গল্পঃ রুমান্স
__Siam Ahmed Joy (গান গবেষক)
.
আমি বসে আছি টেবিলে। কেউ একজন আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে আদর করে। আমি বেশ মজা করে খাচ্ছি। সে লজ্জায় চোখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে বারবার। একবার ইচ্ছে হলো ফাইজলামু করে হাতে ছোট্ট করে কামড় দিবো। নাহ এবার কামড় দিয়েই দিবো। দিলাম কামড়! একি আমার হাতে ব্যাথা পেলাম। একটু দিতে গিয়ে বেশ জোরেই দিয়ে দিলাম। আহ ব্যাথা পেয়েছি। বুঝলাম স্বপ্ন দেখছিলাম। ধ্যাৎ স্বপ্নেও একটু রোমান্স করতে পারলাম না! আসলে আমাকে দিয়ে কিছুই হবেনা। আমার কপালে কি প্রেম নেই? ভালবাসা নেই? মায়ের কথাই ঠিক আমি ভীতু। সাহস করে কিছুই করতে পারিনা। আমি কি করবো? মেয়েদের সামনে গেলেই যেন আমার হার্ট কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
.
সকাল হতেই মা অনেক গুলো মেয়ের ছবি সামনে দিয়ে দিলো। এবার বড় চাপ। মেয়ে পছন্দ করতেই হবে। আমি নাকি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। দুদিন পর কেউ নাকি বিয়ে করবেনা। কিন্তু আমার এসব মেয়ে দেখে বিয়ে টিয়ে করতে ভাল লাগেনা। প্রেম না করে বিয়ে করলে জীবনে কিছু একটা যেন অপূর্ণই থেকে যায়। কিন্তু এতোদিনে যাদের পছন্দ হয়েছে সবারই প্রেমিক আছে! মা আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। সবচেয়ে ফ্রি। এখনো মাঝে মাঝে মা আমাকে মারে। কি লজ্জার বিষয়। বেশী মারেনা কিন্তু! শুধু কানে ধরে টান দেয়। তাই বলেই দিলাম। প্রেম না করে বিয়ে করছি না।
.
মা বলে, তোর আর প্রেম করা হবেনা। এরকম ভীতু ছেলেদের সাথে মেয়েরা প্রেম করেনা। মেয়েরা সাহসী ছেলেদের পছন্দ করে বুঝলি? আর প্রেম করা মেয়েছেলেরা ভাল হয়না বুঝলি? আমি চুপ করে থাকি। আমার কি সাহস নেই? আমার অনেক সাহস আছে হুহ। নাহলে কি পুলিশ হতে পারতাম নাকি? কিন্তু প্রেম করার সাহস মনে হয় আমার নেই। মা শুধু বলে, তোর বাবা অনেক সাহসী ছিলো বুঝলি? পুলিশ ছিলো পুলিশ। আমি ছিলাম তোর বাবার স্যারের মেয়ে। কতবার যে লুকিয়ে লুকিয়ে সিনেমা দেখতে গিয়েছি হিসাব নেই। আমার এসব শুনতে অনেক মেজাজ খারাপ হয়। অনেক হিংসেও হয়। আবার ভালও লাগে। আমি অনেকবার মা'কে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছি।
.
বাবা থাকলে বাবা'ই নিয়ে যেতো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজ বাবা আর পৃথিবীতে নেই। সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। প্রতি রাতে এখনো মা কাঁদে। বিশেষ করে শুক্রবারে। মা, বাবা আর আমি সবসময়ই শুক্রবারে রাতে খাওয়া শেষে লুডু খেলতাম। আমাকে সবসময়ই বাবা চিটিং করে প্রথম করে দিতো। আর মা'কে শুধু বড় বড় সাপের মুখে ফেলতো। আর আমি মই দিয়ে উপরে! মায়ের ইচ্ছেমতেই পুলিশ হয়েছি। আমি পুলিশ হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বেশী অবদান আমার মায়েরই। সবসময়ই একটা কথা বলে, সাহসী হতে হবে। নাহলে না দেশের জন্য কিছু করতে পারবি না নিজের জন্য কিছু করতে পারবি। কতটুকু সাহসী হলে মা আমাকে সাহসী বলবে তা মা'ই জানে!
.
