āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

696

ঈদ গল্প
গল্প : তুমি আমার অক্সিজেন।
.
>> সুস্মিতা বিশ্বাস করো আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
>> কিন্তু আমি কি করব ?
আমি তোমাকে এক সময় খুব ভালোবাসতাম। এখন আমি আর তোমাকে কিছুতেই ভালোবাসতে পারব না।
>> কেন? (মুখটা দেখতে একদম নিষ্পাপ)
>> কারণ তুমি একটা পাগল। তুমি যখন একা একা থাকো তখন তুমি মনে মনে কি আবুলতাবুল কথা বলো।
>> আরে না না। আমি কখন আবুলতাবুল বলি ?
আমি একদম সুস্থ। তুমি দেখো।
এখন দেখো তুমি ।
(চোখের কোণে পানি এসে টলমল করছে)
>> আমার এতো দেখার দরকার নাই। তুমি আমার সামনে আর কোনো দিন আসবে না। আমি তোমাকে কোনো দিনও ভালোবাসতে পারব না।
এখন আমার সামনে থেকে যাও বলছি।
>> আমি তোমার সামনে থেকে কোনো দিনও যাব না। তুমিও আমার সব। তুমি আমার নিঃশ্বাস। তুমি আমার অক্সিজেন। তুমি আমার সব চাওয়া ও পাওয়া।
>> তুমি না একটা অসহ্য। আমি কেন তোমার সাথে বন্ধুত্ব করেছিলাম?
আমাকে তুমি মুক্তি দাও। তুমি আর কত দিন আমাকে জালাতন করবে? তুমি নিজে তো একটা পাগল আর আমাকেও পাগল করছ।
>> চলো অনেক খিদা লাগছে খাব।
(আবির)
.
সুস্মিতা আবির কে অনেক ভালোবাসে। কিন্তু আবিরের প্রতি সুস্মিতার অনেক রাগ।
সুস্মিতা আবিরের প্রতি রেগে থাকার কারণ আছে। আবির একটা সত্য কথা সুস্মিতাকে বলে না। তাই সুস্মিতা রাগ করে বসে।
আর এখন আবির যে বলছে তার অনেক খিদা লাগছে ঠিক তখনই সুস্মিতার বুকের ডান পাশে অনেক ব্যথা অনুভব করল। সব রাগ ভুলে গিয়ে আবির কে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়াতে লাগলো। আবির অবশ্য নিজ হাতে খেতে পারে কিন্তু সুস্মিতা একটু ভালোবেসে মাঝে মাঝে খাইয়ে দেয়। এতো করে ভালোবাসার পরিমাণ টা বেড়ে যায়।
.
>> হ্যালো।
>> কি বলো (আবির)
>> ডিনার করছ কি?
>> তাতে তোমার কি?
আমি করব না। আর জীবনেও করব না। আমাকে রাস্তাঘাটে বকাবকি করো কেন?
>> আমার কিন্তু রাগ উঠে যাচ্ছে বলে দিলাম।
>> হে রাগ তো উঠবেই। আমার সাথে সব রাগ। আর তোমার যেমন কেউ নাই।
>> খাইছ কিনা আগে বলো?
>> খাইছি।
>> কি দিয়া খাইছ?
>> শুধু আলু ভাজি। আর কিছু না।
.
ওই পাশে কিছু সময় নিরবতা অনুভব করল সুস্মিতা নিজে । সুস্মিতা যত দিন রাতে ফোন দিয়ে আবির কে বলে তুমি কি দিয়া খাইছ আবির শুধু বলে আলু ভাজি দিয়া খাইছি। কিন্তু সুস্মিতা অনেক তরকারি দিয়া রাতে ডিনার করে। সুস্মিতার চোখে পানি এসে গেল। পছন্দের প্রিয় মানুষ যদি ঠিক মতো খেতে না পারে তাইলে কেমন লাগে। সুস্মিতা জানে আবিরের মা বাবা নেই। আবিরের বাসায় শুধু সে একা থাকে । খাবার রান্না করেন একজন ভুয়া। কিন্তু ভুয়া এসে দিনে রান্না করে আর রাতে আবির রান্না করে। আবির এবার অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র ।
.
