেন না।দেরী হলে ফোন করে জানিয়ে দিতে পারতেন!
আজ যেন কথার বাধ ভেংয়ে ফেলেছি। আর সে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। আর বলল-
-ফোন বন্ধ ছিল।
তার কথা শেষ না হতেই আমি বলতে লাগলাম -
-আর কখনো ফোন বন্ধ রাখবেন না।
আমার হাতের লাঠিটা দেখে বলতে লাগলো -হাতে কিসের লাঠি!
-না কিছু না। এমনি...তবে কথা দিন আর কখনো যেন এমন না হয়।
স্বস্তির নিশ্বাস নিয়ে আমি ব্যস্ত হয়ে পরলাম টেবিলে খাবার সাজাতে। এক সাথে রাতের খাবার সেরে নেওয়ার এই সুন্দর মুহূর্ত টাই এখন আমি চাই।আমার জায়গা যখন তার মনে ঠাই হয়েছে তবে বাকিটাও পেতে দেরী নেই।এই আশা গেঁথে নিয়েছি মনে।মন বলছে সে একদিন বলবে - "ভালোবাসি তোমায়".।
চলবে..

গল্প- "সেই রুপা"
(Polok Hossain)
.
Part -10
.
আজ শোভনের অফিসিয়াল ছুটি।আজ সে সারাদিন বাসায় থাকবে।তাই ভাবলাম আজ টুকটাক কোনো কাজ করবো না।ভালো ভালো খাবার রান্না করবো আর বাকিটা সময় ওর সাথে গল্প করে কাটাবো।সকালে উঠেই আমি রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরলাম।রান্না করলাম ভুনাখিচুড়ি, বিরিয়ানি, কাবাব, চিকেন আর খাবারের কিছু ভিন্ন আইটেম। কাজ করতে করতে অনেকটা সময় পেরিয়া গেল।সময় কিভাবে যে চলে যায় তা কাজের মাঝে টের-ই পাওয়া যায় না।রান্নার প্রক্রিয়া শেষ হলো আমি শাওয়ার সেরে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
আজ সে সারাদিনই বাড়িতে থাকবে আর তাই ইচ্ছে করেই আজ নতুন একটা শাড়ি পরে নিলাম।পুরোনো কাপড়ে হয়তো আমায় ভালো দেখাবে না।আজ আমাকে তার সামনে সুন্দরভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে।শোভন এখনো ঘুমোচ্ছে।এতোদিনের ক্লান্তি ওকে ঘিরে ধরে ছিল তাই ও আজ ক্লান্তির নিশ্বাসে ঘুমোচ্ছে।ঘুমানোর এই দৃশ্যটা খুব মায়াময়।আমি দাঁড়িয়ে ওর দিকেই কিছুক্ষণ মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম। কেন এতো টা ভালো লাগছে আমার।দিন দিন কেন এতো উতলা হয়ে যাচ্ছি।নতুন পথে চলার মজাটা হয়তো এইখানেই।নতুন অনুভূতি, নতুন সুর,নতুন প্রেরনা,নতুন করে প্রেমে পরা সব মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে।আমার চোখ থেকে সেই মায়ার কিছু অংশ গলিত হয়ে আমার গালে নদী ভাসাচ্ছে।আমার মন এখন অনেক কিছুই জানে।কিন্তু আমি যে অবুঝ পুতুল যে কি না কিছুই বুঝতে চাইছি না।
.
আলমারি থেকে আপুনির দেওয়া এক জোড়া নুপুর পরে নিলাম। আপুনি এই নিজের জন্য শখ করে বানিয়েছিল কিন্তু সে একবারও এই নুপুর নিজের পায়ে পরে দেখেনি। বরং আমি যাওয়ার আগে স্মৃতি হিসেবে আমায় দিল।তখন আপুনি কে অভিমান করে বলেছিলাম -" শখের জিনিস কেন আমায় দিয়ে দিচ্ছো!" তখন আপুনি বলেছিল - "বেশী কথা বলিস না তো রুপা..শখের জিনিস তোকে দিয়েছি এখন বুঝেছিস তোকে দেওয়া আমার এই স্মৃতি কতোটা দামী.. "
.
নুপুর পরলাম, নাকে নতুন একটি নাকফুল পরলাম,দুই হাতে দুটো চুরি পরলাম।আয়নায় আবার তাকিয়ে দেখলাম সব ঠিকাছে তো..নাকি কিছু একটা ভুলে গিয়েছি..। ভেজাচুল গুলো আচরিয়ে নিলাম। এখন শুধু শোভন ঘুম থেকে জেগে ওঠার অপেক্ষায়।
.
বাহিরে মেঘ ডাকছিল।চারদিক কালোরঙের মেঘ।বাহ্ কি চমৎকার বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে ইচ্ছে হয়।আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টির দৃশ্য দেখতে লাগলাম। শোভন ততোক্ষণে ঘুম থেকে উঠে গিয়েছে।আমাকে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলতে লাগলো-
-তুমি বৃষ্টি পছন্দ করো..!
তাকে হঠাৎ এইদিকে দেখে আমি অপ্রস্তুতভাবে বললাম -
-জী।আসলে বৃষ্টি আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
-উঠতে দেরী হলো।আগে কেন ডাকলে না!
-আজ তো আপনার ছুটি।ছুটির দিনে তো আর কোনো তাড়া নেই।তাই ডাকিনি।
-রান্নার ঘ্রাণে চারদিক মম করছে।কিছু রেঁধেছিলে কি?
-জী।আপনার জন্যই রান্না করেছি।জানি না কেমন হয়েছে!
-ঠিকাছে। আমি চেখেই তোমার রান্নায় নাম্বার দিবো।
-আমি জানি হয়তো ভালো হয় নি রান্না।
-নিজের রান্নার স্বাদ নিজে কখনো বোঝা যায় না।তুমি বুঝলে কি করে!ওইটা কেবল আমার-ই বোঝার ক্ষমতা রয়েছে।
ওর কথা শুনে একটু হাসলাম।এতোটা দুষ্ট করে সে কথা বলতে পারে তা আজ-ই জানলাম।

