āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§¨ā§Ž āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2786

"নেশা এবং ভালোবাসা"
Written by:-মি. শর্টকাট

নদীর ধারে আমি আর প্রেয়সী মুক্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছি, আজ আমাদের বিবাহিত জীবনের এক বছর পূর্ণ্য হলো, এই উপলক্ষে অফিসের ব্যস্ততার ফাঁকে একটু ঘুরতে বের হওয়া,

হঠাৎ পাশে একটি ছেলে এসে দাঁড়ায়, তার হাতে সিগারেট, একটু পরপর সুখটান দিচ্ছে,
আহ্, মনে হয় কি শান্তি এই সিগারেটে, আমি তাকিয়ে আছি ছেলেটির দিকে, এমন সময় প্রেয়সী বলে উঠলো......
_এভাবে ঐদিকে তাকিয়ে আছো কেনো?! খেতে ইচ্ছে করছে নাকি?!
প্রেয়সীর কথায় চমকে গেলাম, কি বলে মেয়েটা, যা এক বছর আগে ছাড়লাম, তা আবার মুখে নিবো এটা অসম্ভব, আর আমার সিগারেটের সুখটান দরকার নেই, আমার সুখতো এখন শুধু প্রেয়সীর কাছে!!

প্রেয়সীকে না পেলে জীবনের মানে বুজতাম না হয়তো, এক সময় নেশা কে বন্ধু আর আপন ভাবতাম, প্রেয়সীর আগমনে এমন পরিবর্তন হবে তা ভাবনায় ছিলো না কখনো!!

পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো মনে পড়লে আজো নিজেকে কেমন যেনো মনে হয়.........

"এসএসসি লেভেল শেষ করে সবে ইন্টার লেভেলে পা রাখলাম, নতুন ক্যাম্পাস, নতুন পরিবেশে, নতুন মানুষ, নতুন কোন ঠিকানা, আর দূরত্বের কারনে মেসেই থাকার ব্যবস্থা, কলেজের নতুন দুটি ছেলের সাথে রুম ভাড়া করা হলো, এর মাঝে একজন ভালোই মোটা-সোটা, দেখলেই মনে হয় সিনিয়র কোন ভাই, প্রথম দিন রুমে এসেই উনি সিগারেট ধরালেন, আমি উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম, কারন আমার তখন সিগারেট হাতে নেওয়ার অভ্যাস চিলো না, আমার তাকিয়ে থাকা দেখে,
_ভাই কি সিগারেট খান?!
_মাঝে মাঝে খাই, তবে তেমন না (একটু ভাব-সাব নিয়ে)
_এই নেন তাহলে একটা ধরান (এ কথা বলেই একটি সিগারেট ধরিয়ে দিলো)
আমি তখন মানসম্মান রক্ষার্থে সিগারেট ধরাতে বাধ্য হলাম, বুজাতে দিতে চাচ্ছি না যে আমি আর সিগারেট খাইনি, ব্যাস, সেইদিন'ই আমার সিগারেটের হাতেখড়ি হয়, আর উনি হয়ে যায় আমার সিগারেট গুরু, এক সময় ঐ সিগারেট গুরু আমার বেষ্ট ফ্রেন্ডের তালিকায় চলে আসে, শালারে এখনো মাঝে মাঝে গালি দিই, কি নেশা ধরিয়ে দিলো, যা সহজে ছাড়তে পারিনি!!

কলেজ জীবন শেষ করে ভার্সিটি জীবনে আসা হলো, বুজতেই পারছেন আরো বড় হয়ে গেছি, শুধু সিগারেটে কি আর হয়?! আপডেট বন্ধু-বান্ধব, সবাই ডিজিটাল যুগের পোলাপান, সিগারেটের পাশাপাশি আরো কিছু চাইই, ড্রিংক পার্টি দিতে হবে মাসে মাসে,
বাহ্,
খুব অল্প সময়েই ভালো ভালো নেশার জগতে চলে গেলাম, নিজেকে নিয়ে গর্ব হতো, আমি সব খেতে পারি (নেশা জাতির দ্রব্য),
অন্যান্য বন্ধুদের তো সেই লেভেলের চাপা মারতাম,
দোস্ত আইজকা এইটা খাইছি, কালকে ঐটা খাইছি, তুই তো বেটা মাম্মি ডেডির পোলাপাইন, এগুলোর (নেশার) নাম শুনছস জীবনে?!
আর নেশার জন্য টাকার কোন অভাব হতো না, ফ্যামেলি থেকে প্রাইভেটের টাকা, বই কেনার টাকা, খাট কেনার টাকা, মাসে মাসে জামা কেনার টাকা, ঘুরতে যাওয়ার টাকা, সব টাকাই আসে, কিন্তু ব্যয় হয় নেশার দ্রব্য কেনার পেছনে,
মাসে একবার বাবা আসলেও, সেদিনের জন্য পৃথিবির একমাত্র লক্ষী ছেলে আমি হয়ে যেতাম, বাবা তো ভাবে....
বাহ্, আমার ছেলেটা কতো লক্ষী, একদিন বড় হবে, ভালো চাকরী করবে, নাম করবে আমার, এমন ছেলে জন্ম দিয়ে স্বার্থক আমি!!

