āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

699

গল্প:-মেঘবর্ণ নীল আঁকাশ-
-
স্তব্ধতা আমায় প্রতি রাতেই গ্রাস করে নেয়,নীল আঁকাশটা তখন কালো আধারে ভরা,কোন একটা তারার চিহ্ন পর্যন্ত নেই।
একহাতে সিগারেট আরেক হাতে দিয়াশলাই।
সুখটানে প্রতিটি সিগারেট আস্তে আস্তে পুরে ছাই হয়ে যাচ্ছে,আমি সেদিকে খেয়াল না করেই নীল আঁকাশের কালো বর্ণ দেখছি।
আহ্ এই বুঝি আঁকাশ থেকে আবেগের পানি ঝরবে।
হাতদুটো উজার করে দিলাম,ওপর থেকে মেঘের অশ্রুকণাগুলো পড়তে শুরু করলো,তখনই টের পেলাম আমার চোখ থেকোও হয়তো কিছু ঝরছে,কিন্তু মেঘের অশ্রুর ধারার সাথে আমার অশ্রু মিশে গেছে।
একটানা তিন ঘন্টা এভাবে উজার করে দিয়ে কিছু সৃতি ধুয়ে ফেললাম,সত্যিই কি সৃতি গুলো মুছে গেছে?তখন ভেতরটা কেমন জানি মোচর দিয়ে উঠল,বুঝে নিলাম তাতে ভূলতে হয়তো পারবো না।
কিন্তু এভাবে কি সত্যিই চলবে,নাকি নতুন করে শুরু করতে হবে আমাকে?নিজের মন আর আমার সম্পর্কে কিছু বলতে চায় না,কারন ভূল মানুষের জন্য ভেবে ভেবে প্রতিনিয়তো কষ্ট পাই,তাই মনটা পাথর হয়ে গেছে,উওর আর পাইনা মনের।
সময় সময়ের গতিতে অতিক্রম করছে, আমি সময়ের সাথে চলছি,কিন্তু মনটা সেই পুরোনো সৃতি আগলে বেঁচে আছে,আমি আর আমার মনের মাঝে অনেকটা তফাত দেখা দিয়েছে।
ভাবি নতুন করে শুরু করব,কিন্তু পা বাড়াতেই কিছু একটা হয়ে যাই,থমকে পড়ি সেখানে।
আর্চয্য বিষয় হলো আমি তিথিকে এখনও ভালোবাসি,মনের গহিনে এখন তার জায়গাটা গুছিয়ে রেখে দিয়েছি,কিন্তু সে এখন অন্যের স্বপ্নে মগ্ন।
ভাবনাগুলো যদি মিছে হতো তাহলে কি পেতাম তোমাকে।
আজও ভেবে যাই সেই তোমারি জন্য...!!
-
ভাবনাতেই রাত ৩টা বেজে গেছি বুজতেই পারিনি।
সিগারেটের ফিল্টার টা পুরে ছাই হওয়া বাকি আছে মাত্র,নাকি বৃষ্টি আসলো বলে ফিল্টারটা বেচে গেলো,আমার জানা মতে ফিল্টার কখনও পুরে না।
পকেটএ রাখা ডার্রবির প্যাকেটটা বের করে দেখি একটা মাত্রই বাকি আছে,এই কয়েক ঘন্টা কিভাবে কাটাব ভাবছি,এখনতো কোন টং দেকানও খোলা পাবো না,
এই ভাবতে ভাবতে কে যেন পিছু থেকে বলে উঠল...
-
সিগারেট কি শেষ নাকি?-(মেয়েলি কন্ঠে)-
পিছু ফিরে তাকিয়ে দেখি আমার সেম বয়সি একটা মেয়ে,কিন্তু এতো রাতে ছাদে কেন?
