āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3516

গল্পঃ বন্ধন
__Siam Ahmed Joy (গান গবেষক)
.
- প্রেম করেছেন কতো ডজন? 
কথাটা শুনে সিয়াম বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে যায়।
এটা কোন কথা হলো? প্রেম করেই বিয়ে করা উচিৎ ছিলো।  সিয়াম মনে মনে বললো।
- কয়টা বললেও মানা যেত কতো ডজন?
একটু ভ্যাংচি দিয়ে নববধূ বললো।
- করতেই পারেন দেখতে তো চ্যাহারা মাশাল্লাহ। শুনেছিলাম দেখতে হ্যান্ডসাম আর ইনুসেন্ট লুক ছেলেরা নাকি ভীতরে ভীতরে খুব খারাপ হয়।
রাগে বললো সিয়াম।
- সব ছেলেরা এক হয়না বোঝলেন? এখন যদি আপনাকে বলি আপনি কতো ডজন প্রেম করেছেন? তখন?
- উত্তরটা হতো একটাও না।
- তাহলে আমার উত্তর এটাই। তবে একটা মেয়েকে ভালো লাগতো কিন্তু প্রেম করিনি।  এবার বধূর চোখ বড় বড় করে বললো
-  কিহ বিয়ের আগে বলেন নি কেন?
-  আজব তো বিয়ের আগে আপনার সাথে আমার কথা হয়েছিলো নাকি? আর প্রেম তো করিনি..  ভালো লাগতো আর আমি সত্যি বলেছি।
-  তাও ঠিক..  এখন ভালো লাগেনা.? 
- কিজানি.. তবে আগের মতো মনে পড়েনা, মনে হয় লাগেনা। - গুড না পড়লেই হলো ।
বাসর রাতের খন্ডচিত্র। নবযৌবনা বধূর নাম "মেঘা জাহান"।  একেবারে আহামরি আধুকিনাও না আবার সহজ,সরল, গল্পের নায়িকাদের মতোও না। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু স্মার্ট। যতটুকু বিয়ের পরে জানলো সিয়াম । মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। বোনদের মাঝে সবার বড় আর ভাইদের মাঝে সবার ছোট। ভাইদের বললে ভুল হবে। এক ভাই আর তিন বোন। আর জানা লাগবেনা আপনাদের এটুকুই জানুন হেহে। ছাদের পূর্বপাশে বসে সিয়াম গান শুনছে আর এফবিতে গল্প পড়ছে । সকালে একবার আর রাতে। দিনে দুবার এ জায়গায় বসে ব্যাস্ত শহরটাকে দেখে সিয়াম । মেঘা শশীর (সিয়ামের ছোটবোন) সাথে গল্প করছিলো। গল্পের ফাঁকে শশীকে জিজ্ঞেস করে।
-  তোমার ভাই কোথায় শশী? সন্ধার পরে আর দেখলাম না।
-  নদীর পাড় নাহয় ছাদে।
- নদীর পাড়ে সন্ধার পরে কি করে..?
- ভাইয়াদের আড্ডাখানাই ওখানে..  এখন মনে হয় ছাদে আছে কারন গেলে আমি দেখতাম।
- আচ্ছা চলোতো একটু ছাদে যাই।
-  তোমাদের মাঝে আমি থাকতে পারবোনা বাপ.. তুমি যাও।
-  পাকনামী করো না।
- হিহিহি ।
রাত ৮ বাজতে চললো প্রায়। গিয়ে দেখে সিয়াম খুব করে ফোনের দিকে তাঁকিয়ে কি দেখছে হা করে।
-  এহেম এহেম।
সিয়ামের খোঁজ হলো। মেঘা কে দেখেই ফোনটা লুকিয়ে ফেললো। হকচকিয়ে বললো।
-  আপনি...? বসুন।
মেঘা বসে।
-  কি দেখছিলেন ওভাবে ফোনে?
-  কই কিছুনা।
- ফোনটা এখন আমার হাতে দিবেন না মা'র কাছে বিচার দিবো?