কিন্তু, বাবা তো জানেনা, ছেলে অনেক আগেই বড় হয়ে গেছে, ছেলে তো এখন হুইস্কী, বিয়ার, ওয়াইন, বোটকা, ভ্যান্ডি, বাংলা, বাবাসহ সব কিছুর'ই নাম জানে আর স্বাদ গ্রহন করে!!

বাড়ীতে গেলে একটু সর্তকতা অবলম্বন করতে হতো, কিছুদিনের জন্য অন্য সব নেশা বন্ধ থাকলেও সিগারেট তো এক ঘন্টার জন্য ছাড়া সম্ভব না, লুকিয়ে লুকিয়ে সিগারেট খেতে হতো, তাই বাড়ি গেলে দুই দিনের বেশি থাকা সম্ভব হতো না, বাড়িতে গেলে মা বলে....
_বাবা, তুই দিন দিন তো শুকাই যাইতাছস, কি হইছে তোর?!
_তেমন কিছু নাহ, পড়ালেখার চাপ বেশি তো তাই হয়তো, পড়ালেখা শেষ হলে সব ঠিক হয়ে যাবে
_খাওয়া দাওয়া মনে হয় ঠিক মতো করিস না?!
_খাওয়া দাওয়া সমস্যা নেই মা, চিন্তা করবেন না সব ঠিক হয়ে যাবে!!
_বাবা, ভালো মতো পড়ালেখা করিস, আর নিজের প্রতিও খেয়াল রাখিস

পাড়ার চাচা, মামারা দেখলেই পড়ালেখার কি খবর তা তো জিজ্ঞাস করবেই, আমার একটাই উত্তর ছিলো "পড়ালেখা প্লেনের গতিতে চলতেছে" দোআ কইরেন!!

ওয়ান-নাইট পিপারেশনে কেমনে কেমনে প্রতি সেমিস্টার  ভালো করে পেলি, রেজাল্ট দেখে নিজেরই হাসি পায়, ভাবতে থাকি কেমনে পাশ করলাম.....

ভার্সিটি লাইফের শেষ পর্যায় এসে প্রেয়সীর সাথে ভালোবাসায় আবদ্ধ হই, আমার সব জেনে শুনেই প্রেয়সী রিলেশন করে, কিন্তু রিলেশনের দুইমাস পর আমার উপর খবরদারী শুরু করে, এটা খাওয়া যাবে না, ঐটা খাওয়া যাবে না, এভাবে চলা যাবে না, ঐভাবে চলা যাবে না, মানে আমার গুরু-দায়িত্ব খানা প্রেয়সী নিজের হাতে নিয়ে নেয়,

ব্যাপক টেনশনে পড়ে গেলাম, এতোদিনের আপন বন্ধুদের (নেশা) ছেড়ে থাকা তো সম্ভব না, আবার ভালোবাসার মায়া ছাড়াও সম্ভব না,

একদিন প্রেয়সী দুটি অপশন থেকে একটি নিতে বলে
হয় "নেশা" না হয় "ভালোবাসা"
আর আমিও লক্ষী ছেলের মতো নেশাটাকেই বেচে নিলাম, প্রেয়সী রাগে ক্ষোভে সেদিন চলে গেলো, সেই চলে যাওয়ার পর ব্যাপট টেনশন হচ্ছিলো, আর টেনশন নিবারনের জন্য তো জিনিস (নেশা) আছেই,
বাহ্, কি শান্তির জীবন, অল্পতেই ভুলতে বসলাম প্রেয়সীকে,
চলে যাওয়ার  একমাস পর হঠাৎ এক বন্ধু খবর দিলো প্রেয়সীর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, বিয়ের খবর পেয়ে পঁচা কলিজার কোন একটা সতেজ জায়গায় একটা ধাক্কা খেলাম, সেদিন বুজতে পারলাম প্রেয়সীকে সত্যি ভালোবেসে পেলছি,

তাই ভালেবাসার অধিকার নিয়ে আবার প্রেয়সীর কাছে গেলাম, অনেক আবেগ আপ্লুত হয়ে গেলাম তখন, এক সময় দেখি আমার চোখে জল, অবাক হয়ে গেলাম এটাও সম্ভব, আমার মতো ছেলের চোখে জল!!