আবির সব সময় তার মায়ের হাত দিয়ে খাবার খেত । কত দৌড়াদৌড়ি করেছে আবির । আবির ছোট বেলায় খুব দুষ্টু ছিল। আবির কে খাওয়ানো জন্য তার বাবা নিজে ঘোড়া সাজতে হতো। আর তার মা গান খেয়ে তাকে খাওয়াতেন। আবিরকে খাওয়ানো জন্য তার মা অফিস পযর্ন্ত করতেন না । অফিস থেকে ছুটি নিয়ে চলে আসতেন। আর তার বাবা তো আবিরের জন্য একদম পাগল। আবির কে না দেখলে নাকি তার অফিসের কাজে মন বসে না। তাই মাঝে মাঝে অফিসে গিয়ে ভিডিও কল দিয়ে আবিরের মায়াবী মুখটা দেখতেন। এখন কোথায় গেল আবিরের সেই সুখ?
প্রতি রাতে আবির বালিশের মধ্যে মাথা রেখে কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে। আর তার সাক্ষী বালিশের ভিতর লুকিয়ে থাকা তুলা। কারণ আবিরের চোখের পানি বালিশের ভিতরের সব তুলা ভিজিয়ে দেয়।
আবিরের মা বাবার কথা ঘুমানোর সময় আবিরের মনে পড়ে। আবিরের মা বাবার ভালোবাসা আবিরের মস্তিষ্কে আঘাত করে।
.
আবির ও সুস্মিতা একটা বিয়া বাড়িতে এসেছে। অবশ্য বিয়াটা হচ্ছে আবির ও সুস্মিতার একদম কাছের বন্ধু নন্দিনীর।
আবির দু'চোখ দিয়ে চেয়ে আছে নন্দিনী দিকে। নন্দিনী কিছুটা লজ্জা পেয়ে যায়। নন্দিনী মাথা নিচু করে ফেলে আবিরের ড্যাবড্যাব চাওনি দেখে। অবশেষে আবির নন্দিনীর কাছে গিয়ে বলে নন্দিনী তোর কানের দুলটা আমাকে দিয়ে দিবি। জানিস ওই রমক কানের দুল আমার মা পড়তেন। আমাকে দিয়ে দিবি। দে না রে। তোকে আমি অন্য দু'টা কানের দুল কিনে দিব।
আমার মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে।
সুস্মিতা আবিরের এসব কাণ্ড দেখে আবির কে বাহিরে নিয়ে আসে। আবিরের উপর আবার রেগে যায়। তুমি কি পাইছ।
তুমি একটা মেয়ের কানের দুল নিয়ে আনতে চাইছ কেন?
আমি আর পারছি না আবির তোমার সাথে থাকতে । তুমি কোনো দিনও ভালো হবে না। তুমি বিয়ে বাড়িতে এসে তুমি ঐ মেয়ের কানের দুল নিয়ে আনতে চাইছ কেন?
আর ঐ মেয়েটা আমাদের বন্ধু হয়।
কিন্তু আবির সুস্মিতার কোনো কথা না শুনে আবার নন্দিনীর কাছে গিয়ে বলে আমি তোকে অনেক টাকা দিব প্লিজ ওই কানের দুল টা আমাকে দিয়ে দে। নন্দিনীর কাছে থেকে একজন মহিলা এসে বলে তুমি কার সাথে এসেছ বাবা? আর কেন ওই কানের দুলটা নিতে চাইছ?
আবির বলে আমি সুস্মিতার সাথে এসেছি। আর আবির যখন বলবে তার মা ওই রকম কানের দুল পড়তেন ঠিক তখনই সুস্মিতা এসে আবির কে একটা থাপ্পড় দিয়ে বাহিরে টেনে নিয়ে চলে আসে।
.
তারা দু'জন একটা নদীর পাড়ে বসে আছে। কেউ কোনো কথা বলছে না। দু'দিকে নিরবতা। আবির শুধু মনে মনে কি বলছে হঠাৎ সুস্মিতা আবির কে বলে তুই কি পাইছত?
তুই আমার সাথে ফাজলামি করছ কেন?
তুই একটা পাগল। তোর সাথে আমি আর জীবনেও দেখা করব না। তুই যদি আমার সাথে আর কোনো দিন কোনো রকম দেখা করার জন্য চেষ্টা করিস তাইলে তোকে আমি কি করব তুই দেখিস ।
>> আবির হাসি দিয়ে বলে চল ডিনার করব।
>> কিন্তু সুস্মিতা তার প্রতিদান দেয় ২ টা থাপ্পড়।
সুস্মিতা চলে যায় আবির কে নদীর পাড়ে একা রেখে।
.
