āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Šā§Ļ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2862

----আজো মন খারাপ করে বসে আছো?( পরী)
----মন খারাপ করে থাকি না।
----মিথ্যা বলো কেনো?
----জানো যখন কেনো জিঙ্গাসা করছো।
----সেটা তোমার মুখ থেকে শুনতে চায়।
----হয়েছে এখন বসো।
----তোমার হাত দেও?
----কেনো?
----যতক্ষণ আছি একটু ধরি না হাত টা?
----কি আছে হাতে?
----মনের অফুরন্ত এক অজানা সুখ মাখা আছে।
----ওহহ ধরো।
----তুমি এমন কেনো?
----কেমন?
----আমাকে একটুও মনে করো না?
----আমি যদি তোমাকে মনে না করতাম তুমিও কখনো মনে করতে না।
----তাহলে ঠিক আছে, তবুও?
----তবুও?
----তুমি এখন কারো সাথে কথা বলো না কেনো?
----মনের মতো বন্ধু ও প্রিয়জন যারা কখনো ছেড়ে যাবে না তাদের জন্য।
----বুঝলাম না?
----তোমাকে এতো অবহেলা, তোমাকে গুরুত্ব না দেওয়া, সবসময় বকাঝকা পরেও বার বার আমার কাছে ফিরে আসো আমাকে কেনো ভুলে যাও না, আমার পরে রাগ করে?
----আমি তোমার বন্ধু আর   আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি, তোমার অবহেলা করা, কথা না বলা, এড়িয়ে চলা গুরুত্ব না দেওয়ার মাঝে একটা কারণ ও রহস্যময় কিছু লুকিয়ে থাকে আমি বুঝতে পারি কেনো এমন করো? আমি তোমাকে বুঝতে পরি বলে তোমার কোনো কিছুতে আমার খারাপ লাগে বরং ভালো লাগে তোমার মিষ্টি রাগ টা শুনতে।
----বলোতো একটা মেয়ে বা ছেলে একে অপরের পিছোনে পড়ে থাকে শত অপমান, কষ্ট, অবহেলা,কথা না বলার পরেও কেনো তাকে ভুলে না?
----সে তাকে ভালোবাসে তার নিজের থেকেও বেশী তাই সেগুলো তার কষ্ট বলে মনে হয় না।
----সবকিছু  মিলিয়ে তাহলে কি দাড়ালো?
----মন থেকে যখন একজনকে বন্ধু হিসেবে, ভালোবাসার মানুষ হিসেবে কাছের মানুষ হিসেবে চাইবে সে এতো কিছুর পরেও কখনো ছেড়ে যাবে না আর সেই হলো প্রকৃত একজন তোমার আপনজন ও বন্ধু হয়ে থাকবে।
----আমিও ঠিক সেই মানুষ গুলো খুজছি।
----বুঝায় বলো?
----যারা বলে তুমি আমাকে কখনো ভুলে যাবে না তো,তুমি ভুলে গেলেও তোমাকে ভুলবো না,সারাজীবন তোমার পাসে থাকবো বন্ধু হয়ে আমাকে বেস্ট ফ্রেন্ড মনে করো তুমি ?সেই জন সবার আগেই ভুলে যায় আর এমন মানুষ আমি চাই না।
----এমন করলে তুমি সবাইকে হারিয়ে ফেলবে।
----যারা কখনো ছিলো না, ক্ষনিকের জন্য একটু মজা নেওয়ার জন্য, হাসির জন্য আসে আবার অপর একজন নতুন কাওকে পেয়ে তাকে ভুলে যায়। তাদের কখনো ধরে রাখতে পারবে না তুমি হাজার ভালোবাসা দিলেও।
----তার সাথে তোমার কথা না বলার মানে কি?
----তারা যদি সত্যি আমার বন্ধু ও প্রিয়জন হয় আপন মনে করে আমার এই সব করার পিছনে কারণ খুজবে নিশ্চয় বা মনে করবে আমি
কোনো কাজে ব্যস্ত আছি, সমস্যা আছি তাই হয়তো কথা বলতে পারছে না  এটা ভেবে থাকবে কিন্তু কখনো ছেড়ে যাবে না বা ভুলে যাবে না।
----সবাইতো এক রকম বোঝে না।
----সম্পর্কের মানে টা তো বোঝে?
----বুদ্ধু সম্পর্কের মানে বুঝতে পারলে এগুলো আপনা আপনি বুঝতে পারতো।
----হুমম,
----তবে আগে তো এমন করতে না?
----পরিস্থিতি মাঝে মাঝে এমন কঠোর হয়ে যায় সামলানো বড় দায় পরে যায়।
----বুঝলাম সব কিছু।
----বুঝলে ভালো।
----না বুঝলে?
----কিছু করার নেই।
----বুঝায় দিবা না?
----বুঝদার মানুষকে বোঝানো যায় না প্রমাণিত এটা।
----এইজন্য তোমাকে বুঝাতে পারি না।
----আমি নিজেই নিজেকে বুঝাতে ও কন্ট্রোল করতে পারি।
----এটা সবাই কেনো পারে না?
----তারা চেষ্টা করে না, অল্পতে ভেঙে পড়ে সেই জন্য নিজেকে বুঝাতে পারে না?
----ঙ্গানের কথা বাদ দেও তো।
----তুমিই তো শুরু করলে।
----তাহলে নেও আমি শেষ করলাম?
----কৃতজ্ঞতা,বাঁচলাম।
----এখন একটু হাসো?
----অকারণে হাসলে লোকে পাগল বলবে।
----কাঁদো একটু?
----চোখে অশ্রু নেই।
----তাহলে একটা গান গাও?
----গলায় সুর নেই।
----কি আছে শুনি?
----কিছুই নেই।
----আবার শুরু হয়ে গেলো?
----তুমি কি চুপ করে থাকতে পারো না?
----না তোমার সাথে কথা বলতো ভালো লাগে তাই পারি না?
----তুমিও না।
----কি আমি, কি কি বলো?
----কিছু না।
----বলো বলছি কি?
----পাগলী পরী একটা।
----তাই?
----হুমম , এই পাগলী পরীটা আমার সবসময় মন খারাপটা ভালো করার চেষ্টাই থাকে আর ভালো করেই চলে যায় সব রকম পাগলামো করে।
----আজ যাবো না।
----তাহলে?
----তোমার কাঁধে মাথা রেখে সময় টা পার করে দেবো?
----পাগলী দেখলে কষ্ট পাবে?
----ধুর ,, আমি তো অদৃশ্য পরী কি করে দেখবে।
----হা হা হা মনেই ছিলো না।
----চুপচাপ বসে থাকো আমি ঘুমাবো?
----পরী আবার ঘুমায় নাকি?
----তোমার এই পরী ঘুমায়।
----তাহলে তোমার জায়গাতে গিয়ে ঘুমাও।
----ধুর, থাকবো না সবসময় তাড়িয়ে দেও,, থাকো আর আসবো না।
----আরে শোনো এয়ার কি মারছিলাম তো।