আমার আর প্রেম করা হবেনা। বিয়েও করা হবেনা! উক্তিটি আমার মায়ের। আমারও এখন তা'ই মনে হয়। না একটা কিছু করতেই হবে। নাহলে আমার আর রুমান্স করা হবেনা। কোন উপায় না পেয়ে মা'কে অনুমতি দিয়েই দিলাম। মেয়ে দেখো বিয়ে করতে রাজি। কথামতো ঘটক মেয়ে দেখা আরম্ভ করে দিলেন। প্রথমে স্টাইলিশ, ফ্যাশনীক একটি মেয়ের খুঁজ ঘটক দিলেন। আমার পছন্দ হবে দূরের কথা। মায়েরই পছন্দ হবেনা। স্টাইলিশ, ফ্যাশনীক মেয়েরা সংসারের জন্য অমঙ্গলকর। সাংসারিক মনমানসীকতা সব মেয়েদের থাকেনা। সুতরাং এই মেয়ে বাদ। দ্বিতীয় আরেকটি মেয়ের খুঁজ দিলো। ছবি দেখে মনে হলো আমি পাতিলে দুধ দেখছি। বা আটা, ময়দা বলা যায়। ফেইক সুন্দরী।
.
সুতরাং এটিও বাদ। তৃতীয় মেয়ের সন্ধান। চোখগুলো দেখে মনে হচ্ছে। ইনোসেন্ট বা নিস্পাপ স্বভাবের হবে। নাহ খারাপ লাগলোনা। মায়েরও পছন্দ। কথাবার্তা বলা যায়। পাত্রী দেখতে যাওয়া, পাত্র দেখতে আসা। আমার কাছে এসব বিরক্তিকর। তবুও সারাজীবন একসাথে পার করবো যাকে নিয়ে তাঁর সমন্ধে কিছু জানা উচিৎ। আমার সমন্ধেও তাঁর জানা উচিৎ। চেয়ারে বসে আছি। টেবিলে নানান জাতের খাবার তৈরি করে সাজিয়ে রাখা আছে। এতো খাবার দশ জনেও খেয়ে শেষ করতে পারবেনা। আমি অনেক কিছুই জিজ্ঞেস করেছি। কিন্তু আমাকে শুধু জিজ্ঞেস করেছে, আপনি তো পুলিশ। আপনি কি অনেক রাগী? আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম, না। মেয়েটির নাম নওশীন। নওশীন অর্থ মিষ্টি।
.
আমার মনে হয় এজন্যই মেয়েটির নাম রাখা হয় নওশীন। আচার ব্যাবহার ভালই মনে হলো। বিয়ের কথাবার্তা চলছে। শীগ্রই বিয়ে হবে। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছি, ডুবে যাচ্ছি। কারো সারাজীবনের দ্বায়িত্ব নিতে চলেছি। জীবন সংগ্রামের সঙ্গী হবে। আমি কি পারবো সব কিছু ঠিকঠাক মতে করতে? নাহ পারবোনা কেনো? আমার বাবা যেহেতু পেরেছিলো আমিও পারবো। মা বলে, আমি জুনিয়র আবদুল্লাহ। যদিও আমার নাম সিয়াম। কালকে বিয়ে আর আমি এখন কি না অহেতুক চিন্তাভাবনা করে মাথা ঘামাচ্ছি। নাহ ঘুমুতে হবে। ঘুমুতে গেলেই সেই চোখ সামনে বারবার ভেসে উঠছে। কি যে চাহনি। আমি পুরো ডুবে গিয়েছি সেই চাহনির সমুদ্রে।
.
বাসর রাত। বাসর ঘরে আমি। অন্যরকম অনুভূতি। রুমের দরজা বন্ধ করলাম। খাটের মধ্যেখানে লম্বা ঘোমটা টেনে নওশীন বসে আছে। আমার হাতে রুমান্স, মানে ডায়েরী। এই ডায়েরীতে আমার সব কল্পনা লিখে লিপিবদ্ধ করে রেখেছি। আমি কী কী করবো, আমি কী পছন্দ করি, কী পছন্দ করিনা। সব এটায় লিখা আছে। আরও অনেক কিছু লিখা আছে। যা বলা যাবেনা। ঘোমটা সরিয়ে আমি তাকিয়ে আছি সেই কখন থেকে। নওশীন শুধু লজ্জায় মুখ লুকাচ্ছে হাত দিয়ে। আমি নওশীনের হাতে ডায়েরীটা দিলাম। আস্তে করে বললো, কি এটা? আমি বেশ গম্ভীর হয়ে বললাম, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার। আমার বাবা দিয়েছিলো এই ডায়েরী। লেখালিখি খুব ভালবাসতাম তো তাই।
.
