āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3475

গল্পঃ কম্বল
.
সুমন্ত রেগেমেগে একাকার। ছাদে গিয়ে দেখল যে তার সবগুলো প্যান্ট ধৌত করা এবং দড়িতে টানানো। সুমন্তের কাজ সুমন্ত নিজেই করে। এর পিছনে অনেক কথা আছে। বাড়ির লোকজন তাকে অলস বলত। যবে থেকে চাকরীতে যোগ দিয়েছে তবে থেকে আর নিজের কাজ কাউকে করতে দেয়না। ঘর গোছানো থেকে শুরু করে কাপড়কাচা পর্যন্ত। তার বাড়ির কেউ তার প্যান্ট ধুয়ে দিবেনা সে ভাল করেই জানে তাই নিচে এসে মিতুকে ডাকল। সুমন্তর রাগের চোখ দেখে মিতু অনেক ভয় পেয়ে আছে। মনে মনে বলছে। আল্লাহ না জানি কি করে ফেলেছি। সুমন্ত জোর গলায় বলল ' আমার প্যান্টগুলো কে ধুয়েছে? ' মিতু আমতা আমতা করে বলল ' আমি ' সুমন্তর চোখগুলো আরো লাল হয়ে গেল। মাথায় হাত দিয়ে চেয়ারে বসে সুমন্ত বলল ' তোমাকে কে বলেছে প্যান্টগুলো ধুতে? ' মিতু নিচু কন্ঠে বলল ' কেউ বলেনি। আমার ইচ্ছে হল তাই ধুলাম। ' সুমন্তর চোখে অনেক রাগ। মিতু ভয় পাচ্ছে। ভাবছে সুমন্তর সামনে থেকে কোনরকম যেতে পারলেই বাঁচি। সুমন্ত বলল ' তুমি নতুন বউ কোন কাজ করবেনা এখন। সারা জীবন  তো পরেই রয়েছে। আর আমার কাজগুলো তো একদমই না। আমার কাজ আমি নিজেই করতে পারি। আর কোনদিন আমার কাপড়চোপড় সহ আমার কাজে হাত দিবেনা ঠিকাছে?  ' মিতু মনে মনে একটু খুশি হল নতুন বউ কথাটা শুনে। কারণ তাদের বিয়ের ইতিমধ্যে চারমাস পার হয়ে গিয়েছে। আবার খারাপও লাগল। তবুও মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সম্মতি দিয়ে সুমন্তর সামনে থেকে চলে গেল। দূপুরবেলায় সাধারণত সুমন্ত বাসায় থাকেনা। আজকে তার বাড়িতে অনেক কাজ বাকি ছিলো তাই অফিসে যায়নি। মিতু ভেবেছিল আজকের দিনটা হয়ত অন্যদিনের থেকে একটু সুন্দর কাটবে কিন্তু তা আর হল কোথায়? যে কান্ড সে বাজিয়েছে। তার মাথায় এটা ঢুকছেনা। নিজের কাজ নিজে করা ভাল এর জন্য সব কিছুই?
...