যাহ্ শেষ মেষ রাগ করে চলে গেলো,কিন্তু মনের এই অদৃশ্য পরী কখনো রাগ করে থাকতে পারবে না সময় মতো ঠিকি হাজির হবে?
কারণ সে যে আমার বন্ধু আর একবন্ধু কখনো অপর বন্ধুর পরে রাগ করে থাকে না তাকে ভুলে থাকে না এটা হলো প্রকৃত বন্ধুত্বের পরিচয়, যে সামান্যা কিছুতে কখনো ভুলে যাবে না। আর যে যাবে সে কখনো মন থেকে তোমাকে বন্ধু ভাবিনি,বন্ধু কখনো তোমার কষ্ট দেবে না।সবসময় চাইবে তোমার মুখে সব কিছুর বিনিময় একচিঁলতে হাসি ফুঁটিয়ে রাখবে।

#সম্পূর্ণটা মনের কাল্পনিক প্রতিচ্ছবি দিয়ে সাজানো মনের কাল্পনিক অদৃশ্য পরীর সাথে। এমন একজন অদৃশ্য পরী সবার মনে বসবাস করে মনের চোখ দিয়েয়ে খুজলে পাবেন।

2861



❝ দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা ❞


--এই নিলয় ওঠ।
.
--না পারমুনা আরেকটু ঘুমামু।
.
--উহহ...আল্লাদ আরেকটু ঘুমাবে, তাহলে তোমার অফিসে যাবে কে হুম্ম...???
.
--আমার লক্ষী বউকে ছেড়ে কি অফিসে যেতে ইচ্ছে করে হুম্ম....??? এই আমার মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দাও না।
.
--উহহ..ঘুম পাড়িয়ে দাওনা (মুখ বিকৃত করে), তোমার অফিসে যাবে কে শুনি...???
.
--আজকে কি না গেলেই নয়...???(অসহায় কন্ঠে)
.
--না, আর দুদিন পরে পুজো আর তুমি এই বলছ।
.
--প্লিজ আজকে একটু না যায়,,,, আজকে না হয় আমার এই লক্ষী বউটাকে দেখি...!!
.
--উমমমম...ঢং কত...তাড়াতাড়ি অফিসে যাও এবং ছুটি নিয়ে তাড়াতাড়ি চলে আসবে কিন্তু আজকে পুজোর মার্কেটে যাব,,, আমি কিন্তু রেডি হয়ে বসে থাকবো..!!
.
--উমমমম পুজোর মার্কেটে যাবে,,, আমার টাকা পয়সা নাই আমি যাবার পারমু না..!!
.
--ওইইই পাজি ছেলে তাড়াতাড়ি দেরি করলে কিন্তু দু কান কাঁচি দিয়ে সমান করে কেটে দেবে...!!
.
--তাতে আমার কি হুম্ম...??? তোমাকেই লোকজন বলবে কান কাটার বউ,,, হাহাহা...!!
.
--তবে রে পাজি নচ্ছার....

