āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ⧧⧍ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

1472 (1)

গল্প- "সেই রুপা"
(Polok Hossain)
.
Part-1
.
ট্রনের টিকিট কাটলাম দুটো।গন্তব্য আমার
ঢাকা।যাচ্ছি আমি আর সাথে আপুনি ।উদ্দেশ্য
কেনাকাটা। আর কেনাকাটা হচ্ছে বিয়ের
জন্য।আমারই বিয়ে।বিয়ে নিয়ে এতো টা
চিন্তাও করছি না।কারন বিয়ে করার মতো
তেমন মনও নেই আমার।মা বাবার দিকে
তাকিয়ে বিয়েতে রাজি হলাম।বাবার
বিরুদ্ধে গিয়ে শিক্ষা জীবনের পথ
পেরিয়েছি কারন বাবা চেয়েছিল আমি
যেন এল.এল.বি পড়ি।কিন্তু এল.এল.বি তে আমার কোনো
ইন্টারেস্ট না থাকায় ইংলিশ এ অনার্স পড়েছি
যা ছিল বাবার মতের বিরুদ্ধে যার কারনে
বাবার চোখে আমি এখনও অপরাধী।
আমি আর আপুনি ট্রেন ধরার জন্য মিনিট
খানেকে মতো স্টেশন দাঁড়িয়ে আছি।
দূর থেকে তুহিনদার মতো একটা ছেলেকে
দেখা যাচ্ছিল।আমাদের কাছেই আসছে।আমার
বিয়ের ব্যাপার টাও হয়তো এতো দিনে উনি
জেনে গেছে।একসময় আমরা যখন ভাড়া
থাকতাম তুহিনদা ছিল ওই বাড়ির
বাড়িওয়ালার ছেলে।
একসময় অনেক পছন্দ করতো আমায় তবে কোনো
দিনও তা মুখে বলে নি।আমি বুঝতাম।আমাদের
নতুন বাড়ি তে উঠার সময় যখন ওদের বাসা
থেকে বিদায় নিলাম তখন ব্যাপারটা আরও
স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। শুনেছি ওদের বাসা ত্যাগ
করার পর বাবা মায়ের অবাধ্য হয়ে গিয়েছিল
তুহিনদা।তবে আমাকে ইম্প্রেস করার মতো
অনেক কান্ডও করেছে।কখনও ফুল দিয়ে কখনওবা
আমার ছবি একে।ভালো ছবি আকার গুনটা
তুহিনদার ছিল।যা-ই ভালো বটে।খারাপও
স্বভাব এরও না।তবে আমি এতে বিঘরে যাই
নি।এক হিসেবে তুহিনদা ধর্মে হিন্দু আর আমি
মুসলিম। তাই যতো কিছুই হোক আমার তাকে
ভালো লাগা কখনো হয়েও ওঠে নি।
আমাদের দেখেই হাতের সিগারেট টা
ফেলে দিয়ে কাছে আসছিল।খোঁচা খোঁচা
দাড়ি আর হলুদ পাঞ্জাবীতে হুমায়ুন আহমেদের
সেই হিমু চরিত্রের কথা মনে পরে গেল।ঠিক
যেন হিমুর বেশভূষা।
আপুনিকে আদাব দিল।আমার দিকে তাকিয়ে
বলল..
- দাওয়াত পেলাম। তবে বর কেমন?
-ভালো।
-ভালোমত খোঁজখবর নিয়েছে??
-হুম।তা নিয়েছে।
-তোর পছন্দ হয়েছে তো!
-হ্যাঁ।
মুখ গম্ভীর করে বলল-
-"তা ভালো। "ভালো থাক।"
ট্রেন আসতেই আমরা ছুটে গেলাম,তুহিনদা কে
দেখা গেল না আর।কোথায় যেন উধাও হয়ে
গেল।
ট্রেনে সিট পেয়ে বসলাম।ফ্রেন্ডদের মধ্যে
একজন না একজন প্রতিনিয়তই ফোন দেয় বিয়ের
আগে ওদের নিয়ে একবার ঘুরতে যেতে।
নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেছি তা আমি
স্বীকার করি আর এইজন্যই ওদেরকে সময় দেওয়া
আর হয়ে ওঠে না।আমি দিন গুনছি কারন আমার
সময় এখন সীমিত। আমাকে বিয়েও দেওয়া
হচ্ছে দূর।তাই-ই আমার কাছে এখন তা সাত সমুদ্র
তেরো নদীর পার।বাবা মা কে রেখে দূরে
কোথায় গিয়ে দুই দিনও থাকতে পারি না
কিন্তু এখন আমাকে থাকতে হবে সারা
জীবনের জন্য।
আমাদের পাশের বাকি দুটো সিটে দুইটি
কলেজ মেয়ে বসা।টিটি এসেছে টিকিট
দেখতে।আমরা দেখালাম। আর মেয়ে দুটি বলল
"আমরা স্টুডেন্ট।"স্টুডেন্টদের জন্য ট্রেনের
টিকিট মাফ এইটাই বোঝাতে চাচ্ছে হয়তো।
কিন্তু টিটি ভ্রু কুঁচকে ফেললো। হয়তো তা সে
আশা করে নি।এই নিয়ে ১৫ মিনিট যাবৎ
ঘ্যানা প্যাঁচা।
আপুনির বিয়ে হয়েছে ৫ বছর আগে। দুলাভাই
থাকেন বিদেশ। ৪ বছরের ছোট বাচ্চাও আছে।নাম রেয়াত।রেয়াতকে বাসায় রেখে এসেছে। বিরক্ত করবে বলে ওকে আমাদের সাথে আনা হয় নি।যাওয়ার ইচ্ছা আমারও ছিল না তবে বিয়ে বলে কথা তাই পোশাক কিংবা টুকটাক কেনার জন্য আপুনির সাথে যেতে হচ্ছে।আপুনি শপিং এর বেপারে দক্ষ বললেই চলে কারন দর কষাকষি ওকে দিয়ে ভালো হতো এমন কি সারাদিন ওকে যদি বলা হতো শপিং করতে তাতেও ও রাজি কিন্তু আমি ওর মতো হই নি।কারন শপিং মানেই আমার জন্য বিরক্তিকর।তবুও বিরক্তি মনোভব নিয়েই শপিং এ আপুনির সাথে অংশ নিতে হচ্ছে।কারন বিয়ের আসর বলে কথা আর আমি সেই বিয়ের পাত্রী।
চলবে.