সুমন্ত বাজার থেকে ফিরেছে মাত্র। সপ্তাহে একদিন সে নিজেই বাজার করে। বাসায় লোকের অভাব নেই তবুও সে নিজেই করে। গত দুবছর ধরে এই হয়ে আসছে। সুমন্তর অনেক রাগ। যার সাথে একবার সে রাগ করে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া সে রাগ ভাঙ্গানোর ক্ষমতা কারো নেই। তাকে সবাই অলস বলত তাই সে এখন সব কাজ করে সবার উচিৎ জবাব দেয়। এজন্য অবশ্য তার দামও একটু বেশী বাসায়। নিজের খাটে এসে হাত পা ছেড়ে শুয়েছে মাত্র। মিতু এসে হাজির। সুমন্ত দেখেই বুঝেছে কিছু বলবে। তাই বলল ' কি বলবে বলে ফেল ' মিতু আস্তে করে বলল ' না মানে আপনার মানিব্যাগে একটা মেয়ের ছবি দেখলাম। সে কে? ' সুমন্তর মুখ কালো হয়ে গেল। নিচু স্বরে বলল ' আমার প্রাক্তন প্রেমিকা। মিতু অবাক হয়নি। কারণ সে আগেই বুঝেছিল সুমন্তর ব্যাবহার দেখে যে এই আচরণের পিছনে কোন মেয়ের কাহিনী আছে। মিতু বলল ' এখন কোথায় আছেন উনি? ' সুমন্ত বলল ' সুইজারল্যান্ডে। তার স্বামী একজন ইঞ্জিনিয়ার। সে দেশের নাগরিকত্বও পেয়েছে বটে। ' মিতু সাহস করে বলেই ফেলল ' আপনার সাথে বিয়ে হয়নি কেনো? ' সুমন্ত দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল ' টাকা। টাকা সমান সমান = মেয়ে। টাকা নেই তো কোন মেয়েও পাশে থাকবেনা। ' মিতু বলল ' অনেক সুন্দর ছিল কিন্তু বলতে হবে ' সুমন্ত আর কোন কথা বললনা। মিতু রুম থেকে বেরিয়ে পরে। মানিব্যাগে মেয়েটার ছবি আবারো রাখবে কিনা চিন্তা করছে। ইচ্ছে না হলেও আবারো মানিব্যাগের এক কোণে মেয়েটার ছবি রেখে দিল। এই দৃশ্যটা অনেক কঠিন। বাঙ্গালী নারীরা যতই খারাপ হোক বা তার স্বামী কিন্তু তার স্বামীর ব্যাগে অন্য মেয়ের ছবি যত্নে রেখে দেয়াটা খুব কঠিন কাজ। বুকে তখন চিনচিন ব্যাথা করে। সে ব্যাথা হয়ত কেউ বুঝেনা।
...
রাত এগারোটা বাজে। বাসার সবাই খাওয়াদাওয়া শেষ। সুমন্ত ফোনে গেমস খেলছে। পাশেই শুয়ে আছে মিতু। মিতু বলল ' একটা কথা ' সুমন্ত বলল ' বলে ফেল ' মিতু বলল ' আপনি রান্না করতে পারেন? ' সুমন্ত বলল ' হুম.. কেন? ' মিতু বলল ' তাহলে তো আপনার বিয়ে করার কোন দরকারই ছিলনা। ' সুমন্ত হেসে বলল ' সে কথাটা বাসার কাউকে বুঝাতেই পারলাম না। তবে তোমার কপাল খুব খারাপ। আমরা মত খচ্চর একটা ছেলে তোমার কপালে জুটল। ' মিতু অনেক্ষণ কিছু বলেনি। সুমন্ত ভাবল ঘুমিয়ে পরেছে। হঠাৎ মিতু বলল ' আচ্ছা আপনি কি জানেন মেয়েরা কি চায়? ' সুমন্ত একটু দীর্ঘশ্বাস নিল। তারপর বলল ' কথায় আছে স্বয়ং বিধাতাও নাকি মেয়েদের মন বুঝেনা আর আমি তো সাধারণ পুরুষমানুষ। তবে আমি যেটুকু বুঝি সেটুকু হচ্ছে। কোন মেয়ে টাকার হিসাব চায় পাই পাই করে। কোন মেয়ে ভালবাসার হিসাব