এতক্ষণ আমার লক্ষী ফুলটুসি বউ অদ্রিকার সাথে ঝগড়া করছিলাম। আজ তিনমাস হল ওর সাথে গাঁটছড়া বেধেছি।আমার গিন্নীটা খুব খুনসুটি আর অভিমানি, প্রত্যেকদিন আমার সাথে ওর ঝগড়া হবেই, ঝগড়ায় জিতে গেলে যে খুনটির হাসিটা হাসে তা যেন আমার জন্য অমর সন্জীবনী। ভালবাসে আমাকে খুব, বিয়ের আগে আমার সাথে প্রেম করতে পারেনি তাই প্রতি সপ্তাহে আমার জন্য একটা চিঠি লিখে বালিশের নিচে লুকিয়ে রাখে, চিঠির উত্তর না দিলে গাল ফুলিয়ে বসে থাকে।
.
দুদিন পর পুজোর ছুটি, তাই অফিসের ব্যাস্ততার কারণে আজকেও আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেল, বসের কাছে অবশ্য ছুটি চেয়েছিলাম, কিন্তু এ্যালাও হয়নি। জানি না বাড়িতে ঢুকলে, গিন্নী আমাকে আস্ত রাখবে কিনা।
বাড়ি এসে দেখি রুমের দরজা ভেজানো, অনেক ডাকাডাকি করলাম, কিন্তু কোন সারাশব্দ পাচ্ছি না, কি হল...???, তাহলে ও কি.....
পিছন থেকে মা এসে আমাকে গালাগালি শুরু করে দিলো, পাজি, নচ্ছার, তুই বউমাকে কি বলেছিস হ্যাঁ...??? আজ সারাদিন স্নান, খাওয়াদাওয়া না করে ঘর দোর বন্ধ করে বসে আছে, ঠাকুরই জানে তোদের মধ্যে কি হয়,,,,,!!
এই বলে মা চলে গেল। এই পাজি মেয়েটার জন্য বুঝি আমার আদর উঠে গেল,,,,, দুদিন এসে ঠিকই বাড়ির সবাইকে হাত করে নিয়েছ। ওনার কিছু হলেই সবাই এসে আমাকে ঝাড়বে, এমন করে যেন আমি ওদের কেউই না,,,,ওই পাজি নচ্ছার মেয়েটাই যেন ওদের সবকিছু।
নরম সুরে আবার ডাকতে থাকলাম,
--অদ্রিকা.....
.
--ওওও অদ্রিকা কুমারি একটু দরজা খোল না বাবু, এই কান ধরছি, তুমি যা বলবে তাই শুনব, এখন একটু খোল প্লিইইইইজ...!!
.
ভিতর থেকে এবার আওয়াজ আসল,,,
--যাও না ওই নাকথাবড়ি চয়নিকার কাছে এসেছে কেন...........??????????
.
এই কাম সেরেছে মাইয়া তায়লে সবকিচু দেইখ্যা ফালাইছে,,,, অফিসে যাওয়ার সময় বাড়ির সামনে থেকে চয়নিকাকে যখন বাইকে করে অফিসে নিয়ে গেছিলাম তাহলে ও দেখে ফেলেছে....??? ধ্যাত্তেরি কেন যে ওকে নিতে গেলাম।
আবার ওকে ডাকলাম...
--ওওও অদ্রিকা খোল না প্লিজ, এই তোমার কান ছুয়ে প্রতিজ্ঞা করছি, থুক্কু আমার কান ছুয়ে প্রতিজ্ঞা করছি আর এমন করব না প্লিইইইইইজ....!!
.
এবার বোধহয় মহারানীর দয়া হল দরজাটা খুলে দিল।
কিন্তু একিইইইই ঘরদোরের এ অবস্থা ক্যান....???
ওওও মাগোওওও আমার পছন্দের নীল রংয়ের শার্টের এ অবস্থা ক্যান...??? কালো রংয়ের মার্কার দিয়ে লুডুর কোর্ট একে রেখেছে।
