জার্মানিতে কি ভূত আছে ?
এক বয়স্ক ভদ্রলোক গেলেন এক সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে। বললেন, ‘ডাক্তার সাহেব, আমার সব সময় মনে হয়, আমার খাটের নিচে একটি ভূত আছে।’ ডাক্তার সাহেব এক বয়ষ্ক ভদ্রলোকের মুখে এ ধরনের কথা শুনে খুব ক্ষুব্ধ হলেন।
বুঝিয়ে বললেন, ‘এগুলো শুধু রূপকথায়ই লেখা থাকে। কোনো দিনই বিশ্বাস করবেন না।
বাসায় যান, সব ঠিক হয়ে যাবে।’
পরের দিন আবার সেই ভদ্রলোক সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে হাজির হলেন।
-কি, ভূত চলে গেছে?
-না, এখনও আছে।
-বাসায় যান, মাথা ঠাণ্ডা করে চিন্তা করুন। দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।
তৃতীয় দিনও একই অবস্থা। এবার বয়স্ক ভদ্রলোক ডাক্তারের অপারগতায় ক্ষুণ হয়ে নিজেই অন্য সাইক্রিয়াট্রিস্ট খুঁজলেন।
বেশ কিছুদিন পর হঠাৎ রাস্তায় দেখা প্রথম ডাক্তারের সাথে।
-কী ব্যাপার, আপনার চেহারা তো খুব উজ্জ্বল মনে হচ্ছে। সব প্রবলেম সলভ?
-জি ডাক্তার সাহেব, আপনার এক সহকর্মী আমাকে রোগমুক্ত করে দিয়েছেন।
-তাই, কিভাবে বলুন তো?
-তিনি বলেছেন, খাটের পায়াগুলো কেটে ফেলুন। তাহলেই তো ভূত চলে যাবে।
গল্পটি পড়ে খুব হেসেছিলাম , কিন্তু গতকাল যা দেখলাম তাতে আমার হাসি বন্ধ হয়ে গেছে । আমি অফিস থেকে ফিরে জগিং এ যাই । অনেকদিনের অভ্যাস। গতকাল ও গিয়েছিলাম। ফেরার সময় বেশ একটু রাত হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ ঝপ ঝপ করে বৃষ্টি নামল ।
সামনেই খ্রীষ্টানদের একটি কবরস্থান । ওর ভিতর দিয়ে গেলে শর্টকাট হবে তাই এ পথ টি বেছে নিলাম।
এত রাতে কবরস্থানে ঢুকে শরীরটি একটু সিড় সিড় করে উঠলো। বাতাসের শো শো শব্দ । হঠাৎ শুনলাম একটি শব্দ ঠক ঠক ঠক ঠক । এত রাত্রে কে এখানে ? একটু ভয় ও পেলাম।
কোনো আলো নেই , বেশ অন্ধকার । হঠাৎ দেখলাম একটি কবরের পাশে এক ভদ্রলোক সমাধিফলকে হাতুড়ি দিয়ে কি যেন করছেন। পাশে মাটির স্তুপ ।
আমি এগিয়ে এসে বললাম "গুটেন আবেন্দ " ( জার্মান ভাষায় শুভ সন্ধ্যা ) ।
-গুটেন আবেন্দ ।
এরকম খন খনে গলা আমি জীবনেও শুনিনি ।
দুটি কাঁচের জানালা একটি যদি আরেকটিকে আঘাত করে সেই শব্দ । উনার দিকে তাকালাম । চোখগুলি গর্তে ঢুকে গেছে , গায়ে এক রত্তি মাংস নেই । কংকাল ও উনার চেয়ে মোটা ।
আমি বললাম :
আপনি এত রাতে এখানে কি করছেন ?
উনি উত্তর দিলেন :
- ওরা আমার নামটির বানান ভুল লিখেছে , তাই হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ঠিকঠাক করছি ।
তারিক হক
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