আবির নদীর পাড়ে ঘুমিয়ে আছে। খুব বৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিটি বৃষ্টির ফু্টা আবিরের শরীরের গিয়ে লোহার আঘাতের মতো করে আঘাত করতাছে। আবির চটপট করতাছে। আবির উঠে দাঁড়িয়েছে কিন্তু এগুতে পারছে না কিছুতেই। অনেক চেষ্টা করছে আবির হাঁটার জন্য কিন্তু পড়ে যায়। অবশেষে কিছু করতে না পেরে আবির এখানেই ঘুমিয়ে পড়ে।
বৃষ্টির পানি আবিরের উপর এসে পড়ছে। আবিরের শীত উঠে যাচ্ছে। আবির তার মা বাবাকে ডেকে যাচ্ছে।(
কিন্তু তার মা বাবা তার কথা হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন।) এইটা আবিরের কল্পনা।
.
সুস্মিতা একদম ঘুমিয়ে আছে। অনেক রাত হয়েছে। সুস্মিতা ঘুমের দেশে আবির কে দেখতে পায়। আবিরের বয়স ১২ বছর হবে। সুস্মিতা আবিরের মাকেও দেখতে পায়। তার মায়ের কানে অনেক দামী সেই অলংকার।
নন্দিনীর সেই কানের দুল। আবির সেই দুলটা হাত দিয়ে স্পর্শ করছে। আবিরের মা হাসি দিয়ে আবিরের কপালে চুমা দিচ্ছেন। আবির তার মাকে জড়িয়ে ধরছে। আবিরের বাবা এসে আবির কে কোলে তুললেন। আবিরের মা এসে দু'জন কে জড়িয়ে ধরলেন। সুস্মিতা ঘুমের দেশে হাসিহাসি করতাছে। কিন্তু সুস্মিতার চোখে হঠাৎ পানি।
সুস্মিতা দেখতে পেল আবিরের মা বাবা কথা বলেন না। আবির স্কুল থেকে এসে দেখে তার মা বাবার কপালে পিস্তলের গুলি। আবির চিৎকার করছে কিন্তু কেউ কথা বলছে না। আবির তার মায়ের কপালে চুমা দিয়ে বলে ও মা গো তুমি কথা বলো না কেন গো মা ? মা আমি খাব আমার অনেক খিদা লাগছে। কিন্তু আবির মা মুখটা কালো করে ঘুমিয়ে আছেন। আবির তার মায়ের কাছ থেকে চলে যেতে আবিরের মন চাচ্ছে না। তবুও আবির তার বাবার কাছে গিয়ে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে।
বাবা বাবা বলে ডাকতে শুরু করল। কিন্তু তার বাবার মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছে। একদম লাল রক্ত। আবির তা দেখে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ল।
সুস্মিতার ঘুম ভেংগে যায়। সুস্মিতা দরজা খুলে একটা দৌড় দেয়। রাত এখন ২ টা বাজে। কিন্তু সুস্মিতার কাছে এতো রাত তা কিছুই না। মুষলধারে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। সুস্মিতার সমস্ত শরীর প্রায় একদম ভেজে গেছে। সুস্মিতার শরীর ঠাণ্ডায় কাঁপতে শুরু করল। সুস্মিতা বৃষ্টির জন্য নদীর পাড় দিয়ে এগুতে পারছে না। তবুও তাকে যেতে হবে। কারণ সেখানে যে পড়ে আছে সেই নিরীহ ছেলেটি। সুস্মিতার হাঁটতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কারণ নদীর পাড় বৃষ্টির পানিতে কাঁদা হয়ে গেছে। সবুজ ঘাস টাও এখন আর আগের মতো করে কথা শুনে না। সবুজ ঘাসটাও এখন ঘুমিয়ে আছে। এতো রাতে তো কোনো কিছুই সজাগ থাকার কথা না। সুস্মিতা প্রায় হাটু ভাঙা পা দিয়ে আবিরের কাছে একদম চলে এসেছে । কিন্তু সুস্মিতা অন্ধকারে আবিরের মুখটা ভালো করে দেখতে পাচ্ছে না। প্রচণ্ড অন্ধকার তার সাথে আর মুষলধারে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে।
সুস্মিতা আবির কে জড়িয়ে ধরল। কিন্তু আবির কোনো কথা বলছে না।
ঠিক একসময় সুস্মিতা আবিরের মুখটা দেখতে পায়। কারণ আকাশে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে চাঁদ উঠেছে । সমস্ত আকাশ চাঁদের আলোতে ভরে উঠেছে । আবিরের মুখে শুধু আমি পাগল না। আমি পাগল না। সুস্মিতাও কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে তুমি পাগল না। সুস্মিতা আবিরের কপাল হাত দিয়ে ভুলিয়ে দিচ্ছে।
আবির কে এই চাঁদনি রাতে তার কোলে মাথা রাখতে দেয়। আবিরও এই টুকু ভালোবাসা পেয়ে সুস্মিতার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে। সুস্মিতা আবিরের কপালে শুধু হাত ভুলিয়ে যাচ্ছে।
.
