āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§¨ā§Š āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3551 (2)

অভিমানী বউ

পর্বঃ তৃতীয় ( ৩য় )

লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম (ক্ষুদ্রে লেখক)



আজ মিষ্টির জন্য মার্কেটে যাচ্ছি । মিষ্টির জরাজরিতে যেতে হচ্ছে ।
সিরাজগঞ্জ মার্কেটের দিকে গন্তব্য ।

ঘর থেকে বের হয়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাচ্ছি । হঠাৎ মনে হল আমি কিছু ভুল করে ফেললাম নাতো । আমি মিমের সাথে এরকম না করলে হতো হয়তো মেয়েটা অনেক কষ্ট পাচ্ছে । মিম তো আমার কাছে এসেছিল কিন্তু আমার কাছে সাহস করে বলতে পারে নাই । ধ্যাত আর ভাবতে পারছিনা ।

---আরে নাসির সাহেব কি ভাবছেন সিঁড়ির উপর দাড়িয়ে । ( পাশের রুমের ভাবি )
---না মানে কিছুনা না । কোথায় যাবেন ভাবি । ( নাসির )
---এই তো একটু মার্কেটে যাবো । আপনি কোথায় যাবেন ।
---ও আমিও মার্কেটে যাবো ।
---তা ভাবীর জন্য মার্কেট করতে নাকি । ( হাসি দিয়ে )
---না ভাবি । একটা বন্ধুর জন্য যেতে হচ্ছে । অবশ্য যেতে চাইছিলাম না অবশ্য জরাজরিতে যেতে হচ্ছে ।

কিছুখন পর সিঁড়ি দিয়ে নেমে এখন দাড়িয়ে আছি গাড়ির জন্য ।
আমি বললাম ,
---ভাবি কীসে যাবেন সিএনজি নাকি অটোরিক্সায় । (নাসির)
---হুম যেটা আপনার ভালো হয় সেটাই যাওয়া যাক । (ভাবি)
---আচ্ছা সিএনজি তে যাওয়া যাক কেমন ।
---আচ্ছা ।

সিএনজি দেখে হাত তুলে নারালাম ।
আমি ,
---এই সিএনজি সিরাজগঞ্জ যাবে । (নাসির)
---স্যার কয়জন যাবে ২ দুজন । (সিএনজি ওয়ালা ভাই)
---হুম ২জন যাবো ।
---আচ্ছা উঠুন ।

---ভাবি আসেন । (নাসির)
---ওকে । (ভাবি)

ও ভাবির তো পরিচয় তো দেয়নি ।
এই ভাবি হলো আমার পাশের রুমে থাকে । নাম হলো মোছাঃ মারজিয়া বেগম তার স্বামী নাম মোঃ এনামুল হক সায়েম । তাদের ছোট একটা ফুটফুটে বাচ্চা আছে ।

---ভাবি আপনার ছেলেকে কোথায় । (নাসির)
---ও ওর আব্বুর সাথে কালকে ফুপ্পির বাসায় গেছে । (ভাবি)
---ও । তা ভাইয়ার চাকরি কেমন চলছে ।
---এই তো ভালো তোমার ।
---ইনশা আল্লাহ অনেক ভালো চলছে ।
---আচ্ছা নাসির সাহেব আপনার বাচ্চার কাচ্চার খবর কী , হবে কী নাকি আরও কিছুদিন দেরি হবে । ( দুষ্টুমি করে )
---আরে ভাবি আমার মনে হয় আমার বাচ্চা কাচ্চা হবে না । ( নেকামি কন্ঠে বললাম )
---হা হাহা হাহা । আরে আমি কী তোমার কথা বলছি । ( হেসে হেসে )
---ও তাই বলেন । আমি তো মনে করছি আমার ই নাকি ।

ভাবি ও আমি দুজনে হাসছি ।
হঠাৎ ব্রাইভেট এর শব্দ । ফোন বের করে দেখি মিষ্টি ফোন দিছে ।

---হ্যালো । ( নাসির )
---কোথায় তুমি । ( মিষ্টি )
---এইতো আর পাঁচ মিনিট লাগবে আসতে ।
---আমি বিগ বাজারে সামনে দাড়িয়ে আছি তুমি আসো ।
---আচ্ছা ওকে ।

এই বলে ফোনটা রেখে দিলাম পকেটে ।

---কে ফোন দিয়ে ছিল । ভাবি নাকি । ( ভাবি )
---না এক বন্ধু । ( নাসির )
---ও ।


---আচ্ছা ভাইয়া ওই মার্কেটে থামিয়ে দিয়েন । [ হাত দিয়ে ইশারায় বলে দিলাম ] ( নাসির )
---আচ্ছা ঠিক আছে স্যার । ( সিএনজি ওয়ালা ভাইয়া )