- কিহ আম্মার কাছে? বিচার..!।
সিয়াম ভাবলো আম্মায় এটা দেখলে লজ্জা হবে আমাদেরই।  - নাহ বিচার দেয়ার কি আছে এই নিন।
সিয়াম  ফোনের হোম বাটনে ক্লিক করলেও রিসেন্ট অপশন থেকে ডিলিট করেনি তাই মেঘা দেখলো বিয়ের আগে একটা পিক দিয়েছিলো দেখার জন্য। কারন ব্যাস্ততার জন্য সিয়াম মেয়ে দেখতে যায়নি কথাও হয়নি। মেঘা দেখে লজ্জা পেলো খুব।
-ওভাবে দেখার কি আছে?
সিয়াম চুপ করে আছে কি বলবে বোঝতে পারছেনা। কিছুক্ষন দুজনেই চুপ। তারপর মেঘা কড়া সূরে বললো।
- কানে শুনেন না নাকি?
সিয়াম ভয়ে ভয়ে বললো।
- জানিনা তো। আর সুন্দর কিছু মানুষ মুগ্ধ হয়ে দেখবে এটাই স্বাভাবিক।
- বাহ। বোবা হলেও কথা কিন্তু ভালই বলতে পারেন।
- বোবা মানে? কোন দিক দিয়ে আমাকে বোবা মনে হয়?
- হাতটা দিন।
- আজব তো।
- এতো কথা বলেন কেন? দিতে বলেছি দেন।।
সিয়াম হাতটা দিলো। মেঘা হাতটা ধরে লজ্জায় অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে।
- একটু এদিকে তাকান তো।
- পারবোনা।
- তাহলে হাত ধরলেন কেন?
- ধরবোই। অধিকার আছে।
- থ্রেড দেওয়র সময় চোখে চোখ  রেখে কথা বলেন আর এখন লজ্জা পাচ্ছেন।
- এখন আপনি প্রপোজ করবেন।
- কেন নতুন করে বিয়ে করার জন্য?
- করেন আগে।
- খালি হাতেই?
- হুম হবে । 
- কিন্তু কি বলবো?
- সেটা  আমি বলে দিবো নাকি?
সিয়াম বসে থেকে মেঘার হাত ধরে বলে।
- তুমি কি আমার সারাজীবনের জন্য ঝগড়া করার সঙ্গী হবে?
মেঘা হাসছে।
- হুম হবো তো।
- কিন্তু আপনি করে বলছো কেন?
- বলবোনা তুমি করে।
- আমিও বলবোনা।
- তাহলে আমি ঝগড়াও করবোনা।
- দরকার নেই।
- একটু আগে না প্রপোজ করছেন ভুলে গেছেন?
- হুম গেছি।
- কত্ত বড় সাহস।
- সাহসের দেখছেন কি?
- তুমি করে বলেন বলতেছি।
- আপনি বললেই বলতে হবে নাকি আমার?
- আপনি তো ঝগড়াটে একটা ছেলে।
- আপনিও ঝগড়াটে মেয়ে।
খুব সকাল। সিয়াম মেঘার হাত ধরে শুয়ে আছে। মেঘা ছাড়ানোর চেষ্টা করতেছে কিন্তু পারছেনা। এরকম ভাবে শুয়ে আছে মনে হয় ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু হাত ছাড়ছে না। মেঘা সিয়ামের দিকে তাকিয়ে আছে। হটাৎ সিয়াম চিৎকার দিয়ে উঠলো। মেঘা চমকে গেলো।
- চিৎকার দিলেন কেন? কি হইছে আপনার?
- দুঃস্বপ্ন দেখছিলাম।
- কি দুঃস্বপ্ন?
- আমার থেকে তোমাকে একজন লোক নিয়ে যেতে চাইছে। কিন্তু আমি তোমার হাত ছাড়ছি না। লোকটা খুব জোরে টানছে যখন আমার হাত থেকে তোমার হাত ছুটে গেলো। তখনই.....।
- আমি পানি আনছি একটু বসুন।
সিয়াম হাত দিয়ে টান দিয়ে মেঘাকে কাছে টেনে বললো।
- লাগবেনা পানি। তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না তো?
- হ্যাঁ যাবো তো আমার যখন অন্য আরেকটা সংসার আছে বোকা।
- আমার ভয় হয়।
- পাগল একটা। ছাড়ো তো।
অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে সিয়াম। যাওয়ার আগে একটু দুষ্টুমী না করলে যেন কি মিস হয়ে যায়। মেঘা সিয়ামের জন্য লাঞ্চের খাবার তৈরি করছে।
- মেঘ...ও মেঘ।
রান্নাঘর থেকে মেঘা বললো।
- টাই,জুতো,ঘড়ি সব তো আমি রেডি করে রাখছি। আবার কি?
