āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3501

গল্পঃ কবুল কবুল কবুল
__Siam Ahmed Joy (গান গবেষক)
.
অফিসে আজকে পার্টি। সুমন সাহেবের ম্যারেজ এনিভার্সারি। সুমন সাহেবের স্ত্রীও একই পদে আছে অফিসে। সবাই অনেক কিছু গিফট এনেছে তাদের জন্য। আমি খুব বেশী কিছু আনেনি। তাদের বিয়ের কিছু মুহুর্তের ছবি আমি ফ্রেমে করে সাজিয়ে এনেছি। খুব বেশী টাকা লাগেনি মাত্র পাঁচশত টাকা। অন্যজনদের তুলনায় পানি-ভাত। সবাই হাসাহাসি করলেও  আশ্চর্য হবোনা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো আমার উপহারটিই দুজনের খুব পছন্দ হয়েছে। মিষ্টি হাসি দিয়ে সুমন সাহেব আর তাঁর স্ত্রী আমার দিকে তাকালেন। আমি চোখে ইশারা করে বোঝালাম। খুব কমদামী হয়ে গেলো না? তারপর তারা একে অপরের দিকে একবার তাকালো তারপর দুজনেই এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
.
বোঝতে পারলাম। সময় পার হয়ে যায়। স্মৃতি না। কিছু মুহুর্ত মানুষের আজীবন বেচে থাকার প্রেরণা, উদাহারণ। পার্টি শেষ। আমার বাসায় যাবার তাড়া নেই। রাত বারোটা বাজে গেলেও সমস্যা নেই আবার বাসায় না গেলেও সমস্যা নেই। যা ইচ্ছে করতে পারি। মাঝে মাঝে একটু মনে হয় কারো সাথে রাগ করি, ঝগড়া করি। কিন্তু আমার কপালে তা নেই। বাসায় একজন আছে। তাসনিয়া। যার নামের অর্থ প্রসংসা। কিন্তু আমার মনে হয়না এই মেয়েকে কেউ প্রসংসা করবে বা করেছে কোনদিন। মেয়েটী সম্পর্কে আমার স্ত্রী। কিভাবে বিয়ে হলো সে অনেক বড় কাহিনী। আমাদের বিশ বছর থাকতে বিয়ে হয়েছিলো। তখন তাসনিয়ার বয়স ছিলো ষোলো কি সতেরো।
.
বিয়ে বলা ভুল হবে মনে হয়। আমি শুধু কবুল কবুল কবুল বলে শহরে চলে আসি মামার বাসায়। আর তাসনিয়া কবুল কবুল বলে তাসনিয়ার বাসায়। কোন অনুষ্টান বা ইত্যাদি কিছুই হয়নি। মজার বিষয় আমার গা-য়ে তখন প্যান্ট আর টি শার্ট ছিলো। তাসনিয়ার কি পরিহিত ছিলো আমার ঠিক এখন মনে পরছেনা। কেনো এভাবে বিয়ে হলো? আমার বড় ভাই সায়িমের সাথে তাসনিয়ার বোনের প্রেম ছিলো। কথাবার্তা বিয়ে পর্যন্তও যায়। বিয়েটাও হয়। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটলো বাসর রাতে। তাসনিয়ার বোন গলায় ফাঁসি দেয় আর আমার বড় ভাই বিষ খায়। কেনো এমন করলো আজও জানা যায়নি। কত তদন্ত করা হলো কোন লাভ হলোনা।
.
উভয় পরিবারের ইচ্ছে ছিলো সম্পর্ক তৈরি করার। সে ক্ষেত্রে আমি আর তাসনিয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।  একদিন হঠাৎ আমাকে ডেকে নিয়ে কবুল কবুল কবুল বলিয়ে নিয়েছে। আমার সাথে আমার মা ছিলো। বাবা তখন অসুস্থ ছিলো। ব্যাপারটা বোঝে উঠার আগেই আমাকে মা মামার কাছে পাঠিয়ে দেয়। আমাকে মেরে ফেললেও কবুল বলতাম না। কিন্তু মা বললো বলতে তাই বললাম। তাসনিয়া তখন এস এস সি দিয়েছিলো মাত্র। মামার বাসায় এসে বোঝলাম। এহহ আমি বিয়ে করে ফেলেছি। কিন্তু বাসর কই বউ কই? লজ্জায় আর কি কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারি। আমার কি বিয়ে হয়েছে? কথাগুলো আরো অনেক বছর আগের। কবুল কবুল কবুল বললেও বিয়ের কোন প্যারা আমাকে দেইনি কেউ।
.
