āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧧⧍ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

1472 (3)

গল্প- "সেই রুপা"
(Polok Hossain)
.
part-5
.
রাত বেশী হয় নি।১০:৩০ টার কাছাকাছি।খাওয়াদাওয়া শেষ সবার।আমি একা রুমে বসে কালকের জন্য সব গুছিয়ে নিচ্ছি।প্রথমে কাপড়গুলো এরপর টুকটাক জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে হচ্ছে।এমন সময়টাতে খুব কান্না পাচ্ছে।যেই বাবা মা কোলে পিঠে মানুষ করেছে তাদেরকে ছেড়ে এখন অন্য কোথাও যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে।কষ্ট হচ্ছে চলে যাওয়া প্রতিটা মুহূর্তের জন্য।আমার রুমটা কাল থেকে খালি পরে রবে।কেউ আর আদরে আদরে মা বাবার মতো করে ডাকবে না সেখানে ।চাপা কান্নায় বুক ভাসাচ্ছি আর কতো কিছু চোখের সামনে ছবি হয়ে ভাসছে।
হঠাৎ বাহির থেকে চেঁচামেচি শোনা যাচ্ছে।কি হল এখন আবার! কৌতূহল মন নিয়ে রুম থেকে বের হলাম।আপুনিকে বলতে লাগলাম-
-কি হয়েছে আপুনি?
-দাদু..
-কি হয়েছে দাদুর!
আপুনি কাঁদোকাঁদো হয়ে জবাব দিলো-
-দাদুর প্রেসার বেড়ে গেছে।
-কি বলছো!কোথায় দাদু!
-রুমে শুয়ে আছে।বাবা,আম্মা সবাই ওখানে।এম্বুলেন্স ডাকা হয়েছে।
-দাদুর সাথে কে যাবে হসপিটালে!
-মা,বাবা আর আমি।
আমি জেদ করে বলতে লাগলাম -
-আমিও যাব।
-তা কি করে হয়!তোর বিয়ে কাল।তোকে থাকতেই হবে।আমি চলে আসবো যত তাড়াতাড়ি পারি।
আপুনির কথাটা ঠেলে দিয়ে বলতে লাগলাম -
-বিয়ে পিছিয়ে দিলেই তো হয়।
-না।বাবা এতে সম্মতি দেয় নি।আমি যাবো হসপিটালে, তুই থাক।
দাদুকে দেখতে গেলাম।এম্বুলেন্
স এসে গেছে
।মনও ভেংগে পরলো।শুধু আমার একারই নয় বরং সবার।দাদু আমার বিদায় দেখে যেতে পারলো না। কষ্টটা কে চাপা দিয়ে রেখেছি। সবারই কম বেশী টেনশন আর মন খারাপ। কাল বিয়ে আর আজ দাদুর এই অবস্থা।চাচা, ফুফু-রা সবাই চিন্তিত।বাসায় মানুষ জড়ো হয়ে পরেছে।ফুফু এসে বলতে লাগলো -
-তুই শুয়ে পর।কাল তোকে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে।
বললাম -
-ঘুম আসবে না
-ঘুম না আসলেও তোকে ঘুমাতে হবে নয়তো কাল তোর জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে।
-কোনো কষ্টই হবে।খামোখা ভাবছো।
-তোর মা এলে বকবে।
-বকলে বকুক।কাল তো চলেই যাব।আজ না হয় সজাগ থাকি।সবার সাথেই থাকি।
মোবাইল টা হঠাৎ বেজে উঠলো।বাবা ফোন দিয়েছে। ছোট চাচা ফোন উঠালো।বাবা বলেছে এখন অবস্থা একটু ভালো আগের থেকে।
আমি দাদুর রুম টা গুছিয়ে রাখলাম। রাত ১২:৩০ টায় আপুনি আর মা বাসায় এসে পরলো।ফুফু আর চাচারা হসপিটালে।