চায় পাই পাই করে। কোন মেয়ে দুটোই চায়। কোন মেয়ে চায় একটা বড় বাড়ি সাথে একটা লাল টুকটুকে গাড়ি। কোন মেয়ে চায় ছোট্ট একটা সংসার সাথে টুকটুকে একটি বাচ্চা। কোন মেয়ে ব্যাংকের একাউন্টের  হিসাব চায় কোন মেয়ে গোলাপের হিসাব চায়। কোন মেয়ে গহনা সোনা-রুপার হিসাব চায় কোন মেয়ে সময়ের হিসাব চায়। ইত্যাদি ইত্যাদি। মেয়েদের ব্যাপারে বলে শেষ করা যাবেনা কারণ পুরো পৃথিবীর আয়তন হয়ত বলে শেষ করা যাবে কিন্তু মেয়েরা কি চায় তার তালিকা বলে শেষ করা যাবেনা। ' মিতু অবাক হল। তারপর বলল ' আমি কোন ধরনের মেয়েদের মাঝে পরি বলতে পারবেন? ' সুমন্ত আবার হাসল। তারপর বলল ' মাত্র চার মাসে একটা মেয়েকে চেনা? তা করতে পারলে আমি নোবেল পেতাম। ' মিতু প্রতি কথার উত্তরে পরাজিত হয়। মিতু বলল ' আচ্ছা আমি কি চাই জানেন? ' সুমন্ত এবারো হাসল। তারপর বলল ' জানি তো। টাকা। একটা বড় বাড়ি সঙ্গে গাড়ি। সপ্তাহে তিন দিন শপিং। এজন্যই তো বললাম তোমার কপাল অনেক খারাপ আমার এত টাকা নেই। ' মিতু আর কিছু বললনা। চোখ দিয়ে পানি পরছে। সুমন্ত দেখবেনা কারণ রুমের লাইট বন্ধ।
...
মিতুর মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে সুমন্তকে বলতে যে তার অফিসে একটা চাকরী দিতে। এমন একটা চাকরী যাতে সবসময় সুমন্তর কাছাকাছি থাকা যায়। মিতু গ্রামের মেয়ে। এ যুগের মেয়েদের মত হয়ত এত আধুনিকা না। বাবার কাছে মানুষ। মাকে সে কখনো দেখিনি। জন্মের পরেই নাকি মা মারা যান। ছোট ঘরের মেয়ে হলে যা হয় আরকি। কোন আবদার থাকেনা কোন ইচ্ছে থাকেনা। যা আছে তা নিয়েই ভাল থাকতে হয়। সুমন্ত এজন্যই বিয়েতে রাজি হয়েছিল। কারণ গ্রাম্য ছোট ঘরের মেয়েদের হিংসা থাকে কম অহংকার থাকে কম। একদিনের চালে কিভাবে দুদিন চালাতে হয় তা ভাল করেই বুঝে যার কারণে পাই পাই টাকা মিশ্রিত ভালবাসা চায়না। স্বামীর মা বাবা সহ পরিবারের লোকজনদের সাথে কিভাবে চলতে হয় কিভাবে মন রক্ষা করতে হয়  তা ভাল করেই জানে। মিতুর অনেক কষ্ট হয় যখন সুমন্তর শার্টটা সামনে থাকে কিন্তু তা গুছানোর অধিকার থাকেনা। যখন সুমন্ত অফিস যায় তখন ঘড়িটার খোঁজ করে। একটু দেরী হলেও সে নিজেই খোঁজে নেয়। মিতুর খোঁজে দেওয়ার সাহসটা থাকেনা। যখন টাইটা দুই মিনিটের জায়গায় দশ মিনিট সময় নেয় সুমন্ত বাঁধতে। তখন মিতুর বুকে ব্যাথা হয়। কারণ টাই টা বেঁধে দেয়ার অধিকারটা থাকেনা। সুমন্ত বলেছে যেদিন তোমাকে একটা বড় বাড়ি আর একটা গাড়ি উপহার দিতে পারব সেদিন থেকে ভালবেস। সুমন্তর প্রাক্তন প্রেমিকা নায়া তা চেয়েছিল। যা দিতে পারেনি বলে সে আজ অন্য কারোর। যার জন্য সুমন্তর জেদ। কিন্তু মিতু তো তা চায়না।
...