হায় হায় মাইডা এইডা কি করেছে চয়নিকার দেয়া ঘড়িটা এখনও হাতে পড়িনি ওইটাও ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে, বুঝিনা মেয়েটা এরকম করে কেন,,,,,
--ওইইই তোমার কি ভুতে ধরেছে এমন করছ কেন...????
.
--যাও না চয়নিকার কাছে, আমার কাছে কি...???
.
--আরে পাগলি ও আমার কলিগ, তাই বলে ওর সাথে কথা বলব না...??? ওর দেয়া ঘড়িটা যে ভেঙে ফেললে, ও যদি ঘড়ির কথা বলে আমি কি বলব...???
.
--কি বলবা আমি জানি না,,,, তুমি আর আমার সাথে কথা বলবা না,,,!!(কেঁদে ফেলে)
.
সেদিন রাতে আমার সাথে কথা বলা তো দুরের আমার দিকে ভাল করে তাকালোও না,
আমি যেঁচে কথা বললাম না, দেখি কতক্ষণ এভাবে থাকতে পার...!!
সকালে মায়ের ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙ্গলো,,,, পাশে দেখি গিন্নী নেই,,,,!!!
মা এসে বললো, বউমাকে পশ্চিম পাড়া থেকে একটু ঠাকুর দেখায়ে নিয়ে আয় তো ওর ভাই ওকে নিতে এসেছে,,,, ঠাকুর দেখেই নাকি বাপের বাড়ি চলে যাবে ওত করে বললাম পুজোর পরে যেতে, কিন্তু এখনই যাবে,,, মেয়েটা বড্ড অভিমানী রে...!!!
মনে মনে বললাম, অভিমানী না ছাই, আস্ত একটা বদমাইশের ধারি,,,!!
.
অদ্রিকা দরজার পাশে জল ছলছল চোখে আমার দিকে চেয়ে আছে, যেন পল্লী প্রান্তের নিভৃত চুত -বকুল বিথীর প্রগাঢ় শ্যাম স্নিগ্ধতা ডাগর চোখ দুটির মধ্যে অর্ধসুপ্ত রয়েছে, প্রভাত এখনও হয়নি রাত্রে শেষের অলস অন্ধকার এখনো জুড়ে আছে। লাল পেড়ে একটা শাড়ি পড়ছে, যেন শরৎএর শারদীয়া আমার ঘরে এসেছে।
ও যেন কি একটা বলবে বলবে ভাবছে কিন্তু কিছু বলতে পারছে না। আমি ওর কাছে গিয়ে বললাম কিছু বলবে,,,,???
টলমল চোখের জল নির্গত করে, বাচ্চা মেয়ের মত অভিমানের কান্না জুড়ে দিয়ে বলল...ওইইই তুমি কাল রাত থেকে আমার সাথে কথা বলছ না কেন, আমি খুব পচা না...??? আমি আর তোমাকে জ্বালাতন করতে আসব না,,, শেষ বারের মত আমাকে দেখে নাও,,,!!
আমি ওকে জড়িয়ে ধরে বললাম, ওইইই বউ তুমি চলে গেলে আমার কি হবে হুম্ম....??? তুমি কি পারবে আমাকে ছেড়ে থাকতে...???
.
--ওইইই আমাকে বউ বলবা না,
আমার হাত ছাড়ো,,,,!!
.
--সত্যি সত্যিই কি ছেড়ে দেব...????
.
--ওইইই একদম খুন করে ফেলব।
.
--তখন আমার অদ্রিকার বাবুটার কি হবে,,,???
.
--হারিয়ে যাবে।
.
--ধুর পাগলি।
.
--এই শোন।
.
--কও সোনা।
.
--দশমীর দিনে কিন্তু আমাকে নিয়ে আসবে,, ,,!!
.
--হুম,,, ভালবাসি অনেক,,,!!
.
--কাকে,,,????
.
--আমার এই পাগলিটাকে,,,!!
.
--আমিও,,,!!
.
--আমিও কি,,,,,???
.
--ভালবাসি আমার এই শয়তান জামাইকে,,,,,!!

