āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3518

গল্পঃ বর্ষা
__Siam Ahmed Joy (গান গবেষক)
.
- আপনি খুব পঁচা। (বর্ষা)
- পঁচা বললে কম হয়। আমি খুব খারাপ।
- হ্যাঁ আসলেই খুব খারাপ।
- খারাপ বললেও কম হয়। আমি একটা লুইচ্চা।
- এটা কিন্তু বেশি বেশি।
- হাহ। আমি কিরকম সেটা অবশ্যই আমি জানি।
- তাই বলে লুইচ্চা!
- লুইচ্চা বললেও কম হয়। দৈনিক যা খারাপ কিছু দুচক্ষে দেখি।
- আজব ছেলে আপনি। নিজের সম্পর্কে নিজে এভাবে কেউ বলে?
- সত্য বলতে দ্বিধাহ কিসের? আমি কিরকম আল্লাহ খুব ভালো করেই জানে। আমি যত কিছু করিই না কেন। তার কাছ থেকে তো লুকাতে পারবোনা। বিচারকের কাছে অপরাধ লুকাতে না পেরে দর্শকের কাছে লুকিয়ে কি হবে?
- সবসময় বেশি বেশি বোঝেন।
- হুম আমি পাগল।
- পাগল কে বললো? কথা বেশি বলেন।
- হ্যাঁ আমি বাচাল।
- নিজের কথা কেউ এভাবে বলে?
- নিজের অপরাধ নিজের মুখে সবাই বলতে পারেনা।
- আবার অপরাধ আসলো কোথ থেকে?
- কেনো আমি কি ফুলের মতো পবিত্র নাকি? আমি মানুষ, আমিও ভুল করি, অপরাধ করি।
- বলার কি দরকার?
- মিথ্যা বলে হিরো হওয়ার চেয়ে। সত্য বলে ভিলিয়েন হওয়া ভাল।
- তো এতো বোঝেন যেহেতু খারাপ কাজ গুলা না করলেই হয়।
- পারিনা।
- কেনো পারেন না?
- সেটা আপনাকে কেন বলবো?
- ভালবাসি।
- আমার বাবার টাকা নাই। বাইক নাই, কার নাই।
- ও হ্যালো। সবাই এসব চায়না।
- আমি তো দেখতেও কালো। কথা বলার সময় খারাপ দেখায়। এতো লম্বাও না।
- তাই বলে কি আপনার বিয়ে হবেনা?
- হাহ। বিয়ে আর আমি? আকাশ জমিন পার্থক্য।
- আকাশ কিন্তু জমিনকে ঘীরে রাখে
- হ্যাঁ কিন্তু অনেক দূর থেকে। কাছে আসা কখনোই সম্ভব না।
- উফফ এতো কিছু জানিনা।
- লাভ নাই। আমি অকর্মা, অলস। কোন কাজই করতে পারি না। বিয়ের পরে খাওয়াইতে, পরাইতে পারবোনা।
- আপনার খাবার ভাগ করে খাবো দুজন। এতেই হবে।
- হা হা হা। এসব কথা গল্পে মানায়। বাস্তব জীবন বড়ই কঠিন। আবেগ কদিন পরে চলে যাবে। তখন পস্তাতে হবে।
- আচ্ছা আমিই কাজ করবো আপনার করতে হবেনা।
- হা হা হা। মজা পাইলাম! আর বলবেন না প্লীজ হে হে।
- আপনি আসলে পুরুষই না।
- নাহ আমি সিয়াম। আমি আমার মতো না। আমি সবার মতো। খাই, ঘুমাই। হুম সেটা বোঝলে আপনারই ভাল। পুরুষত্বহীন একটা ছেলেকে অবশ্যই ভালবাসা যায়না।
- হিসাব নিকাশ করে ব্যাবসা হয়। কোন সম্পর্ক না ।
- একটা সম্পর্কে অবশ্যই দুই বৃত্তের রেখা লাগবে। একে একে দুই হবে কিন্তু একে একে এক হবেনা তাছারা।
- উফফ..  কি বলেন কিচ্ছু বোঝিনা।
- মুর্খের কথা সবাই বোঝেনা।
- এভাবে জীবন চলেনা।
- কে বললো? সেকেন্ড চলছে মিনিট চলছে। দিন যাচ্ছে দিন আসছে।
- এটাকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন বলেনা।
- আমি বেশ ভালো আছি। অনেক সুখী আছি।
- হ্যাঁ পথের ফকির।
- এবার বোঝেন আপনি কতোটা গাধী। একটা পথের ফকিরের সাথে সংসার করতে চান। যে কিনা পুরুষত্বহীন।
- আপনার একটু লজ্জাও হয়না?