সুমন্ত তাকে ভালবাসেনা তা ভেবে মিতু কষ্ট পায়না। কারণ ভালবাসা তো অর্জনের ব্যাপার চাইলেই কমপক্ষে সত্যিকারের ভালবাসা পাওয়া যায়না। একসাথে একখাটে হয়ত থাকা যায়। দেহের মিলন হয়ত ঘটে কিন্তু মনের মিলন না। মিতুর কষ্ট হয় কারণ সুমন্ত মিতুকে ভালবাসতেই দেয়না। সুমন্ত একদিন জিজ্ঞেস করল ' আচ্ছা তোমার কি আমার সাথে থাকতে বোরিং লাগেনা? বিরক্ত লাগেনা? একই ছেলের সাথে দিনের পর দিন কাটাতে?  একই ছেলের রোজ বকুনি খেতে? ' মিতু মাথা নাড়িয়ে বলে ' না। কারণ যে গাছের ফল খুব তাড়াতাড়ি পেঁকে যায় সে গাছের ফল খুব তাড়াতাড়ি ঝড়েও পরে যায়। ' সুমন্ত সেদিন আর কিছু বলেনি। কালকে সুমন্ত বেতন পাবে। এমনিতে মিতুকে তার বলার মত কিছুই দেয়া হয়নি। ইচ্ছে হল কাল কিনে দিবে। মিতুকে বলার পরে মিতু খুশি হয়নি। সুমন্ত ভাবল এই সামান্য টাকায় মনে হয় হবেনা। সুমন্ত কোনদিন মিতুকে জিজ্ঞেসও করেনি তোমার কি লাগবে? কি চাই? সুমন্ত তাই আজকে বড় মুখ করে মিতুকে বলল ' আচ্ছা মিতু তুমি আমার থেকে ঠিক কি চাও বল তো ' কথাটা শুনে মিতু অবাক হল। হ্যাঁ সে অনেক অবাক হল। মিতুর ইচ্ছে হচ্ছে তার কি চাই সব বলে দিতে কিন্তু মনের বাধাগ্রস্ত হল। তারপর বলল ' আমি যা চাই তা আপনি দিতে পারবেন না। কখনোই না। আর হ্যাঁ ভাববেন না টাকা বিষয়ক কিছু। ' সুমন্তর অনেক রাগ হল। কারণ সে হার মানতে চায়না। খুব জিদ্দি ছেলে। সুমন্ত একটু রাগ দেখিয়ে বলল ' চ্যালেঞ্জ করছ? ' মিতু এবার সুযোগ পেয়ে বলল ' মনে করেন তাই'ই ' সুমন্ত এবার রেগে নিজের মাথা ধরে বলল ' বল তুমি। যদি না পারি তাহলে গৃহত্যাগ করব। আর নাহয় তুমি যা শাস্তি দাও তাই মেনে নিব। আর যদি পারি তখন? ' মিতু কিছুটা ভয় পেল। তারপর বলল ' পরের টা পরে দেখা যাবে। আর মানুষ কি নিজের মাথায় হাত রেখে শপথ করে? ' সুমন্ত চুপ করে রইল। সে ভাবছে মিতু কি এমন চাইবে যে আমি দিতে পারবনা। সুমন্ত অনেক ভেবে মিতুকে বলল বলতে। মিতু বলেছে তাহলে চোখ বন্ধ করতে হবে। সুমন্ত চোখ বন্ধ না করে রুমের লাইট বন্ধ করে দিল। মিতু বলতে শুরু করল " ঘুমানোর সময় আপনার বুকটা আমি বালিশ হিসেবে চাই। সারাজীবন আপনার হাতটা চেপে ধরে রাখতে চাই। কপালের ঘাম মুছে দেয়ার দ্বায়িত্বটা চাই। রোজ সকালে টাইটা বেঁধে দিতে চাই। আরও আছে সেগুলো বলতে পারবনা আমার লজ্জা লাগে। ' সুমন্ত বলল 'আর বলতে হবেনা আমি এগুলোই করতে পারবনা। ' মিতু জানত যে সুমন্ত রাজি হবেনা। নিজের কাজে হাত পরেছে তো সেজন্য। সুমন্ত একটা ভুল ধারনা নিয়ে আছে।
...