তাই বিয়ে করেছিলাম কি না সেটাই ভুলে গিয়েছিলাম। কারণ তাসনিয়ার সাথে কোন যোগাযোগ ছিলোনা। মোটকথা কেউ বিয়ের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করতোনা। আর বিয়ের কথা খুব বেশী লোকজন জানেও না। মামা তাঁর বন্ধুর কোম্পানিতে চাকরী নিয়ে দেয় আমাকে। সেহেতু এখন বউ তুলে নিয়ে আসা উচিৎ। শুক্রবারে বউ তুলে নিয়ে আসা হলো। আরেকটা ব্যাপার হলো আমার নানুর এক ছেলে এক মেয়ে। মামার কোন সন্তান ছিলোনা, এখনও নেই। আর আমিই মায়ের ঘরের একমাত্র পুত্র সন্তান। এজন্য মামার বাসায়ই থেকেছি জীবনের অর্ধেক সময়। মামী কে মামী ডাকলে রাগ করতো সেই ছোট বেলা থেকেই। সবসময়ই মা ডাকি।
.
তো বউ তুলে নিয়ে এসে মামার নতুন ফ্ল্যাটে আমাদের শিফট করে দিয়ে যান। তারপর থেকে এ বাসাতেই আছি। কিন্তু  কাহিনী অন্য জায়গায়। যেহেতু ঐদিন ছিলো আমাদের বিয়ের পরে প্রথম রাত একসঙ্গে থাকা। তার মানে তো বাসর রাতই। কিন্তু ঐদিনই তাসনিয়া তার সব মনের কথা বলে দেয় আমাকে। প্রথমতো তাসনিয়ার বোনের মৃতুতে সে আমার ভাইকে দোষী মনে করে। দ্বিতীয়ত আমাদের পরিবার তাঁর একদমই পছন্দ ছিলো না কখনোই। তৃতীয়ত আমাকে তাসনিয়ার স্বামী হিসেবে কখনোই ভাবতেও পারেনা। তারপর কিছু শর্ত ছুঁড়ে দেয় আমার উপরে। যেমন * কখনো তাসনিয়ার সাথে কথা বলা যাবেনা দরকার বিহীন। * কখনো স্পর্শ করাও যাবেনা।
.
* তাসনিয়া শুধু রান্না করবে আর নিজে নিজে খেয়ে নিবে আমাকেও নিজে নিজে খেতে হবে। * দুজন আলাদা রুমে থাকতে হবে। * তাসনিয়া টিভি দেখার সময় আমি যেন ধারে কাছেও না যাই। সবচেয়ে বড় শর্ত তাসনিয়ার দিকে তাকানোও যাবেনা। ইত্যাদি ইত্যাদি....। যদি শর্ত না মানি তাহলে তাসনিয়া আত্মহত্যা করবে। জীবনটা এখানেই থেমে যায় আমার। বাহিরে থেকে দুজন অভিনয় করতাম। মামা বা মা আসলে খুব ভালো আচরণ করে। একেবারে দুধে ধোয়া বউমা। কিন্তু আমি জানি তাসনিয়া আসলেই কিরকম। তাসনীয়া সাধারণত খুব সকালে উঠে নাস্তা বানায়। তারপর একা একা খেয়ে আমার জন্য রেডি করে আবার গিয়ে ঘুমিয়ে পরে। দুপূর পর্যন্ত ঘুমায়।
.
তারপর উঠে আবার রান্না করে। গোসল করে। তারপর টিভি দেখে। বিকেল বেলায় ছাদে একা একা বসে থাকে। রাতে আবার রান্না করে। খেয়ে কিছুক্ষণ টিভি দেখে তারপর ঘুমুতে যায়। সারাদিনে দুয়েকবার চোখের সামনে পরে কিন্তু দেখতে তো আর পারিনা। লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে হয়। এরকম পেঁচী মেয়ের প্রেমেই পরে যাই। অফিস থেকে আসার সময় একটা গোলাপ এনেছিলাম। এর কারণ তাসনিয়ার কানে দূল দেখেছিলাম। অনেক সুন্দর লাগছিলো। যেহেতু আমার কথা বলা মানা। তাই গোলাপের সাথে একটি ছোট্ট চীরকুটে লিখলাম। ম্যাম কানে দূল পরে একবার আমার সামনে আসবেন? একটু দেখবো। কথা বলবোনা। টেবিলে রেখে দেই চীরকুট আর গোলাপ। খুব ভয়ে ভয়ে আছি।
.
