গল্প: ভালবাসার বিস্ময়।
লিখা: মো: শারাফাত হোসেন শান্ত(মায়াবতীর জামাই)
-আজকে অফিস থেকে দুপুরের আগেই এসে পড়বো।
-আমি দরজার কাছে আসতেই মিতু আমাকে বল্লো তাড়াতাড়ি আইসেন, দুপুরে একসাথে খাব।
-ঠিকআছে। কেউ আসলে কে তা দেখে দরজা খুলবেন আর অপরিচিত কেউ আসলে আমাকে ফোন দিবেন, আসি।
আমি শারাফাত আর যার সাথে এতক্ষন কথা বলছিলাম সে হলো আমার স্ত্রী। আজ একমাস পূর্ন হলো আমাদের বিয়ের। আমাদের বিয়েটা পারিবারিক ভাবে হলেও বিয়ের আগে আমরা প্রেম করেছিলাম। কিন্তু বেশিদিন না। তো অনেকেই ভাববেন প্রেমের বিয়ে তো আপনি করে কেন কথা বল্লাম। তো বলি সেই ঘটনা।
পড়ার পর চাকরি আর চাকরির পর বাসা থেকে বিয়ের জন্য চাপ আর সেই চাপথেকেই মেয়ে দেখতে যাওয়া। মেয়ে দেখতে যেয়ে মেয়ে পছন্দ। বিয়ের জন্য পাকা কথা, ফোন নাম্বার আদান-প্রদান। তো বসায় এসে রাতে মেয়েকে ফোন দিলাম, কথা বলতে বলতে হঠাৎ প্রশ্ন করলো -কখনও প্রেম করেছি কিনা?
-আমারো সোজা-সাপটা উত্তর "না"।
-তা কেন?
-তেমন কাউকে পাইনি তাই।
-তা এখনতো করতে পারেন তাইনা।
-মানে!
-মনে বিয়ের আগে আমাদের প্রেম।
-হুম করা যায়।
-জানেন আমিও করোর সাথে প্রেম করিনি। আমার একটা ইচ্ছে ছিল যার সাথে আমার বিয়ে হবে তার সাথে বিয়ের আগে আমি প্রেম করবো।
তারপর তার ইচ্ছায় বিয়ের সময় পিছিয়ে নিয়ে প্রেম করেছি।
এভাবেই টুকটাক কথা হতে লাগলো।
মাঝে মাঝে তুমি করে, মাঝে মাঝে আপনি করে বলতাম। তো একদিন উনি প্রশ্ন করলেন -বিয়ের পর তাকে আপনি, তুমি না তুই কীভাবে ডাকবো?
-সমবয়সী রিলেশন গুলাতে অনেকেই তুই করে বলে,আর তাছাড়া আমরা সমবয়সীও নই। আর বিয়ের পর বাচ্চা তো হবেই তাদের সামনে তুই বলাটা কেমন যেন শোনাবে। বাকি রইলো তুমি আর আপনি।সাধারনত সবাই তুমি করেই বলে। আপনিটা তেমন কেউ বলে না।
-কেন?
-আপনিটা কেমন লাগেনা।
-আমারতো আপনিটাই ভাল লাগে। আর আপনি বলাটা একটু ব্যতিক্রমও, আর যেহেতু আমাদের প্রেমটা ব্যতিক্রম ভাবে হয়েছে সেহেতু আমাদের মাঝে একটু ব্যতিক্রমতম কিছু হলে ক্ষতি কী।
সেইথেকে আমাদের আপনি বলা শুরু।
আর অফিস থেকে দুপুরের আগেই যাব বলেছি কিন্তু আজকে অফেসেই যাইনি। কেননা আজ একটা বিশেষ দিন, আজ আমাদের বিয়ের একমাস পূর্ন হলো। আজকে অফিসে না গিয়ে তার জন্য একটা নতুন শাড়ি আর রাঙ্গামাটি যাওয়ার জন্য বাসের দুটো টিকেট কিনেছি। তাকে একবার প্রশ্ন করেছিলাম বাংলাদেশের কোন জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছে আছে?
উনি জবাব দিলেন রাঙ্গামাটি।
-বল্লাম কেন?
-কেননা একেতো লাল মাটি তার উপর পাহাড়ি রাস্তা, একসাথে দুটো সুন্দর নিদর্শন দেখতে পাওয়া যাবে। আর আমার হাত ধরে লাল মাটির পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটতে চায়। অফিস থেকে ছুটি আগেই নেওয়া হয়ে গেছে। তাই বেড়াতে যেতে কোন সমস্যা হবার কথা না। আমি ভাবছি মিতুর কথা।এত কষ্ট করে এতো আয়োজন করলাম, ও খুশি হলেই আমার ভাল লাগবে।
এখন গাড়ি করে বাসার দিকে যাচ্ছি আর বসে বসে মিতুর আবাক সাথে খুশি হবার মুখ কেমন হবে তা ভাবছি। আলাদা একটা অনুভূতি হচ্ছে। কেমন খুশি খুশি লাগতেছে।
-----------সমাপ্ত -----------
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