সূর্য টা তাড়াতাড়ি উঠে গেল মনে হচ্ছে।ঘুমের ঘোর কাটিয়ে উঠে গেলাম।দাদুর শরীর আরেকটু ভালো অবস্থায়।তবুও মন নিরাশ সবার।এখন সবার সব কাজ হচ্ছে সাধারণভাবে।কেউ কেউ বিয়ে বাড়িতে এসে কিছুক্ষণ পর আবার চলে যাচ্ছে হসপিটালে দাদুকে দেখতে।দাদু আজ আমার কাছে নেই।আমাকে বধূ বেশে সেজে থাকতে দেখলে হয়তো খুশি হয়ে চোখের পানি ঝরিয়ে দিতো।আর আমায় বলতো "লক্ষীটা আমার কত বড় হয়ে গেছে"।
বিয়ের গাড়ি চলে এসেছে আর গাড়ি চলে আসা মানেই বরের বাড়ির মানুষের আগমন।বিয়েবাড়ির পরিস্থিতি নরমাল দেখে তাদের মন ভার হল না বলে ভালো লাগলো।অন্য কেউ হলে হয়তো এতক্ষনে খুট ধরা শুরু করে দিতো।তারাও শুনেছে দাদুর অসুস্থতার কথা। তাই হয়তো বুঝেছে আমাদের পরিস্থিতি টা।মা আর আপুনি কি ব্যাপার নিয়ে যেন ফিসফিস করে কথা বলছে।আমি বধূ সেজে স্টেজ এ বসা তাই ভালো মন্দ কিছুই জানতে পারলাম না।আপুনির ননদ তরিও তাদের পাশে দাঁড়িয়ে কথা শুনছিল। আমি ইশারা করলাম তরি কে।তরি আমার পাশে এসে বলল-
-আপু ডেকেছ! লাগবে কিছু।
-না।পাশে বসো।কথা বলবো।
-ভাবি আমায় ডেকেছিল। পরে কথা বলি!
-আপুনি ডেকেছে তোমায়?
-হুম।একটু পর আসছি।
তরিকে হয়তো বলতে নিষেধ করে দিয়েছে।তাই আমায় এড়িয়ে যাচ্ছে মেয়েটা।এদিক ওদিক তাকাচ্ছি ঘটনা বোঝার জন্য। দেখলাম সবই ঠিকভাবে চলছে।কিন্তু বেঠিক হলো কোন দিকে তা-ই বোঝা মুশকিল।কিছু না বুঝে আগের মতই বসে রইলাম।একটু পর বোঝা গেছে পুরো ব্যাপার। খাবার টান পরেছে।কি লজ্জার কথা হায়।এমন তো হওয়ার কথা ছিল না।আত্মসম্মানের ব্যাপার।
তবে বরের পক্ষ টের পায় নি তো!এখন কি আয়োজন আবার পরিপূর্ণ হচ্ছে!বাড়ির বেশীর ভাগ মানুষ দাদু কে নিয়ে হসপিটালে। আর বাকিরা বিয়ে বাড়ি সামলাচ্ছে। দুই দিকই ঠিক রাখতে হচ্ছে।এর জন্য আমিই দায়ী মনে হচ্ছে।আজ যদি বিয়ের দিন না হতো তবে দাদুর কাছেই থাকতাম।দাদুর দোয়া নেওয়া হয় নি ভেবে মন খারাপ লাগছিল।
বিয়ের আসর প্রায় শেষ পর্যায়। রেয়াত আমায় দেখে একটু পর পর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। ওর কান্না দেখে আমারও কষ্ট হচ্ছে।কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না।ডেকে বললাম -
-বোকার মত কাঁদছিস কেন রেয়াত!
-না গেলে কি হয় না!..খালামনি.যেতেই কি হবে!
বললাম-
-হ্যাঁ।এইটা নিয়ম রে।যদি এমন নিয়ম না হতো তাহলে তোকে ছেড়ে যেতাম না।
মমতাময়ী দুই চোখে কষ্ট গুলো পানি হয়ে ভেসে আসছিল ওর।আপুনি ওকে কোলে তুলে নিল।মায়ের কোলে উঠে ফুফুর চলে যাওয়া দৃশ্য দেখেই রেয়াত এর মন আরও গলে যাচ্ছে কাঁদছে আর চোখ মুছছে।আপুনি কে বলে গেলাম ওকে যেন সময়মত পড়তে বসায়।পড়ার কথা বললেই পা ব্যথা, মাথা ব্যথার কথা বলে ফাঁকি দেয়।যখনি পড়াতে বসাতাম তখনি এইরকম অভিনয় চলতো ওর।তখন আমার বোঝা বাকি থাকতো না আর।।
বিয়ের দেনা-পাওনা শেষ।
অবশেষে কোনোরকম সাদামাটা ভাবে বিয়ে সম্পন্ন হল।বিদায় দিয়ে,আপন সবার সঙ্গ ছিন্ন করে রুপা যাচ্ছে সেই অজানা জায়গায় অচেনা সেই মানুষ এর সাথে।
চলবে...

