āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ē āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3953

রাতের বেলা গাড়িটা চালতে আসলেই একটু মজা লাগে ! পুরো রাস্তা পাওয়া যায় ফাঁকা ! ইচ্ছা মত স্পিড তোলা যায় ! আর সব থেকে মজার ব্যাপার হল দিনের বেলায় যে রাস্তায় ২০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালানো যায় না এই রাতের বেলা সেখানে ১২০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালানো সম্ভব ! আমি গাড়ির গতি আর একটু বাড়িয়ে দিলাম । এটাতে ১২৯ কিলোমিটার পার আওয়ার পর্যন্ত ওঠে ! দেখা যাক আজকে কত দুর তুলতে পারি ! যখন ১১০ পর্যন্ত উঠেছে তখনই পেছনে সাইরেন শুনতে পেলাম ! সর্বনাশ ! পুলিশ ! এতো রাতে ! ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি প্রায় দুইটা বেজে গেছে ! এতো রাতে তো পুলিশের থাকার কথা না ! কাজ সেরেছে !আমি লুকিং গ্লাসে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম ! সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির গতিও কমিয়ে আনলাম ! পুলিশের গাড়িটা আর একটু কাছে আসেই আমার বুকটা একটু ধক করে উঠলো ! আবারও সর্বনাশ !এতো র‌্যাবের গাড়ি ! র‌্যাব জিনিসটা সবাইই একটু ভয় পায় ! আমিও একটু ভয় পাই । যদিও খুব একটা ভয় পাওয়ার কারন নাই ! আমার বড় মামা র‌্যাবে আছেন । কোন সমস্যা হলে সামলানো যাবে ! তবুও এই রাতের বেলা যদি র‌্যাবের গাড়ি আপনার গাড়ির পিছু নেয় ভয় পাওয়ার কারন আছে বৈকি ! আমি গাড়ি গতি কমিয়ে আনতে আনতে একেবারে কমিয়ে আনলাম ! আর তখনই র‌্যারের গাড়িটা আমাকে ক্রস করে সামনে চলে এল ! মনে একটা ক্ষীণ আশা ছিল যে হয়তো গাতিটা আমাকে ওভার টেক করে চলে যাবে । কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি ! গাড়িটা থামলো ঠিক আমার গাড়ির সামনে ! বাধ্য হয়ে আমাকেও গাড়ি থামাতে হল ! থামানোর সঙ্গে সঙ্গেই দুজন কালো পোষাক পরা অফিসার আমার গাড়ির দিকে এগিয়ে এল ! কালো পোষাক, কালো বুট আর মাথায় কালো স্কার্প ! চোখের কালো চশমাটা দেখা যাচ্ছে না ! একজন দাড়ালো আমার গাড়ির সামনে !  মনে হয় নাম্বার প্লেট চেক করছে ! আর একজন আমার গাড়ির জানলার কাছে । আমার দিকে কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল ! আসলে ওরা ভেবেছিল আমি হয় গাড়ি চুরি করে পালাচ্ছি ! অথবা রাতের বেলা ঢাকার কিছু অভিজাত ঘরের ছেলে মেয়ে রাস্তায় বের হয় গাড়ি নিয়ে ! রেস করে ! কিন্তু আমার গায়ে অফিসে ফরমাল পোষাক দেখে লোকটি কিছুটা ইতস্তত করতে লাগলো !দেখলাম যে লোকটা আমার গাড়ির নম্বর প্লেট দেখছিল সেও প্রথম লোকটাস এসে দাড়ালো ! দুজনের চোখা চোখি কিছু কথা হল ! কিছু একটা ইশারা করলো মনে হয় ! আমি গাড়ির কাচ নামালাম ! -কোন সমস্যা অফিসার ?প্রথম জন আমার দিকে তাকিয়ে বলল-কোথায় যাচ্ছেন ?-বাসায় যাচ্ছি ! -এতো রাতে ?-জি ! অফিসে একটু কাজ ছিল ! বের হতে হতে একটু দেরি হয়ে গেছে !-কোন অফিস রাত দেড়টা পর্যন্ত চলে আমার ধারনা ছিল না ! আমি কেবল অবাক হয়ে তাকালাম কিছুক্ষন ! কারন কথাটা লোক দুজনের মুখ থেকে এবর হয় নাই ! বের হয়ে হয়েছে একটা মেয়ের কন্ঠ থেকে ! এই রাতের বেলা মেয়ে কন্ঠ !!আমি লোক দুটোকে ছাপিয়ে ওদের গাড়িটার দিকে তাকানোর চেষ্টা করলাম !ল্যাম্পপোষ্টের হলুদ আলো পড়েছে র‌্যাবের গাড়িটার উপরে !  র‌্যাবের গাড়ির গায়ে হেলাম দিয়ে একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে ! কালো র‌্যাবের  পোষাক পরে আছে ! তবে মেয়েটার পোষাক টা ঠিক র‌্যাবের  পোষাকের মত না ! মানে এতো ঢিলা ঢোলা না ! বেশ টাইট ফিটিং ! বিশেষ করে মুভির নায়িকারা যখন কোন পুলিস অফিসারের রোল করে তখন যে টাইপের ড্রেসআপ করে সেই রকম ! কোয়াইট হট !! কোন র‌্যাবে এমন সুন্দর মেয়ে আছে ?ও মাই গড ! দেখলাম আমার সামনের দুজন লোক একটু দুরে সরে গেল ! মহিলা অফিসার আমার দিকে এগিয়ে এগিয়ে আসতে লাগলো ! আমি নায়িকার চেহারাটা আরো ভাল করে দেখতে পেলাম ! হলুদ আলোতে মনে হচ্ছে ....কি মনে হচ্ছে থাক ! সব কিছু বললে আপনারা আবার আমাকে বদ পুলা বলবেন ।আরো একটু কাছে আসতেই দেখলাম এই মহিলা অফিসার কালো চশমা পরেছে ! হিরোইন স্টাইল ! আর মাশাল্লা ! একটু আগে যে বলেছি মহিলা আসলেই মুভির হিরোইন দের মত দেখতে ! আমার দিকে এগিয়ে এসে বলল-এতো কোন অফিস খোলা থাকে ?আহা ! এই কন্ঠ নিয়ে আপনার তো কোন নিউজ চ্যানলের সংবাদ পাঠিকা হওয়ার দরকার ছিল ! আপনি র‌্যাবে কি করেন ! নাহ ! ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ! আমি বললাম -আসলে ম্যাম ....।-বাইরে আসুন !আমি গাড়ির দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসলাম ! -ম্যাম ! আমার...।-আপনার আইডি কার্ড দেখান ?কি রে ভাই ? এতো ভাব নেয় কেন ? কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না ! আসলে মেয়েটা তার কথা বার্তায় একটা কাঠিন্য আনতে চাচ্ছে কিন্তু খুব একটা কাজ হচ্ছে না ! এতো মিষ্টি কন্ঠস্বর থেকে ধমন শুনতে ভালই লাগছে ! আমি আইডি কার্ড বের করে দিলাম ! মহিলা র‌্যাব অফিসার কিছুক্ষন আমার আইডি কার্ডের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল-কোন অফিসে চাকরী করনে আপনি ?-আমার মনে হয় আপনি পড়া লেখা জানেন ?মহিলা অফিসার আমার দিকে সরু চোখে তাকালো ! আহা ! মেয়েটা চেহারায় আরো যেন একটা আবেদনময় ফুটে উঠলো ! আমি নিশ্চিত যদি এখন এই মেয়ে র‌্যাবের পোষাক না পরা থাকতো তাহলে একটা কাজই হত !কি কাজ হত ?বলা যাবে না !    মহিলা অফিসার আমার দিকে শীতল গলায় বলল -যা জানতে চেয়েছি তার সোজা এবং সহজ উত্তর দিবেন আশা করি ! আমি আামর অফিসের নাম বললাম ! -এতো রাতে বাসায় যাওয়া কারন ?-আসলে ম্যাম ! ঐ এটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি তো । একটা ভিডিও কনফারেন্স ছিল ! আর বোঝেনই তো ওদের সময় আর আমাদের সময় ঠিক এক না ! তাই এতো দেরি ! আমার কেন জানি মনে হল মহিলা অফিসার আমার কথায় ঠিক সন্তষ্ট হল না ! -শফি ! দেখলাম দাড়িয়ে থাকা দুজন অফিসের একজন এগিয়ে এল ! -জি ম্যাম ! -গাড়ি চেক কর ! আমার তো মনে হয় এখানে কিছু আছে ! তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল-চাবি ! আমি চাবি এগিয়ে দিলাম ! দেখলাম শফি মিয়া অনেক খোজা খুজি করলো আমার ডিক্কির ভিতর ! কিছু পেল না ! যখন আবার আবার আমাদের সামনে এল তখন তার মুখে হতাশা ! মহিলা অফিসারও একটু হতাশ হল ! কিছুক্ষন কি যেন ভাবলো । তারপর -ঠিক আছে আপনি আসতে পারেন ! এতো রাতে ঢাকায় রাস্তায় ঘোরাঘুরি করবেন না ! আমি তখনও তার দিকে তাকিয়ে আছি ! বিশেষ করে তার চোখ চ দুটো আসলেই কেমন নেশা ধরিয়ে দেয় ! মহিলা অফিসার তার সাথে দুই অফিসার কে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যত হল ! আমি পেছন থেকে বলল-মিস সুরাইয়া !তিনজনই দাড়িয়ে গেল ! আমার দিকে পিছন ফিরে তাকালো ! -আমাকে কিছু বলছেন !-আপনার নামতো সুরাইয়াই ! তাই না ? আপনার আইডি কার্ডে তো তাই লেখা আছে ! একটা কথা বলতাম ! -বলুন ! -আপনার অফিসার দের যদি একটু দুরে যেতে বলতেন !-কেন ?-না মানে ! কিছু না ! সুরাইয়া বলল-বলুন ! -আপনার চোখ দুটো অনেক সুন্দর ! আপনি র‌্যাবে না থাকলে আমি নির্ঘাত আপনার প্রেমে পড়ে যেতাম ! দেখলাম সুরাইয়ার চোখে এক টা বিশ্ময় ! আসলে কেউ যে ওকে এই কথা বলতে পারে এটা ও ভাবতেই পারে নাই !  আমি আরো কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলাম মহিলা র‌্যাব অফিসারের দিকে !  সুরাইয়া আমার দিকে এগিয়ে এল ! আবারও শীতল কন্ঠ বলল-আপনার সাহস তো কম না ! ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে রুলের ডলা দিলে ঠিক হয়ে যাবে ! আমি হাসলাম ! -যদি আমার সাথে একদিন লাঞ্চে যেতে রাজি হোন তাহলে ১০ দিন রুলের বাড়ি খেতে রাজি আছি ! এবারও দেখলাম সুরাইয়া শীতল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ! আহা ! কি সেই দৃষ্টি !একটু একটু রাগ যেন উঠছে ! নিজের রাগ কে দমানোর চেষ্টা করছে ! আমি শফি সাহেবের দিকে তাকালাম ! যদিও অন্ধকার ল্যাম্পপোষ্টের আলোতে তাদের চেহারা বেশ ভালই দেখা যাচ্ছে । দুজনের চেহারায় একটা হাসি হাসি ভাব ! আমার কথায় তারা দুজনেই বেশ মজা পেয়েছে ! আমি শফি সাহেব দিকে তাকিয়ে বললাম-শফি সাহেব, আপনাদের সুরাইয়া ম্যাম কি বিবাহিত ?-জি না ! ম্যাম গত মাসেই আর্মী থেকে এখানে এসেছে ! -শফি গাড়িতে বস ! সুরাইয়া ধমক দিয়ে উঠল ! তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল-আর একটা কথা যদি বলেছেন তাহলে সত্যি সত্যি কিন্তু আপনার খবর আছে ! সুরাইটা কন্ঠটা একটু কাঁপছে ! তারমানে সত্যি সত্যি রেগে গেছে ! -আচ্ছা ! ম্যাম ! আপনি রেগে যাবেন না ! আমি না হয় পারিবারিক ভাবেই  প্রস্তাব পাঠাবো ! সুরাইয়া আর কোন কথা বলল না ! সোজা পিছন ঘুরে হাটা দিল ! -মিস ! একটু শুনেন প্লিজ !  আর কোন কথা হল না ! মহিলা র‌্যাব অফিসার গাড়িতে করে চলে গেল ! আমি দাড়িয়ে রইলাম ! পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমি হাত নাড়লাম গাড়ির দিকে !

