-- এই তোমাকে এমন মনমরা লাগছে কেন??(নিপা)
-- না কিছু হয়নি তো!!(ফাহিম)
-- সত্যি কিছু হয়নি তো??
-- আরে বাবা বললাম তো কিছু হয়নি।
-- ঈদ তো এসেই গেল।তুমি কিন্তু এখনো কিচ্ছু দিলে না আমায়।আমার গিফট কবে পাব।
-- সেটা আমার মাথায় আছে।কি চাও বল??
-- আগে বল আমি যা চাইব,তুমি তা দিবা??
-- তোমায় কেন দিব?? ওটা আমি কেয়াকে দিব।(আসলে কেয়া নামের কোন অস্তিত্ব নেই তাদের জীবনে,,,,,নিপাকে রাগানোর জন্য মাঝেমধ্যেই কেয়ার নাম বলে)
-- তাকেই তো দিবা,,,সেই তো তোমার সব।যাওনা যাও,,তুমি তোমার কেয়ার কাছেই যাও।আমি চললাম।
বলেই যাওয়ার জন্য পা বাড়াবে নিপা ওমনি পেছন থেকে হাতটা ধরে ফেলে ফাহিম।
-- আমি তো মজা করছিলাম।তুমি জানো না তুমি ছাড়া আমার জীবন অন্ধকার!
-- তাহলে কেয়ার কথা কেন বললে??(ঠোটটা বাকিয়ে)
-- ওই কথা না বললে কি আমার সাথে রাগ করতে?
রাগলে তোমায় কত মায়াবি লাগে তুমি জান?
তাইতো তোমাকে একটু রাগালাম।বলেই নিপার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দেয় ফাহিম।
-- হারামি,কুত্তা বলেই নিপা তার মুখটা লুকালো ফাহিমের বুকে।
অমনি নিপার ফোনটা বেজে উঠলো।ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকাতেই দেখতে পেল তার মায়ের ফোন।
-- মা ফোন দিচ্ছে,চলে যেতে হবে।
-- আচ্ছা যাও তাহলে। তোমার গিফট চাইলে নাতো।
-- ফোনে জানাব।এবার তাহলে চললাম।
বলেই পার্ক হতে বাসার উদ্দেশ্যে চলে যেতে থাকে নিপা।পার্কের ব্রেঞ্চটাতে বসে থাকে ফাহিম।যদিও তারা একই বিল্ডিং এ থাকে তবু দেখা করার জন্য পার্কটাই বেশি নিরাপদ মনে হয় তাদের কাছে।
ফাহিমও ব্রেঞ্চটা থেকে উঠে পা বাড়ায় টিউশনির উদ্দেশ্যে।হয়ত দু একদিনের মধ্যেই বেতনটা পাবে।তাই কিছুটা শিহরিত হচ্ছে সে।কারন এই টাকাটা দিয়েই যে সে তার প্রিয়তমার জন্য গিফট কিনবে।
কিন্তু ফাহিমের সকল চিন্তার উপর ভাটা পড়ল যখন সে স্টুডেন্টের বাসায় গিয়ে তালা ঝুলানো দেখতে পেল।দারোয়ানের কাছ থেকে জানতে পারল তারা নাকি ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গেছে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে।পিছ ঢালা রাস্তায় হাটছে ফাহিম,রাস্তার সোডিয়াম লাইট গুলো জ্বলে উঠেছে। হাতে জলন্ত একটা সিগারেট।সব সময় যেন তার মাথায় একটা জিনিসই ঘুরপাক খাচ্ছে।আর তা হল নিপার জন্য গিফট।মেয়েটা অনেক ভালোবাসে ফাহিমকে।ফাহিম জোর করেও কোন গিফট নিপাকে দিতে পারেনি। অথচ আজ সে একটা গিফট নিজে থেকে চাইল।না দিলে যে নিজের ভালোবাসাকে অপমান করা হবে।এসব ভাবতে ভাবতেই বাসায় পোছল ফাহিম।
কেন জানি ইদানিং বাসায়ও ভালো লাগে না তার।সব সময় অসুস্থ থাকে তার মা,আর বাবা একটা সরকারি অফিসে নিম্ন পদে জব করে।কোন রকম খেয়ে পরে কেটে যায় তাদের দিন।
ফাহিম বাবার কাছে টাকা চাবে কিনা ভাবতে থাকে।না চাওয়াটা ঠিক হবে না।তার থেকে বরং বন্ধুদের কাছে দেখা যাক।একে একে প্রায় সবাইকে ফোন করে কিছু টাকা ধার চায় ফাহিম।কিন্তু সবারই একই কথা,সামনে ঈদ,তাদের হাতেও অতিরিক্ত তেমন কোন টাকা নাই।ফাহিমের চিন্তাটা বেড়েই চলছে।তবে কি নিপার কাছে তাকে ছোট হতে হবে??