✎ S M Rasel Parvez

2860

আমার বুবু
.
আমার ভালোবাসার মিষ্টি বড় আপু। তাকে ডাকি বুবু বলে। এই বুবু শব্দটা আমার কাছে শুধু শব্দ নয়, যেন দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা মাখা বড় বোনের জন্য একটি বিশাল ডাক। যা ডাকার সাথে সাথেই মনের মধ্যে একটা ভালো লাগা কাজ করে। মনে হয় যেন মায়েরই কোনো এক স্পর্শ ছুঁয়ে যায় পুরো হৃদয় জুড়ে। এই ডাকে আছে মায়া-মমতা।  আবার একই সাথে রয়েছে ঝগড়া-অভিমান। আসলে সব মিলেই আমাদের ভাই-বোন সম্পর্ক।
.
--এই ছোটু, ফজরের আযান দেয় যে উঠে পড়। নামাযের সময় হয়ে এসেছে.??

--উফ.!!! একটু ঘুমুতে দে রে। লক্ষি বোন আমার। আর একটু ঘুমাই.?

-- সম্ভব না, তাড়াতাড়ি উঠে পর বলছি (একটু রাগের সুরে)

-- উঠবো না কি করবি তুই.?

আউউউউউউউ..!!!!!!!!!!!!!

চুল টেনে ধরে উঠিয়ে দিলো। এখন নামায টা পড়তে হবে।
.
বুবু সব সময় নামাযের জন্য তাগাদা দেয়। সে নিজেও পর্দা করে,পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে। সে যতটুকু পারে দ্বীনের পথে থাকার চেষ্টা করে। আমি একটা পাজির হাড্ডি তাই সবসময় তার দৃষ্টি আমার উপর। একদম মায়ের মত।  মা কে যেন ভাবতেই হয় না আমাকে নিয়ে। মার সকল কাজে সাহায্য করে। মার রান্নাটাও যেন হুবুহু নকল করেছে। বুঝতেই পারি না বুবুর রান্না নাকি মায়ের। পড়ার সময় হলেই সাথে নিয়ে পড়তে বসবে,  খাওয়ার সময় সাথে নিয়ে খেতে বসবে। একটাই ছোট ভাই বলে কথা।
.
-- ছোটু খেতে আয়।

-- কি দিয়ে রান্না করেছিস রে.?

-- আমি আলু ভাজি আর মা ভাত আর মাছ রান্না করেছে।

--কিহ..!!! তুই তো হাফসা,, আলু ভাজ কবে থেকে রে.?? (মজা করে)

-- আরে আমি আলু ভাজি করেছি তাই বলেছি বুঝলি.? (হালকা রাগের সুর)

-- বুঝে ফেলেছি তোমার নতুন নাম আলু ভাজি, হি.হি.হি।

-- কুত্তা হুট.!!! (রাগে)

-- কুত্তি ভাগ।   
                         আলু ভাজি
                         ভীষণ পাজি
                         বিয়ে দিবো
                         আনো কাজী।

-- ইইইইইই..!!!! রাগে তোরে চাবায় খেতে ইচ্ছে করছে।।

-- হয়েছিস তো আলু ভাজি
      সাথে খাবি ফিস
      লক্ষি বুবু কামড় দিস না
       ব্যথা লাগে ইসসস..!!!!!
.
কান ধরে খেতে নিয়ে যাচ্ছে। বাবা মা ঝগড়া দেখে আগেই খেয়ে উঠে গেছে। নিয়ে যাওয়ার সময় আমি আড় চোখে দেখছি বুবু হাসছে। আমার মনে মনে রাগ।  মার তো দিলোই সাথে জোকস মনে করে ফাও মজাও নিচ্ছে.? কুত্তি একটা। আমিও মনে মনে ঠিক করলাম, এখন আর নিজের হাতে খাবো না।
.
-- বুবু খাইয়ে দে নইলে খাবো না।

-- কেন নিজের হাত নেই.? আমি পারবো না।

-- তাহলে আমিও খাবো না।

-- না খেলে নাই। যার পেট তার চিন্তা।

-- থাক, তুই ই খা। বেশি করে খা।
.
রাগ করে উঠে আসলাম সেখান থেকে। সোজা আমার রুমে। কি হারামি রে বাবা একটু ডাকও দিলো না.? রাগ করে উঠে এসেছি এখন যদি আবার খেতে যাই তাহলে মান ইজ্জতের হাওয়া ফুস। যত যাই হোক এখনকার মত আর খেতে যাবো না। কিন্তু পেটে যে মানে না। পেটে মনে হচ্ছে টি-টুয়েন্টি  খেলা শুরু হয়ে গেছে।  উফফ..!!! আর পারছি না রে। এই জন্যেই হয়ত বলে বিড়ালের উপর রাগ করে মাছ ফেলে দিতে নেই।
.
একটু পরেই দেখি বুবু হাতে প্লেট আর গ্লাস নিয়ে আমার দিকে আসছে।

--ছোটু জগটা নিয়ে আয় তো। একা একা পারছি না।

--তুই নিয়ে আয় আমার এক দরকার পড়ে নাই। (একটু অভিমানের সুরে)

-- আচ্ছা ভালো কথা।  তাইলে আর কি করার আমিও যাই।

--আরে না..!!! আমিই যাচ্ছি।

শালার এমনিতেই প্যাঁচে আছি তার উপরে আবার কাহিনী করে।  মনে মনে সাত পাঁচ বলতে বলতে পানি নিয়ে চলে আসলাম।
.
-- ছোটু হা কর তো.?