কিছুক্ষণ বারান্দায় সে আমার সাথেই দাঁড়িয়ে রইলো বুঝলাম সে আমার মতোই বৃষ্টি উপভোগ করছে।
সে আমার দিকে তাকিয়ে  বলতে লাগলো-
-তোমাকে আজ খুব সুন্দর  লাগছে।শড়িটা তোমাকে খুব মানিয়েছে।
তার এই কথায় আমার হ্দস্পন্দন বাড়িয়ে দিলো।তার কথা আমি কেন এতোটা গলে যাচ্ছি।আর মনে হচ্ছে  ভালোলাগার সব গুন বিধাতা আমায় দিচ্ছে।

আমি তাকে বললাম -
-চলুন আপনাকে টেবিলে খাবার দিয়ে আসি।

সে ফ্রেশ হয়ে নিলো।আমি প্রস্তুত হয়ে টেবিলে খবার সাজিয়ে প্লেটে তুলে দিলাম। এমন একটি সময় আজ কাটানোর সুযোগ হয়েছে।দুইজনে মিলে লাঞ্চ সেরে নিলাম। সে আমায় বলতে লাগলো-
সে বলতে লাগলো-
-জানো রুপা..মা কে খুব মনে পরে।মায়ের রান্না অনেকদিন হয় খাই না।মায়ের রান্নার স্বাদ কেবল সন্তানই বুঝে।
আমি তাকে আগ্রহ নিয়ে বললাম -
-চলুন। কিছুদিনের জন্য বাড়িতে ঘুরে আসি।সবার ভালো লাগবে।
-কিন্তু লম্বা ছুটি না পাওয়া পর্যন্ত আমাকে কাজের মাঝেই থাকতে হবে।
-কাজের মাঝে রিফ্রেশেরও প্রয়োজন আছে।
-চলো..আজ বাহিরে ঘুরে আসি..যাবে তুমি আমার সাথে?
আমি আনন্দে বলতে লাগলাম -
-হুম।আমি যাবো।