সকালে দেখলাম ঠিকই কানে দূল পরলো। কিন্তু আমার সামনে আসেনি। আমি যখন খাচ্ছিলাম তখন রুমের বাহিরে অন্যদিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। যাহোক এটুকুতেই আজকে আমার ঈদ ঈদ লাগছে। রাত বারোটায় বাসায় ফিরেছি। আজকে দেখি দরজা খোলা। এমনিতে বাহির থেকে দরজা খোলার সিক্রেট চাবি আমার কাছে ছিলো তাই কোনদিনও দরজা খোলা থাকেনা। ভেতরে ঢুকলাম। দেখলাম তাসনিয়া টিভি দেখছে। সুতরাং ঐদিকে আমার চোখ দেওয়া যাবেনা। টেবিলে খাবার দেখে মনে হলো তাসনিয়া খায়নি। ভাবলাম যা বলার বলুক। গিয়ে জিজ্ঞেস করবোই খেয়েছে কি না। তাসনিয়া ঘুমুঘুমু চোখে টিভি দেখছে। আমি রুমে ঢুকে কি যেন ভেবে আবারো বেরিয়ে পরার জন্য পিছনে ঘুরলাম। তাসনিয়ার গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম।
.
বললো, শুনোন। আমি থ হয়ে দাঁড়িয়ে রলাম। ভাবলাম আল্লাহই জানে এখন না জানি কি বলে! নরম স্বরে বললো, কিছু বলবেন? আমি মাথা ঘুরিয়ে মাথা নাড়িয়ে বললাম, হুম। তাসনিয়া বললো, তো বলেন। আমি ভয়ে ভয়ে বললাম, না মানে...  রাতে খেয়েছেন কি না? টেবিলে খাবার দেখে মনে হলো খান নি এখনো। আর আপনি সাধারণত এখন ঘুমান আর আজ টিভি দেখছেন! দেখলাম তাসনিয়া একটু হাসলো। তারপর বললো, হুম ঠিক ধরেছেন। খাইনি আমি। আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমি মনে করলাম রেগে বোঝি এসব উল্টা বলছে। তাই রুম থেকে বেরিয়ে টেবিলে বসে একা একাই খেতে শুরু করলাম। কিছুক্ষণ পরেই দেখলাম তাসনিয়া সামনে। রাগী চোখে তাকিয়ে বললো।
.
কি ব্যাপার? আমি এতো রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম আপনার সাথে একসাথে খাবো বলে আর আপনি আমাকে রেখেই খাচ্ছেন? আচ্চা সার্থপর তো আপনি। আমি কি বলবো বোঝতেছিনা। মাথা নাড়িয়ে বললাম, বসুন। খেতে খেতে বললো, এতো রাত হলো কেনো আজ? আমি হাসি দিয়ে বললাম, আমি প্রতিদিনই এরকম সময় বাসায় ফিরি। আপনি তো ঘুমিয়ে থাকেন তাই টের পান না। তাসনিয়া একটু জোরে বললো, আর কোনদিন এতো রাত করে বাসায় ফিরবেন না। মনে থাকবে? আমি চালাকী করে বললাম, কেনো এটাও কি আপনার নতুন শর্ত নাকি? তাসনীয়া অস্ফুট স্বরে বললো, হুম ধরে নিন তাই। আমার মাথার উপর দিয়ে সব যাচ্ছে। খেয়ে আমার রুমে গিয়ে আমি শুয়ে পরলাম।
.
মেয়েটার মুখে হাসি দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। তাসনিয়াকে যে হাসলে অপরুপ লাগে সেটা কি তাসনিয়া জানে? এরকম হাজার চিন্তা মনে নিয়ে ঘুমালাম। পরেরদিন সকাল আট'টার খবর দেখছি। এসময়ে তাসনিয়া রান্না করে। হঠাৎ দেখলাম তাসনিয়া আসছে। তাসনিয়াকে দেখে আমি উঠে চলে যাবার চেষ্টা করলাম। তাসনিয়া বললো, কোথায় যাচ্ছেন? চলুন একসাথেই খবর দেখি? আমি কথা না বলে বসলাম। তারপর নাস্তা করে অফিস। পেঁচী মেয়েটা আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে। আমি জানতাম একদিন স্বাভাবিক হবে। এখন প্রতিদিনই আমরা গল্প করি। কারণ আমার উপর থেকে সব শর্ত তুলে নিয়েছে। জড়িয়ে ধরে কান্না করার পর আর কি কিছু মনে থাকে?