জ্বি,কিন্তু আপনি কে?আর এখানেই বা এতো রাতে কি করছেন?-(তোরিয়)-
আসলে দির্ঘ ৬টা মাস আপনি এভাবে প্রায় রাতই সিগারেট নিয়ে মগ্ন থাকেন,এবং চেখের অশ্রু ঝরান,কিন্তু কেন?-(মেয়ে)-
আমার পারসোনাল বেপারে আপনার জেনে কি হবে,আর কারো ওপর বিস্বাস নেই.!!-(তোরিয়)-
জানিতো.! মেয়েটা কে?-(মেয়ে)-
কোন মেয়ে?-(তোরিয়)-
যার জন্য প্রতিটি রাত সিগারেটের ধোয়ায় মেতে থাকেন,সেই মেয়েটা.!-(মেয়ে)-
তিথি নাম মেয়েটার!!-(তোরিয়)-
আমি আবার কবে আপনাকে ঠকালাম,আমার জন্য আপনি প্রতি রাত কাঁদেন.!!-(মেয়ে)-
কি যাতা বলছেন এগুলা,আপনি আমাকে ঠকাবেন কেন?আপনাকেতো এই প্রথম দেখছি,তাও আবার এই মাত্র,আপনার নাম কি??-(মেয়ে)-
তিথি.!!-(তিথি)-
অমনি নাম বানিয়ে নিলেন তিথি.!!-(তোরিয়)-
ইস্ আমার শখ নাই অন্যের নাম কপি করার,আমার নাম সত্যিই তিথি,বিস্বাস করুন!!-(তিথি)-
বিস্বাস কাউকে করতে ইচ্ছে করে না,আচ্ছা বিস্বাস করলাম।-(তোরিয়)-
যাক,বিস্বাস তাহলে করছেন.!আচ্ছা চলুন ওপাসটায় বসে গল্প করি?-(তিথি)-
আচ্ছা চলুন..!!-(তোরিয়)-
-
আমি একটু তিথি নামের কাছে দূর্বল,তাই সত্যটা বলে দিলাম।
এই মেয়েটা বোধ হয় আমাকে অনেক ফলো করে বুঝতে পারছি,কিন্তু কেন এমনটা করছে,কোন মত্লব নেইতো,যাই হোক কথা বলে দেখি,খারাপ কিছু দেখলে কথা বলব না.!!
অতঃপর মেয়েটার সাথে কিভাবে রাতটা কাটিয়ে দিলাম বুঝতেই পারলাম না।
এই প্রথম সিগারেটের কথা মনে পরল না এবং টানা চার ঘন্টা সিগারেট না খেয়ে থাকালাম।
তবে মেয়েটার কথার মাঝে মায়া আছে একটা,তাই হয়তো সিগারেট নামক শব্দটি মাথায় আসেনি।
গল্প করতে করতে সকাল হয়ে এলো,তিথির অনুরোধে ঘুমোবো আজ, অবশ্য আমারো টায়ার্ড লাগছে,তাই বিছানায় গিয়ে গা ছেড়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।
কলিং বেল এর শব্দে ঘুমটা ভাঙল,ঘুমো ঘুমো অবস্হায় দরজাটা খুলে দিলাম।
দরজা খুলে দিয়ে চোখটা নাড়া চাড়া করছি,পরে তাকিয়ে দেখি তিথি।
আরে আপনি,আসুন ভেতরে আসুন.!!-(তোরিয়)-
হুম,তো ঘুম কেমন হলো?-(তিথি)-
এইতো ভালো!!-(তোরিয়)-
ভালো মানে,চারটা বাজাই ফেলাইছেন এক ঘুমে.!!-(তিথি)-
চারটা,এতো ঘুমাইছি আমি.!!বিস্বাস না হওয়ায় ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৪:১৪ বাজে,আমিতো দেখেই অবাক,কারন ৬মাস পর এমন একটা ঘুম হলো.!!-(তোরিয়)-
আচ্ছা খাইছেন?-(তিথি)-
না এখনও খাই নাই,আজ বেধ হয় বুয়া আসবে না,কিযে করি।-(তোরিয়)-
আচ্ছা আপনি গোসল করে আসুন,আমি খাবার রেডি করে দিচ্ছি!-(তিথি)-
কিন্তু.......-(তোরিয়)-
কোন কিন্তু নয়,যান বলছি!!-(তিথি)-