- লুচ্চার আবার লজ্জা।
- আমাকে আপনার রাণী করে রাখতে হবেনা। আপনার দুঃখের সময়ের সঙ্গী বানালেই হবে।
- হে হে। ভাল ডায়লগ। একজনকে বিয়ে করে অনেকজনকে কষ্ট দিতে চাইনা হে হে।
- বান্দর।
- আমি মনে হয় এর থেকেও খারাপ।
- কচু কতক্ষাণি। ফোন রাখছি।
- আমি কি ধরে রাখছি নাকি? বলার কি আছে কেটে দেন।
সিয়াম নিজেই ফোন কেটে দিলো। বর্ষা মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। সব ঠিকাছে। বেঠিক হলো সিয়ামের মতো একটা পাগলকে ভালবাসে। মহল্লার মধ্যে সবচেয়ে ফালতু লোকের তালিকা করলে সিয়ামের নামটা সবার শীর্ষে থাকবে। সিয়াম যে বর্ষাকে ভালবাসেনা সেটাও না। কিন্তু পাগলের সাথী করতে চায়না। সিয়াম সবসময়ই রফিক চাচার চা'র দোকানে বসে থাকে, চা খায়। আর পাশের বাসা থেকে জানালা দিয়ে সবসময়ই বর্ষা দেখে। প্রতিদিন একই জায়গায় বসে থাকে। আর বর্ষাও সবসময় জানালার পাশে থাকে। একদিন দুদিন করে সিয়াম খেয়াল করে। তারপর চোখাচোখিতে সব হয়ে যায়। অবুঝ মন মানেনা কিছু। তারপরেও মানাতে হয়। পরেরদিন আবারো ফোন।
- আপনি একটা চুর।
- ডাকাতকে চুর বললে প্রেস্টিজে লাগে।
- বাব্বাহ আবার প্রেস্টিজ!
- তো কি চুরি করলাম?
- বলবোনা। বললে আপনার ডায়লগ মনে হয়।
- বলার বাকি রাখছেন কিছু?
- ভালো হইছে।
- আপনি আসলে বোকা।
- না বোকা বললে কম হয়। আমি গাধী।
- আসলেই গাধী।
- গাধী বললে কম হয়। আমি একটা কুত্তি।
- বাহ শিখে গেছেন তো।
- হুম মুর্খের সাথে থাকতে হলে না শিখে উপায় নাই।
- আপনার সাথে কথা বলাই মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
- বলার কি দরকার?
সিয়াম তখনই ফোনটা কেটে দিলো। নাহ মেয়েটার প্রতি মায়া বেড়ে যাচ্ছে। আর কথা বলা যাবেনা। নাম্বারটা ব্ল্যাকলিষ্টে রেখে দেয়। বর্ষা ভাবছে এভাবে কথা বলা ঠিক হয়নি। অন্য ফোন দিয়ে ফোন দিলো।
- ভয় পান?
- কিসের ভয়?
- মায়ায় পড়ে যাওয়ার।
- প্রেমেই পড়ে গেছি।
- তো নাম্বার ব্ল্যাকলিষ্টে রাখলেন কেন?
- প্রেমে পড়লেই কথা বলতে হবে এটা কোথায় লেখা আছে?
- মনে আছে লেখা পড়েন।
- আমার সিমটাই বন্ধ করে দিবো আজ। চা খেতে আর যাবোনা।
- আমার ক্ষতি দেখতে পারবেন?
- আমি পাষান, সার্থপর আমার পক্ষে কোন ব্যাপরই না।
- সত্যি তো?
- হুম সত্যি। কিন্তু অনুরোধ করতে পারি।
- আপনার অনুরোধ শুনবো কেন?