অপু তানভীর

āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3952

মায়া,এই মায়া।
'
এলার্মের শব্দে ঘুমটা ভেঙে গেলো।সবাই বলে পাশে বউ থাকলে এলার্মের আর দরকার হয় না।সারাদিন সেটাই বাজতে থাকে।কিন্তু আমার হয়েছে উলটো।
"
আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে এলাম।এদিকে প্রায় অফিসের সময় হয়ে গেছে।কিন্তু নাস্তার কোন খবর নেই।আমি রেডি হয়ে এসে দেখি মায়া এখনও ঘুমুচ্ছে।
আমি ফ্রেশ হওয়ার আগে একবার ডেকে গিয়েছিলাম।কিন্তু মহারানীর সেদিকে কোন খেয়ালই নেই।ইনি এখনও ঘুমে।
আমি এবার মায়াকে একটু জোরেই ডাক দিলাম,
-মায়া,এই মায়া।
মেয়েটা ঘুম জড়ানো কন্ঠেই বললো,
-কি হয়েছে?
-আমি অফিস যাব।
-তো যাও।আমাকে একটু ঘুমুতে দাও।
বলে কি মেয়েটা।আমার চেয়ে ওর ঘুমটাই বড় হয়ে গেলো।আমি আবার বললাম,
-আমার নাস্তা?
-ইস ভুলেই গেছিলাম।তুমি দাড়াও আমি এক্ষুনি করে দিচ্ছি।
কথাটি বলেই মায়া বিছানা থেকে উঠে ঘুমে ঢুলতে ঢুলতে প্রায় পড়ে গেলো বলে।আমি যদি না ধরতাম তাহলে পড়েই যেত।আমি ওকে এবার বিছানায় শুয়িয়ে দিয়ে বললাম,
-তোমার নাস্তা বানাতে হবে না।আমি অফিসে খেয়ে নেবো।ঘুমাও তুমি।
"
বুঝিনা মেয়েটা এত ঘুম পায় কোথায়।এইতো গত রাতের কথা।আমি খাবার টেবিলে বসে মায়াকে ডাকলাম।মেয়েটা টিভি দেখছে।আমি খাওয়ার কথা বলতেই বললো,তুমি গিয়ে টেবিলে বসো আমি আসছি।কিন্তু এদিকে তার আসার কোন নাম গন্ধই নেই।
"
আমি এবার চেয়ার থেকে উঠে ড্রইং রুমে গিয়ে দেখি মায়া সোফার উপর পা তুলে ঘুমুচ্ছে।এদিকে টিভি চলছেই।
মেয়েটাকে কি বলবো ভেবে পেলাম না।আসলেই পাগলী একটা। তবে এসবের মাঝেও মেয়েটা আমাকে অনেক ভালবাসে।
আমি মায়াকে ডেকে আর টেবিলে নিলাম না।প্লেটে সবকিছু এনে ওকে খায়িয়ে দিয়ে নিজেও খেয়ে নিলাম।মায়াকে খায়িয়ে দেওয়া আমার প্রতিদিনের রুটিন হয়ে দাড়িয়েছে।
""
অফিসে এসে কিছু খেয়ে কাজে মনোযোগ দিলাম।ওদিকে হয়তো মেয়েটা এখনও ঘুমুচ্ছে।আমি ফোন দিয়ে না বললে সারাদিন ঘুমুবেই।
আমি মায়াকে কয়েকবার ফোন দেওয়ার পর সে রিসিভ করলো।হয়তো এখন ও উঠেনি।আমি কিছু বলার আগেই মায়া বললো,
-ঠিকঠাক ভাবে অফিসে পৌছেছ তো?
-হুম ভালভাবেই এসেছি।কিন্তু তুমি তো এখনও ঘুমে।
-এইতো উঠতেছি।
-উঠে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নাও।
-আচ্ছা ঠিক আছে।তুমি তাড়াতাড়ি বাসায় এসো।
-হুম।উঠো এখন।
-লাভ ইউ।
-লাভ ইউ টু।
উফ এখন কাজে মনোযোগ দেওয়া যাবে। মেয়েটাকে নিয়ে যে কি করি।নিজের খেয়াল ও রাখে না।
"