.
এখন আমি বেশী কথা বলিনা। প্রতিশোধ নিচ্ছি আরকি! আমার কি কম কষ্ট হয়েছিলো নাকি এতো শর্ত মানতে। আমি বিছানার পাশে বসে ল্যাপটপে কাজ করছি। তাসনিয়া রেগে বললো, কি করছো এতো? মানুষের এতো কাজ থাকে? আমি বললাম, তুমি ঘুমাও। তাসনিয়া বললো, না আমার অনেক শীত করছে। আমি উঠে আমার কম্বলটাও তাসনিয়ার উপরে দিয়ে আবার বসে কাজ করছি। তাসনিয়া বললো, বাসায় যদি আরো কম্বল থেকে থাকে তাহলে সেটাও আমার উপরে দিয়ে তুমি কাজ করো। আমি ঘুমালাম। বোঝলাম মিসেস খুব রেগে গিয়েছে। আমার হাসি পাচ্ছে। কিন্তু হাসতে পারছিনা। কারন ল্যাপটপে আমি গেমস খেলছিলাম! পরেরদিন অফিসে যাওয়ার আগে আমার দিকে তাকিয়ে বললো।
.
তোমার কি হয়েছে বলবে একটু? আমার সাথে ঠিক করে কথা বলোনা। ফাইজলামু করোনা। আমি কিছু জিজ্ঞেস করলেও সংক্ষিপ্ত আকারে উত্তর দাও। আমার থেকে দূরে দূরে থাকো। কথাগুলো শুনার সময় ভেতরটা ফাটছিলো। বোঝতে পারছি এক্ষনি কেঁদে দিবে। আবার বললো, কি হলো কিছু বলো? কি ভাবছো? আমি একটু মুড নিয়ে বললাম, ভাবছি আরেকটা বিয়ে করবো। তৎক্ষণাৎ তাসনিয়া কেঁদে দিলো। আমাকে জড়িয়ে ধরে শক্ত করে কাঁদছে। কেঁদে কেঁদে বললো, এরকম কথা তুমি বলতে পারলে? প্রতিশোধ নিচ্ছো? আর কোনদিন বলবেনা। তাহলে তোমাকে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করবো। বলো কি করলে তুমি আগের মতো আমাকে ভালবাসবে? আমি বললাম, পারবে তো? তাসনিয়া বললো, হুম একশবার পারবো হাজারবার পারবো।
.
আমি বললাম, তাহলে বলো কবুল কবুল কবুল। কারন ঐদিন তো আর তুমি মন থেকে কবুল বলোনি। তাসনিয়া আমার দিকে তাকালো। তারপর চোখের পানি মুছলো। লজ্জা পেয়ে আমার হাত ধরলো। মাথা নীচু করলো। তারপর এক হাতে একটা চিমটি কেটে বললো, কবুল। অনেক জোরে চিমটি কেটেছে আমি অল্প ব্যাথা পেলাম। বললাম, মাত্র একবার বলেছো আরো দুইবার বাকী আছে। তাসনিয়া আবার আমার দুহাতে জোরে চিমটি কেটে বললো, কবুল। ব্যাথা পেলেও বললাম আরেকবার বাকী আছে। তাসনিয়া লজ্জা পেয়ে নীচের দিকে তাকিয়ে বললো, তাহলে একটা ঘুষি খেতে হবে। আমি বললাম, দাও ঘুষি তাও কবুল বলো। তাসনিয়া আরো তিনগুণ জোরে চিমটি কেটে বললো, কবুল।
.
আমি বললাম, ধন্যবাদ ম্যাম। অবশেষে বললেন। কিন্তু চিমটি কাটলেন কেনো? তাসনিয়া বললো, এটা হচ্ছে তোমার আমাকে কাঁদানোর শাস্তি। আর তুমিও তো ঐদিন মন থেকে কবুল বলোনি। এখন তুমিও কবুল বলবে। নাহলে ঘুষি মেরে তোমার নাক ফাটিয়ে দিবো। আমি বললাম, আমি বেচে থাকতে আর কবুল বলবো না। ভুলেও না। একবার কবুল বলেই যা বিপদে পরেছি। তাসনিয়া রাগে আগুন হয়ে বললো, কি বললে?...……..!

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