āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3530

✔প্রতিক্ষার প্রহর✔
•••••••❤💝💚••••••••
লেখকঃ-RB Raj
...
এবার কালী পূজায় আগে থেকেই
পূজার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে মেঘা।
একেতো শ্বশুড়বাড়িতে প্রথম পূজা,
তার উপর বিয়ের দের বছর
পর এবার দেশে আসছে রাজ। রাজের
সাথে মেঘার বিয়ে হয় এক বছর সাত
মাস আগে,বিয়ের দুইমাসের
মাথায়ই মেঘাকে রেখে সুদূর সুইজারল্যান্ডে
পাড়ি জমায় রাজ। এরপর দুই বার
আসি আসি করেও শেষ মুহুর্তে আর
আসতে পারেনি রাজ। তবে এবার সব
নিশ্চিত,অগ্রীম টিকিটও কেটে রেখেছে
রাজ। তাই ত কালীপূজা নিয়ে এতটা
খুশীতে আছে মেঘা। হানিমুনটাও
এই ছুটিতে সেড়ে ফেলবে বলে,মনে মনে
ঠিক করে রেখেছে মেঘা। সব প্লানও
করে রেখেছে ও,সেন্টমার্টিনেই যাওয়ার
ইচ্ছা ওর। রাতের গল্পে রাজকেও সব
বলে রেখেছে মেঘা ৷ এক কথায় এবার
পূজায় পুরো আদাজল খেয়েই নেমেছে
ও। প্রথম থেকেই তাই রান্নাঘরে
আনাগোনা বেড়ে গেছে মেঘার। 
গোপনে গোপনে টমি মিয়ার বইয়ের দু
একটা আইটেম যে নিজের নামে চালিয়ে
দিচ্ছে না তাও নয়। হাজার হোক
শ্বশুড়বাড়িতে প্রথম পূজা। নতুন
বৌয়ের খোলসে আর কয়দিন।

শ্বশুড়বাড়িতে শ্বশুর শ্বাশুড়ী ছাড়াও
এক ননদ নিয়েই ঝড়ের বেগে সময়
কেটে যায় ওর । ননদটাও একটা
শয়তানের একশেষ,জীবনেও
রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ায় না,আর
কাজের বুয়ার হাতে রান্না সহ্য করতে
পারেনা ও। তাই বাধ্য হয়েই সব এক
হাতে করতে হয় মেঘার। প্এরীতিও
মনে মনে বলে যাও মহারানী,এক বার
বিদেয় হও তারপর দেখব তোমার
আয়েশগিরি। এভাবেই দিন কাটে মেঘার,
খুনসুটি আর সংসারটাকে গুছিয়ে
নেয়ার চেষ্টায় সময়ের খেয়াল থাকেনা
ওর। দিনের ক্লান্তির শেষে রাতে তো আছেই মহারাজ,রাতের ঘুম হারাম করে রাজের
সাথে জমে উঠে রাতগল্প,কখনোও বা
কম্পিউটারের স্ক্রীনে আবেগের
বহিপ্রকাশ। কিন্তু তাতে কি আর আশা
মিটে। সামনে থাকার আবেগটাই
অন্যরকম,আলাদা এক অনুভূতি,আলাদা
এক শিহরণ লাগে অস্তিত্বে। রাত জুড়ে
চলে ইনিয়ে বিনিয়ে কথার খই ভাজা,
কখনোও বা সেহরীতে গিয়ে শেষ হয়
খই এর স্টক। দূরত্বের এই প্রতিযোগিতাও
হার মানে কাছে থাকার আকুলতার কাছে।

