★সত্যিকার এক নারীর ভালোবাসা ও জীবন বিসর্জন★
নাটক বা সিনেমায় আমরা অনেক সময়ই নায়ক বা নায়িকাকে বলতে শুনেছি, “আমি তোমাকে ছাড়া বাচবো না”। বাস্তবেও অনেক সময় অনেককেই প্রিয়জনের মন রাখতে এরকম জীবন দেয়ার মত আবেগঘন কথা বলতেও দেখা যায়। কিন্ত আসলে এর সত্যতা কতটা?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা হয়তো কথার কথা বা ফাকা বুলি। কিন্ত তাই বলে কি এরকম হতে পারে না? অবশ্যই হতে পারে। তেমনই ভালোবাসার জন্য আত্মত্যাগ করা এক নারীর কাহিনী থাকছে এখানে।
কাহিনীর সময়টা আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগে। প্রাচীণ রোমান সম্রাজ্যের ঘটনা। খ্রিস্টাব্দ ৪২ সাল। তখন রোমান সম্রাজ্য শাসন করছেন প্রতাপশালী শাসক ক্লডিয়াস। আশেপাশে বেশ কিছু অঞ্চলে যদ্ধু করে তখন তিনি হয়ে উঠেছিলেন প্রায় অপরাজেয়।
রাগী আর অত্যাচারী হিসেবে কুখ্যাত ছিলেন রোমান রাজা ক্লডিয়াস। তারই রাজত্বকালে পিটাস নামে একজন লোক বাস করতেন তার রাজ্যে। আর পাচটা সাধারণ মানুষের মতই ব্যাবসা করে দিন কেটে যাচ্ছিল তার। পিটাসের সংসার আলো করে রেখেছিলেন তার স্ত্রী আরিয়া।একজন আদর্শ স্ত্রীর মত পিটাসকে ভালোই আগলে রেখেছিলেন। সুখে শান্তিতেই দিন কাটছিল পিটাস-আরিয়া দম্পতির।
কিন্ত, হটাৎ করেই তাদের এই সুখের জীবনে আগুন লাগে। রাষ্ট্রীয় নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে পিটাসকে আটক করা হয়। সম্রাট ক্লডিয়াসের সামনে উপস্থিত করা হলে সম্রাট পিটাসের ওপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন। তক্ষনি সম্রাট ক্লডিয়াস পিটাসকে প্রাণদন্ডের রায় দেন। পিটাস বারবার ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন সম্রাটের কাছে। কিন্ত তাতে সম্রাটের মন গলেনি।
সম্রাট পিটাসকে নিজের হাতে নিজের প্রাণ নেয়ার আদেশ দেন। অর্থাৎ পিটাসকে নিজেই নিজেকে হত্যা করতে হবে। তখনকার রোমান নিয়ম অনুযায়ী ধারালো ছোরা নিজের পেটে ঢুকিয়ে প্রাণদন্ড কার্জকর করতে হত। প্রচন্ড রকমের নৃসংশ একটি পদ্ধতি। অনেকটা জোরপূর্বক আত্মহত্যা করানোর মত ব্যাপার।
যাই হোক যথাসময়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের মঞ্চ প্রস্তুত হয়। মঞ্চের মাঝখানে পিটাসকে দাড় করানো হয়। এরপর পিটাসের হাতে একটি ধারালো ছোরা দেয়া হয় নিজের পেটে ঢুকিয়ে নিজের প্রাণ বধ করার জন্য। কিন্ত মঞ্চের মাঝখানে দাঁড়িয়ে পিটাস খুব ভয় পাচ্ছিলেন। তার অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে ভয়ে নিজের হাতটা পর্যন্ত নাড়াতে পারছিলেন না।
মঞ্চের পাশে অশ্রুসজল চোখে দাঁড়িয়ে ছিলেন পিটাসের স্ত্রী আরিয়া। স্বামীকে তিনি প্রচন্ড ভালোবাসতেন। তাই স্বামীর এই অবস্থা সহ্য করতে পারছিলেন না। তখন দৌড়ে গিয়ে স্বামীর হাত থেকে ধারালো ছোরাতা নিয়ে নেন আরিয়া। এরপর স্বামীর ভয় দূর করার জন্য নিজের পেটেই ঢুকিয়ে দেন ছোরাটা।
এরপর স্বামীর দিকে ছোরাটা বাড়িয়ে দিয়ে বলেন, “Paete, non dolate.” গ্রীক এই কথাটির অর্থ দাঁড়ায়, “Paete. It doesn’t hurt.” আরিয়া নিজের স্বামীকে সাহস দেয়ার জন্য এভাবে ছোরা ঢুকিয়ে দেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কিছুক্ষণের মধ্যেই আরিয়া মারা যান।
এদিকে পিটাসও স্ত্রীর এই অবস্থা দেখে ঠিক থাকতে পারেননি। নিজেও নিজের পেটে ছোরা ঢুকিয়ে দেন। পিটাসও মারা যান। রোমান এই নারী মারা গেছেন। কিন্ত নিজের রক্ত দিয়ে উচু করে রেখে গেছেন তাদের ভালোবাসাকে। ভালোবাসা মানেই যে পবিত্রতা এই কথাটিই যেন প্রমাণ করে গিয়েছিলেন আরিয়া।
Collected
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