গল্পঃ “কোলবালিশ” [স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসা]
.
“অফিসের কাজ শেষ করে তারাতারি বাসায় ফিরলো আতিক। শরীরটা বেশ ক্লান্ত লাগছে, তাই কিছু খেয়ে দ্রুত ঘুমালেই ভাল হবে।”
সে তার ঘুমের সাথী কোলবালিশটা নিয়ে ঘুমাতে যাবে, ঠিক ঐ সময় তার স্ত্রী মাসুমা বলে উঠলো, “আজ এই বাড়িতে আমি থাকবো না হয় সতীন কোলবালিশটা থাকবে। এই বলে কোলবালিশটাকে খাট থেকে মাটিতে ছুড়ে মারলো।”
[“ছুড়ে মারারইতো কথা, কেননা কোলবালিশ নিয়ে ঘুমাবে যারা বিয়ে করেননি, কিন্তু বিবাহীতরা কেন? যথাযত হয়েছে।”]
আতিক কোন রাগ না করে গান গাইতেছে..
বেচে থেকে লাভ কি বল?
তোকে ছাড়া...
এ জীবন অসহায়।
.
মাসুমা রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে বলে উঠল, “ব্লা ব্লা কোলবালিশ ছাড়া জীবন অসহায়রে। ও খোদা, আমি আর বাঁচতে চাই না।”
.
“আমি কত সুন্দর একটা বউ থাকাতে, তুমি কোল বালিশ নিয়ে ঘুমাও। আবার গানও বের করেছ, ‘বেচে থেকে লাভ কি বল....?’ মানে কি কোলবালিশ ছাড়া মরে যাবে বুঝি। তাইলে আমারে বিয়া করার কি প্রয়োজন ছিল? তোমার চক্ষু লজ্জা করা উচিৎ যে, ‘একই রুমে একই খাটে নিজের স্ত্রীকে রেখে, একটা জড় বস্তুকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানো আমার ঠিক হচ্ছে না’।”
.
আতিক বললো, “পাগলে কি বলছে আর ছাগলে কি শুনছে। আমি বললাম তোমাকে ছাড়া আমার জীবন অসহায়, অচল। আর তুমি কি না ঐ নিষ্পাপ কোলবালিশটাকে আমার সাথে মেনশন করে দোষারোপ করতেছ। এটা কি তোমার ঠিক হচ্ছে?”
“মাসুমা একটা মৃদ্যু হাসি দিয়ে বললো...
— বড় ভালবাসি তোমারে। তুমি কেন বুঝনা?
— শুন মাসু, কারো ব্যক্তিগত জিনিস নিয়ে তামশ্যা করলেই ভালবাসা প্রমাণিত হয় না। আপন মানুষ সুখি থাকলেই ভালবাসার গন্ধ পাওয়া যায়।
— তা বুঝলাম। কিন্তু আমি এটাই বুঝাইতে চেয়েছি যে, বিশ্ব নবী (স.) এর ঘরে খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী সব সময় না থাকলেও তার ঘরটি ভালবাসা দিয়ে পরিপূর্ণ ছিল।
— দেখ, তিনি ছিলেন সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ মানব। সুতরং তার সাথে আমাদের তুলনা করলে চলবে! আর আমাদেরও বা ভালবাসার কমতি কোথায়।
— কমতি কোলবালিশ! আর এখানে তুলনা করার কথা কি বলা হয়েছে? স্বয়ং রাসূল (স.) আমাদের জন্য পথপ্রদাশক। তিনি যা বলেছেন এবং বাস্তবায়িত করেছেন, তা সমস্ত উম্মতে মুহাম্মাদীকে মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।
— হুম্ম তা ঠিক আছে। [আমার মাথায় ঢোকে না যে, “স্ত্রী স্বামীর সাথে ঝগড়া করে তার পুরোপুরি হক আদায় না করলে। কিন্তু কোলবালিশ নিয়ে কেন? রহস্য আছে নিশ্চিত।”]
— রাসূল (স.) বলেছেন, “যে স্বামী তার স্ত্রীর দিকে একবার ভালবাসা/নেক দৃষ্টিতে তাকায় তার উপর আল্লাহ তায়ালা দশটি করে রহমত বর্ষিত করে।” কি, তুমি কি তাকাও আমার দিকে ঐ দৃষ্টিতে?
— আহারে, পাগলিটা আমারে কত নসিহত করে! এইতো তাকিয়ে আছি তোমার দিকে ভালবাসার দৃষ্টিতে।
.