কালকে কথার মাঝে সুমন্তর মা মিতুকে বলল ' নাতীনাতকরের মুখ কবে দেখব বউমা? আমার ছেলে যে জেদি। তাকে কিন্তু রাগিয়ো না। তাহলে তোমার জীবন পার হয়ে যাবে তবুও তার রাগ শেষ হবেনা। ' কথাটা শুনে এক মুহুর্তও আর মায়ের সামনে থাকতে পারলনা লজ্জায়। কথাটা  শুনার পরেই যেন মিতু নিজেকে মা মা ভাবতে শুরু করে দিয়েছে। ছোট ছোট হাত ছোট ছোট পা তাকে জড়িয়ে ধরবে। বাবুটা কাঁধবে সে কান্না থামাবে। উদাসীন লাগছে মিতুর। সুমন্তর কথা মনে পরলেই আবার এসব ভাবনা দূর পাহারে পালায়। এসব কথা সুমন্তকে বললে নিশ্চিত চার পাঁচ দিন কথাই বলবেনা। সুমন্ত অফিস থেকে ফিরেছে। এখন গোসল করতে যাবে। মিতু ভাবছে কিছু একটা বলবে আবার বলতে পারছেনা। সুমন্ত হঠাৎ আশ্চর্যজনক প্রশ্ন করে বসল। সুমন্ত জিজ্ঞেস করল ' কেমন আছ মিতু? ' মিতু মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল ' আছি তো অনেক ভাল। ' সুমন্তও হাসল তারপর বলল ' তোমার কিছু লাগবে মনে হয়। এভাবে লজ্জা দিওনা কি দরকার বল সাধ্য থাকলে অবশ্যই দিব। ' মিতু লজ্জা পেল। হাতে তোয়ালে ছিল। তা দিয়ে মুখ ঢাকল। ঢেকে বলল ' না মানে মা বলছিল যে উনি নাতিনাতকরের মুখ দেখবে কবে ' এটুকু বলেই চলে আসতে চাইল মিতু। সুমন্ত দাঁড় করিয়ে বলল ' ছেলে না মেয়ে? ' মিতু চোখে হাত দিয়ে বলল ' ছেলে ' সুমন্ত হেসে বলল ' কেন? ' মিতু চোখে হাত রেখেই বলল ' ছেলেটা শিক্ষক হবে। আমাদের গ্রামের স্কুলটায় শিক্ষক কম। কেউ শিক্ষকতা করতে চায়না সেখানে। কারণ বেসরকারি স্কুল সরকার বেতন দেয়না। ' সুমন্ত নীচু স্বরে বলল ' সরি মিতু। আমার বাবা হতে ইচ্ছে হয়না। আমার মত খচ্চর একটা ছেলে কারো বাবা হতে পারেনা ' কথাটা শুনে মিতুর মন খারাপ হয়ে গেল। তার অনেক খারাপ লাগছে। এমন মন খারাপ তার কোনদিনও হয়নি। পাশের বাসার ভাবীর কুলে বাচ্চা দেখে তারও খুব ইচ্ছে করে গান শুনিয়ে একটা বাবুকে বুকের মাঝে ঘুম পারাতে। সুমন্ত তো খারাপ ছেলে না। হ্যাঁ অনেক জেদি। একটা মেয়ে তাকে স্বপ্ন দেখিয়ে অন্য কারো হাত ধরে চলে গিয়েছে কিন্তু তার মানে তো জীবন থেমে থাকবেনা। মিতুর মন খারাপ থাকে। সুমন্ত বুঝেও এ ব্যাপারে কিছু বলেনা।
...
