āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3509

গল্পঃ অভিমানী
__Siam Ahmed Joy (গান গবেষক)
.
সকালের খবরেরকাগজে একটু চোখ বুলালো সিয়াম। খেলা, অর্থনীতি আর বিনোদনের কলামে বেশি চোখ যায়। হঠাৎ করে কেউ এসে বললো।
- আমি মনে হয় দেখতে সুন্দর না তাইনা?
সিয়াম চোখ উঠিয়ে দেখলো জুমি।
- হঠাৎ একথা কেনো?
- না যেভাবে বিনোদনের পাতায় তাকিয়ে আছেন আমার তো তাই মনে হচ্ছে।
- এই দেখো এটা কোন কথা বললে?
জুমি চা দিয়েই রান্নাঘরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো। সিয়াম বললো।
- শুনো।
বেশ রাগী স্বরে বললো।
- কি?
- এইযে বিনোদনের পাতায় যে সুন্দরীরা থাকে। তারা তোমার চেয়ে হাজারগুণে খারাপ দেখতে। মানে বলতে চাচ্ছি। তুমি এদের থেকে হাজারগুণ বেশী সুন্দরী।
জুমি আর কিছু না বলে চলে গেলো। সিয়াম ভাবলো যা বাবা এতো সুন্দর করে প্রসংসা করলাম তাও মন ভরলোনা। জুমি সিয়ামের বউ। কয়েকদিন হলো মাত্র। গ্রামের মেয়ে। সাংসারিক। তবে অতিরিক্ত অভিমানী। ধরুন সিয়াম খুব মনযোগসহকারে একটা নিউজ পড়ছে ফোনে। তখন জুমি বলবে।
- সারাদিন ফোন আর ফোন। ফোনের মধ্যে যেন উনার কলিজা, হাত, পা রাখা আছে।
- আছে তো।
- কিহহ? আছে মানে? বোঝেছি তো। আপনি তো একটা মিথ্যুক। মুখে বলেন আমি কলিজা আর ফোনে আরেকজন! নিশ্চয় ফেসবুকে!
- ধ্যাৎ। তোমার কি একাউন্ট নেই নাকি? তুমি কি কলিজা হতে পারোনা?
- ও তারমানে আমি হতে পারি কিন্তু নই?
- আল্লাহ বাঁচাও।
- কেনো আমি আপনাকে মারছি নাকি?
- উফ বাবা। আমি একটা আর্টিকেল পড়ছি। এতো অবিশ্বাস ভালোনা।
- তো এতো আর্টিকেল পড়তে হয়? বাসায় প্রতিদিন খবরেরকাগজে হয়না?
- আচ্ছা আজ থেকে আর পড়বোনা। খুশি?
- আমি কি এটা বলেছি নাকি? মানে আপনার চোখে অসুবিধে হবে তো।
- অনেক ধন্যবাদ ম্যাম। আপনি আমার চোখের চিন্তাও করেন।
- এমন একটা ভাব করছেন যেন আমি আপনার কোন কিছুর চিন্তাই করিনা?
- ঘুম পেয়েছে। ঘুমানো যায়?
তখন আর কোন কথা বলবেনা জুমি। জানে অনেক ক্লান্ত  থাকে। তবে অভিমান করে মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে থাকবে। তখন সিয়াম বলবে।
- এই শুনোনা।
বিরক্তি স্বরে বলবে।
- কি?
- আমার না ঘুম আসছেনা।
- কেনো?
- আমার কলিজাটা আমার থেকে অনেক দূরে। ঘুম হবে কিভাবে?
জুমি তারপর আর কথা বলবেনা। দুজনে মুচকি মুচকি হাসবে। সিয়ামের বুকে মাথা রেখে ঘুমাবে জুমি। ধরুন বাসার পুরোনো  জিনিষপত্র নিয়ে কথা বলছে দুজন। পুরোনো জিনিষ পরিবর্তন করবে। হয়তো ফেলে দিবে। তখন অনেকটা গম্ভীর মুখ করে জুমি বলবে।
- আমিও একদিন পুরোনো হয়ে যাবো না? তারপর কি এভাবে ফেলে দিবেন না পরিবর্তন করবেন? দূরে সরিয়ে দিলেও বেঁচে থাকতে পারবো কিন্তু আমার পরিবর্তে অন্য কাউকে আনবেন না। তখন আর বাঁচতেও পারবোনা।
সিয়াম তখন জুমিকে বুকে নিয়ে বলবে।
- ধুর পাগলী। তুমি ঘরের জিনিষপত্রের সাথে নিজেকে তুলনা করো? আর আমি তো তোমার সাথে পুরো পৃথিবীকেও তুলনা করতে পারবোনা। তোমার এটা মনে হয় কিভাবে? বলতে মুখ কাঁপেনা? আমাকে হার্ট করো না?
