āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§¨ā§Š āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3541

অরণ্যে নূপুরের নিক্বণ।
.

বিভ্রান্ত বাউণ্ডুলে।

.

গহীন অরণ্যে যেমন  কখনো কখনো  পথ খুঁজে পাওয়া না, তেমনি কোন কোন সম্পর্কের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা যায় না। নূপুর আমার কাছে তেমনি, অসংজ্ঞেয়। অসংজ্ঞায়িত প্রেম আমাদের।

এ সম্পর্কের পরিণয় নেই, আবার শেষও নেই।

নূপুর :
তোমার জন্য আজ মাছ পুড়েছে। কাল শাক পুড়বে,পরশু ডিম তারপর মাংস। এত কথা বলে কাজ নেই, বুঝেছো?

অরণ্য:
হু, তারপর আপনার মন পুড়বে। বসতভিটে, সংসারও।

নূপুর :
পোড়াতে ভাল লাগে খুব? পোড়ানোর মানে বোঝো? ধ্বংস -বিনাশ।

অরণ্য:
ধ্বংসেই নিহিত থাকে নতুনের নির্মাণ। ধ্বংস না হলে নতুনের সৃষ্টি হবে কি করে?

নূপুর :
ওসব তত্ত্বকথা রাখো। তোমার আমার বয়সের ব্যবধান জানো?

অরণ্য:
যতটা ব্যবধানে নারীকে ছুঁয়ে দিলে পাপ হয়; ব্যবধান কি তার চেয়ে বড়?

নূপুর :
পাপে ভয় নেই?

অরণ্য:
পূণ্যে মতি নেই।

নূপুর:
তবে কি শুধু মেয়েদের সাথে ফ্লার্ট করায় মতি?

অরণ্য:
উঁহু, সবাই কি আপনার মতন মায়াবী ?

নুপূর:
কথায় আর পারি না। কি চাও তুমি?

অরণ্য:
প্রাণহীন জনপদে এক টুকরো হাসি।

নূপুর :
এই টুকুতেই মন ভরবে?

অরণ্য:
উঁহু, ছুঁয়ে যাবে।

নূপুর :
বুঝেছি।

অরণ্য:
কি?

নূপুর :
তোমার সর্বনাশা ফাঁদ; আমি একটু একটু করে ডুবছি।

অরণ্য:
মুগ্ধ দু চোখে আপনার রূপ দেখেছি, আর কিছু চাইনি।

নূপুর :
আমাকে দিয়ে এই নিয়ে কজন?

অরণ্য:
আপনিই প্রথম কিংবা এ আমার বিভ্রম।

নূপুর :
তোমার বিভ্রম কেটে গেলে আমার তখন কি হবে?

অরণ্য:
বয়স বাড়বে।আমার একজোড়া মুগ্ধ চোখ;তবু আপনার মনে রবে।

নূপুর :
তোমরা কবিরা সব এমনি। ইদানীং গল্পও লিখছ বুঝি?

অরণ্য:
হু, যখন যেটাতে মজে থাকি

নূপুর :
এখন কিসে মজে আছো?

অরণ্য:
আপনাতে। তোমার খোলা হাওয়া, আমি ডুবতে রাজি আছি।

নূপুর:
পটাতে পারো খুব।

অরণ্য:
এত সুন্দর কেন আপনার রূপ?

নূপুর :
শুধু রূপের কদর? মনের দাম নেই বুঝি? ধরো কেউ আমাকে এসিড ছুড়েছে,ঝলসে গেছে মুখ। তখনো
কি আমার টান এতটাই রবে?