অফিস থেকে বের হতেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল।এই শীতের দিনে আবার বৃষ্টি।যে বৃষ্টি শুরু হইছে থামার কোন চিহ্নই দেখতে পাচ্ছি না।
এখন ভিজে ভিজেই বাসায় যেতে হবে।আর ভিজলে তো জ্বর এসে যাবে এটা শিওর।এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে বাসার সামনে এসে পড়েছি সে খেয়ালই নেই।ভিজে একদম যা তা অবস্থা।
আমি কলিং বেল বাজাতেই মায়া দরজা খুলে দিয়ে আমার দিকে কেমন করে যেন তাকালো।মনে হচ্ছে রেগে গেছে।আমি ভেতরে ঢুকতেই মায়া বললো,
-ভিজলে না তোমার জ্বর আসে।
-হুম কিন্তু....
-কিন্তু কি।বৃষ্টি থামলে আসা যেতো না।এখন যদি জ্বর এসে যায় তাহলে কি হবে।
মায়ার কথায় আমি আর কিছু বললাম না।বেশ রেগে গেছে।তোয়ালে এনে নিজেই মাথা মুছে দিয়ে বললো,
-যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।আমি চা নিয়ে আসছি।
আমি কিছু না বলে শুধু মাথা নাড়িয়ে চলে আসলাম।উফ এরই মাঝে হাচি দেওয়া শুরু হয়ে গেছে।শরীরটাও ভাল লাগছে না।আমি ফ্রেশ হয়ে এসে চা না খেয়েই শুয়ে পড়লাম।বেশ শীত শীত লাগছে।একটু ঘুমানো দরকার।
"
মুখের উপর পানি পড়তেই ঘুমটা ভেঙে গেলো।শরীরটাও কেমন যেন ব্যাথা ব্যাথা লাগছে।জ্বরটা বেশ ভালভাবেই এসেছে মনে হচ্ছে।
আমি চোখ খুলে তাকাতেই দেখি মায়া আমার পাশে বসে কাঁদছে।আর আমার মাথায় জলপট্টি দিচ্ছে।
এদিকে মায়ার চোখের পানিই আমার মুখে পড়ছে।আমি কিছু বলতে যাব তার আগেই মায়া কান্না জড়িত কন্ঠে বললো,
-চুপ একটা কথাও বলবা না।জ্বরে একদম গা পুড়ে যাচ্ছে।কত বার বলেছি বৃষ্টিতে ভিজবা না।কে শোনে কার কথা।
মায়া এবার আমাকে শক্ত করে ধরে বললো,
-দেখি উঠো।কিছু খেয়ে ওষুধ খেয়ে নাও।
আমি উঠে বসতে বসতে বললাম,
-কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না।খাবো না।
-খাবিনা মানে,তুই খাবি সাথে তোর বউও খাবে।
মায়ার কথায় আমি আর কিছু বললাম না।যে মেয়েটার ঘুমে এখন কাদা হয়ে যাওয়ার কথা সে আজ জেগে আছে।আমার জন্যে জেগে আছে।মেয়েটা সত্যি ই আমাকে খুব বেশীই ভালবাসে।
"
খাওয়া শেষে মায়া আমাকে ওষুধ খায়িয়ে দিয়ে বললো,
-চুপচাপ শুয়ে পড়ো।
-তোমার আজ ঘুম পায়নি?
আমার কথায় মায়া কেমন করে যেন তাকালো।তবে ওর চোখের টলমল করা পানি আমার চোখ এড়ালো না।
"
দুইটা কম্বল নিয়েছি তবুও যেন শীত কমছে না।আমার এ অবস্থা দেখে মায়া আমার পাশেই শুয়ে আমাকে শক্ত করেই জড়িয়ে ধরে রাখলো।মায়ার কোমল স্পর্শে শীতটা প্রায় কমেই গেলো।
আমিও মায়াকে শক্ত করেই জড়িয়ে ধরলাম।আমি যেন আবার নতুন করে ওর ভালবাসার বাধনে আটকে গেলাম।ভালবাসার বাঁধন।
-------------------------------------
(মায়ার বাঁধন)
"
Abdul Ahad(অলস বালক)