গল্প-"সেই রুপা ''
(Polok Hossain )
.
Part-2
.
শুক্রবার বলেই হয়তো রাস্তাঘাট ফাকা।স্টেশন নেমে আমরা শপিংমল যাওয়ার জন্য রিক্সা করে নিলাম। হঠাৎ বৃষ্টির আগমন। এই মুহূর্তে প্রকৃতি হয়তো আমাদের বিপক্ষে খেপে আছে বলেই মেঘের গর্জনে গর্জে গিয়ে অসময়ে বৃষ্টির আগমন ঘটাচ্ছে।
বৃষ্টিতে শেষ ভিজেছিলাম আনানের সাথে।প্রথম ভালো লাগা, ভালোবাসা ওকে দিয়েই শুরু হয়েছিল।মনে পরলেই শরীরে কাটা বিধে,চোখ দুটো জলে ডুবে যায় এই বুঝি ঝড় এসে আমার মনে বন্যা ভাসিয়ে দিল।এখন সব অতীত।
.
কোনো এক মেঘলা দিনে বৃষ্টি ভিজেই আমরা হাটছিলাম।
সামনে গোপালকাকুর ফুচকার গাড়িটা দেখা যাচ্ছিল।ফুচকা আমার প্রিয় খাবারগুলোর মধ্যে একটি। তাই আমরা গোপালকাকুর বানানো ফুচকা খাওয়ার জন্য দাঁড়ালাম। আমারা প্রতিদিনই উনার কাছে আসি ফুচকা খাওয়ার জন্য।আমরা ছিলাম তার ডেইলি কাস্টমার।
দুই প্লেট ফুচকা বানানোর জন্য বলা হলো।আনানের মন আজ হয়তো কিছুটা খারাপ ছিল।আমায় বলল-
-মা অসুস্থ।
-বাড়ি যাও তাহলে। আজ না আসলেই পারতে!
-মা জোর করে ক্লাসে পাঠিয়ে দিলো।
-আর তুমিও আসলে!!
-হু।কারন মায়ের কথা আজ পর্যন্ত অমান্য করিনি।
-আংকেল কেমন..ওহ..সরি।
ভুল বশত আংকেল এর কথা বলে ফেলতাম অনেক সময়।অনান ছোট থাওতেই ওর বাবা ওদের ছেড়ে চলে যায়।তাই আনান নানাবাড়ি থেকেই বড় হয়েছে।ভার্সিটির ক্লাস শেষ করেই দুইজন বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম। বাসায় গিয়ে দুজনেরই প্রচণ্ড জ্বর চেপে ধরেছিল তখন।আর সেই জ্বর কেটেছিল দুই সপ্তাহ পর।দিনটির কথা তাই মনে পরার মতো ।
মেঘলা দিন আজ অনেক অতীত মনে করিয়ে দিলো।
.
রিক্সায় বসে বৃষ্টি ভিজে আমি আর আপুনি মার্কেট এর কাছাকাছি চলে আসলাম।
আপুনি বলে উঠলো -
-তোকে গম্ভীর দেখাচ্ছে কেনো রে!
কিছুটা আমতাআমতা করে জবাব দিলাম
-না..তো...কোথায়!