জুমির চোখ দিয়ে তখন পানি আসবে। সিয়াম পানি মুছে দিয়ে বলবে।
- কাঁদলে তোমাকে একদম বুড়ীদের মতো দেখায়। কিন্তু এই বুড়ীটাকেই আমি অনেক ভালবাসি। পৃথিবী আমার।
তখন জুমি মুগ্ধ হয়ে সিয়ামের দিকে তাকাবে। কিন্তু লজ্জায় চোখ ফিরিয়ে নিবে। ধরুন আজকে সিয়ামের দূপুরে অফিস থেকে ফোন দিতে একটু দেরী হলো। তখন জুমি টেক্সট করে বলবে।
- এইযে লাঞ্চ করা হয়েছে? আমি করে নিয়েছি। জানি তো বিকেল হয়ে গেলেও কেউ জিজ্ঞেস করবেনা খেয়েছি কি না।
সিয়াম তখন ঠিক বোঝবে। মেয়েটা না খেয়ে আছে এখনো। ফোন দিয়ে না বললে খাবেনা। যত কাজের চাপই থাকুক না কেন ফোন দিয়ে বলতেই হয়। ধরুন আজকে আর ফোন দেয়া সম্ভব হলোই না। জুমি না খেয়ে থাকবে। সিয়াম অফিস থেকে এসে দেখবে খাবার টেবিলে রেডি করা। সিয়াম খোঁজবে। তারপর বেলকনিতে দেখবে ভীষণ মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে। তখন সিয়াম বলবে।
- খাওয়া হয়নি মনে হয় না?
- না তো। খেয়েছি।
- তোমার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে খাওনি।
- আরেহ না খেয়েছি।
- কাজের চাপ ছিলো তো।
- আহা ঠিকাছে। খাবার টেবিলে রাখা আছে। খেয়ে নিন।
- খুব ক্ষিদে পেয়েছে। আসো না।
- এতো ক্ষিদে কিভাবে লাগে? দূপুরে খাননি?
- না। সময় হয়নি।
তখন জুমির অভিমানী মুখটা রেগেমেগে একাকার হয়ে যাবে।
- সময় হয়নি মানে? নিজের খাওয়ারও সময় হয়নি? এতো কাজ আপনার? এরকম চাকরী না করাই ভালো। যে নিজের খাওয়ার সময়টাও নেই।
- ইয়ে মানে...  হয়েছিলো কিন্তু খায়নি। জানি তুমি না খেয়ে আছো।
জুমি তখন রাগী স্বরে বলবে।
- আমি না খেলে নিজে খেলে কি পাপ হবে? শুধু শুধু কষ্ট পাওয়ার মানে হয়? আরেকদিন যদি এমন হয়না তো আর বাসায় ঢুকতে দিবোনা। তারাতারি আসেন খেতে। ধরুন দুজনের মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া হয়েছে। সিয়াম একাএকা শুয়ে পড়েছে। জুমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে গিয়ে একপাশে মুখ ঘুরিয়ে শুবে। কিছুক্ষণ পর আর সহ্য করতে পারেনা। সিয়াম কোলবালিশ জড়িয়ে বেশ আরাম করে ঘুমিয়েছে। জুমি তখন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে বলবে।
- এইযে... আগে ভাবতাম আমি মনে হয় কখনো পুরোনো হবোনা। এখন দেখছি ঠিকই পুরোনো হয়ে গিয়েছি। এখন কলিজা দূরে থাকলেও ঘুম হয় না?
সিয়াম কোলবালিশটা আরো শক্ত করে ধরে হেসে হেসে বলবে।
- কষ্ট হয় না?
জুমি চোখের পানি মুছতে মুছতে বলবে।
- কষ্ট? আমার কেন কষ্ট হবে? আমার কি চোখের পানি মুছে দেয়ার কেউ আছে? না আমার একদম কষ্ট হয়না।
- হয় না তো?
- না হয়না না।
সিয়াম তখন চুপ করে আবার কোলবালিশ শক্ত করে জড়িয়ে ঘুমানোর অভিনয় করবে। তখন জুমি আবারো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে বলবে।
- এইযে..  এদিকে তাকান।
- জ্বী কিছু বলবেন?
- হয়।
- কি হয়?
- কষ্ট হয় তো।
সিয়াম হেসেহেসে বলবে।
- হোক। আমার কোলবালিশই ভাল লাগে।
জুমি তখন আবার অভিমান করে ওপাশে মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে থাকবে। মনে মনে ভাবতে আসলেই কি পুরোনো হয়ে গিয়েছি? তা ভাবার আগেই সিয়াম এসে জড়িয়ে ধরবে। অস্ফুটভাবে জুমি বলবে।
- কোলবালিশ কই?
- খাটের নিচে।
দুচনে হাসবে। তারপর কোন একসময় ঘুমাবে। এখন দুজনে একটি সন্তানের মা, বাবা। মেয়েটাকে ঘুম পারিয়েছে জুমি। সিয়াম মাথা ডুবিয়ে উপন্যাস পড়ছে। জুমিরর মাথায় ফন্দি আঁটলো একটু বিরক্ত করা যাক। তখন বললো।
- দেখেছো আজ চাঁদ কতোটা সুন্দর করে উঠেছে।
সিয়াম উপন্যাসের শেষের পৃষ্টার আগের পৃষ্টায় খুব উত্তেজিত। কি আছে শেষের পৃষ্টায়। তাই জুমির কথা কানে গেলোনা। তাই জুমি আবারো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে অভিনয় করে কেঁদে বললো।
- এখন আমার কথা শুনবে কেন? আমি তো এখন পুরোনো হয়ে গেছি। আমি তো একটা বোঝা তোমার কাছে। পড়ো মন প্রাণ উজাড় করে পড়ো। আমি কে? আমি কেউনা।
সিয়াম কথা শেষ করার আগেই মুখ হাত দিয়ে বন্ধ করে দেয়। কোলে করে নিয়ে ছাদের দোলনায় বসায়। তারপর বলে।
- উপন্যাসের শেষের দিকে ছিলাম খেয়াল হয়নি।
জুমি সিয়ামের কাঁধে মাথা রেখে বললো।
- আচ্ছা তুমি আমার সব কথা শুনো কেনো গো?
- তুমি আমার অভিমানী যে.....।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