3951

"একটু হাতটা ধরি?
"নাহ লাগবেনা।
"একটু গালটা টেনে দেই?
"প্রয়োজন নেই।
"একটু কপালটা ছুঁয়ে দেই?
"দরকার নেই।
"কি দরকার?
"কিছুইনা।
"আচ্ছা।

কিছুক্ষন দুজন নিশ্চুপ থাকবো। অতঃপর পাশ ফিরে শুয়ে পড়বো। জানি এখন উনি রুম থেকে বের হয়ে বারান্দায় চলে যাবে, গ্রীলে হাতটা রেখে রাতের মায়াবী চাঁদটার দিকে তাকিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠবে। হয়তো ভাববে আমার কাছে তার রাগের কোন মূল্য নেই। তাকে আর আগের মতো ভালোবাসিনা। আগের মতো আদর করিনা।

অথচ এটা রাগ না, একগাদা অভিমান। চোখের কোনে সদ্য জন্ম নেয়া অশ্রুগুলো যখন ওর গাল বেয়ে বেয়ে পড়বে, দুর থেকে মনে হবে যেন ওর গাল বেয়ে বেয়ে মনি-মুক্ত পড়ছে। আমি তখন একটা ক্ষুদার্ত শকুনের মতো তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবো আর ভাববো আসলেই বড্ড অভিমানী এই মেয়েটা।

