āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ā§Ŧ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3104 (4)

#অবাক_পৃথিবী 6

>এই ওঠো। আর কত ঘুমাবা। সবাই উঠে গেছে… (বউ)
-হুম হুম… (আমি)
>এই দেখো তখন থেকে শুধু হুম হুম করে যাচ্ছে ওঠার কোন সম্ভবনাই নেই…
-আর একটু ঘুমাই না প্লিজ… তুমিও ঘুমাও আমার সাথে… (হাত টেনে কাছে এনে)
>আমি তো তাই চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি তো শুনলে না আমার কথা…
-আচ্ছা এখন শুনবো দাড়াঁও… এই তুমি শাড়ি পড়নি… সেলোয়ার কামিজ পরেছো… (চোখ বুজেই কথা বলছি)
>ও মা আমি কি শাড়ি পরতে পারি নাকি…
-তাহলে কালকে কে পরিয়েছিল…
>কই আমি তো কাল শাড়ি পরিনি…
-ব্যপারটা কেমন জানি লাগছে। শাড়ি পরেনি। আবার পরতেও জানেনা কিন্তু বিয়ের আগে তো প্রেম করার সময় বেশ কয়েকবার শাড়ি পরে এসেছিল। আর ওজনটাও কেমন জানি কম কম মনে হচ্ছে। তার মানে তাহলে কি… (মনে মনে)
>এই কি হল আমরা কবে বিয়ে করছি…
*
যা ভেবেছি তাই। এটাতো ইশিতা নয়। এটাতো কাকলি ছাড়া আর কেউ নয়। চোখ খুলে তো আমি সাড়ে তিনশ ভোল্টের ঝটকা খেলাম। দড়জায় ইশিতা দাড়িয়ে আর আমার উপরে কাকলি। অনেকটা ফোস ফোস করছে ইশিতা…
-হে-হে-হে-হে-হে-হে-হে… (আমি)
আমার হাসি দেওয়াতে বেশ খানিকটা বিরক্তি বোধ করছে ইশিতা। আর কাকলি তো অবাক কিন্তু ইশিতাকে দেখে সেও হাসতে শুরু করল অনেকটা অপ্রস্তুত হয়ে। যেমনটা চোর চুরি করতে গেছে চুরির মাল পত্র নিচ্ছে এম সময় বাড়ির লোক এসে হাজির।
-হি হি হি হি বোকা হয়েছে বোকা হয়েছে… (আমি)
আমার কথা শুনে দুজনেই বেশ হতবম্ব। আসলে আমি নিজেই হতবম্ব। বিয়ের পরের দিন এভাবে সলিড ভাবে সকাল বেলা নিজের ঘরে কেস্ খাব ভাবতেই পারিনি। কিছু একটা করে তো ম্যানেজ করতে হবে না হলে প্রথম দিনই যদি বউ চলে যায় লোকে কি বলবে। আর তো কেউ মেয়েও দেবে না।
-কি রে বল বলছিস না কেন…. (কাকলিকে ধাক্কা মেরে)
>বোকা হয়েছে বোকা হয়েছে… (অপ্রস্তুত হয়ে কাকলি)
-যা অভিনয় করলাম না… এভাবে চলতে থাকলে অস্কার নিশ্চিত। আসো… (ইশিতার হাত ধরতে গিয়ে)
<….??? (আমার হাত ঝটকা দিয়ে ফেলে দিয়ে)
-কি রে বল না আসল ব্যপারটা কি… (আমি)
>আসলে…
-থাক আমিই বলছি… (কাকলিকে থামিয়ে)
<অনেক নাটক হয়েছে। এখন ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে আসো… আর তুমি আমার সাখে আসো… (সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইশিতা)
-সত্যি আমি আসছি… (নাহ্ ঝড়টা আসেনি)
<তোমার খবর পরে করছি… (আমার কানে কানে ইশিতা)
*