গল্প- "সেই রুপা"
(Polok Hossain)
.
Part-6
.
নতুন জায়গায় এসেছি।সব কিছুই নতুন।নতুন ভাবলে সবকিছু কে ভয় লাগবে।তাই আর নতুনত্বভাবে না-ই বা চিন্তা করলাম।কাল অর্ঘুমা আর আজ সারাদিনের ক্লান্তি আমায় জরিয়ে ধরেছে।বরের নাম শোভন। বিয়ের কার্ডে দেখেছি।অবধি কথা বলিনি।আমি ফ্রেশ হয়ে বসলাম। আমায় এসে সে বলতে লাগলো -
-চল.. এখন খাবে।
-খাব না।
-শরীর খারাপ!!
-না। ঠিক আছি।
পাশে বসে আবারও বলতে লাগলো -
-তোমার নাম সুন্দর। রুপা।কিন্তু এই রুপা নামের সাথে আমার দীর্ঘ দিনের পরিচয় ছিল।
অবাক হলাম কিছুটা।কি বলতে চাইছে পরিষ্কার ভাবে জানার আগ্রহে বললাম -
-কীভাবে?
-রুপালী নামের একটি মেয়ে কে ভালোবাসাতাম।আমি ওকে রুপা বলেই ডাকতাম। তাই রুপা নামটা আমার কাছে বেশ পরিচিত।
-তাহলে ওকে কেন বিয়ে করলেন না!আমায় কেন করলেন?
দীর্ঘ নিশ্বাস নিয়ে উত্তর দিলো-
-ওর  অন্য কোথায় বিয়ে হয়ে গেছে।আমার হাতে তখন চাকরি ছিল না।তাই ওর সাথে আমার বিয়েটা আর হলো না।শুনেছি এখন রুপালি দেশের বাহিরে।স্বামী নিয়ে সুখে আছে, ভালো আছে।"

আমি আর কিছু বললাম না।আমার মনে যেমন কাটা বিধে ছিল। তেমনি তারও মনে কাটা বিধে আছে যেই কাটার ঘা শুকোচ্ছে।একটু পর আবারও আমায় প্রশ্ন করলো-
-এখন তোমার কথা শুনি।তোমার মনে তেমন কিছু থাকলে খোলাসা বলতে পারো।আমার ধারনা, সবার জীবনেই ব্যাকগ্রাউন্ড থাকে।
আমি তার দিকে এক পলক তাকিয়ে বললাম -
-যদি সে আজ বেঁচে থাকতো!!! তবে হয়তো আপনার সাথে আমার আজ দেখা হতো না।
আমাকে স্বাভাবিক ভাবেই জিজ্ঞেস করলো-
-কে সে!
-ওর নাম আনান হাসান।ভালোবাসতাম ওকে।ওর এক্সিডেন্ট হয়েছিল।আর সেই এক্সিডেন্ট আমাদের বিচ্ছিন্ন করে দিলো।শেষবার দেখেছি কাফনের কাপড়ে জরানো সেই মুখ।" - বলতে বলতেই নিজের অজান্তে কান্না এসে গেল।
আমার দু:খ টা যে তার থেকেও গভীরতর ছিল বোঝা মাত্রই সে  বলল-
-তুমি, আমি একই পথের পথিক।কিন্তু তফাৎ একটু।আনান বেঁচে নেই।আর রুপালী বেঁচে আছে।থাক আজ ওসব কথা। মা ডাকছে। চল খেয়ে আসি।
আমি "খাব না"বলে নব বধুর মত বসেই রইলাম।আর সে চলে গেল।
ঘুমের কাতর হয়ে আছে চোখ।দুই চোখের পাতা কখন যে এক হয়ে গেল বুঝলামই না।রাত কেটে ভোর
আর ভোর কেটে সকাল।চোখ মেলতেই গায়ের উপর জরানো কাথাটা চোখে পরলো।কাথা টা তো আমি নেই নি।কোথা থেকে এলো।আর শোভন কোথায়! কাল তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরাটা কি ঠিক হল!ধরমর করে উঠে দাঁড়ালাম। ফ্রেশ হতে হবে।শোভন এসে বলতে লাগলো -
-রাতে তুমি শীতে কাঁপছিললে তাই কাথা জরিয়ে দিয়েছি।
মুখে লজ্জার হাসি দিয়ে বলতে লাগলাম -
-কখন যে ঘুমিয়ে গেছি কে জানে।উঠতে দেরী হয় নি তো!খুব বেশী দেরি করে ফেললাম মনে হচ্ছে।