-- হা

বুবু খাইয়ে দিচ্ছে আর আমি খাচ্ছি। মনে মনে পরম শান্তি অনুভব করছি। সত্যি এমন বুবু পাওয়া হয়ত খুবই কঠিন। এত ঝগড়া করার পরেও এতটুকু রাগ করে থাকেনা। সত্যি কি সব বড় বোন এমনই হয় নাকি গুটি কয়েক।
.
-- এই ছোটু পানি খাবি না.? সব গুলো ভাত খেয়ে নিলি একটু খেতেও বললি না হুহ।

এত কিছু চিন্তা করতে করতে কখন যে সব খেয়ে ফেলেছি বুঝতেই পারি নি। তবে বুবুর মুখে স্পষ্ট অভিমানের ছাপ দেখতে পাচ্ছি। মনে মনে লজ্জা পেলাম আমি। সত্যি তো একদমই খেয়াল নেই। একটু তো খাওয়ার কথা বলতেও পারতাম।
.
-- সরি বুব
-- হয়েছআমায় উদ্ব প্লেট নিয়ে চলে যাচ্ছে।  আমি চেয়ে দেখছি বুবুর যাওয়া। বুগ্লাস নিয়ে গেছে। জগটা ভূল বসত রেখে গেছে। একটু পরে হেচকিরআওয়াজ শুনতে পেলাম। গিয়ে দেখি বুবুর গলায় ভাত আটকে গেছে আমিদৌড়ে গিয়ে গ্লাসে পানি এনে দিলাম। ততক্ষনে বুবুর মুখ লাল হয়ে গেছে। একটু পর বুবু স্বাভাবিক হলো।
.--কিরে তুই এখন খাচ্ছিস কেনো.? তখন খাস  নি.? আর পানি না নিয়ে খেতে বসেছিস কেনো.? (একটু ধমকের সুরে)

-- না রে তখন খাইনি। তুই আমার উপর রাগ করে উঠে যাবি বুঝতে পারিনি। আমার ছোটু না খেয়ে থাকবে আর আমার কি গলা দিয়ে ভাত নামে.? পানি আনতে ভূলে গিয়েছিলাম রে।

আমি কি বলব বা বলা দরকার কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। এত ভালোবাসে আমায় আর আমি সব সময় ওর পিছোনে লাগি.? চোখ যেন নিরবে আর বারি ধারা বর্ষণ করছে। যতই আটকানোর চেষ্টা করি ততই যেন বাঁধ ভেঙ্গে আসছে।  মনে পড়ছে আমাকে খাইয়ে দেওয়ার কথাটুকু। ইচ্ছে করলেই সে এক লোকমা খানা খেতে পারত আমার কম হবে ভেবেই হয়ত খায়নি। আর আমি একটু খেতেও বললাম না।
.
-- এই ছোটু কান্না করছিস কেনো.?

-- কুত্তি চুপ কর প্লেট দে এই দিকে।

হাত ধুইয়ে প্লেটের ভাত বুবুর মুখে তুলে দিচ্ছি। মনে মনে একটা প্রশান্তির হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। মনে মনে বলে যাচ্ছি আমিও খাইয়ে দিতে পারিরে বুবু আমিও পারি।
.
বুবুর চোখে স্পষ্ট নোনাজল দেখতে পাচ্ছি। সেও হয়ত বুঝেছে আমার মনের ভাষা গুলো। হয়ত ভাবতে পারেনি তার ছোটু তাকে এভাবে বকা দিয়ে নিজের হাতে ভাত খাইয়ে দিবে। বুবু ভাবছে হয়ত, এটা কি বকা নাকি তার ছোটুর ভিতরে লুকিয়ে থাকা তার জন্য বিশাল ভালোবাসার সমুদ্র.?
.
হঠাৎ একদিন সকালে বুবুর বুকে ব্যথা শুরু হলো। শুধু  ছোটু বলে একটা ডাক দিয়েছিলো আমায়। আমি দৌড়ে মাথার কাছে গিয়ে বসে পড়লাম। দেখি কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। শুধু বোঝাতে চাচ্ছে তার দম যেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বুবুর প্রচন্ড শ্বাস  কষ্ট হচ্ছিলো। দম ফেলতে পারছিলো না। এতক্ষনে বাবা-মা ও এসে পড়েছে।  বুবুকে খুব তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো। আমি যেতে চাইলাম কিন্তু বাড়িতে কেউ নেই তাই আমাকে রেখে চলে গেলো বুবু কে নিয়ে।  আমি বুবু কে নিয়ে যাওয়া দেখছি আর বুঝতে পারছি বুকের পাঁজর ভেঙে গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে। মনে এক অজানা আশংকায় হুহু করে কেঁদে উঠছে।
.
পুরো বাড়িতে আমি একা, যেন মনে হচ্ছে একটা শীতল পরিবেশ বিরাজ করছে। মনে পড়ছে সেই দুষ্টু-মিষ্টি ঝগড়া। যা  মাতিয়ে রাখতো পুরো বাড়ি। বড্ড মনে পড়ছে বুবু কে। যখন রাতে ঘুমাতাম কাঁথাটা নিতাম না। হঠাৎ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে বুঝতাম কেউ একজন কাঁথাটি গায়ের উপরে দিয়ে দিয়েছে। সে আর কেউ নয় আমার বুবু। হঠাৎ পড়তে বসে মাথা ব্যথা করলে খাটে চোখ বুজে শুয়ে থাকতাম। হঠাৎ কারো স্পর্শ আমার কপালে পেতাম। তাকিয়ে দেখতাম বুবু মাথার কাছে বসে তার ছোটুর মাথা টিপে দিচ্ছে। কখনো যদি জ্বর হত দেখতাম বুবু মাথায় জল পটি দিয়ে দিচ্ছে। আমাকে নিয়ে মার চেয়ে যেন বুবুর চিন্তাটাই বেশি।  জ্বরের সময় কিছু ভালো লাগে না। তখন আজগুবি  বুবুরে বকা দিতাম। আবার একটু পরেই দেখতাম ঔষধ নিয়ে ডাক দিচ্ছে, 
--এই ছোটু ঔষধ খেয়ে নে নইলে যে শরীরটা আরো বেশি খারাপ হয়ে যাবে।