-ঠিক আছে।বাদ দে।কেনাকাটা সেরে নেই।"
আপুনি হাটা ধরলো কাপড়ের দোকানগুলোতে।আমিও ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম পুতুলের উপর পরিয়ে রাখা সাজানো শাড়িগুলোর দিকে চোখ পরলো প্রথমে।একটি শাড়ি দেখে থমকে গেলাম।শাড়িটাকে দেখে কেনো যেন আনানের কথা গুলো কানে ফিস ফিস করছিল।আনান বলেছিল লাল পাড়ের সাদা শাড়ির সাথে আমাকে বেশ মানায়।কারন এমন বেশভূষায় একদিন ভার্সিটির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম।আর ওইদিনই আমাদের প্রথম কথা হয়েছিল আমাদের।আসলে আমি-ই ওকে প্রথম পছন্দ করেছি।আমার ৩ বছরের সিনিয়র ছিল ও।ক্রাশ নামের সেই শব্দটা ওকে দেখেই আমার প্রথম মনে সাড়া দেয়।আর এরই সূত্র ধরে সেই দিন কথা বলা।এরপর ফেসবুকে দিনরাত কথা এবং এক সময় তা প্রেমেও রুপান্তর হয়।
আপুনি আমায় ডাকতে লাগলো -
-কিরে..শাড়িটা কি তোর খুব পছন্দ হয়েছে।এইভাবে তাকিয়ে আছিস যে..
-না.. মানে..
-বুঝেছি। তোর ভালো লেগেছে।দামে মিললে এইটা কিনে নেব।
ভাবতে ভাবতে কতো কথাই মনে পরে গেল।আপুনির সাথে কেনাকাটা শেষ হলো।এক পর্যায় বাড়ি চলে এলাম।বাড়ি ভর্তি মানুষ সেই সাথে বিয়ের আয়োজন। পাত্রের ফটোগ্রাফি দেখেছি।কথা-সাক্ষাৎ কিছুই হয় নি।বিদেশ থাকে।বিয়ের পাঁচ দিন আগে দেশে আসবে শুনলাম। নতুন জীবনে প্রবেশ করতে হবে তবে অতীত কেন পিছু ধাওয়া করে বেড়ায়।সুখের সমাপ্তি আমার মনে ঘটেছে তবে জীবন তো পরে আছে।এইটুকু আশ্রয় দিবে সেই পুরুষ যার সাথে বিবাহ হবে।
রুমে একা বসে আছি।অতীত ধ্যান আমাকে মগ্ন করে রেখেছে।মা রুমে ঢুকতেই চোখ দুটো মুছে নিলাম। আমার কান্না করা অবস্থা হয়তো খেয়াল করে নি।আমাকে বলল-
-রুপা..খেতে আয়।
-খাবো না।
-খাবি না কেন!শরীর কি অসুস্থ না কি রে..
-না।এমনি খাবো না।
-কেমন কথা এইটা।খাওয়ার সাথে কিসের এতো রাগ!রাত হলেই বলিস খাবনা।
-কিসের আবার রাগ।কোনো রাগ করিনি কারো সাথে।
-বিয়ের ব্যাপার নিয়েও হতে পারে।তোর মতামত নিয়েই তো কথা বাড়ানো হল।
আমি রাগ হয়ে বলতে লাগলাম -
-এইটার সাথে আমার খাবারের কোনো দ্বন্দ্ব নেই।খাব না বলেছি খাবো না।
মা চলে গেল।ইশ..কষ্ট পায় নি তো।অযথা কি থেকে কি বলে ফেললাম।আমার ব্যবহারেও এখন মরীচিকা ধরেছে।আগোছালো হয়ে গেছি।আগে পরিপাটি ছিলাম এখন নেই।লাল টিপে আমাকে ভালো লাগতো একসময়। আনান বলতো।তাই লাল টিপ বাসায় পরে থাকতাম। এখন আর কিছুই ভালো লাগে না।
.
আবারও মা এসে হাজির।প্লেট ভরা ভাত নিয়ে এসেছে আমায় খাইয়ে দিবে।জেদ করেও কাজ হলো না।জোর করে মুখে পুরে দিলো। আর বলল-
-মন কি খারাপ রুপা!
-না।
-সর্না বলল আজ নাকি কেমন যেন মনমরা ছিলি সারাদিন।
-আপুনি বলল আর তুমি বিশ্বাস করলে!
-শাড়িটা শুনলাম তোর পছন্দমত কেনা হয়েছে!
-হুম।
-গোল্ড প্লেটের জুয়েলারি কিনে নিলি না কেনো!
-পছন্দ হয় নি।
-আচ্ছা..রুপা. মা আমার..কি হয়েছে তোর!আগে থেকে বদলে গেছিস। মাঝে মধ্যে মনে হয় তুই আমার রুপা না।
মিছি মিছি মুখভরা হাসি দিয়ে জবাব দিলাম ।একটু আধটু কথা বললাম মায়ের সাথে।মায়ের সন্দেহ এতোক্ষনে কাটলো বোধ হয়। খেয়ে বিছানায় গুটিসুটি হয়ে শুয়ে রইলাম।ঘুম কে বিদায় দিয়েছি বছর খানেক হবে।নামে মাত্র ঘুমকে ডেকে নেই আর রাতের চাঁদ কে বিদায় করি।
চলবে..

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