- একটু দেখে যাও না।
রান্নাঘর থেকে আসছে আর বলছে।
- উফফ তুমি না!
সিয়াম রেডি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মেঘা পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলো। সব তো ঠিকই আছে।
- তোমার সব তো ঠিকই আছে। দাঁড়িয়ে আছো কেন? যাও ।
সিয়ামের চাহনি দেখে মেঘা বোঝে গিয়েছে আর কি বাকি আছে। লজ্জায় মুখ লাল করে বললো।
- আজকে পারবোনা। শখ কত!
সিয়াম দাঁড়িয়ে আছে নড়ছেনা।
- যাওনা দাঁড়িয়ে আছো কেন?
সিয়াম চুপ করে দাঁড়িয়েই আছে।
অবশেষে সিয়ামের পাওনাটা না দিয়ে উপায় নেই। নাহলে এক পা'ও নড়বেনা। লাঞ্চ টাইম। সিয়াম জানে এখনই মেঘা ফোন দিবে। এ কথা ভেবে ফোনের ডিসপ্লেতে তাকানো আর মেঘার ফোন এক কথা।
- শুনো...  আজকে আসার সময় আইস্ক্রিম নিয়ে আসবা।
- ফ্রিজে তো আইস্ক্রিমের অভাব নাই।
- ওসব আইস্ক্রিম ভাল লাগেনা।
- তুমি বলার পরেই তো আমি এনেছিলাম।
- এতো কিছু জানিনা আনবা ব্যাস।
বলেই মহারাণী ফোন কেটে দেয়। সিয়াম আসার সময় আইস্ক্রিম আনে। আইস্ক্রিম আনলেই হয়না। সিয়ামের নিজের হাতে খাইয়েও দিতে হয়। মধ্য রাত। দুজনেই ঘুমাচ্ছে।  হঠাৎ মেঘার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। দেখলো চাঁদনী রাত। আজকের চাঁদটা না দেখলেই নয়। সিয়ামকে ডাকছে। কয়েকবার ডাকার লরে উঠলো।
- কি হলো এতোরাতে ডাকছো কেন?
- জানালা দিয়ে একটু তাকাও দেখো কত সুন্দর চাঁদ উঠেছে আজ।
- এরকম চাঁদ আমি প্রতিদিনই দেখি। ঘুমাও তো।
- মানে কি? কোথায় দেখো?
- এইযে আমার সামনে বসে আছে যিনি। উনি কা চাঁদের থেকে কম সুন্দর? চাঁদ উনাকে দেখলে লজ্জা পাবে। লজ্জায় ডুবে গেলে অন্যরা আর দেখতে পারবেনা।
- ইশশ....  এসব কথায় হবেনা। আমি চাঁদ দেখবোই দেখবো। সাথে তোমাকেও দেখতে হবে।
- সকালে অফিস তো।
- যেতে পারবা সমস্যা নাই। একটু চলোনা।
সিয়াম আর মেঘা ছাদে বসে চাঁদ দেখছে। সিয়ামের কাঁধে মেঘার মাথা। সিয়ামের ডান আর মেঘার বাম হাত একসাথে বন্ধি। সিয়াম বলে উঠলো।
- আকাশে এতো তারা আমার ভাল লাগেনা।
- কেনো কেনো?
- থাকবে শুধু চারটা তারা। একটা আমি একটা তুমি আর দুটি হলো আমাদের ছেলে মেয়ে।
- ইশশ... মাত্র চারটা তারা থাকবে। বাকি তারা যাবে কোথায়?
-  এজন্যই তো ভাল লাগেনা।
- তোমার লাগতে হবেনা। আমার লাগে।
- তোমার ভাল লাগাই তো আমার ভাল লাগা।
- ইশ..
ছোট ছোট ইচ্ছে পূরণেই অনেক তৃপ্তি আছে। যা হিরে সোনা নেকলেসে হয়না। সুখী থাকতে বেশি কিছু লাগেনা। একতু বিশ্বাস, ভালবাসা, সুখ দুঃখ ভাগ করার মতো একজন। গল্পের মতো সবার কপাল হয়না। কিন্তু যাদের হয়। তারা পৃথিবীর শীর্ষ সুখীদের দুজন।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