বৃষ্টির শেষে আদ্র বিকেলে আমরা বাহিরে ঘুরতে গেলাম।গেলাম পার্কে,রেস্টুরেন্ট,কফিহাউজ,শপিংমলে। তবে দুজনে অতিথির মতো। মাঝে একটি ছোট দূরত্ব আছে।তবে এই দূরত্ব বেশী দিনের না।তা আমি জানি।আমাদের যেই সীমান্তে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকতে হয় তা এক দিন মিলিয়ে যাবে।এইটা আমার আশা নয়,মনের কোনে পুষে রাখা কিছু বিশ্বাস যা আমাদের কে প্রতিদিনই একটু একটু করে কাছে টেনে নিচ্ছে।
চলবে...

গল্প-"সেই রুপা"
(Polok Hossain)
.
Last Part/Part -11
.
আগে একা একা ঘরে থাকতে পারতাম না।শত শত ভয় চেপে ধরতো।কিন্তু এখন আর চার দেওয়ালের মাঝে থাকতে ভয় হয় না।শোভন কাজে গেলে একা একা কাটাতে হচ্ছে এখন।কিন্তু সারাদিনের পর অপেক্ষা করতে হয় শুধু একটি মুহূর্তের জন্য।কখন আসবে আর কখন দুজন মিলে ডিনার সেরে নিবো আর সারাদিনের কাটানো মুহূর্তের গল্প জুরে দিবো।একটুআধটু কথা বলা শুরু এখন।নতুনভাবে উপস্থাপন করছি নিজেকে।এতোদিন ভেবেছিলাম যে আমি বদলে গেছি কিন্তু এখন সব আগের মতোই মনে হয়।সন্ধ্যায় যখন বাড়ি ফিরবে সেই সময়টার জন্য ভেবে রেখেছি সারপ্রাইজ দিবো।সেজেগুজে বসে থাকবো, কপালে টিপ,বাসন্তী রংয়ের শাড়ি,চোখের কাজলে নিজেকে সজ্জিত করে রাখবো। আর মোমবাতির আলোয় চারদিক আলোকিত করে রাখবো আর বলবো "ভালোবাসি তোমায়"।
সারাদিন অপেক্ষা করতে লাগলাম সুন্দর সেই সন্ধ্যার জন্য যে কখন দিন ফুরিয়ে সে বাড়ি ফিরে আসবে।বাহির থেকে মেঘেরডাক শোনা যাচ্ছে।বৃষ্টির আগমন হবে বোধ হয়।কিছুক্ষণ পর শুরু হলো মুষলধারায় বৃষ্টি। নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলাম না।।ভিজতে ইচ্ছে করছিল খুব।ছাদে ছুটে গেলাম।ছাদে গিয়ে চোখ বুঝে বৃষ্টির সোভা উপভোগ করতে লাগলাম।আজ বৃষ্টি টা অনেক ভালো লাগছে, এতো টা ভালো হয়তো এর আগেও কখনও লাগে নি।দুই পায়ে নুপুরের আওয়াজে তাল মিলিয়ে নাচতে ইচ্ছে করছে।বৃষ্টির পানিটা ঘন্টা খানেকের মতো উপভোগ করে যাচ্ছিলাম।
.
কিন্তু এই বৃষ্টি ভেজাটা আমার জন্য সত্যিই অশুভ ছিল।অসুস্থতা অনুভব করার পরই বুঝতে পারলাম। শরীর প্রচণ্ড রকমে গরম হয়ে আসছে।চোখ মেলে তাকাতেও কষ্ট হচ্ছে।শীতে শরীর কাটা বিধে যাচ্ছে।এই জ্বর এসে আমায় থামিয়ে দিলো বুঝি।কতো কিছু ভেবে রেখেছিলাম আজ সন্ধের জন্য।কিন্তু সেই সময়টা উপভোগ করার মতো কপাল আমার আজ হয়ে উঠবে না।আমি কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে রইলাম। আর দাঁড়িয়ে উঠার সাহস হয়ে উঠলো না।হাত পায়ে কাঁপুনি উঠছে।