[মাসুমা অভিমান করে মুখটা পিছনে ঘুরিয়ে বলতেছে, “জ্বি না জনাব, এভাবে নয়, আগে কোলবালিশকে ডিভোর্স দিবে তারপর।”]
.
— আচ্ছা তোমার কোলবালিশ নিয়েই যখন এত আপত্তি, ওয়াজ, নসিহত। তাহলে তা ত্যাগ করব নিশ্চিত এবং আজ থেকেই করলাম। কিন্তু শর্ত আছে।
— কি শর্ত বলুন। আমি মেনে নিতে রাজি আছি।
— আমার ঘুমের সাথী ছিল কোলবালিশ। সেটাওতো এখন আর থাকছে না। সুতরাং আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তোমার।
— ওমা, তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিব, এটা কি করে সম্ভব?
— অভ্যাসের দাসত্ব একজন মানুষ নির্দিধায় কোলবালিশ ত্যাগ করবে, এটা কি করে সম্ভব?
— উফ বলনা, কিভাবে তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিব?
— কেন? তুমি না সুন্দর সুন্দর গল্প, গান, সংগীত, দ্বীনি কথা বলতে পার। আমার বুকে মাথা রেখে তা আমাকে শুনাবে; আর আমি শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পরব।
— ও আচ্ছা! এই ব্যাপার, তাইলে শুরুটা তোমাকে দিয়েই হউক। বলো, তোমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটা সত্য ঘটনা।
.
“কোলবালিশ নিয়েই যখন এত কিছু, তাইলে কোলবালিশের ব্যাপারে একটা সত্য ঘটনা বলতেছি...
আমার বয়স তখন ১৪-১৫ হবে। আমি তখন এই রুমে একাই ঘুমাইতাম। কুরবানীর গরু যবেহ করা ছুরি থেকে যাবতীয় জিনিসপত্র আমার রুমেই রাখা হত। একদিন অনেক রাত হয়েছে তবুও চোখের পাতায় ঘুম আচ্ছিল না।
কি করবো ভেবে না পেয়ে সোয়া অবস্থা থেকে খাটের মধ্যভাগে বসে পরলাম।
.
কিন্তু কোন শয়তান যে আমাকে বুদ্ধি দিয়ে গেল, “এতবড় খাট! আর তুই মানুষ থাকিস একায়! তোর ঘুম ধরবে কিভাবে? সাইজ মতো কেটে ফেলা।”
.
বুদ্ধি মাথায় আসা আর কাজ শুরু। আলমারি থেকে গরু যবেহ করা ছুরি বের করে স্কেল দিয়ে মেপে কাটত শুরু করলাম। আর তৎক্ষণে আমার রুমে শব্দ শুনতে পেল আম্মু। দরজা ধাক্কা দিয়ে রুমে প্রবেশ করল।
— এই তুই এটা কাটছিস কেন?
— না মানে আম্মু। আমি একায় থাকি তাই এতবড় খাটের কি প্রয়োজন?
— তাই জন্যে তুই এভাবে কেটে নষ্ট করবি?
— তো কি করমু আম্মু? একায় একায় এতবড় খাটে আমার ঘুম আসে না।
— হুম্ম বুঝতে পারছি...
এই বলে আম্মু আমাকে একটা কোলবালিশ এনে দিয়ে বললো, এই নে তোর বউমা। এখন আর ঘুমের সমস্যা হবে না।
.
“জানো মাসুমা, আমি সেইদিন নিজের বোকামি আর আম্মুর মুখে বউমা শব্দটি শুনে ভীষণ লজ্জা পেয়েছিলাম। কিন্তু আম্মু আজ দুনিয়াতে নেই। নিরবে তার জন্য খুব কান্না আসে। তার কথা খুব মনে পরে। আম্মু আমার মনের কথাগুলো সহজেই বুঝতে পারত। কেন জানিনা, ঐ কোলবালিশটা নাকের কাছে আনলেই মায়ের হাতের পরশের গন্ধ পাই।”
.
“এদিকে মাসুমা আনন্দের সহিত আতিকের বুকে মাথা রেখে নিরবে ঘটনাটি শুনছিলো। কিন্তু শেষের কয়েকটা কথা তার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরাতে বাধ্য করল।
নিজেকে কেন যেন আজ অত্যাচারি মনে হচ্ছে।”
.
লেখাঃ কাওছার আজাদ (আতিক)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ģ āϏেāĻĒ্āĻেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
2322
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§§:ā§Ēā§Ē AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