নওশীন বললো, তো এটা আমার হাতে দিলেন কেনো? আমি বললাম, মানুষ গুরুত্বপূর্ণ উপহার গুরুত্বপূর্ণ মানুষের হাতেই দেয়। আজ থেকে আপনি আমার সেই গুরুত্বপূর্ণ কেউ। নওশীন বললো, এখন খুলে পড়বো? আমি বললাম, নাহ নাহ এটা আপনি একা একা পড়বেন। আমার সব আবেগ এটায় প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি তো এজন্য আমার সামনে পড়লে আমার লজ্জা করবেনা? নওশীন একটু হাসলো। তারপর বললো, বেশ আপনি যা চান। কিন্তু কভারে রুমান্স লিখা কেনো? এতো কিছু তো বলতে পারবোনা। সব বলে দিলে বাকী আর থাকবে কী? আচ্ছা আমার একটা আবদার আছে আপনার কাছে পূরণ করবেন? নওশীন বললো, সাধ্য থাকলে অবশ্যই করবো। আপনি বলতে পারেন।
.
আমি বললাম, প্রতিদিনই আমি কল্পনায়, স্বপ্নে দেখি কেউ আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে আদর করে বাচ্চাদের মতো। কিন্তু কেউ আর খাইয়ে দেয়না। আমি বড় হয়ে গিয়েছি তাই নিজের হাতেই খাই। মানে বুঝতে পারছেন না? নওশীন মিষ্টি হেসে বললো, এখন খাবার পাবেন কোথায়? মানুষ কি বলবে এতো রাতে যদি খাবার খুঁজেন? আমি হেসে বললাম, খুঁজতে হবেনা। রুমেই খাবার আছে। আমি আগে থেকেই রেখে দিয়েছিলাম লুকিয়ে। নওশীন আবারো মিষ্টি হেসে বললো, আপনি তো বেশ চালাক। ঠিকাছে খাবার দিন। কিন্তু হাত তো ধুতে হবে? হাত অনেক ঘেমে আছে। আমি বললাম, দাঁড়ান একটু। বলে নিজে হাত ধুয়ে দেবার ব্যাবস্থা করলাম। নওশীন খুব লজ্জা পাচ্ছে।
.
লজ্জামাখা মুখটা দেখতে আমার অনেক ভাল লাগছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে। কেটে যাকনা রাত নওশীনকে দেখতে দেখতে ক্ষতি কি? হাত ধুইয়ে দিতে গিয়ে জীবনে কোন মেয়ের হাত ধরলাম। মেয়েদের হাত এতো নরম হয় নাকি? আমি তো জানতাম না। যাকগে সে কথা। আমি পাশে রাখা চেয়ারটা খাটের কাছে এনে বসলাম। নওশীন খাটে বসে আছে। আমার দিকে তাকাচ্ছেনা। নওশীন ভাত মাখিয়ে আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে। আমি একটু একটু করে খাচ্ছি। ইচ্ছে হলো একটি কামড় দেই আস্তে করে। পরে ভাবলাম না কী না কী মনে করে। কিন্তু এটা কি হলো? এতো জলদি ভাত শেষ হয়ে গেলো কি করে? আমার মেজাজ হালকা খারাপ হয়ে গেলো।
.
মুখটা কালো করে প্ল্যাটে তাকিয়ে আছি। নওশীন আবার মিষ্টি হেসে বললো, কি ভাবছেন? খাবার শেষ? আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম, হুম। নওশীন একটু অভিমান করে বললো, আপনি তো অনেক কঠিন মনের মানুষ। আপনি ছেলে মানুষ হয়ে সারাদিন না খেয়ে ছিলেন আমি কি মেয়ে হয়ে সারাদিন খাওয়ার উপরে ছিলাম? আমার ক্ষিদে লাগেনি? একবারও জিজ্ঞেস করেন নাই আমি খাবো কী না? এই দেখো বাসর রাতেই বউ অভিমান করে বসে আছে। নাহ সারাজীবন ভালই রুমান্স হবে মনে হচ্ছে। বউয়ের অভিমান ভাঙ্গানোর জন্য আমাকে গল্প শুনাতে হয়। যাহোক তবুও ভাঙ্গলো অভিমান। যাকগে সে ব্যাপার। সকাল সকাল আজকে মা ডাকতে আসবেনা স্বাভাবিক। বেশী রাত করে ঘুমিয়েছি।
.