কিন্তু প্রেয়সী আর পিরে আসার মতো না, দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলো মাতাল নেশা খোর বলে, মাতাল আর নেশাখোর শব্দটা তখন কেমন যেনো লাগলো, ইজ্জতের কোন একটা পাশে গিয়ে ধাক্কা খেলো,

সেদিন শূর্ন্য হাতে পিরে এলাম, বাসায় এসে রাতের আঁধারে নেশার জগতে হারিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলাম,
রাত তখন ১:০০ টা বাজে......ক্রিং ক্রিং শব্দ হচ্ছে ফোনে, ডিসপ্লেতে তাকিয়ে দেখি প্রেয়সীর নাম্বার ভেসে আছে, আবেগ আপ্লুত হয়ে কলটা রিসিভ করলাম
প্রেয়সী_তোমাকে আর একটা সুযোগ দিতে পারি, তবে শর্ত একটা, তুমি কোন নেশা করতে পারবে না!!
(কোন কিছু না ভেবেই প্রেয়সীর কথায় রাজি হয়ে গেলাম)
আমি_কিন্তু, তোমার না বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে?!
ললনা_ওটা কোন ব্যাপার নাহ, এটা আমি মেনেজ করবো, আগে তুমি শর্তে রাজি আছো কি না, তা বলো?
আমি_ হাজার বার রাজি, কিন্তু সিগারেট তো সহজে ছাড়তে পারবো না!!
ললনা_ওকে, সিগারেট খাবে, তবে কম করে খাবে!!
আমি_তাহলে ঠিক আছে!

সেদিনের প্রেয়সীর ঐ কথা রাখতে পারিনি, মাঝে মাঝে তবুও আসরে (নেশা) বসে যেতাম, যা প্রেয়সী জানতো না, ভালোবাসা তো চলছে দারুন গতিতে, নিয়মিত দেখা করা, কথা বলা, মুটোফোনে মিষ্টি মধুর আলাপ, রঙ্গিন রঙ্গিন সব স্বপ্ন, ঘর বাঁধার বাসনা, দুটি জীবন এক করার আশা!!
প্রতিনিয়ত সব খবরা খবর দিতে হতো প্রেয়সীকে, এর মাঝে জানতে পারলাম প্রেয়সীর বিয়ের খবরটা ছিলো সাজানো কঠিন মিথ্যে, আর মিথ্যেটা ছিলো আমাকে ভালো করার জন্য একটা চেষ্টা, এক সময় তার ভালোবাসার কাছে পরাজিত হলাম, বিবেক বলতে কিছু একটা আছে তা বুজতে পারলাম, আর মিথ্যে বলে প্রেয়সীকে ঠকাতে ইচ্ছে হলো না,

কঠিন সিদ্ধান্ত নিলাম আর নয় "নেশা" আর নয় "মিথ্যে"
এখন থাকবে শুধু ভালোবাসা আর ভালোবাসা!!

সেদিনের সেই সিদ্ধান্তে অটুট ছিলাম, ভার্সিটি জীবন শেষ করলাম, চাচা-মামা ধরে একটা চাকরী পেয়ে গেলাম, তেমন কোন ঝামেলা ছাড়াই প্রেয়সীকে বধু করে ঘরে তুললাম, বাসর রাতে ডুকার আগে জীবনের শেষ সিগারেটটা খেয়ে নিলাম,
কিন্তু ঐদিন রাতে আবার নেশায় পড়ে গেলাম, প্রেয়সীর প্রেমের নেশায়, এই নেশাটা আর কাটাতে চাইনি, এই নেশায় মাতাল হয়ে থাকতে চাই সারাটি জীবন!!"

দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে গেলো, অফিসের ব্যস্ততার কারনে তেমন ঘুরতে আসা হয়না, তাই আজকের দিনটি মিস করতে চাইনি.....
এইতো নদীর ধারে দাঁড়িয়ে আছি মুক্ত মনে, বাবার প্রতিষ্ঠিত ছেলে হয়ে, মায়ের যৌগ্য সন্তান হয়ে, আর প্রেয়সীর মনের মতো ভালোবাসার মানুষ হয়ে!!

হঠাৎ প্রেয়সীর কথায় ভাবনা থেকে বাস্তবে পিরে এলাম..
_কি হলো চুপ করে দাঁড়িয়ে কি ভাবচ্ছো?!
_তোমাকে  ভাবছি, আমার জীবনে তুমি না এলে জীবনের মানে বুজতাম না হয়তো!!
_আমাকে নিয়ে আর এতো ভাবতে হবে না, এখন নতুন কাউকে নিয়ে একটু ভাবো!!
_নতুন কাকে নিয়ে ভাববো?!
_আমাদের বাবুকে নিয়ে!!
_মানে?!
_মানে তুমি বুজো না? তুমি বাবা হতে যাচ্ছো!!

প্রেয়সীর কথা শুনে কিছু বলার ভাষা তো খুঁজে পাচ্ছি না, প্রেয়সী কি বলে?! এমন খুশির সংবাদ শুনে আমি তো পাগল হয়ে যাচ্ছি, প্রেয়সীর চোখের দিকে তাকিয়ে আছি, চোখে জল চলে আসলো মনে হয়, আমি আবারো নেশায় পড়ে গেছি, প্রেয়সীর চোখের নেশায়!!

বি. দ্র:- জগতের সেরা নেশা লুকায়িত আছে নারীর ভালোবাসায়, একটু চেষ্টায় একজন নারী পারে খারাপ একটি ছেলেকে ভালো করতে,
ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হোক প্রতিটি জীবন, প্রতিটি জীবন সুখি এবং সুন্দর হোক!!

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