কোথায় যেন শুনেছিলাম অভিমান ভালোবাসার অন্যতম একটি অংশ। অভিমান ছাড়া ভালোবাসা কখনও পূর্ণতা পায়না। যে যাকে যত বেশি ভালোবাসে সেই তার সাথে ততো বেশি অভিমান করে।
-
নাহ আর না। অতঃপর শুয়া থেকে উঠে চুপচাপ ওর পিছনে গিয়ে দাড়াবো। তখন স্পষ্ট অনুভব করবো সে এখনও ফুঁপাচ্ছে। তখন আচমকাই ওকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরবো সাথে অনুভব করবো ওর দেহের প্রতিটা শিরায় উপশিরায় একটা বাধভাঙা কাঁপুনি। মুহুর্তেই তখন সে হু হু করে কেঁদে উঠ। যেন মনে হবে আমি জড়িয়ে ধরাতে ওর কান্নাটা আরো বেড়ে গেছে।

আলতো করে ওর গালে হাত রাখবো তখন। পরম মায়ায় আমার হাত দিয়ে ওর চোখের পানিগুলো মুছে দেব। অতঃপর ওকে আমার দিকে ফিরিয়ে নিয়ে ওর চোখে চোখ রাখবো। স্পষ্ট বুঝতে পারবো কাঁদতে কাঁদতে চোখগুলো লাল হয়ে আছে। তখন নিজেই কান্না করে দিতে চাইবো, কিন্তু পাগলীটার সামনে কান্না করা যাবেনা। ওর নাকটা আলতো করে টেনে দিয়ে জিজ্ঞেস করবো...

"কি হয়েছে?
"---
"এই পাগলি?
"হুম।
"কি হয়েছে?
"কিছুনা।
"কান্না করো কেন?
"এমনি।
"ভালোবাসিতো।
----
"সত্যি ভালোবাসিতো।
"একটুও না।
"অনেক অনেক ভালোবাসি আমার পাগলিটাকে।
"তুমি একদম আমাকে ভালোবাসোনা। তাহলে আমাকে কাঁদাতে পারতেনা।
"না কাঁদালে এই অভিমানী মিষ্টি মুখটা কোথায় দেখতাম বলো?

কথাটা শুনার পরেই ও আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে কিছুক্ষন। অতঃপর হুট করেই আমাকে জড়িয়ে ধরবে আর সমস্ত অভিমানটা চোখের অশ্রু দিয়ে ঝেরে ফেলে দিবে। সাথে বলবে তুমি এত্তগুলো পঁচা। আমিও ওকে আমার বুকে অনেক শক্ত করে ঝরিয়ে ধরবো সাথে অনুভব করবো ওর নাকটা  আমার বুকের সাথে একদম লেপ্টে আছে, আর চোখের পানিগুলো আমার বুক বেয়ে বেয়ে পড়ছে।

তবে কিছুক্ষন পর ওর কান্না থেমে যাবে। দুজনই নিশ্চুপ থাকবো কিছু সময়। অতঃপর ও বলে উঠবে...

"আজকে চাঁদটা অনেক সুন্দর, তাইনা?
"হুম। তবে তার থেকেও সুন্দর জিনিসটা এখন আমার বুকের সাথে লেপ্টে আছে।

কথাটা বলার পরই খেয়াল করবো কেউ আমার পিঠে একটা চিমটি কাটবে। আর একটু শাষনের সুরে বলবে, "হয়েছে আর পাম দিতে হবেনা।
-
Dedicated to- নুসু😍😍

3950

মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল স্ত্রীর। চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে দেখলেন, স্বামী বিছানায় নেই।

বিছানা থেকে নেমে গায়ে গাউন চাপালেন তিনি। তারপর স্বামীকে খুঁজতে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলেন। বেশি খুঁজতে হলো না। রান্নাঘরের টেবিলেই বসে থাকতে দেখা গেল স্বামীকে। হাতে গরম এক কাপ কফি নিয়ে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, গভীর

কোনো চিন্তায় মগ্ন।

মাঝেমধ্যে অবশ্য হাতের রুমাল দিয়ে চোখ থেকে পানি মুছে নিচ্ছেন, তারপর কফি খাচ্ছেন।

‘কী হয়েছে তোমার?’ রান্নাঘরে ঢুকতে ঢুকতে চিন্তিতভাবে বললেন স্ত্রী।

‘এত রাতে রান্নাঘরে কেন?’

স্বামী তাঁর স্ত্রীর দিকে তাকালেন। তারপর গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘হঠাৎ ২০ বছর আগের কথা মনে পড়ল।

খেয়াল আছে তোমার, যেদিন আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। আর তার পর থেকেই তো আমরা ডেট

করতে শুরু করেছিলাম।

তোমার বয়স ছিল ষোলো। তোমার কি মনে পড়ে সেসব?’