অরণ্য:
আপনি এতটাই সুন্দর শুধু এই ভেবেই এক জীবন তো কেটেই যাবে।

নূপুর :
কত কৌশল তোমার। এড়িয়ে গেলে।

তারপর অনেকদিন আমি অনলাইনে আসি না। নুপূর আমাকে খোঁজে। তারপর আবার একদিন কথা হয় আমাদের, কথা হয় অলস দুপুরে।

নূপুর :
-মাঝেমাঝে দেখি তোমাকে, মাঝেমাঝে দেখি না। মনে মনে আমি তোমাকে টেরোরিস্ট ভাবি।

অরণ্য:
-হু, আপনার মনের টেরোরিস্ট। মনটা ছিনতাই করে নিয়ে আসব আমার কাছে।

নূপুর :
আমার মনের প্রতি খুব জোর তোমার?

অরণ্য:
জোর নেই, চাচ্ছি না। তবু চাচ্ছি কিছু বারবার।

নূপুর :
জানো এই কয়দিন তোমাকে কত খুঁজেছি?

অরণ্য:
কেন?

নূপুর :
তোমার লেখা পড়ার জন্য। তুমি যা লিখো, সেটা আমার  প্রতিদিনের ঘুমের ওষুধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। না হলে আমি ঘুমুতে পারি না।

অরণ্য:
আর?

নূপুর :
তোমার সাথে টুকটাক কথা বলা আমার স্বস্তি। কথা না হলে কেমন ছটফট করে মনটা।

অরণ্য:
সত্যি?

নূপুর :
ছি! ছি! এসব আমি তোমাকে কি বলছি। আমার কি হলো আজ?

অরণ্য:
ঝড় উঠেছে বুঝি?

নূপুর :
হ্যাঁ, উঠেছে। সত্যি উঠেছে, বুকের মধ্যে তোলপাড় হচ্ছে খুব।

অরণ্য:
কেন আজ এই তোলপাড়, হঠাৎ?

নূপুর :
অনেকদিন ছিলে না তুমি। আমার প্রতিদিনের কাজের ফাঁকেফাঁকে শূন্যতা ছিল, আমি অনুভব করেছি।

অরণ্য:
হু, বুঝতে পেরেছি।

নূপুর :
কি বুঝলে?

অরণ্য:
আমাদের মাঝে টান আছে, মায়া আছে, বন্ধন নেই।

নূপুর :
আর?

অরণ্য:
নদী আছে, স্রোত আছে, পারাপার নেই।

নূপুর:
আর?

অরণ্য:
ভালবাসা আছে, আকাঙ্ক্ষা আছে কিন্তু পাওয়া হবে না।

নূপুর :
কি সর্বনাশ হলো বলো তো?

অরণ্য:
আমি কেন ফিরে ফিরে আসি জানো?

নূপুর :
এই প্রথম আমায় তুমি তুমি সম্বোধন করলে অথচ কতবার মনে মনে চেয়েছি তুমি আমায় তুমি বলে ডাক। বলো কেন ফিরে এলে?

অরণ্য:
তোমাকে একটু দেখার জন্য, শুধু একটুখানি।

নূপুর :
আমি জানি একদিন তুমি হারিয়ে যাবে। তোমাকে খুঁজে পাব না কোথাও

অরণ্য:
খোঁজো না আমায়, সর্বনাশ ডেকে এনো না।

নূপুর :
তুমি কি এই চেয়েছিলে?  আমার ভেতরে দহন হবে আর তুমি পালিয়ে বেড়াবে?

অরণ্য:
হ্যাঁ, আমি এই চেয়েছিলাম। শৈশবের ফেলে আসা প্রেমের মতো দুর্দম আকাঙ্ক্ষা থাকবে, বাল্য প্রেমিকার মতন স্নেহ থাকবে, তোমার আবেশে আমার সারাটা দিন কেটে যাবে অথচ তোমার আমার দেখা হবে না। আমরা দূরে দূরে থাকব , তোমাকে  আমার ছোঁয়া হবে না।

নূপুর :
আর কি চেয়েছিলে?

অরণ্য:
তোমার একটাই মন, সে মনের কানাগলি দিয়ে আমি  ছুটে ছুটে আসব তোমার গৃহস্থালি কাজের ফাঁকে, বিজন সন্ধ্যায়, মেঘলা দিনে। আমি ছুটে আসব তোমার  উদাস দুপুরে, বেখেয়ালি মনের ভাবনা হয়ে।

নূপুর:
এতে তোমার স্বার্থ কি আছে বলো?