সিএনজি থেকে নেমে ভাড়াটি দিলাম ।


---আরে কি করছো নাসির সাহেব । ( ভাবি )
---আরে কিছু না ।

ভাবি দিতে চাইল কিন্তু আমি দিতে দিলাম না ।
---এটা ঠিক হলো না কিন্তু । ( ভাবি )
---আরে ভাবি কী বলেন । আমি আপনার ছোট ভাই না । ( নাসির )
---যা দুষ্ট ।

একটু খানি এগিয়ে গিয়ে মিষ্টির কাছে গেলাম ।

---আচ্ছা নাসির উনি কে । ( মিষ্টি )
---আমার ভাবি । ( নাসির )
---মানে ।
---মানে পাশের বাসায় থাকে ।
---আমি মানসুরা রহমান মিষ্টি । আমি আর নাসির একই অফিসে চাকরি করি । ( মিষ্টি )
---আমি মারজিয়া বেগম । ( ভাবি )
---হুম ভালো । আসেন মার্কেটে যাই ভাবি ।
---না আমার কাজ আছে । ( ভাবি )
---আচ্ছা নাসির তোমরা থাক আমি যাই কাজ আছে । ( ভাবি )
---ওকে ভাবি ।
---আচ্ছা বাসায় এসো একদিন চা খেয়ে যাবে ।
---ইনশা আল্লাহ যাব ।

এই বলে বিদায় নিয়ে দুজন মার্কেটে গেলাম ।


---আচ্ছা ছেলেদের জন্য কি কেনা যায় বলত । ( মিষ্টি )
---হুম প্যান্ট টি শ্যাট আর পান্জাবী এই গুলি আরও কিছু । ( নাসির )
---ও আচ্ছা চলো ঘুরে ঘুরে দেখি ।

কিছুখন দেখার পর ,
---ওই দেখ নীল শাড়িটা দেখতে  অনেক সুন্দর । ( নাসির )
---হুম ওয়াও ।

---ভাইয়া ওই ২টি নীল শাড়িটা প্যাকেট করেন তো ।
---আরে দুটি কেন ।
---এমনি ।

শপিং করে বিকেল হয়ে গেল । সব কিছু দুটি করে কিনেছে ।

দুজন এখন রেস্টুরেন্ট এ বসে আছি ,
আমি ভাবছি মিম কি দুপুরের খাবার খেয়েছে নাকি এখন খায়নি । আমি না বলা পর্যন্ত ও খায় না ।

---কি খাবে ।
মিষ্টির কথায় চমকে উঠলাম । ( মিষ্টি )
---ও । ( নাসির )
---বলছি কী খাবে ।
---তোমার ইচ্ছা ।

মেনু দেখে মিষ্টি অর্ডার দিল ।
---ভাইয়া যে গুলি বললাম এই গুলি দিয়ে জান ।
---ওকে ম্যাডাম । ( লোকটি )

---এই নাসির কি ভাবছো । কিছু হয়েছে । সেই কখন থেকে কি যেন ভাবছো । আচ্ছা সেই সিএনজি থেকে নামার পর থেকেই কিছু একটা ভাবছো ।
---না মানে ।
---বাসায় কোন সমস্যা হয়েছে । আমি বললাম তোমাকে যে ভাবি কেউ সাথে নিয়ে আস ।
---আরে না । কিছুই হয়নি ।
---আরে তাইলে শরীর খারাপ লাগছে নাকি ।
---না শরীর ঠিক আছে ।
---তাইলে খাও । খাবার সামনে নিয়ে কিছু ভাবতে নেই ।
---আচ্ছা ঠিক আছে ।
---আচ্ছা আমি খাইয়ে দেই ।
---না থাক আমি নিজেই খেতে পারব ।
---আচ্ছা শুরু করা যাক ।
---ওকে ।

আমি খাচ্ছি মাঝে মাঝে ওর দিকে তাকায় । দেখি ও আর আমার দিকে তাকিয়ে থাকে আবার মাঝে মাঝে কি যেন মনে মনে বলে তার পর হাসে ।

খাওয়া দাওয়া শেষ করে ।
মিষ্টি বলল ,
---রাতে কিন্তু খেয়ে যেতে হবে ।
---না আর একদিন গিয়ে খাব ।
---ওকে ।
---আমার একটু তারা আছে আজকে উঠি ।
কেমন চোখে মিষ্টি তাকালো আর বলল ।
---ওকে ।
এই বলে বিলটা দিয়ে বের হলাম । এখন সূর্য পশ্চিম আকাশে লুকাচ্ছে ।