-তা নয়।কফি বানিয়েছি দুই কাপ।টেবিলে রাখা।খেয়ে নিয়ো।
-একি! আপনি কেন ওসব করতে গেলেন! আমায় ডাকলেই হতো।
-বিয়ের আগে নিজেই একা একা বানিয়ে খেয়েছি। আর আজ তোমাকে কেন বিরক্ত করতে যাবো।
আমি বলতে লাগলাম -
-এখন থেকে এই দায়িত্ব আমার। আপনার যা দরকার হবে আমাকে বলবেন।
তার মুখে হাসির একটি ছোট রেখা পরলো আর বলল -ঠিকাছে। তা-ই হবে।
আজ ঠিক করলাম নীল শাড়িটা পরবো।হাতে দুটো চুরি আছে আর নাকে একটি ছোট নাক ফুল।লম্বা চুল গুলো ভিজে আছে।মাথায় আচল দিয়ে ঘোমটা জরিয়ে রাখলাম।বাড়ির সবার সাথে পরিচিত হতে লাগলাম।ছোট ননদেরা পাশে পাশেই থাকে।আর এইটা ওইটা জিজ্ঞাস করে।ওদের সাথে বন্ধুত্বটাও আমার ভালো লাগছে।বাসা থেকে আপুনি ফোন দিলো।ফোন ধরে বলতে লাগলাম -
-দাদু কেমন আছে! বাসায় এসেছে!এখন অবস্থা কেমন!
-এখন আগের থেকে অনেক ভালো।বাসায় আনবে আজ।তোর খবর বল এখন!
-কাজ করছি।অবসর হলে ফোন দিয়ে কথা বলবো।
ফোন রেখে দিলাম।দেখতে দেখতে বিকেল ঘনিয়ে এলো। ছাদের কাপড় চোপড় শুকানো। সব উপর থেকে এনে নিতে হবে।সিঁড়িতে এক পা দু পা করে উপরে উঠলাম।ছাদের ফুলের টপগুলোতে ফুল সাজানো। দেখে খুব ভালো লাগছে।সাদা গোলাপ আর গাদা ফুলও আছে।আর চারদিকে বড় কৃষ্ণচূড়া গাছটা ছড়ানো। ফুলগুলো ধরে দেখতে লাগলাম।সুন্দর করে ছাদটা সাজানো। শুকনো কাপড়্গুলো নিয়ে চলে এলাম।
যেই বাড়িতে আমায় উঠানো হয়েছে এইখানে শোভনের মা বাবা থাকেন ।শোভন আর বিদেশ যযাচ্ছে না।দেশেই কাজ করবে।তবে তার কর্মস্থল এইখান তথেকে বহুদূর। তাই আমায় শীঘ্রই শোভনের সাথে যেতে হবে তার কর্মস্থল এর সুবিধার জন্য যেই বাড়ি আছে সেখানে। শ্বশুর শাশুড়ির সাথে তাই আমার আর থাকা হচ্ছে সীমিত সময়ের জন্য।শাশুড়ির মুখে কোনো কথা নেই।নিতান্ত ঠান্ডা মানুষ।আমায় যদিও মন্দ কিছু বলে না কিন্তু ভয়ে বুক কাপে যদি আমার কোনো ভুল ধরা পরে তার চোখে!
শোভন তাদের একমাত্র ছেলে আর বাকি দুটো শোভনের ছোট বোন।সব কাজ সেরে এইবার রুমের দিকে যেতে লাগলাম। রুমে যেতেই দেখি শোভনের হাতে কয়েকটা ফুল।ফুল গুলো আমার কাছে এগিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো -
-খোপায় বেধে রাখো। ভালো লাগবে।
-আপনি বেধে দিন আমায়।
সে ফুলগুলো নিয়ে একে একে করে খোপায় বেধে দিল।আর বলল-
-খুব সুন্দর মানিয়েছে।
চোখ তুলে তাকাতে মুখ লাল হয়ে উঠলো। চোখ নিচে নামিয়ে আবারও আয়নায় মুখ ঘুরালাম।ভালোই তো লাগছে।প্রথমবারের মত হয়তো আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে নিজের কাছে ভালো দেখাচ্ছে।
চলবে..

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