তখন কিছু না ভেবেই বুবুর গলাটা জড়িয়ে ধরে অঝোরে কান্না করতাম। এই জন্যেই হয়ত বলে যার বড় বোন আছে সে যেন আরেকটি মা পেয়েছে। আজ বুবু হাসপাতালে একটুও খবর নিতে পারছি না। বড় বেশি মনে পড়ছে বুবুকে। চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছে করছে বুবু তুই কই গেলি.? দেখ আমি তোর ছোটু একটু আদর করবি বুবু.?
.
আমার গলা শুকিয়ে আসছে।  কোনো কিছুতেই মন বসছে না। খেতে গেলে বারবার বুবুর মুখ ভেসে উঠছে তখন আর খেতে পারছি না। বিকালে বাবা এসেছে বাড়িতে।

-- বাবা বুবু কেমন আছে.? কি করছে.?

-- আলহামদুলিল্লাহ্‌,  হাফসা ভালো আছে। তোর মা একটু আগে তাকে খাইয়ে দিয়েছে। তোর মা ও খেয়েছে। আমি এসেছি খেতে।

--কেন তুমি খাওনি কেনো.? ওদের সাথে খেলেই তো পারতে।

-- তুই কি করবি না করবি তাই চলে এসেছি। খেয়েছিস.?

--না।  বুবুর কথা বড় বেশি মনে পড়ছে তাই আর খেতে ইচ্ছে হচ্ছিলো না।

--তাহলে চল একসাথে খাই।
.
বাবার সাথে খেতে খেতে বুবুর কথা জিজ্ঞেস করলাম। কি হয়েছে না হয়েছে আরো অনেক কিছু। বাবা সব কিছুরই উত্তর দিলো কিন্তু একটা কথা হয়ত লুকিয়েছে সেটা স্পষ্ট বুঝতে পারলাম। বাবা বললো গ্যাস্ট্রিকের জন্য এমন হয়েছে।  কিন্তু আমি পরিষ্কার বুঝতে পারলাম যে সত্য কথাটা হয়ত আমার কাছে লুকোচ্ছে। খাওয়া শেষে, 

--বাবা বুবুকে দেখতে যাবো নিয়ে চলোনা আমায়।

-- বাবা বললো এখন না পরে যাস। কোনো চিন্তা নেই আর তোর বুবুকে অনেক রেস্ট নিতে বলেছে। আর উত্তেজিত হতে নিষেধ করেছে। তুই সামনে গেলে কেঁদে দিবি। তাই এখন না পরে নিয়ে যাবো।

-- বাবা আমি একদমই কান্না করবনা।  তুমি আমাকে নিয়ে চলো।

আমি কথাটা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেছি। বাবা কিছু না বলে নিজের রুমে চলে গেলো।

