āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3513

গল্পঃ স্বপ্ন জাহাজ
__Siam Ahmed Joy (গান গবেষক)
.
- ইসরাত।
- জ্বী।
- সিয়াম কোথায়?
- ফোন দিন তাহলেই তো হয়।
- আরেহ আমি তো জানি সিয়াম কোথায়। তুমি কি জানো?
- বললো আজ নাকি বন্ধুরা মিলে কি ব্যাবস্থা করবে।
- আরে রাখো ঐসব। সিয়ামকে দেখলাম একটা মেয়েকে নিয়ে রিকশায় ঘুরতে। প্রথমে ভেবেছিলাম তুমি পরে কাছে গিয়ে দেখি অন্যকেউ।
- কোন বন্ধু হয়তো। বা অন্য কেউ।
- হুম একটু খেয়াল রাখিও।
ইসরাত রাগ ফাটছে। যাওয়ার সময় টাকা নিয়ে গেলো মিথ্যে বলে। এখন নাকি কাকে নিয়ে রিকশায় ঘুরছে। ফোন দিলো।
- ঐ কই তুই?
- কে? আমি? ভুল করে মনে হয় আমার নাম্বারে ফোন দিয়েছ।
- ভুল করে দেইনাই। তোর কাছেই দিছি।
- কিহহ? আমি আবার তুই হলাম কবে?
- তুই তো তুই'ই। মিথ্যা বলা টাকা নিয়ে অন্য মেয়ের সাথে ঘুরাঘুরি না? বাসায় আয় তুই।
- মানে? দিনদুপুরে কি হলো তোমার? জ্বর আসছে নাকি?
- রাখ তোর জ্বর। বাসায় আয় তারাতারি নাহলে বাপের বাড়ি গেলাম।
- ও খোদা...  কি হলো আমার আমার সহজ সরল বউটার।
- চাপা রাখ। বাসায় আয় সন্ধার আগে নাহয় খবর আছে।
বলে কেটে দেয় ইসরাত। সিয়ামের মাথায় হাত। যতই লজ্জাবতী হোক। রাগ উঠলে তুই তুকারি আরম্ভ করে। বন্ধুরা মিলে বাজার করছিলো আজ পার্টি হবে খাওয়াদাওয়ার। আজকে আয়ান চাকরী পেয়েছে। আয়ান সিয়ামের বন্ধু। কিন্তু সেই আয়ানই কি গন্ডগোল লাগায় দিলো। এদিকে ইসরাত বসে বসে কাঁদছে রুমের দরোজা বন্ধ করে। কারন বাসার কেউ দেখলে জবাব দিতে হবে। বাজার করার পরে রান্নাবান্না করছে সবাই। খাওয়া আর সিয়ামের কপালে জুটলোনা। এর আগেই ফোন দিয়ে ইসরাতের কান্নাকাটি। বাসায় না গেলে বাপের বাড়ি চলে যাবে। সিয়াম বাসায় এলো। কয়েকবার ডাক দেয়ার পরে রুমের দরোজা খুললো। খুলেই সিয়ামের কলারে ধরলো।
- ঐ মেয়েটা কে ছিলো সত্যি করে বল।
- ইয়া খোদা রুমের দরোজা খুলা তো।
- ফাইজলামু রাখ। বল মেয়েটা কে ছিলো?
- আজব তো। কখন থেকে তুই তুই করে যাচ্ছো। পাগল হয়ে গেছো নাকি?
- ও এখন আমি পাগল হয়ে গিয়েছি না? তুই যখন রিকশা করে অন্য মেয়ের সাথে ঘুরোস তখন কি?
- কিহহ? এই কাম কেডায় করলো?
- কোন কাজ?
সিয়াম বোঝতে পারলো কেউ না কেউ ফোন দিয়ে উল্টাপাল্টা কছু বলেছে  ইসরাতের কাছে।
- ফোন দিয়েছিলো কে?
- আয়ান ভাই।
- এই মারছে রে।
- মানে কি? তুই টাকা নিয়ে কি করছিস বল।
- আমি? আমি তো টাকা নিয়ে মিথিলা না মিথিলা না মিতুর সাথে ঘুরেছি রিকশায় করে। আর হ্যাঁ আমরা নৌকায় করে গল্প করেছি। ফুচকা খেয়েছি। উফফ সেই লেগেছে।
বলেই ইসরাতকে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। বের হয়ে আয়ানকে ফোন দেয়ার চেষ্টা করলো। হারামীর ফোন অফ। শালা আজকের দিনেও বোম ফাটাইলো। বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। ইচ্ছা হচ্ছে গ্রীল সব ভেঙ্গে দিতে। কিছুক্ষন পর আয়ান ফোন দিলো ইসরাতের কাছে।
- ইসরাত।
- জ্বী।
- বেশি বকাবকি করছো?
- মানে?
- হারামী আমার পকেট থেকে এক হাজারটাকা বেশি নিছিলো তাই একটু বোম ফাটাইলাম। সরি ইসরাত।
ইসরাত বোঝতে পারলো কাহিনি কি। এক দৌড়ে গিয়ে সিয়ামকে জড়িয়ে ধরলো। আর কাঁদছে।
- সরি।
- হুম ঠিকাছে। ছাড়ো এখন।
- সরি তো।
- বললাম না  ঠিকাছে।
- দেখো তুমি অন্য মেয়ের সাথে ঘুরবে এটা কি আমি সহ্য করতে পারবো?
- আয়ান ফোন দিছিলো?
- হুম।
- ঠিকাছে। তুমি যাও। ভাল্লাগছেনা আমার কিছু।
- কই যাবো? তুমি ছাড়া যাওয়ার যায়গা আছে আমার?