অরণ্য:
আমি জানি না। যেদিন তোমায় আমি প্রথম দেখেছিলাম আমার কি মনে হয়েছিলো জানো?

নূপুর:
কি?

অরণ্য:
মনে হয়েছিলো আমার চাওয়ার সমস্তটা তোমাতে আছে। তুমিই সে যাকে আমি চেয়েছি অন্ধকারে, বালকের বিভ্রমে। তুমিই সে যাকে আমি চেয়েছি একটু একটু বেড়ে উঠতে। তুমি নারী, পূর্ণ যৌবনবতী। তোমাকে চাইনি আমি তবু তোমার মতই চেয়েছি আমি।

নূপুর :
কি বলছো তুমি আবোলতাবোল?

অরণ্য:
হ্যাঁ, তোমার তা মনে হতেই পারে কিন্তু বিশ্বাস করো কৈশোরে রমণী  বলতে আমি বুঝতাম চৌধুরী বাড়ির ছোট বউকে। দুধের মতন সাদা ছিল গায়ের রঙ, ঠোঁট যেন তার গোলাপের পাপড়ি। তার শরীর যেন মিহিন কাপড়ের নিচে লুকিয়ে রাখা স্বর্গ। তাকে দেখলেই আমার বুকে শুরু হতো ভাঙন।

নূপুর :
তারপর?

অরণ্য:
তারপর তুমি। তোমাকে প্রথম দেখেই আমি ভুলে গেলাম বয়সের ব্যবধান, আমি ভুলে গেলাম  দেশ- কাল। আমি ভুলে গেলাম তোমার সিঁথিতে সিঁদুর,  আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেললাম। নারী বলতে আমি যতখানি বুঝি তার সবটা যেন তুমি।

নূপুর :
কিন্তু আমাকে ভালোবেসে কি পাবে তুমি?

অরণ্য:
ভালোবেসে কেউ কখনো কিছু পায়নি, সকলেই ভিখিরি হয়েছে কিন্তু আমি পাব। বিশ্বাস করো আমি পাব। বৈশাখে অগ্নিঝরা উত্তাপে, চৈত্রের দাবদাহে যখন আমি পথ ভুলে পিপাসা নিয়ে প্রাণে হেটে যাব প্রান্তর ছেড়ে প্রান্তরে; মনে হবে আমি পেয়েছি। মনে হবে আমি আছি তোমার দেহের ভেতরে হৃদয়ে- মনে, অণুর মতো, পরমাণুর মতো। আরও যদি ভেঙেচুড়ে খণ্ড-বিখন্ড করে ফেলো তবু আমি থাকবো ইলেক্ট্রনের মতো, প্রোটনের মতো। আমি থাকব, আমি থাকব।

নূপুর:
কিন্তু অরণ্য আমার কি হবে?

অরণ্য:
তুমি হাসবে, স্বামীসুখে আহ্লাদী হবে, স্বামীর লোমশ বুকে উষ্ণতা খুঁজবে। তুমি সারা বাড়ি জুড়ে হাটবে, তোমার পায়ে নূপুর থাকবে, বাজবে। তুমি নিত্য দিনের কাজের ফাঁকে ফাঁকে জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়াবে, আমি আকাশের থেকে, মেঘের ভেলার থেকে তোমাকে হাতছানি দিয়ে যাব।

নূপুর :
যদি কোনদিন এলোমেলো হয়ে পরে আমার সব, তোমাকে পেতে ইচ্ছে করে খুব। সেদিন কি হবে?

অরণ্য:
সেদিন ভাববে এসব কিছু ছিল বিভ্রম, মায়া। সেই মায়া কাটিয়ে সংসারে তুমি আবার সত্য হয়ে উঠবে আপন আলোয়।

১লা মে,১৭।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