বাবা হয়ত বুঝতে পেরেছে আমার অবক্ত কথা গুলো কিন্তু বুঝেও না বোঝার ভান করছে। আমি রুমে গিয়ে শুয়ে পড়েছি। কিন্তু চোখ দুটোর যেন ক্লান্তি নেই,  তারা বয়ে চলেছে অবিরাম। যেন থামার কোনো ইচ্ছেই নেই।
.
রাতে বাবা চলে গেলো মা এলো। মা রান্না মকরে আবার বুবুর কাছে চলে যায়। আমি। যেতে চাইলেই কোনো না কোনো বাহানায় বাড়িতে রেখে যায়। সবাই যেন পর করে দিয়েছে। আমি যেন কেউ না। নিজের বুবু কে দেখতে যাবো তাও এরা যেতে দিচ্ছে না। এদিকে আমাকে হাসপাতালের নামও বলছে না। একা যে চলে যাবো তারও উপায় নেই। তার উপরে বাবার ঝাড়ি যেন না যাই। ক্রমশ আমার মন ভারী হয়ে আসছে এক অজানা কারণে। এভাবেই কেটে গেলো ৪ টি দিন।
.
আজ শুক্রবার। ফজরের নামাজ পড়েছি। রাতে ঘুম হয় নি তাই তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে বুবুর জন্য দোয়া করেছি। এই কয়দিনে  আমি অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছি। আর ভোরে ডাকতে হয় না। ঠিক সময়ে জেগে যাই।  যদি বুবুর কথা খুব মনে পড়ে তবে দু-রাকাত নফল নামায পড়ে বুবুর জন্য দোয়া করি। আজ খুব বেশি মনে পড়ছে।  বাবা সকাল সকাল বেরিয়ে গেছে। আমার প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছিলো তাই বাবাকে বাহিরে তালা লাগিয়ে যেতে বলি।  বাবা জুমার নামাযের আগেই আসবে বলে গেলো। আর মা তো বুবুর কাছে সব সময়। আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে বুবুর কথা ভাবছি এর মধ্যেই যে, কখন গভীর ঘুমের দেশে প্রবেশ করেছি বোঝার উপায় নেই। হঠাত এক শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়।  কে যেন বলছে,

--এই ছোটু, ছোটু, কই রে কুত্তা। একবারো দেখতে গেলি না.?

আমি হুরমুড়িয়ে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছি। ঘুমের ঘোরে বুবুর চেহারা কে দেখতে পাচ্ছি। বাবা-মা ও দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না। আর এমন ভাবিনি যে বুবু আজই আসবে। কেউ আমাকে কিছুই বলেনি। আমি বুবু বলে ডাক দিতে পারছিনা। শুধু  ঢুলু ঢুলু চোখে এগিয়ে যাচ্ছি আমার প্রাণের বুবুর দিকে।।
.
মেহেদি হাসান

2859

রাসেল ভাই আশা করি ভাল আছেন।   আমি জানি আপনি সব সময় ভালোর দলে। কিন্তু আমি কোন ভাবেই ভাল থাকতে পারছি না রাসেল ভাই। কদিন আগে আমার জীবনে ঘটে সেই ভয়ংকর ঘটনা। আমার জীবন এখন কাটছে ভয়ে ভয়ে। রাতে ঠিক মত ঘুমাতে পারি না, ঠিক মত খেতে পারি না। দুচোখের পাতা এক করলেই মনে হয় এই বুঝি সে চলে এলো, রান্না ঘরের বটি হাতে আমাকে মারতে এল।

ঘটনা খুলে বলি রাসেল ভাই। দুই সপ্তাহ আগের কথা। আমি রাতের বেলা মোবাইলে ব্রাউজ করছিলাম। এরই মাঝে আমার স্ত্রী ঘরে এসে বলল যে আমাকে কে জানি ডাকছে। আমি মোবাইলটা বিছানার উপরে রেখে বাইরে বের হয়ে দেখি আমার অফিসের একজন এসেছে। তার সাথে একটা দরকার ছিল। সেটা শেষ করে আমি যখন আবার নিজের রুমে ফিরে গেলাম তখন রাসেল ভাই আমি যা দেখলাম তা দেখার জন্য আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না।
আমি দেখলাম.... আমি দেখলাম রাসেল ভাই আমার বউয়ের হাতে আমার মোবাইল। আর সেটার স্ক্রিনে আলো জ্বলছে রাসেল ভাই। যাওয়ার সময় স্ক্রিনের আলো অফ করি নি তাই মোবাইল আনলক ছিল। রাসেল ভাই এই সুযোগে আমার বউ আমার ভাইবার ইমো মেসেঞ্জার সব চেক করে ফেলেছে। তার মুখ দেখেই আমি বুঝতে পারছিলাম।
সেই চেহারা আমি কোন দিন ভুলবো না রাসেল ভাই। কি আগুন চোখ নিয়ে সে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। সেই দিন থেকে আমি ভয়ে ভয়ে আছি।  আমি রাতে ঠিক মত ঘুমাতে পারি না, ঘুমালেই মনে হয় এই বুঝি আমাকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলবে নয়তো খাবারে বিশ মিশিয়ে দিবে।

এই ভয় থেকে কি আমার মুক্তি নেই রাসেল ভাই। এই ভয় থেকে আমি মুক্তিচাই। ভাল লাগলে পড়ে শোনাবেন রাসেল ভাই। আপনার মাধ্যমে ভুতএফএমের সকল শ্রোতাদের কাছে এর সমাধান জানতে চাই।

#ভয়ের_গল্প
#ভুতএফএম