আবির এখন হাসপাতালে। সে শুধু ভাবছে এখানে সে কিভাবে এলো। কারণ সে তো নদীর পাড়ে ছিল। কিন্তু না এক সময় আবির ঠিক ঐ বুঝতে পারে সুস্মিতা এখানে নিয়ে এসেছে। সুস্মিতার হাতে খাবার। আবির বুঝতে পারে সুস্মিতা আবির কে এখন খাঁয়ে দিবে।
>> বড় করে আ. করো।
(সুস্মিতা)
.
আবিরও সুস্মিতার কথা মতো বড় করে আ. করে। আবির কান্না করছে।
>> কান্না করছ কেন?
>> আমার মা না আমাকে এভাবে খাঁয়ে দিতেন। আমাকে গল্প শুনিয়ে খায়ে দিতেন। মাকে এখন মনে পড়ছে সুস্মিতা।
সুস্মিতা আমি না সেদিন অনেক কেঁদে ছিলাম। আমার পাশে সেদিন কেউ ছিল না। আমি কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু কয়েকদিন পর আমি আর আমার বাবা মা দেখতে পাই নি।
ওরা দু'জন কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলেন। আমি সেদিন থেকে অনেক একা ছিলাম। কিন্তু আমি যখন তোমার সাথে পরিচয় হই সেদিন থেকে মনে করে ছিলাম। আমার পাশে একজন মানুষ আছে আর সে মানুষটা হলো তুমি।
সুস্মিতা কি বলবে বুঝতে পারছে না। শুধু আবিরের কথা শুনে যাচ্ছে। সুস্মিতা আবিরের চোখটা মুছে দেয়। আর আবিরের হাতটা শক্ত করে ধরে। আবির সুস্মিতার দিকে চেয়ে আছে। আবির দেখতে পাচ্ছে সুস্মিতা চোখে অনেক ভয়।
আবির সুস্মিতা কে তার মুখের ইশারা দিয়ে বলে ভয় পেয় না সুস্মিতা।
আর সুস্মিতা তার মুখের একটা সুন্দর হাসি উপহার দেয়। আবির এই হাসির মাঝে পৃথিবী সমস্ত সুখ খুঁজে পায়।
.
আবির ও সুস্মিতা ভার্সিটির ক্যাম্পাসে বসে আছে। সুস্মিতা মনে মনে কি ভাবতাছে। সুস্মিতা আবির কে উদ্দেশ্য করে বলে আমি একটা ছেলে কে অনেক আঘাত দেই। কিন্তু তবুও ওই ছেলেটাকে অনেক ভালোবাসি। কারণ ছেলেটা আমার অক্সিজেন। ছেলেটা কি আমার কথা শুনতে পারতাছে। শুনলে কোনো সাড়াশব্দ দেয় না কেন?
>> এখন দেখ আমার প্রতি কত মায়া প্রকাশ করতাছেন তাইন।
>> কি বললা?
এখন আমি আপনি হয়ে গেলাম।
ঠিক আছে আমি আর কারো সাথে কথা বলব না বলে দিলাম।
>> আচ্ছা।
>> কি আচ্ছা?
একদম বলে দিলাম। কোনো বাজে কথা বলবে না। আমি তোমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারব না।
>> তে আমি কি পারব?
>> আমি জানি না।
>> জানতে হবে না। আমি চলে গেলাম।
>> আরে শুনো না।
আমি জানি তুমিও আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না।
>> হি হি।
আমি তোমাকে ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে পারব না। কিন্তু তুমি শুধু আমার গালে চড় দেও কেন?
>> হি হি হি।
তোমার গাল টা বেশ নরম তাই চড় দেই।
এখন একটা চড় দিব।
.
কিন্তু তার আগেই আবির তার গালে হাত দিয়ে রেখেছে ।
তা দেখে সুস্মিতা মুচকি মুচকি হাসি দিচ্ছে।
.
লেখা : আহমেদ তাসকিন

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