স্ত্রী তাঁর স্বামীর চোখের পানি মুছে দিতে দিতে জবাব

দিলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই মনে আছে।’

স্বামী একটু থেমে বললেন,

‘তোমার কি মনে আছে, পার্কে তোমার বাবা আমাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন?’

‘হ্যাঁ, আমার মনে আছে।’ একটা চেয়ার নিয়ে স্বামীর কাছে বসতে বসতে বললেন স্ত্রী।

স্বামী আবার বললেন, ‘মনে আছে, তোমার বাবা তখন রেগে গিয়ে আমার মুখে শটগান ধরে বলেছিলেন, ‘এক্ষুনি আমার মেয়েকে বিয়ে করো, নয়তো তোমাকে ২০ বছর জেল খাটাব আমি।’

স্ত্রী নরম সুরে বললেন, ‘আমার সবই মনে আছে।’

স্বামী আবার তাঁর গাল থেকে চোখের পানি মুছতে মুছতে বললেন,

‘আজকে আমি জেল

থেকে ছাড়া পেতাম।

3949

#আত্মহত্যার_মুক্তি
#লেখা: Adeeba Karim

আপনি আত্মহত্যা করতে চান? অনেক কষ্টের সময় পার করছেন? আর সহ্য করতে পারছেন না? এজন্য "আত্মহত্যা" নামক সহজ পথ বেছে নিতে চাচ্ছেন? আত্মহত্যা করার কথা বলাটা খুবই সহজ। আত্মহত্যা করাটা কিন্তু কষ্টদায়ক। শুধু আপনার জন্যই নয়। আপনি তো সাময়িক কষ্ট পেয়ে মরে যাবেন। কিন্তু, আপনার আশেপাশের মানুষগুলোর কথা ভেবে দেখেছেন?যদি আত্মহত্যা করার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে সর্বপ্রথম নিজের মা-বাবার কথা একটু হলেও ভেবে দেখবেন। আপনার মা আপনাকে কতটা কষ্ট করে মানুষ করেছে। আপনি একটু অসুস্থ হয়ে পরলে আপনার মা কতটা ব্যথিত হয় সেটা একটু মনে করে দেখবেন। আর আপনি চোখের আড়াল হলে সে কতটা পরিমাণ ছটফট করে তা মনে করবেন। আর আপনার বাবা তো মায়ের মতো ভালোবাসা জাহির করতে হয়তো পারে না। কিন্তু, সময়ে অসময়ে আপনার খোঁজ তো ঠিকই রাখে। আপনাকে সুন্দর একটা জীবন দিবে বলে কতই না পরিশ্রম করে। যখন যে আবদার করেন, সে তো যথা সাধ্য চেষ্টা করে পূরণ করার। যারা সর্বদা আপনার ভালো থাকার কামনা করে, তারা কিভাবে আপনাকে লাশ হিসেবে মেনে নিবে? শুনেছি, মায়ের আগে সন্তান মারা গেলে নাকি মায়ের নাড়ি ছিদ্র হয়ে যায়। আপনার মায়ের কি পরিমাণ কষ্ট হবে তাহলে আপনিই ভেবে দেখুন। আপনার বাবা কত টা কষ্ট নিয়ে আপনার খাটিয়া বহন করবে, শুধু একটি বার চিন্তা করুন। সবার জীবনেই তো কষ্ট আছে। কার জীবনে কষ্ট নেই? কম বেশি সবার জীবনেই তো আছে। কষ্টকে উপেক্ষা করে, আত্মহত্যা করে কে জয়ী হয়েছে? শুধু শুধু নিজের গায়ে আজীবন "পরাজিত" শব্দের ট্যাগ লাগাবেন কেন। কষ্টকে জয় করতে শিখুন। যে জিনিস আপনাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে, সেই জিনিসটাকে যথা সাধ্য উপেক্ষা করতে চেষ্টা করুন। কেউ আপনাকে কষ্ট দিলে তার কাছে বারবার সুখের জন্য আকুতি না করে, তার কাছ থেকে আশা করা ছেড়ে দিন আর তাকে নিজের মতো থাকতে দিন। আপনার সুখের চাবি টা কিন্তু আপনার কাছেই আছে। শুধু চাবি টা খুঁজে নিন।
একটা বিষয় সম্পর্কে আমরা সবাই জানি, কিন্তু মেনে নিতে চায় না। আপনি মরে গেলে কিন্তু কেউ আপনাকে মনে রাখবে না, শুধুমাত্র মা-বাবা ব্যতীত। দু-একদিন হয়তো আপনার জন্য কেউ কেউ কষ্ট পাবে। তারপর সব আগের নিয়মেই চলবে। শুধু শুধু কষ্টের শোকে নিজের জীবন কেন বিলিয়ে দিবেন। নিজের জন্য না হয় নিজের মা-বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে কষ্টকে ভুলে যান। আর নতুন করে গড়ে তুলুন নিজের জীবনের প্রতিটি দিন। আর আপনার জীবনের অন্ধকার পৃষ্ঠা থেকে আত্মহত্যাকে মুক্তি দিয়ে দিন।