কিছু দিন পরের কথা। নওশীন সকাল সকাল উঠে নাস্তা বানাচ্ছে। এক মুহুর্ত চোখের সামনে না থাকলে মনে হয়। কখন যে দেখেছি। এক্ষণি দেখা দরকার। গেলাম রান্নাঘরে। শাড়ির আঁচল কোমড়ে গাঁতা। চুলগুলো ছেড়ে রেখেছে। আমার দেয়া মালা'টা গলায় দেখা যাচ্ছে। আমি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে দেখছি। নওশীন টের পেয়ে বললো, কি মিষ্টার পুলিশ? ঘুম ভাঙ্গলো? আমি মুখটা একটু বাকা করে বললাম, হুহ আমি মনে হয় দেরী করে ঘুম থেকে উঠি? আমি যদি দেরী করে ঘুম থেকে উঠতাম তাহলে কবেই আমার চাকরী নট হয়ে যেতো। নওশীন আমার দিকে তাকিয়ে বললো, এতো রেগে যাচ্ছেন কেনো? এইটুকু আমি আপনাকে বলতে পারবোনা?
.
আমি পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। তারপর বললাম, না গো রাগ করিনি। তোমার উপর রাগ করার দুঃসাহস আমার নেই। নওশীন আমার দিকে ঘুরে দাঁড়ালো। তারপর রাগী চোখে বললো, দুঃসাহস কেনো? আমি মনে হয় আপনাকে খুব মারধর করি যে আমার উপরে রাগতে আপনার দুঃসাহস লাগবে? বুঝলাম স্ত্রী আমার রেগে গিয়েছে। দৌড় দিয়ে বাগানে গেলাম। অনেকগুলো গোলাপ ফুলের মধ্যে একটি গোলাপ যেন আমার দিকে চেয়ে আছে। সেটাই নিলাম। তারপর আবার এক দৌড়ে রান্নাঘরে। মা এসময় বারান্দায় বসে কোরআন শরীফ পড়ে। আমার মনে হলো আমার কাণ্ড দেখে মা লুকিয়ে লুকিয়ে হাসছে। হাসলে হাসুক আমার কী? মুখ গম্ভীর করে রান্না করছে নওশীন। রান্নাঘরের এক কোণে দাঁড়ালাম।
.
গান টান দিলাম, পাহার সমান কষ্ট করে.. এনেছি তোমার জন্য লাল গোলাপ.. নেবেনা তুমি?.. শুধু তোমারি জন্য.. তোমার মিষ্টি হাসি দিয়ে… আমার হাত থেকে.. নেবেনা গোলাপ?... নেবেনা তুমি?... হতাম আমি ধন্য... । নওশীন আমার দিকে তাকিয়ে সত্যি মিষ্টি হাসি দিলো। আমি জানতাম গোলাপ আর আমার অসুর গলায় গান শুনে নওশীন না হেসে পারবেনা। আমার কাছে এসে হাত থেকে ফুলটি নিলো। লজ্জা পাচ্ছে, মিষ্টি মিষ্টি হাসছে। আমার এক হাত আর নওশীনের এক হাতের মধ্যে গোলাপ'টাকে বন্ধি করে বললো, এভাবে গোলাপ পেয়ে, গান শুনে আমিই হলাম ধন্য হিহিহি। আচ্ছা এটা কার গান? আমি বললাম, জানিনা। তোমার সামনে এলাম আর মুখ থেকে গান বেরিয়ে গেলো।
.
নওশীন আমার বুকে মাথা রাখলো। তারপর বললো, তাই না? এভাবে রাখবেন তো আমাকে সারাজীবন? আমি বুক থেকে সরালাম হাত দিয়ে। রাগী চোখে বললাম, তো তোমার কি মনে হয়? রাখবোনা আমি? আত্মবিশ্বাস নেই আমার প্রতি? নওশীন আবারো জোর করে বুকে মাথা রাখলো। তারপর বললো, আছে আছে। তবুও আপনার মুখ থেকে শুনতে ভাল লাগে। আমি বললাম, রান্না শেষ? খাবো কখন? নওশীন বললো, হুম শেষ। কিন্তু আমি আজকে খাইয়ে দিতে পারবোনা। আমি বললাম, কেনো? নওশীন বললো, এভাবে আমার উপরে চোখ রাঙ্গিয়ে কথা বললেন কেনো? আমি বললাম, আচ্ছা লাগবেনা। আমি নিজের হাতেই খেতে পারি। নওশীনের চোখে পানি টলমল করছে।
.
চোখে পানি এসে গেলো। আমি চোখের পানি মুছে দিলাম। তারপর কান ধরে বললাম, আচ্ছা আর বলবোনা কোনদিন। হাসোনা একটু। এবার তো খুশি? নওশীন হেসে বললো, কথায় কথায় কানে ধরতে হয়, আমি বললাম, কি করবো তাছাড়া আপনার চোখের পানি বন্ধ হয়না। নওশীন হেসে বললো, তাই? উম খুশি, অনেক খুশি, এত্তোগুলো খুশি হিহিহি……..।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļুāĻ্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ āĻ্āĻোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
3500
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ž:⧍⧧ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