দিন গুনে মেঘা,অপেক্ষার শেষ বা খুশীর
আগমনের । দেখতে দেখতে পূজাও
প্রায় চলে এলো,যত দিন যায় ক্যালেন্ডারের
পাতায় লাল কালিতে তারিখের ঘরে
ছোবল বসায় মেঘা। অপেক্ষার মাঝেও
এক ধরনের ভাল লাগা আছে।
বেঁধে দেয়া সময়ের অপেক্ষা যেন অসীম
অপেক্ষা থেকেও ভয়ংকর। এই
অপেক্ষায় এক ধরনের মুগ্ধতা,এক ভালবাসা
যে মিশে থাকে। এর মধ্যেই শপিং শুরু
করে দিয়েছে মেঘা। পুরো লিষ্ট করে
শপিং,বাবা মা,শ্বশুর শ্বাশুরী,ননদ,বড়
ভাই,ভাবী,ভাগ্নে,ভাগ্নী,কেও বাদ যায়নি
লিষ্ট থেকে। সবার দিকেই ষোলআনা
খেয়াল রেখেছে ও। এর মধ্যে আবার
লুকিয়ে সুকিয়ে হানিমুনের শপিংটাও
সেড়ে ফেলতে হচ্ছে। ওর ননদটাও
কেমন যেন,খালি ছুঁক ছুঁক করে। বারবার
গিয়ে শপিং এর ব্যাগ খুলে এক চোরা
দৃষ্টিতে তাঁকায়। ওর কাছ থেকে লুকিয়েই
হানিমুনের শপিংটা করছে মেঘা।
এখনি কি শ্বশুড়বাড়িতে বলা যাবে
হানিমুনের ব্যাপারে,নতুন বৌ হলে নাহয়
একটা কথা ছিল। এতদিনে তো একটু
লজ্জা করাই উচিত। রাজ আসলেই
সব জানানো যাবে।

উফফ,সময় যত ঘনিয়ে আসছে দম বন্ধ
হয়ে আসছে মেঘার,এইত আর মাত্র
সাতদিন পরেই রাজ আসবে। মনে মনে
ঠিক করে ফেলেছে মেঘা,নিজেদের
জন্যে কেনাকাটা রাজকে সাথে নিয়েই
করবে। দোকানে শাড়িও দেখে এসেছে ও
,নীল জমিনের উপর সাদা সাদা পাথর
বসানো। কিন্তু কিনেনি ও,রাজের সাথে
কিনবে বলে রেখে এসেছে। রাজের
জন্যে পাঞ্জাবীও দেখে এসেছে গোটা
কয়েক। অবশ্য রাজ বলেছে
সুইজারল্যান্ড থেকেই এবার শপিং
করে আনবে,তারপরও প্রথম পূজা
বলে কথা। ইসস,বিয়ের আগেই কত
ভাল ছিল,কি সুন্দর পছন্দ হলেই
ফট ফট করে কিনে ফেলা যেত,এখন
আবার আরেক জন লাগে। কিভাবে
যেন মিশে যায় মানুষগুলো,পুরোটা
জুরেই দখল করে নেয়। পুরোটা
অস্তিত্বে যেন জানান দিয়ে যায় আমি
আছি। ভাল্লাগেনা মেঘার। কত্ত
দায়িত্ব,কত্ত ঝামেলা,চিন্তা,বৌ হয়ে
আসলেই শান্তি নাই,দম ফেলারও সময় নাই ,

মনে মনে ভাবে মেঘা। ঠোঁটের কোনে
এক ঝলক বাঁকাা হাসি খেলে যায় অজান্তেই।

কাল রাতেই প্লেনে উঠবে রাজ,তারপর
আর ২২ ঘন্টা। কেমন একটা ছটফট
করছে মেঘা। আজকে রাতে প্লেনে
উঠার আগে ফোন দিয়ে উঠবে রাজ।
মেঘা সেই সাতটা থেকে ফোন নিয়ে
বসে আছে,রান্না করার সময় একবারের
জন্যেও ফোনকে চোখের আড়াল হতে
দেয়নি ও। এতক্ষনে তো ফোন আসার
কথা,দুশ্চিন্তা হয় মেঘার। কিছু হলনা
তো আবার। এর আগেও এভাবে দুইবার
শেষ মুহুর্তে টিকিট বাতিল করেছে রাজ।
দম বন্ধ হয়ে আসতে থাকে মেঘার।
অজানা শঙ্কা,অজানা ভয় নিয়ে বসে থাকে
মেয়েটা। ঐ,ঐ তো ফোন বাজল।
দৌড়ে ফোনটা ধরে মেঘা। রাজের
গলাটা স্তিমিত লাগছে,ভয় হয় ওর।
এবারো কি তাহলে...
হুম,এবারো আসতে পারবেনা