3948

বাংলায় অতি পুরাতন একটা প্রবাদ আছে। প্রবাদটা এ রকম। "যারে কোনোদিন না দেখছি সে না জানি কতো বড় সুন্দরী আর যার হাতের রান্না খায় নাই সে না জানি কতো বড় রাধুনী।" এতো প্রচলিত প্রবাদটায় একটু ভুল আছে। প্রকৃত সৌন্দর্য কখনো বাহ্যিক ভাবে দেখা যায় না। এটা মনের ব্যপারই বঠে। যাক সে দিকে না যায়। আমার পরিচিত একজন মেয়ে আছে। তার বাহ্যিক সৌন্দর্যের কথা আমি বলবো না। আজকাল কার এক'শো ছেলেকে যদি এ মেয়েকে দেখিয়ে বলা হয় বিয়ে করবি একে? নিরানব্বইটা সাথে সাথে রাজি হয়ে যাবে। বাকি একটা দু-মনায় থাকবে। করবো নাকি করবো না! সেও শেষ পর্যন্ত এটাই মেনে নিবে। যা থাকে কপালে। একেই করবো বিয়ে। কিন্তু যে এর সম্পর্কে জানে। বিশ্বাস রাখুন। জোড় করেও একে এই মেয়ের সাথে বিয়ে করানো যাবে না। সেদিন মা এই মেয়েকে দেখেই বলেতেছে এমন যদি একটা বউ পাইতাম! মনে মনে বলতেছিলাম। "মইরা গেলেও আমি এরে বিয়ে করবো না।" ব্যপারটা হলো আমি মেয়েটা সম্পর্কে জানতাম। এজন্যই আমার মনোবল এতোটা চড়া। যদি না জানতাম তবে হয়তো আমারো ওই এক টার দশাই হতো! যা থাকে কপালে।
-
যা বলতে চাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে কাউকে ভালো লাগায় যে বিষটা কাজ করে তা হলো মোহ। মোহ কিন্তু প্রেম না। বলা যায় মোহ জনিত প্রেমের প্রথম ধাপ এইটা। এই মোহ জনিত প্রেম কাঠিয়ে উঠতে পারলে ভালো। সব ঠিকটাক। নতুবা চিত্রই পাল্টে যাবে। প্রেমে পরা আর কি। একদিন এই মোহটা কেঠে যাবে। তখন অনুশোচনা জাগবে মনে। কি করলাম। কেনো এই ভুলটা করতে গেলাম। এসব আর কি। তখন কিচ্ছু করার থাকবে না। ইতি পূর্বেই আপনি অনেক কিছু খুয়ে ফেলবেন। যদি না নিজেকে সংযতো রাখতে পারেন। মূলত মুগ্ধতায় কোনো স্বার্থ থাকে না। প্রকৃত প্রেমটাও আসে ওইখান থেকে। 'কেনো তার জন্য আমার এতোটা মায়া অনুভব হয়।' এর কারন খুঁজতে গিয়েও মুগ্ধতা আসে। যদিও বা এই প্রশ্নের উত্তর কখনোই জানা যায় না। জীবনটাই এরকম। কিছু প্রশ্ন থাকবে। কিন্তু কোনো উত্তর থাকবে না। প্রেমে পড়েন। ভালো কথা। কিন্তু কোনো কিছু না জেনে। না বুঝে প্রথমেই নিজেকে বিলিয়ে দিয়েন না। ভালোবাসলেই যে তাকে পেতে হবে এমনটাও কিন্তু কথা না। সময় নিয়ে একবার বলুন ভালোবাসি। তারপর আগলিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।
-
সকালে একবার বললেন ভালোবাসি। দুপুরে আরেকবার বললেন ভালোবাসি। আর রাতে এসেই যদি বলেন তরে ভালোবেসে আমি মইরা গেছি! তবে বাদ দেন এইসব ভালোবাসাবাসি। আর বাহ্যিক দিকটা কখনো ঠানিয়েন না। একদম ফেঁসে যাবেন। ওই এক'শো বালকের মতো। সময় শেষে শুধু মনটায় থাকবে আর কিচ্ছু নাহ।
~~Dwipto sarker