- আরে বাবা আমাকে একটু একা থাকতে দাও।
- ওকে তুমি থাকো আমি তুমার জন্য চা নিয়ে আসছি।
- খাবোনা এখন।
- খাবে দাঁড়াও আমি নিয়ে আসছি।
ইসরাত চা আনতে গেলো। সিয়ামের প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ। অনেকদিন পর বন্ধুবান্ধবরা মিলে এক হয়ে একটা.....!  এটাও কপালে সইলোনা। চা বানানোর সময়ই দরোজার টিংটিং এর আওয়াজ। ইসরাত গিয়ে দরোজাটা খুললো। একি! সবাই এসে গেছে সাথে বিরিয়ানি নিয়ে।
- আপনারা?
- চা খেতে আসছি। কি হবেনা?
- হুম কেন নয়। ভীতরে আসুন।
- সিয়াম্মা কই?
- বেলকনিনে আছে। আমি ডেকে দিচ্ছি।
সিয়াম সবার কথার আওয়াজেই টের পেলো। কিন্তু আসলো কিভাবে? মাঝা মাঠে রান্নাবান্না!
- তোরা এখানে ক্যামনে?
- দেখ ভাই। আমরা আর যাই হোক আমাদের পেঠুককে রেখে তো আর খেতে পারিনা। নাহলে আবার আমাদের পেটের ভাত হজম হবেনা।
- গন্ডগোল একখান প্যাঁচাইয়া এখন আসছস...!
ইসরাত সবার জন্য চা বানিয়ে আনলো। পাঁচ বছর পরে মনে হয় সবাই একসাথে হওয়া। এখন সবাই বিবাহিত আর বিবাহিতা। মেয়েদের তো পাওয়া যায়না বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলেরা আয়ানের চাকরীর সৌজন্য এক হওয়া। আজকে বেশ আড্ডাই হলো। আবার সবাই ব্যাস্ত। কিছুদিন পর সিয়াম দেশের বাইরে চলে যায় একটা প্রজেক্ট এর জন্য। কিছুদিন থাকতে হবে। দূরে গেলে ভালবাসা বাড়ে এবং গভীর হয়। মাঝে মাঝে ভালবাসাটা উপভোগ করার জন্য হলেও প্রিয় মানুষের থেকে দূরে যাওয়া উচিৎ। সিয়াম সবসময়ই বলতো তোমার চুলের গন্ধে আমি প্রতিদিন পাগল হতে চাই।  সকাল সকাল ইসরাতের ফোন।
- খেয়েছো ?
- নাহ।
- কেন? প্রায় এগুরোটা বাজে।
- আরে এখানে তো আর কেউ তোমার মতো রান্না ঝাল বেশি দেয়না।
- কিহহ? আমি ঝাল বেশি দেই? তাহলে অন্য কিছু খেলেই পারো।
- দেখি। তুমি খেয়েছো ?
- তুমি খাওয়ার আগে আমি খেয়েছি কোনদিন? আর আজকে তো গলা দিয়ে কিছু নামবেনা।
- না গো। আমি তো দুষ্টুমী করেছি। তোমার রান্নার স্বাদের সাথে কোন তুলনাই চলেনা।
- হুম হয়েছে হয়েছে। বোঝি তো সব।
- এই দেখো। মিথ্যা বললে রাগ করো সত্যি বললে বিশ্বাস করোনা। থাক আর কিছু বলবোনা।
- কেন বলবেনা?
- তুমি তো রাগ করো।
- তাতে কি তুমি তো আছো রাগ ভাঙ্গানোর জন্য। নাকি তাও পারবেনা?
- খিদে পেয়েছে এখন খুব। তুমি খেয়ে নিও। আমি খাচ্ছি।
দুদিন পর দেশে ফিরবে। কেউ অবশ্য এগিয়ে আনতে যায়নি। এয়ারপোর্ট থেকে বাসা  পনেরো মিনিট। এসে ফোন দিলো।
- তোমার জন্য কিছু আনেনি কিন্তু।
- উমম.. আমি জানি এনেছো।
- সত্যিই আনেনি।
- তোমার থেকে মুল্যবান আমার কাছে আর কি আছে? তুমিই বাড়ি ফিরছো। আর আমার জন্য আনার কি বাকি আছে?
- ধরো আমিও বাড়ি পৌঁছালাম না তখন?
- একদম এসব কথা বলবানা। আমার ভয় করে কিরকম।
- হেহে পাগলী।
সিয়াম বাসায় আসে। ইসরাত খাটে বসে আছে।
- তোমার জন্য অনেক অনেক দামী একটা জিনিষ আনিনি।
- হিহি।
- শাড়ি, চুড়ি, গহনা এসব কিছুই না।
- উমম..  ভাল।
- শুধু বোরখা এনেছি।
- এ পর্যন্ত কয়টা বোরখা দিয়েছো মনে করো তো।
- নয়টা মনে হয়।
- তবুও তোমার কাছে থেকে বোরখা পেতেই আমার অনেক ভাল লাগে।
- হিহি জানিতো।
- খাবে চলো। অনেক ঝাল দিয়ে রান্না করেছি।
- খেতে আমার অসুবিধে হবেনা। তোমার হাতের বিষ আর খাঁটি মধুর মধ্যে পার্থক্য নেই।
- ইশশ..
[ ভাইয়া/আপু এটা গল্প। এরকম স্বামী, স্ত্রী  গল্পতেই হয়। বাস্তবে হয়না। কারন বাস্তবে এর থেকেও বেশি রুমান্টিক হয়]

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