- কেন শুনবেন নাকি না শুনবেন সেটা আপনার ব্যাপার।
- বিকেলে আপনাকে যেন দোকানের সামনে দেখতে পাই।ফালতু বকওয়াজ বন্ধ করেন।
- দেখি।
বলে ফোন কেটে দিলো সিয়াম। সিমটাও বন্ধ করে দেয়। বর্ষাও পরে কোন খোঁজ পায়নি। পাবে কিভাবে সিয়াম তো গ্রামে চলে গিয়েছে। বর্ষা এখন সারাক্ষণই চুপচাপ থাকে।  একটা পাগলকে মন দিয়ে এখন কাঁদে। পাগল অনেক মানাও করেছে। সব সত্য বলেছিলো কিন্তু বর্ষা মানেনি। প্রায় তিন বছর পর হঠাৎ একটা ফোন দুপূর বেলা। বর্ষা জানালার পাশে  মনমরা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ফোনটা রিসিভ করলো কিন্তু ওপাশ থেকে কোন শব্দ আসছেনা তাই আবারো জিজ্ঞেস করলো।
- কে আপনি? কথা বলছেন না কেন ফোন দিয়ে? বোবা নাকি? বোবা হলে ফোন দিলেন কেনো?
সিয়াম আস্তে করে বললো।
- সিয়াম।
বর্ষা নামটা শুনেই কিরকম স্থব্দ হয়ে গেলো।
- আপনি?
- হ্যা আমি পাগল।
বর্ষা বিশ্বাস করতে পারছিলোনা।
- তিন বছর পরে গাধীর কথা মনে হলো? তো কেন ফোন করেছেন?
- বিয়ে করবো বলে।
- আমার তো বিয়ে হয়ে গেছে।
মিথ্যা বললো বর্ষা। এ পর্যন্ত অনেক সমন্ধ আসলেও পরে পরে বলে আর বিয়ে করেনি।
- আমি এতো কিছু জানিনা।
- তো এখন আপনার বাবার টাকা আছে? বাইক, কার আছে?
- না। কার নাই তবে কিছুদিন পর বাইক কিনবো যদি ব্যবসাটা ভালো করে করতে পারি তো।
- এতো পরিবর্তন কিভাবে?
- চুরদের সবই পারতে হয়। নাহলে ধরা খেতে হয়।
- এতোদিন যোগাযোগ রাখলেও পারতেন। চোখের পানি সব শেষ।
- চোখের পানিই তো। আমারও শেষ কিন্ত আর চোখের পানির দরকার কি?
- আহা। তো কিভাবে বোঝলেন আমি এখনো বিয়ে করিনি?
- আমি জানি কুত্তীটা আমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবেনা।
অতঃপর ছেলে মোটামুটি খারাপ না,  বিয়ে হলো।
- তো ম্যাডাম বিয়ে তো হয়েই গেলো পঁচা ছেলেটার সাথে।
- হ্যাঁ। শুধু পঁচা না খারাপ, বান্দর, ইতর ছেলেটার সাথে।
- হ্যাঁ আমি আসলেই লুইই।
সিয়াম লুইচ্চা বলতে যাবে ওমনিই মুখ চেপে ধরে বললো।
- খবরদার। আমার জামাইকে লুইচ্চা বলতে পারবানা।
- কেন? নিজের প্রতি নিজের অধিকারটা কি নাই?
- না। সব আমার।
- গাধী।
- হুম গাধার গাধী তোমার কি?
- শরম নাই লজ্জা করেনা?
- সেইটা জেনে তোমার কি কাজ হুম?
- আসলেই গাধী।
- হ্যাঁ। আমি একটা কুউ।
কুত্তী বলার আগেই সিয়াম বর্ষার মুখ চেপে ধরলো।
- এতো বড় দুঃসাহস করোনা। আমার বউকে কুত্তী বললে একদম জিহ্বা কেটে দিবো। চলি তোমার ডায়লগ কপি করছি।
অতঃপর দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে। চোখের সাগরে হারাচ্ছে, আবার নিজেদের খোঁজছে। হারাক না আপনারা কি খোঁজেন হুম??

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