সকল কিছু উপেক্ষা করে ফাহিম তার মায়ের কাছে টাকা চায়।কিন্তু তার মাও তাকে একরাশ নিরাশা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে নি।কারণ তার বোনের বিয়ের পর এটাই তাদের প্রথম ঈদ। তাই তার বাবা বোন-জামাইকে পোষাক দিয়েছেন।সেখানে বেশ বড় অংকের একটা টাকা চলে গেছে।এখন শুধু কুরবানীর টাকাটা অবশিষ্ট রয়েছে।
সে তার বাবার দিকেও তাকাতে পারছে না।কারণ তার বাবার চোখে-মুখে ফাহিমকে কিছু না দেওয়ার একটা আক্ষেপ স্পষ্ট।
আস্তে আস্তে ঈদের দিনটা ঘনিয়ে আসল।কাল ঈদ।সন্ধ্যায় মনমরা হয়ে শুয়ে আছে ফাহিম। হঠাৎ করেই ফোনটা বেজে উঠল।স্ক্রিনে নিপার নামটাই ভাসছে।নামটা দেখেই ফাহিমের প্রাণটা আঁতকে উঠল।কারণ এই কয়টা দিন একেবারেই যোগাযোগ করা হয়নি তার সাথে।তাই হঠাৎ করেই ফোন আসাতে কিছুটা ভয় এবং লজ্জিত অনুভব করছে সে।
ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে নিপা বলতে লাগলঃ
-- ঐ হারামি,ফোন অফ ছিল ক্যান?
-- এমনি,ফোনে একটু সমস্যা হয়েছিল।
-- সমস্যা হইছিল নাকি অফ করে রাখছিলা।
--............. (কোন কথা নেই ফাহিমের)
-- এই মুহূর্তে ছাদে আসবা
ঝাঝালো কন্ঠে বলে নিপা
-- আমি আসতে পারব না।ভালো লাগছে না আমার।
-- আমি এত কিছু বুঝি না,এক মিনিটের মধ্যে ছাদে আসবা।
-- চেস্টা করছি।
বলেই ফোনটা কেটে দেয় ফাহিম।
ফাহিমের মনে এই মুহূর্তে বর্ষণ হচ্ছে।নিজের প্রিয়তমাকে একটা গিফট না দেওয়ার বর্ষণ,,নিজের পরিবারের এমন করুন দৃশ্য,তার বর্ষণ।বাবাকেও দেখছি দিনের পর দিন একই জামা পরে অফিস যেতে।মা চিকিৎসার অভাবে ঘরে বসেই ধুকছে।তারপরেও পরিবারকে কত সুন্দর আগলে রেখেছে।এখন হয়ত নিজ প্রিয়তমার কাছে অপমানিত হতে হবে।
এসব আনমনে ভাবতে ভাবতে ছাদে এসে হাজির হয় ফাহিম।দোলনায় বসে আছে নিপা।চাঁদের আলোয় স্বচ্ছ কাঁচের মত লাগছে চারিপাশটা।ফাহিম নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে,একজন অপরাধীর ন্যায়।
সকল নিরবতা ভেঙে নিপাই প্রথম শুরু করলঃ
-- এই যে মিস্টার,কি মনে করেন আপনি নিজেকে?
--.......... (নিশ্চুপ)
-- আমার গিফটটা কই??
বলেই হাতটা বাড়াল নিপা।
--............ (এবারও স্ট্যাচুর ন্যায় দাঁড়িয়ে)
-- কি হল,আমার গিফট কই?? দাও বলছি।
--............
আচ্ছাথাকো তুমি,আমি গেলাম।বলেই চলে যেতে থাকে নিপা।অমনি পিছন থেকে নিপার হাতটা ধরে ফেলে ফাহিম।একটানে জড়িয়ে নেয় বুকে।শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে ফাহিম।নিপা আলতু করে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে তার চুলে।নিপার বুঝতে বাকি নেই,কেন এই কান্না।
-- ঐ বুদ্দু এই ঈদে আমার গিফট দিতে পারনি তো কি হয়েছে। এটাই কি আমাদের শেষ ঈদ নাকি??
বলেই একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিল ফাহিমকে।
-- এটা কী??
-- তোমার জন্য,খুলে দেখ।
প্যাকেট খুলতেই একটা নীল পাঞ্জাবি আর একটা সাদা পাজামা বের হল।
এতক্ষণ পর্যন্তও ফাহিম নিজেকে অভিশাপ দিচ্ছিল কারণ সে মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির সন্তান।মধ্যবিত্ত বলেই আজ হয়ত সে নিজেকে সব থেকে সুখী মনে করছে।এভাবেই বেঁচে থাকুক মধ্যবিত্তের স্বপ্নগুলো।
ভালো থাকুক ওরা।
বেঁচে থাকুক ওদের নিষ্পাপ ভালোবাসা।
লেখাঃ Atiqur Rahman (নীল কুয়াশা)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍ āϏেāĻĒ্āĻেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
704
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧝:⧍⧝ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