আমি বিছানায় পরে রইলাম।কেন এতো ভিজতে গেলাম।রাগ হচ্ছিল নিজের প্রতি।সন্ধ্যে গড়িয়ে আসতেই শোভন বাড়ি ফিরে এলো।অন্যদিনের মতো আজ আর টেবিলে খাবার গুলো সাজিয়ে রাখতে পারলাম না।খাবার প্লেটে তুলে দেওয়ার পর তার মুখে যেই মিষ্টি হাসির অাবির্ভাব হয় তা আর আজ আমার দেখা হয়ে উঠলো না।আমি বেহুঁশের মতো শুয়ে আছি বিছানায়।তবে একটু একটু করে চোখ মেলতেই টের পাচ্ছিলাম, কপালে পানির পট্টি পরিয়ে রাখা,থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপা সবই টের পাচ্ছি।এরপর কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম বুঝলামই না।
সকালে দেরি করে ঘুম থেকে উঠলাম।জ্বরের মাত্রা অনেক কম।এখন আর দুর্বল লাগছে না।শোভন অফিসে যাবে, ওকে তো আর আজ খাবার বানিয়ে দেওয়া হলো না।ভেবে ধপ করে খাট থেকে নেমে গেলাম।তাকিয়ে দেখি শোভন নিচে বসে খাটের উপর হাত বিছিয়ে মাথা রেখে ঘুমোচ্ছে । আর পাশে পানি ভর্তি বালতি।টেবিলে থার্মোমিটর আর ওষুধ।বুঝতে পারলাম, আজ ও অফিসে যায় নি,রাত ভর আমার সেবা করেছে।আমার কষ্ট হচ্ছিল।কারন এর জন্য আমি দায়ী। স্বচ্ছ আয়নার মতো ওর ভালোবাসা দেখতে পাচ্ছি আমি।ঘুমিয়ে থাকা সরল মুখটির দিকে তাকিয়ে রইলাম কিচ্ছুক্ষণ।এমন সময় শোভনেরও ঘুম ভাংলো আর আমি সব বাধা দূরত্ব ভুলে জড়িয়ে ধরলাম।
শোভন অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।যেন একটু অবাক হচ্ছিল দেখে। আমায় বলল-
-এখন কেমন লাগছে! জ্বর নেই তো!
আমি বলতে লাগলাম -
-হুম আছে। মন জ্বর।ভালোবেসে ফেলেছি তোমায়।তোমার মনে জায়গা হবে আমার!
শোভন আমার দিকে তাকিয়ে রইলো আর বলতে লাগলো -
-পাগলি আমার। তোমাকেই তো ভালোবাসি এখন। শুধু তোমার এই শব্দটুকু শোনার অপেক্ষায় ছিলাম।
আমি অভিমান করে বলতে লাগলাম -
-একবার না হয় তুমি বলেই দেখতে..
সে দুষ্টু হাসি দিয়ে বললো-
-ভয় হতো। যদি তুমি দূরে সরে যেতে...তবে এখন ভালো লাগছে তুমি আমায় "আপনি থেকে তুমি" করে বলছো।
এই মিষ্টি কথোপকথনে দুজনেই ভালো লাগার নতুন ভুমিকা রচনা করলাম।
জীবনের এক নতুন অধ্যায়ে পা ফেললাম। সময় সবার অপেক্ষায় বসে থাকে বুঝলাম ।পুরোনো সব ভুলে নতুন দিনের এই জীবনটুকু আজ পেয়েছি।ভাবতেই যেন অবাক হই যে আমিই সেই রুপা। যে রুপার জীবনে ছিল আলোর হাহাকার।এখন পুরোনো দিন মিলিয়ে গেছে।আর আমি পেয়েছি এক নতুন দিনের এবং নতুন সময়ের উপহার আর নতুন এক ভালোবাসার সন্ধান। আজ বলবো - " হ্যাঁ। আমিই সেই রুপা"
(The End) 💜

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