বিয়ের পরে কখনো তারা ঘুরতে বেরোয়নি। সারাদিন মিতু মন খারাপ করে থাকে। আর সামনে রোজার ছুটি। পরিবার থেকে কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য ঠিক করল দুজনের জন্য। হানিমুন বা মধুচন্দ্রিমাও বলা যায়। সারাটা পথ মিতু চুপ করে থেকেছে একটা কথাও বলেনি। তার এসব কিচ্ছু ভাল লাগছেনা। তবুও তার সুমন্ত যা বলে তাই করতে হয়। কক্সবাজারে এসে কিছু কেনাকাটাও হয়েছে। মিতু অবশ্য কিছুই কিনেনি। মিতুকে হোটেলে রেখে সন্ধায় আবারো বাহিরে বেরোয় সুমন্ত। মিতুর এখন নিজেকে জেলখানার আসামীদের মত নিজেকে মনে করে। সন্তান বিহীন সংসার আর স্বপ্ন বিহীন জীবন একই কথা। সুমন্ত হোটেলে ফেরার সময় একটা কম্বল নিয়ে আসে। কম্বলটা তার খুব পছন্দ হয় আর সঙ্গে টাকাও ছিল তাই কিনে ফেলল। রাতে শুবার সময় কম্বলটা দুজনে গায়ে দিয়েই শুয়েছে। ভোর সকালে ঘুম ভাঙ্গল মিতুর। ঘুম ভাঙ্গতেই সে নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছেনা। সুমন্ত তাকে জড়িয়ে শুয়ে আছে!  এক খাটে তারা শুয়ে আসছে অনেকদিন যাবৎ কিন্তু কোনদিন এরকম হয়নি। বুকে বুক লাগিয়ে। পায়ে পা লাগিয়ে। হাতে হাতগুলো চেপে ধরে। সুমন্ত ঘুমাচ্ছে। মিতু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। এতটা কাছে কোনদিন সুমন্ত আসেনি। মিতুও আবার ঘুমানোর চেষ্টা করছে কিন্তু তার সুখে ঘুম আসছেনা। সবচেয়ে বড় কথা হল কম্বলটাই গায়ে নেই! মিতু চাচ্ছেনা সুমন্তর ঘুম ভাঙ্গতে। সুমন্ত যখন একটু চোখ খুলল। মিতু তখন লজ্জায় চোখ বন্ধ করে আছে  । সুমন্ত বলল ' তোমার চোখগুলো একদম পেত্নীদের মত। কিন্তু আমার খুব এই চোখে ডুবে থাকতে ইচ্ছে হয়। ' মিতু বলল ' আমি চোখ খুলছিনা আজ ' সুমন্ত হেসে বলল ' রাতে নায়ার ছবিটা পুড়িয়ে ফেলেছি। তোমার চোখগুলো এখন মানিব্যাগের কোণে যখন ইচ্ছে তখন দেখব। ' এবার মিতু চোখ না খুলে পারল না। অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল ' এত কিছু কেন? ' সুমন্ত ঠোঁটমুখ বাঁকা করে বলল ' জানিনা ' মিতু লাজুক হাসি দিয়ে বলল ' রাতে তো আমরা কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়েছিলাম। এখন কম্বলের টুকরোও দেখছিনা যে। ' সুমন্ত বলল ' মাঝরাতে আমি কম্বল প্যাকেটে রেখে দিয়েছি। ' মিতু অবাক হয়ে বলল ' কেন? ' সুমন্ত মিতুর নাকে নাক লাগিয়ে বলল ' আমার অনেক হিংসা হচ্ছিল। এত সুন্দর একটা কম্বল আমরা ব্যাবহার করছি। আমাদের বাবুর জন্য রেখে দিয়েছি। তাই প্যাকেটে ভরে রেখেছি। কম্বলটা বাবুর। জানি তোমার শীত করছে। তুমি বললে কম্বলটা আবারো নামাতে পারি। ' চোখের কোণে পানি এসেছে মিতুর। এবার সে সুমন্তর হাতটা চেপে ধরে বলল ' না আমার একদম শীত করছেনা। আর কম্বলটা কিন্তু অনেক সুন্দর ছিল রাতে দেখেছি। ' সুমন্ত চোখ বন্ধ করে বলল ' উম এখন কি করব? ' মিতুও চোখ বন্ধ করে বলল ' উম ঘুমাও ' |

Siam Ahmed Joy

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