---আচ্ছা কাল দেখা হবে ।(মিষ্টি)
---ওকে ।

এই বলে বাসার দিকে রওনা দিলাম ।
বাসার কাছে এলাম আজান দিল । ভালো হলো নামায টা আদায় করে আসি ।

সিঁড়ি দিয়ে সোজা ঘরের দিকে গেলাম ।
কলিং বেল বাজালাম ।
কোন উত্তর নেই ।
কিছুখন পর ।
আবারও বেল বাজালাম ।
না হলো ।

ওহ্ সিট বাহিরে থেকে দরজা লক ।

কোথায় গেল মিম মানে আমার বউ ।।


চলবে চতুর্থ পর্বে ।।।

অভিমানী বউ

পর্বঃ চতুর্থ ( ৪ )



দরজা বাহির থেকে লক করা হয়েছে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে । নাকি মিম তার বাপের বাড়ি চলে গেছে । এটা তো হতে পারে না মিম তো কখন আমাকে না বলে চলে যেতে পারে না । নাকি অভিমান করে চলে গেছে হয়তো তাই হতে পারে ।
আচ্ছা বুঝতে পারলাম না কি হলো হঠাৎ এরকম কেন হলো ।
এরকম ভাবে এখানে ভাবা যাবে না । কেউ দেখে ফেললে খারাপ ভাববে ।
এই বলে আমার কাছে চাবি আছে সেটা দিয়ে খুলে ফেললাম ।

এতো অন্ধকার কেন । কিছুই তো দেখতে পাচ্ছি না । ওহ্ সিট এটা কি হলো । ফোনটা বের করে দেখি পায়ের সাথে লেগে একটা টপটা ভেংগ্গে গেছে ।
সব গুলির লাইটের সুইচ অন করে দিলাম ।
এ কি টেবিলের উপরে ভাত কেন ।
বুঝেছি দুপুরে খাবার সে খাইনি । দুপুরে ফোনে টাই করেছিলাম কিন্তু ফোন অফ ছিল । হয়তো বড্ড বেশি অভিমান করেছে ।
শপিং গুলি রেখে ।
বউকে খুঁজতে লাগলাম । সব রুমে খোঁজা শেষ । কোথায় গেল মিম বুঝতে পারছি না । মাথায় কোন কাজ করছে না ।
ওহ্ দেখি মিমদের বাসায় খোঁজ করে দেখি আছে কিনা ।
ফোনটা বের করে কল দিলাম মিমদের বাসায় ,
---হ্যালো । (মিমের মা)
---হ্যালো আম্মা । (নাসির)
---হ্যা বাবা । কেমন আছো । আর বিয়াই বিয়ান কেমন আছে ।
---জ্বী আম্মা ভালো । মা বাবা ভালো আছে । আপনারা কেমন আছেন ।
---জ্বী বাবা সবাই ভালো । আচ্ছা বাবা তোমার কন্ঠ এরকম শোনা যাচ্ছে কেন । কিছু হয়ছে কি বাবা ।
---না মানে আম্মা ।
---কি হয়ছে বাবা বল ।
---না মানে মিমকে বাসায় দেখছি না তো তাই । ভাবলাম হয়তো আপনাদের ওখানে গেছে নাকি তাই ফোন দিলাম ।
---ও । কিছু কী হয়ছে তোমাদের দুজনের মধ্যে ।
---না আম্মা কিছুই হয় নি ।
---আচ্ছা তুমি চিন্তা করো না ঠিক হয়ে যাবে । দেখ পাশের বাসায় গিয়েছে কিনা ।
---জ্বী আম্মা দেখতেছি । ভালো থাকবেন ।

