āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§¨ā§Ž āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2778

---আচ্ছা স্যার, আমি যদি আপনার সাথে একটু হাটি,অাপনি কিছু মনে করবেন?
---না……
---ওকে ধন্যবাদ……
দুজনা নিরব ভাবে পাশাপাশি হাটতে থাকে। আগে তার স্যার, পিছে মেয়েটা। মেয়েটা কথা বলার জন্য মুখিয়ে আছে! কিন্তু তার স্যার কোন কথাই বলছে না
নিরবতা ভেঙ্গে মেয়েটিই কথা বলে……
---আচ্ছা স্যার আপনি কি সবসময়ই এমন গম্ভির থাকেন?
---কই না তো!
---তাহলে কথা বলছেন না যে……
---কি বলব, কিছুই খুজে পাই না!
---জানেন, গম্ভীর মানুষ যারা কথা কম বলে, তাদের আমার একদমই পছন্দ হয় না……
---হুম, জানলাম……
---আপনি কি বিরক্তিবোধ করছেন?
---একটু! তবে সমস্যা নেই……
---আচ্ছা স্যার আপনার একাকিত্ব ভাললাগে?
---হুম
---জানেন, আমি একমূহুর্ত একা থাকতে পারি না, কথা ছাড়া থাকতে পারি না।
হঠাৎ একটা বাড়ির সামনে স্যার দাড়িয়ে যায়। তার দৃষ্টি ফাকা বেলকুনির দিকে! পুরোটা বেলকুনি ফাকা ধু ধু মরুভূমি। সেখানে কিছুই নেই। তবে স্যার সেদিকে তাকিয়ে হালকা হাসছেন! মাঝে মাঝে মুখের বিভিন্ন ভঙ্গি করছেন। সেটা নিরব দর্শকের মত চেয়ে দেখছে মেয়েটি।।
-.
মেয়েটির নাম নীলা। তার কথিত স্যারের নাম রাজ। রাজের সাথে সে একই অফিসে কাজ করে। রাজ তার বস। মানুষ গম্ভীর, কথা কম বলে, একা থাকে। এখানে বাসাতেও একা। বাড়িতে নাকি তার কেও নেই!
নীলার ভালো লাগে রাজকে। সে ভালবাসে এবং বাসতে চায়। বিভিন্নভাবে রাজকে বুঝানোর চেষ্টা করলেও সম্পূর্ণই বৃথা গেছে……
-
---আচ্ছা স্যার আপনি কি কাউকে ভালবাসেন?
হঠাৎ নীলার কথাই ঘোর ভাঙ্গে রাজের। সে দ্রুত বেলকুনি থেকে চোখ নামিয়ে পথ চলতে শুরু করে দেই!
---হুম
---তার নাম কি?
---অপরাজিতা!
---যদি তার সম্পর্কে একটু বলতেন?
---শুনবে? সে অনেক কাহিনী……
---চলুন ওখানটাই বসি! তারপরে বলুন আপনার কাহিনী……
রাজ আর নীলা সবুজ ঘাসের উপরে বসে পড়ে। পড়ন্ত বিকেল। রাজ তার প্রেমের গল্প বলতে শুরু করে দেয়……
→তখন আমি অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র। খুব হই হুল্লোর আর মজা মাস্তিতে দিন কাটাতাম। আমার আনন্দের কোন শেষ ছিল না। ছাত্র হিসেবে ভালো ছিলাম। অনেক মেয়েই তখন পিছু নিত। চেহারাটা এখনকার থেকে ভালো ছিল কি না! তবে আমি কখনো সেদিকে পা দিতাম না।
২য় বর্ষের শেষের দিক হঠাৎ ভাগ্যের চরম পরিহাসে একটি এক্সিডেন্টে বাবা-মা মারা যায়। আমি হয়ে যায় একা। এদিকে ইয়ারের ফাইনাল পরিক্ষা হয়ে যায়। আমার শোক কাটে না। ৬ মাস পরে আমি আমার চিরাচরিত গ্রাম ছাড়ি। একেবারেই ছাড়ি। এসে আবার পড়াশোনা শুরু করে দেয়।
ঠিক তখন থেকে আমার সবকিছু ফুরিয়ে গেছে। কথা কম বলি, কারো সাথে মিশি কম। সবকিছুই ছেরে দেয়। ধীরে ধীরে বন্ধুবান্ধবদেরও! আমি একা, একদম একা হয়। সেটাই ভালো লাগত। হঠাৎ একদিন একটা মেয়ে আচমকা হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়……
---আপনি এতদিন কই ছিলেন?
---বাড়িতে……
---কেন? এতদিন কেউ বাড়িতে থাকে? জানেন আমি আপনাকে কত খুজেছি!
এরপরে মেয়েটাকে সব ঘটনা বলি। সে সব শুনে কেদে ফেলে। এভাবেই তার সাথে পরিচয় হয়। একসময় ভালো বন্ধুত্ব থেকে, ও বলেই দেয় অনেক আগে থেকেই আমাকে ভালবাসার কথা। আমি ওকে ফিরাতে পারি নি। অনেক ভালবাসতাম, আর এখনো ভালবাসি। ও আমার পুরো জীবনটা বদলে দেই। আমি আবারো নতুন করে জীবন শুরু করার স্বপ্ন দেখি। নতুন করে নিজেকে ফিরে পায়। নতুন করে বাচতে শিখি। কিন্তু সুখ বেশিদিন টিকল না! হঠাৎ সেও আমাকে একা করে পরপারে পাড়ি জমালো। অজানা অসুখে কিছু বুঝে উঠার আগেই মারা গেল! আমি একা একাই হয়ে গেলাম। আবারো ভেঙ্গে পড়লাম। তারপরে এখন পর্যন্ত এই অবস্থা। জীবন আর ভালো লাগে না। মূত্যু কামনা করলেও খুব দ্রুত হবার সাম্ভবনাও দেখি না!"!
যে বেলকুনির দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ওটাই ওর বাসা। আগে প্রতিদিন অপরাজিতা বেলকুনি দাড়িয়ে থাকত, কখনো বা গোসল করে চুল শুকাতে আসত। আমি এই পথ দিয়ে ওর সাথে দেখা করতাম। এখনো বেলকুনিতে তাকালে ওকে দেখতে পাই। ওর হাসি, ভেজা চুল, সেই চাউনি। ও আমাকে প্রতিদিনের শক্তি জোগায়!
-
সন্ধ্যা পেরিয়ে কিছুটা রাত হয়েছে। আকাশে চাদ দারুণ আলো দিয়ে যাচ্ছে। সেই আলোতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে নীলার চোখের পানি ঝিকমিক করছে।
---চল, এবার তোমাকে বাড়িতে পৌছে দেয়……
---একটা কথা বলব?
---হুম বল……
---আমি আপনাকে ভালবাসি……
---তোমাকে সবই বললাম। মনটা তো দিয়েই দিয়েছি। এই শরীরটা ছাড়া তোমাকে দেবারর মত কিছুই নেই……
---তবুও আমি আপনাকে ভালবাসি, আমাকে একটা সুযোগ……
প্লিজ……
আর বলতে পারে না নীলা। চোখের পানি, গলার স্বর সব এলোমেলো হয়ে যায়। সে রাজকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা রাখে। কবি হইত এমন একটা দৃশ্য দেখলে কবিতা লিখে ফেলত……
সে কি সুন্দর ঐশর্যিক সৌন্দর্য!
চাদের আলোয় মন কারল……
-
#লেখায়: Sajib Akanda (দুঃখ-কষ্ট)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