রাজ,অফিসের এক জনের ছুটিতে কাজ
করে দিতে হবে রাজের। এত কিছু
বুঝতে চায়না মেঘা। চোখ ঝাপসা হয়ে
আসে ওর। গলাও ধরে আসে খানিকটা।
চেষ্টা করে স্বাভাবিক থাকতে,তবুও
পারেনা। হুট করে ফোন রেখে রান্নাঘরের
দিকে যায় ও। সব প্লান,সব শপিং,সব
স্বপ্ন,ভাললাগার অনুভুতি সবই যেন বৃথা।
এত সাজিয়ে রাখা স্বপ্নগুলো আবারো
ভেঙ্গে গেল। এরকম কেন মানুষ,এত
দিন এত কষ্ট করে এত্ত কিছু করল ও,
আর রাজ কিনা এক পলকে বলে
ফেলল আসতে পারবেনা। এরকম
কেন হয় বারবার। রাতেও কিছু খায়না
মেঘা। রান্না করতেও ইচ্ছে হয়না
ওর,লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা একগাদা
স্বপ্নকে ভিজিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে মেঘা।

রাজের সাথে তারপর আর কথা হয়নি।
একবারের জন্যেও ফোন দেয়নি রাজ,
মেঘাও খোঁজ নেয়নি আর। আজ কিছু
ভাল লাগছেনা মেঘার,শয়তান ননদটাও
যেন সুযোগ পেয়েছে। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে
শুধু মার্কেটে যাওয়ার কথাই বলছে।
মেঘার ইচ্ছা করছে শয়তানিটার দাঁতগুলা
ভেঙ্গে দিতে। ঢঙ্গি একটা। তারপরও
মার্কেটে যায় ও,হাজার হোক একটা
মাত্র ননদ,ভাবী যেহেতু সহ্য তো করতেই
হবে। মার্কেটে দোকানের রঙ্গিন আলোয়
দেখে যাওয়া শাড়ির দিকে তাকিয়ে
দীর্ঘশ্বাস ফেলে মেঘা। এবারের পূজোটাও
একাই কাটবে ওর,শাড়িটা আর ভাল লাগছে
না মেঘার। নীল জমিনে বিষন্নতার প্রলেপ
লাগিয়ে দেয় ও। শ্বশুরবাড়ি থাকতে
ইচ্ছেও করছেনা ওর,মনে হচ্ছে পূজোটা
যেন আর না আসুক। ওর পূজো না হলে
আর কারোরই যেন পূজা না হয়।

বিষন্ন দিনের শেষে মাত্র ঘুমাতে গেছে
মেঘা। সব কাজ শেষ করে,ভোরের
এলার্ম দিয়ে সবে একটুু  অবষন্ন গা
এলিয়ে দিয়েছে বিছানায়,এই সময়
আবার কলিং বেল। ধুর,এক গাদা
রাগ নিয়ে উঠে দাঁড়ায় মেঘা। খুলবেনা
খুলবেনা করেও দরজা খুলে মেঘা।
এহেম এহেম,বলেন তো দেখি দরজায় কে?
কি পারলেন না?
কে আবার এ যে আমাদের রাজ ভাইয়া।
পুরো জমে গেছে মেঘা,নিজের চোখকেও
বিশ্বাস হয়না ওর। মাথা ঘুরে বোধহয়
পড়েই যাবে। কিভাবে সম্ভব,কথাও যেন
হারিয়ে ফেলেছে মেয়েটা। চিমটির
কারনেই সম্বিত ফিরে মেঘার।

-কি এখন বিশ্বাস হইছে?
-তুমি?তুমি না এবার আসবা না?তোমার অফিস?
-না এসেই পড়লাম আর কি,হাজার হোক হানিমুনে কি আর তোমাকে একা পাঠানো যায়?
-শয়তান কোথাকার।

বলেই কেঁদে ফেলে মেঘা। এই মুহুর্তের
জন্যে পৃথিবীর সব অপেক্ষাকে মেনে
নেয়া যায়। সকল দু:খকে এক নিমিষে
শুষে নেয় এই ভালবাসা। পৃথিবীর সকল
বিষন্ন সময়কে ভাসিয়ে দেয়া যায় এই
অশ্রু জলে,ভাসিয়ে দেয় মেঘাও। মুখ
লুকায় আমানের মাঝে,গভীর থেকে
গভীরে।পরম যত্নে রাজও জড়িয়ে নেয়
মেঘাকে,একরাশ উষ্ণ ভালবাসা নিয়ে।
দরজায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকা এই
দম্পতিকে একাই ছেড়ে দেই আমরা।
তাদের খুনসুটি,অভিমান,ভাললাগা,
ভালবাসার মুহুর্ত গুলো একান্ত নিজেদেরই থাক।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