এই বলে ফোনটা রেখে দিলাম । ওতো কখন কাহারও বাসায় যায় না । দেখি পাশের রুমে ভাবির বাসার দিকে রওনা দিলাম ।
দরজায় নক করলাম ।
দেখি দরজা খুলে বলল ,
---আরে নাসির সাহেব । কি মনে করে । (ভাবি)
---না মানে । (নাসির)
---আরে নাসির সাহেব ভিতরে এসে চা খেতে খেতে কথা বলি ।
---না ভাবি । মানে মিমকে তো খুঁজে পাচ্ছি না । ওকি আপনাদের এখানে আছে ।
---না তো । কেন কিছু হয়েছে কি ।
---না ভাবি কিছুই হয়নি । সন্ধ্যায় বাসায় গিয়ে দেখি দরজা বাহিরে থেকে লক করা হয়েছে । তারপর দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে সব রুমে খুঁজেছি কোথাও নেই ।
---হয়তো বাড়িতে চলে গেছে একা একা তোমাকে একটু বোকা বানানোর জন্য ।
---না ভাবি মিমদের বাড়িতে ফোন করেছিলাম কিন্তু সেখানেও যাইনি ।
---আজব বেপার তো ।
---হুমমম ভাবি ।
---আচ্ছা তুমি কি ছাদে দেখেছো খুঁজে ।
---না ভাবি ।
---আচ্ছা ছাদে যাচ্ছি দেখি আছে কিনা ।
---তাইলে ভিতরে আসলে না ।
---আরে না অন্য একদিন আসবো ভাবি ।
---আচ্ছা অন্য একদিন এসে কিন্তু আমার বাসায় খেয়ে যেতে হবে ।
---আচ্ছা ভাবি অন্য একদিন খাব ।

এই বলে এখান থেকে রওনা দিলাম ।
গন্তব্য ছাদের দিকে ।
সিঁড়ি দিয়ে ছাদের দিকে যাচ্ছি । মাঝে মাঝে ভয়ও হচ্ছে যদি ছাদে না থাকে । এতো ভয় হচ্ছে কেন আমি নিজেই জানি না ।
মাঝ পথে থেমে গেলাম ।

আমি কি জবাব দিব মিমের মা বাবাকে আর তাদেরকে পরিবারকে ।
বিশেষ করে আমার মা বাবাকে কি বলব । মা বাবা মিমকে তো নিজের মেয়ের মত মনে করে । আমি আমার মা বাবার কাছে তো জবাব দিতে পারব না । কিভাবে উধাও হলো । কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না । এতো টেনশন আর ভালো লাগে না ।

সালার বিয়েটা করা ভুল ছিল ।
সালা সিঙ্গেল জীবনটাই সুন্দর ছিল ।
ছিলনা কোন টেনশন ইচ্ছা মতো ঘুরাঘুরি ।
সালার বিয়ে করে আরেক টেনশন এ পরলাম ।
আগে নিজেকে নিয়ে এতো টেনশন ছিলনা আজ যে টেনশন করছি । কেন যে বিয়ে করলাম ।

মেয়েদের একটাই দোষ ।
বোঝে কম বোঝায় বেশি ।
শোনে কোম বলে বেশি ।

কেন যে মানুষ বিয়ে করে ।
আগে জানলে আর বিয়ে করতাম না ।

এখনি যে প্যারা আছি না জানি বাকি দিন গুলির সামনে আরও কত প্যারা আছে ।
আল্লাহ তুমি বাঁচাও । তোমার অধম বান্দাকে বাঁচাও ।

ধ্যাত আমি বসে আছি ক্যা সিঁড়ির উপর ।
তারাতারি ছাদে যাই । যদি বেশি রাত হয়না তাইলে আমি আর একা ছাদে যেতে পারব না ।
ভূত দেখে অনেক ভয় খায় ।
আচ্ছা এতো ভাবলে চলবে না ।
ধীরে ধীরে সিঁড়ি দিয়ে ছাদের দিকে যাচ্ছি । প্রায় এসে গেছি ছাদের কাছে ।
ফোনটা ব্রাইভেট এর শব্দ করে কাঁপছে ।
আমিতো ভয় খেয়ে গেলাম ।
পকেটে থেকে ফোনটা বের করে দেখি ম্যাসেজ আসছে ।
ধ্যাত ম্যাসেজর গুষ্টি কিলাই সালার আসার সময় পায় না ।
ফোনটা পকেটে রেখে ছাদের উপরে পা রাখলাম ।
অমনি গাটা জ্বারা দিয়ে উঠলো ।
তবুও ছাদে গেলাম ।
জ্ম্যোসনা ভরা রাত । এখনও জ্ম্যোসনা ওঠে নাই আবছা আবছা আলো আর আকাশের তারার আলো বেশ ভালো লাগছে পরিবেশটা ।
চারদিকে একবার তাকালাম কোথাও নেই ।
আরে ওখানে কেএ কে ।
আরে ভূত বসে আছে নাতো ।
বাঁচতে চাইলে পালাই ।
আরে দৌর দিতে গিয়ে চোখটা আটকে গেল ।
আরে ভুতরা তো জুতা পরে না ।
আর ভূতের তো পা আধহাত উপরে থাকে ।
আর ওর পা তো ছাদের সাথে ।
আরে আমি কি ঠিক দেখতে পাচ্ছি ।
ওখানে ভূত নাকি মিম ।



চলবে পঞ্চম পর্বে ।


লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( বখাটে )

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