অতঃপর জোর করেই পাঠিয়ে দিলো,আমিও কিসের টানে যেন চলে গেলাম গোসল করতে।
গোছল করে এসে আমিতো পুরাই অবাক,আমার ঘরের সব কিছু গোছানো,কে করল এটা?-(তোরিয়)-
অপর পাস থেকে তিথি বলে ওঠল!আমি করছি.!!-(তিথি)-
ধন্যবাদ।-(তোরিয়)-
এত্ত অগোছালো কেন আপনি হুহ?-(তিথি)-
গোছানোর মানুষ নাই তাই,কিন্তু আপনি কেন গোছাতে গেলেন এসব?-(তোরিয়)-
বন্ধুর ঘর গোছাতে ভালো লাগল তাই গুছিয়ে দিলাম।-(তিথি)-
বন্ধু!!-(তোরিয়)-
হুহহ!কেন আমি কি আপনার বন্ধু হতে পারি না?-(তিথি)-
হুহ কেন নয়.!!-(তেরিয়)-
আচ্ছা এবার চলুন খেতে বসবেন!!-(তিথি)-
আপনি যান আমি আসছি.!!-(তেরিয়)-
তারাতারি কিন্তু.!!-(তিথি)-
হুহ.!!-(তেরিয়)-
-
অতঃপর তিথির সাথে খুব ক্লোজ হয়ে গেলাম,তবে কষ্টগুলো কখনই বলিনি,আমার একাকিত্ত আমার নিজের মাঝেই থাক।
এভাবেই অতিবাহিত হতে লাগল দিন,আমিতো প্রায়ই সিগারেট খাওয়া ভূলেই গেছি,এই মেয়ে আমায় সব সময় আগলে রাখতো,রাতে অনেক গল্প করতাম দুজন,এভাবেই কেটে গেলো আরো একটি মাস।
এই একটি মাসে জানতে পারলাম তিথি ধনির দুলালি,আর আমি যে ফ্লাটে আছি,সেটা তাদের নামে,এখানে ইচ্ছে করেই তিথি থাকে,বাবা দেশের বাইরে থাকে,তাই মা'কে  নিয়ে তিথি একাই থাকে।
কাল তিথির বার্থডে,তাই কিছু উপহার কিনলাম,আমি তেমন কোন ধনির ছেলে নই,খুবই অতি সাধারণ ঘরের ছেলে,তাই নিজের সামর্থ মতো একটা গিফ্ট কিনলাম।
আজ রাত ১২টায় কেক কাটবে তিথি,আমি রেডি হচ্ছি,অতঃপর নীল একটা শার্ট পরে গেলাম,গিয়ে দেখি তিথি তার অনেক বন্ধু বান্ধবিদের সাথে ছবি তুলছে হাসছে,অনেক সুন্দর লাগছে।
তিথির কাছে এগিয়ে যাচ্ছি,অতঃপর পৌছেও গেলাম।
তিথিকে গিফ্টটা দিলাম,কিন্তু তিথি কোন কথা বলল না,পাশে থেকে কে যেন গিফ্ট বক্সটা নিয়ে পাশেই রেখে দিলো!!
মনটা তখন ভিষন খারাপ হয়ে গেলো।
সেখান থেকে চলে এসে রুমে আয়নার সামনে দাড়িয়ে ভাবতে শুরু করলাম,এ তো সেই তিথির মতোই হয়ে যাবে ঠিক সময়ে,মিছে মিছে ভাবনা গুলোকে কবর দিতে হবে,বড়লোক ছিলো সেই তিথিও,আর এ তিথিও তার ব্যতিক্রম কিছু নয়।
অনেক ভাবলাম,তার পর ডিসাইড নেবার পালা,হে'আমি এখানে আর থাকব না ব্যাগ পত্রগুছিয়ে রাতের আধারে ঠিকানাহীন পথিক এর মতো চললাম।
সামনের টং দোকানির কাছে থেকে দু প্যাকেট ডার্রবি কিনে কোন এক নীল পান্তরের পথে রওনা দিলাম,জানি না কোথায় যাবো,তাই হাত থেকে সিগারেট এর প্যাকেট খুলে দিয়াশলাই দিয়ে জ্বালিয়ে টানতে টানতে চলছি.......
-
     -
>>>>>>>>>>>>>>>>>><<<<<<<<<<<<<<<
-
লেখা:-ToriYo Ahmed Neel(Mom's prince)
-

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