যাহ্ বাবা কি ভাবলাম আর শেষে কি বলল। সব ওত উল্টে দিল একদম। এখনতো যেভাবেই হোক ম্যানেজ করতাম। কিন্তু এখন তো বিষয়টা ও ভাববে। সব একদম খুতিয়ে খুতিয়ে দেখবে। আর ও যে মেয়ে কি টেনশনরে বাবা। প্রতি পদক্ষেপে ভয়। আসলেই বিয়ে একটা না থাক বিয়েটাতো আমিই করেছি। তাহলে অত বলে লাভ নেই। সব সত্যিটা বলে দেব তারপর কি হবে হবে।
অতঃপর ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে আসলাম। কিন্তু আমার তো জায়গা নেই। আমি আসলাম অথচ কেউ যেন দেখলই না। মনে হচ্ছে আমি আর পৃথিবীতে নেই। শুনেছি মানৃষ যখন মরে ভুত হয় তখন আর কেউ তাকে দেখতে পায় না। তাহলে কি আমি ভুত। না না না আমি এত তারাতাড়ি মরতে পারিনা। সবে মাত্র আমার বিয়ে হয়েছে। ধুর কি সব ভাবছি…
-মা আমার নাস্তা কোথায়… (আমি)
>একটু অপেক্ষ্ কর… (মা)
-আচ্ছা… এই স্নিগ্ধা তোর ভাবি কোথায় রে…
<খাচ্ছে… (স্নিগ্ধা)
-আমাকে ছেড়ে একা একা খাচ্ছে… এত দিন শুনতাম মেয়েরা খাওয়ার জন্য স্বামীদের আসার অপেক্ষা করে আর এ কিনা… রাক্ষসী কোথাকার…
<কিছু বললে… (স্নিগ্ধা)
-না না আমি কি বলব… আমি তো মরা (হেসে হেসে)
>কি ব্যপার এখনও পেটে কিছু পড়ে নি… (বাবা খেতে খেতে)
-আরে বাপরে মনে হচ্ছে পুরো পশ্চিম বঙ্গের খাবার একাই খেয়ে ফেলবে। এমনি কি দেশে এত আকাল শুধু এই লোকটার জন্য। এমন ভাবে খাচ্ছে যেন আর কোন দিন খাবে না। আবার আমাকে ভেংচি কাটা হচ্ছে যে পেটে কিছু পড়েনি… (মনে মনে)
>কিরে চুপ করে বসে আসিস কেন… আরে শোন বিয়ের পর এমনটাই হয়…
-ছাড়োতো…
>হুম আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আমার যখন বিয়ে হয়েছিল তখনও এরকম হয়েছিল। আমাকে কেউ খেতে দেয়ে না। আর বউমার কি আদর দেকে মনে হয় আমি সস্তা বাজারের আলু পটল ব্লা ব্লা ব্লা। সকাল গড়িয়ে দুপুর দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত কউ আর খেতে দেয়না। তবে অবশ্য রাতে তোর মা কি বলব লজ্জা লাগছে…
-তোমার আবার লজ্জা (মনে মনে) বলে ফেল অসুবিধা নেই… আরে আমরা আমরাই তো…
>তো রাতে তোর মা অনেক আদর যত্ন করে তখন তো এই রকম কারেন্ট ফ্যান ছিলনা। তখন হাত পাখা দিয়ে বাতাস করে আহ্ কি সুখকর মুর্হুত। সারাদিনের ক্লান্তি সব দুর হয়ে যেত একদম। কিন্তু সারাদিন অবহেলায় কি আর থাকা যায়। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে খেতে হত। তুই ও তাই কর… বাবা হয়ে যে তোর কষ্ট আর সহ্য করতে পারছি না…
-তাই…
>হ্যাঁ রে খোকা…
-খোকা নতুন ফন্দি এটেছে নাকি। সজাগ থাকতে হবে (মনে মনে) তা এতই যখন কষ্ট হচ্ছে তুমি নিজেই একটু দিলে তো পারো….
>সেটা কি আর করতে চাইনি। কিন্তু কি করব বল আমার হাত পা তো বাধা…
*
পা থেকে মাথা পযন্ত একবার ভাল করে দেখে…
>কি রে কি দেখছিস এমন করে… (বাবা)
-না দেখছি তোমার হাত পা বাধা কি না। কিন্তু তোমার সবই খোলা দেখতে পাচ্ছি। তাহলে বাধা হল কিভাবে… (আমি)
>আরে এ বাধা সে বাধা নয়। বাসায় অনেক আত্নীয় স্বজন এসেছে না। এতে তোর মায়ে জোরটা একটু বেড়ে গেছে। রান্না ঘরে ঢুকতেই আমাকে বের করে দিয়েছে আমি আর কি করব বল… না পারছি বলতে না পারছি করতে। তাই তো বলছি তুই বাইরে যা খেয়ে আয়…
*
বাবার কথা গুলো ফেলে দেওয়ার মত নয়। তিনি তো তার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছেন। কিন্তু আমার অপেক্ষা করা উচিত। অতঃপর অপেক্ষার প্রহর গণা শুরু করলাম। কিন্তু অপেক্ষার তো শেষ নেই। কেউ আমার কথা ভাবছেই না। যেমনটা বাবা বলেছিল। নাহ্ এবাবে থাকলে পেটের মধ্যে যা কিছু আছে সব শেষ হয়ে যাবে। আমার বাবার কথায় কাজ করাই উচিত।
অতঃপর বাইরে থেকে খেয়ে আসলাম। আর এসেই বুঝতে পারলাম বাবা আমাকে আবার বোকা বানিয়েছে। বাসায় আসার সাথে সাথে মায়ের এক গাদা কথা শুনতে হল। অবশ্য ভালই লেগেছে কথা গুলো না শেষের কথাটা…
>বউমা তোর সাথে খাবে বলে কখন থেকে অপেক্ষা করে বসে আছে। আর তুই বাইরে থেকে খেয়ে আসিস। এত গুলো লোক বাসায় একটু চিন্তা ভাবনা করে কাজ করতে পারিস না… (মা)
-হুম… (মাথা নিচু করে)
>হুম এখন ঘরে যা… বউমা অপেক্ষা করছে।
*
উফফ বাবা ভাবা যায়না। বউ আমার জন্য না খেয়ে বসে আছে। না না আর দেরি করা ঠিক না। অনেক কষ্ট দিয়েছি বউটাকে আর কষ্ট দেওয়া ঠিক হবে না। অতঃপর আমার রুমের দিকে পা বাড়ালাম। কিন্তু কাছে যেতেই…
>তোমার ভাইয়া তখন যা বোকাটা হয়েছিল না একদম গাধা গুলোর মত লাগছিল… (ইশিতা)
<এভাবে বলো না হাজার হলেও তোমার স্বামী… (কাকলি)
>তা অবশ্য ঠিক বলেছো। আচ্ছা বাদ আগে খেয়ে নেই… (ইশিতা)
<আরো খাবে... এই নিয়ে তিনবার খাওয়া হবে… (কাকালি)
>আরে বাবা না খেলে ধরা পরে যাব না। বাবা তো মাকে বলেছে যে আমি এখনও খাইনি। তাহলে এখন…
<হুম বুঝতে পেরেছি…
-আচ্ছা তাহলে এই ঘটনা। ঠিক আছে আমিও কম না। আমাকে গাধার মত দেখতে পরে বুঝতে পারবা। (মনে মনে)
>এই এই কে যেন আসছে… অভিনয় শুরু করে দাও… (ইশিতা)
<হুম… হুম ভাবি সকাল থেকে কিছু খাওনি একটু খেয়ে নাও… না হলে তো শরীর খারাপ করবে… (কাকলি)
-ও বাবা না খেয়ে আছে ঢং… (মনে মনে)
>না আমি তোমার ভাইয়া না খাওয়া পযন্তু এক ফোটা জলও মুখে দিব না…
-আদিক্ষেতা দেখে পারিনা। (মনে মনে)
<কেন?
>মেয়েদের বিয়ে হলে ওরা স্বামীদের পরে খায়। এতে করে স্বামীর ভালবাসা বেশি পাওয়া যায়…
-হুম ঠিক কিন্তু তোমাকে আর বাসবো না… (আমি ঘরে ঢৃকে)
>কিন্তু কেন… (ইশিতা)
-আমি ধোকাবাজদের ভালবাসনা।
>কেন আমি কি ধোকা দিয়েছি তোমাকে…
-আবার প্রশ্ন করছো কেন… প্রশ্ন করে কোন লাভ নেই। গাধারা প্রশ্নের উত্তর দিতে জানে না।
>তার মানে তুমি সব শুনেছো…
-না শুনিনী এটাই তো…
>আচ্ছা ঠিক আছে সরি। এই যে কানে ধরছি আর কোন দিন এমনটা হবে না…
-….??? (আমি চুপ)
>প্লিজ। আমাকে মাফ করে দাও আর কখনও এমন করবো না… (কান ধরে)
-আচ্ছা যাও এবারের মত মাফ করে দিলাম।
>এই আমার ভাল বর… (আমাকে জড়িয়ে ধরে)
*
অতঃপর আমিও জড়িয়ে ধরলাম। আর কাকলি আমাদের প্রেমে বাধার সৃষ্টি না করে সোজা চলে গেল।
এভাবেই চলে যাচ্ছে আমাদের দিন। বাবা মা আমি ইশিতা সবাই অনেক সুখে আছি। এখন মাঝে মাঝে ইশিতার জন্য সন্ধ্যায় রজনীগন্ধার মালা নিয়ে আসি। সেটা আবার ওর খোপায় লাগিয়ে দিয়ে রিকশা করে সন্ধ্যার লাইটের আলো ভরা শহরটা ঘুরে দেখী। বিয়ের পর এটাই এখন ডেটিং। বিয়ের আগে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে তিনদিন হাত ধরে ঘুরতাম। কিন্তু এখন তো সব সময় পাশে থাকে তাই একটু কদর কম।
*
প্রায় দুই বছর পর…
>এই শুনছো… (ইশিতা)
-হুম বলো… (আমি)
>আমার একটা বান্ধবী জানো ওর বিয়ে হয়েছে তিন মাস হলো…
-কে তোমার ঐ বান্ধবীটা যাকে আমি প্রোপোজ করেছিলাম…
*
এত দিনে সব জানা জানি হয়েছে।
*
>হুম…
-তো কি…
>জানো ওর স্বামী কত ভাল সব সময় ওর কথা শোনে… ও যাই বলে তাই করে…
-তাই নাকি…
>হুম…
-ঐ ব্যটা তাহলে বলদা। বউ যা বলে তাই করে…
>কিহ্…
-না মানে কিছু না। বলো তারপর কি…
>ওর স্বামী ওকে এত ভালবাসে যে ওদের ভালবাসায় যাতে কোন কমতি না থাকে তাই জন্য ওরা আলাদা থাকে…
-হুম তাতে কি…
>শুধু তাই না আমার প্রায় বান্ধীরা ওদের স্বামীর সাথে আলাদা থাকে…
-তা তুমি কোথায় জয়েন্ট আছো। এখানে তো তুমি আর আমি ছাড়া কেউ নেই
>এই থাকা সেই থাকা নয়…
-মানে কি বলতে চাচ্ছো তুমি…
>জানো আমার অনেক দিনের স্বপ্ন আমার একটা সুখের সংসার হবে। যেখানে থাকব শুধু তুমি আর আমি। আমাদের একটা বেবি হবে যে সব সময় আলোকিত করে রাখবে ঘর।
-ওহ এই কথা। দাড়াও দরজা দিয়ে আসি বেবির ব্যবস্থা করছি… (হেসে হেসে)
>নাহ এই কথা নয়…
-তাহলে…
<বউমা তোমার শশুর কে এক কাপ চা দিয়ে যাও তো… (মা ডাকছে)
-আমি পারবো না। আপনি বানিয়ে দেন… সারা দিন শুধু খাই খাই… (ইশিতা)
>ইশিতা কি হচ্ছে কি। এমন আচরণ করছো কেন… ববাকে চা বানিয়ে দিয়ে এসো… (আমি)
*
আমার কথা শুনে অতঃপর গেল। গত তিন মাস থেকে এটাই করছে। ও ওর বান্ধবীর কথা বলে কি বলতে চায় সেটা আমি ভাল করেই জানি। কিন্তু এটা কোন ভাবে সম্ভব নয়। যারা খেয়ে না খেয়ে আমাকে বড় করেছে। তাদের কষ্ট দিয়ে নিজের সুখ কল্পনা করা যে পাপ। তাদের তো আমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। আমার সন্তানের সাথে তারাও খেলতে চায়। ছোট থেকে আজ অবধি আমি যা চেয়েছি তাই দিয়েছে আমাকে। আমি কি তাদের এটুকু দিতে পারব না। তারা কি আমার কাছে এই ছোট চাওয়াটা আশা করতে পারে না।
আসলেই ভাল সময় বেশিক্ষণ থাকে না কারো জীবনে। সুখ খুব কম সময় মানুষের জীবনে স্থায়ী হয়। আর আমিও বা তার ব্যতিক্রম হব কেন। বাবা চাকরি শেষ হয়েছে আজ তিন মাস হল। আসলে শেষ হয়নি, আমি আর চাকরি করতে দিতে চাচ্ছি না। বাবা বয়স হয়েছে। আর এমনটা নয় যে সরকারী চাকুরী যে একদম শেষ বয়স পযন্ত করবে। আর এমনটা তো নয় আমি বেকার। আমি যতেষ্ট ভাল একটা পোস্ট এ আছি। কিন্তু এই বিষয়ে ইশিতা এক মত ছিল না। ও চেয়েছিল যে বাবা চাকুরিটা করুক। তাহলে সংসারে একটা বারতি আয় হবে। এই জন্য কি আমি ভালবেসেছিলাম। বাবা মা কে কাদিয়ে নিজে সুখী হব। এর নামই ভালবাসা। শুধু টাকার খেলা। বাবা মার স্বপ্ন মাটি করে তাদেরকে কাদিয়ে নিজে সুখী হওয়া…
*
কিছুদিন পর…
-কি ব্যপার কোথায় যাচ্ছো… (আমি)
>জাহান্নামে… (রেগে ইশিতা)
-আরে বাপরে… আমিও যাব আমাকেও নিয়ে যাও… (মজা করে)
>তোমার যাওয়া লাগবে কেন এটাই তো জাহান্নাম…
-ও তাহলে তো তুমি এখানেই থাকলে পারো… আবার নতুন জায়গায় যাওয়ার দরকার কি…
>তোমাকে শেষ বারের মত বলছি তুমি আলাদা বাসায় থাকবে কি না… (রাগি গলায়)
-এই কি সব আবোল তাবোল বকছো। আর আসতে কথা বলো… এভাবে বলবে বাবা মা শুনলে কষ্ট পাবে…
>কষ্ট ওদের আবার কষ্ট আছে নাকি… এই শুয়ে বসে খেয়ে বেশ ভালই আছে… (চিৎকার করে)
-ইশিতা… (থাপ্পর দিয়ে)
>মারো আমাকে মেরেই ফেলো… (গালে হাত রেখে)
-হ্যাঁ মেরেই ফেলব… আমার বাবা মা সম্পর্কে আর একটা বাজে কথা বললে… এই জন্য তোমায় ভালবেসে বিয়ে করেছিলাম। আজকের দিনটা দেখার জন্য যে তুমি আজ আমার বাবা মাকে বোঝা মনে করবে… বন্ধুরা ঠিকি বলত ভালবেসে বিয়ে করতে নেই… (অনেক রাগী গলায় যদিও বা কোন দিন রাগ হয়নি)
>হ্যাঁ তাই করতা…
<এই জ্যোতি কি হয়েছে বাবা। এত চেচামেচি কেন… (মা)
*
আমাদের ঝগড়া শুনে বাবা মা দুজনেই চলে এসেছে। না কিছু একটা বলে ম্যানেজ করতে হবে না হলে বাবা মা দুজনেই অনেক কষ্ট পাবে।
*
-না বাবা কিছু না। তোমার বউমা বাইরে ঘুরতে যেতে চাচ্ছে কিন্তু আমি আজ যেতে পারব না বলে তাই রাগ করছে… (আমি)
<ওহ… (বাবা) বউমা এতে রাগ করার কি আছে… কাল নিয়ে যাবে এখন আমি বলে দিব…
>আপনি চুপ করুন। আমাদের মাঝে নাক গলাতে হবে না… (রাগান্বিত্ব কন্ঠে ইশিতা)
-ইশিতা কি হচ্ছেটা কি… কাকে কি বলছো… (আমি)
>আমি বলছি আর কি বলতেছি সেটা তোমার ভাল করে বোঝার কথা… তোমাকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে কাকে তোমার জীবনে তুমি চাও আমাকে না তোমার এই বাবা মা কে…
-ইশিতা এবার কিন্তু আমার ধর্যেরসীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে… (আমি)
<খোকা এসব কি বলছে বউমা… (মা)
>তোমাকে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে…. (ইশিতা)
-তুমি যদি শুনতে চাও তাহলে শোন তোমার চেয়ে আমার বাবা মায়ের মূল্য আমার জীবনে অনেক বেশি র্দীঘ আটাশ বছর যাবৎ আমি তাদের সাথে আছি ওরাও আমার সাথে আছে... আমার সব স্মৃতিতে মিশে আছে তারা। হয়তো তুমিও আছো আমার কোন এক জায়গায় কিন্তু তা নিতান্তই ছোট… (প্রচন্ড রাগে)
>আমার বোঝা হয়ে গেছে…
-ভাল বুঝতে পারার জন্য ধন্যবাদ। তোমাকে আমি আটকাবো না এখন সিদ্ধান্ত তোমার…তুমি চাইলে যা খুশি তাই করতে পারো… (আমি)
*
আর কোন কথা না বলে ব্যাগ নিয়ে সোজা বেরিয়ে গেল।
*
<বউমা যেও না। (মা হাত ধরে)
>আমার হাত ছাড়ুন… (হাত ঝটকা দিয়ে ছাড়িয়ে)
-যেতে দাও মা যেতে দাও। ওর মত মানুষকে অনুরোধ করে কোন লাভ নেই। আর ওর কোন স্থান নেই আমার কাছে। (আমি)
<এসব কি বলছিস বাবা। যা বউমাকে আটকা… (মা)
-না মা আমার বাবা মা যার কাছে বোঝা তার মত কাউকে আমার জীবনে প্রয়োজন নেই। মিছে দুঃখ করো না…
To be continue…
লেখা: লিটন (খচ্চোর)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