āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ŧ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3552 (2)

গল্প : চুন্নির প্রেমে পাগল
পর্ব : ৪
-
ঘরের মধ্যেও চুন্নিটা মুখ ঢেকে রেখেছে কিন্তু চোখ দুটো দেখায় চিনতে পারলাম...ও তো আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে.....আচ্ছা ও এতো পর্দা করে কেন ?? ওর মা তো এতো পর্দা করে না.... ওর মুখে কি বিশ্রী দাগ নাকি কুৎসিত দেখতে তাই..... যাই হোক সুন্দর তো মনে থাকা উচিত আর ওর চোখ দুটি তো অলরেডি আমার মন কেরে নিয়েছে... কিন্তু যেই গুন্ডি আর ঝগরাটে মেয়ে দুই দুই বার গাল লাল নিল হলুদ সবুজ করে দিছে ....আর ভালো লাগার কথা শুনলে সত্যি পঙ্গু বানাবে আবার মেরেও ফেলতে পারে এই মেয়ের কোন ভরসা নেই.... ধ্যাততত কেন যে বাবা এখানে নিয়ে আসলো ???আমি যে বাবা কে জিজ্ঞাসা করবো এদের কে চিনে কিভাবে তার কোন উপায় নেই.... বাবা একটা লোকের সাথে কথা বলছে...... আমার তো ভয়ে গলাটা শুকিয়ে আসছে.... ঐতো লিয়ন কে দেখতে পেলাম যাক ওর কাছে পানি চাওয়া যাবে.....
@@--- এই লিয়ন এদিকে একটু শুনো....
------ আরে ভাই আপনি ?? এখানে কি করে আসলেন ??
@@--- শিড়ি বেয়ে এসেছি... সবাই যেভাবে আসলো....
------ না ভাই তা জিজ্ঞাসা করছি না...... আমি জিজ্ঞাসা করতে চাচ্ছি আপনি কি আমাদের কোন রিলেটিভ্স হন ??
@@---- আমি নিজেও জানি না....
------- ঐ মিয়া তাহলে কি আমার বোনের ওপর লাইন মারতে এসেছেন ?? এতক্ষণ ভালো ব্যবহার করছি বলে ভাইবেন না যে আমি ভালো.... এখনই বের হন বলছি....
@@---- আরে ছোট ভাই রাগ কর কেন ?? আমি আমার বাবার সাথে এসেছি.... ঐ যে নিল শার্ট পরে দারিয়ে কথা বলছে ইনি আমার বাবা...
------ ওহ আপনি তাহলে সোরাব আংকেলের ছেলে ?? তার মানে....
@@--- তার মানে আবার কি??
------ না কিছু না.... আপনি কেন ডাকলেন তাই বলেন...
@@---- তুমি যেই জেরা শুরু করেছ আমার পানির পিপাসা লেগেছে তাই ভুলে গেছি.... এক গ্লাস পানি দাও তো...
------ আমি তো একটু নিচে যাচ্ছি... আপু কে বলছি ওয়েট...
@@--- আরে থাক লাগবে না শোনো..... ( আমার কথা টা না শুনেই চুন্নিটাকে পানি দিতে বললো. )
-
চুন্নিটা পানির বদলে সরবত নিয়ে আসলো.... তবে কি চুন্নির ও মন গলে যাচ্ছে ?? ( ও আমার কাছে এসে বললো )
@@--- এই নিন সরবত টা খেয়ে নিন....
----- কিন্তু আমি তো পানি চেয়েছিলাম...
@@--- আমরা অতিথি দের শাদা পানি দেই না মিষ্টি পানি দেই.... এখন খাবেন নাকি নিয়ে যাবো ??
------ আচ্ছা আপনি এতো করে যখন বলছেন খাই দেন...
@@--- এই নিন খেয়ে বলবেন কেমন হয়েছে.... আমি নিজের হাতে সরবত টা বানিয়ে এনেছি.... ( গ্লাস টা আমার হাতে দিয়ে বললো )
------ ╥﹏╥ (´⊙ω⊙`) ( এক চুমুক দিয়েই বুঝে গেছি কত টুকু মিষ্টি )
@@--- কি হলো ভালো হয় নি ?? এক চুমুক দিয়ে বসে আছেন কেন ?? চিনি কি কম হয়ে গেছে ???
------- ( আমি কিছু না বলেই এক নিঃশ্বাসে সব খেয়ে ফেলেছি..... কারণ আরো মিষ্টি দিবে নইলে মানে মরিচের গুড়া... নাক কান দিয়ে ধুমা বের হচ্ছে.... কাউকে বলতেও পারবো না কারণ চুন্নিটা যদি সবাইকে বলে যে আমি ওকে জরিয়ে ধরেছিলাম তাই ও এমনটা করেছে তাহলে সবাই আমার কথা না শুনেই গণধোলাই শুরু করে দিবে.....)
@@--- একি আপনি সব খেয়ে ফেললেন কিভাবে ??⊙_⊙ ⊙_⊙ ⊙_⊙
------- আআআপনাদের ওয়াশ রুমটা কোন দিকে ?? ( অনেক কষ্টে বললাম কথা টা )
@@--- ঐ দিকে ( আমার দিকে অবাক করা চাহনি তে চেয়ে আছে... )
-
আর আমি তো ওয়াশ রুমে গিয়েই দরজা বন্ধ করে কলটা ছেড়ে জোরে চিৎকার দিলাম... জানি না বাহিরে শব্দ টা গেছে কিনা... গেলে পরে সামলে নিবো... এতক্ষণ অনেক ধর্য্য ধরে ছিলাম... ইসসস ঝালে নাক মুখ সব জলছে.... মুখ বার বার কুলি করে নিলাম... একটু ঝালটা কমেছে তাই বের হলাম.... বের হয়েই চুন্নির মুখ দর্শন করতে হল... এখন ওকে দেখলে তো ভালো লাগা দূরে থাক উল্টো গা জলে পুরে যাচ্ছে.... আমি এর প্রতিশোধ নিয়েই থাকবো.... এক মাঘে শীত যায় না...
আমি সোজা বাবার পাশে গিয়ে দারালাম... বাবা আমাকে একটা লোকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে....
বাবা : হেলাল এই হল আমার ছেলে সুমন.... সুমন এ হল আমার বন্ধু আর কলিগ দুটোই....
আমি : আসসালামু আলাইকুম আংকেল..
লোক টা : ওয়ালাইকুম আসসালাম.... আচ্ছা বাবা তোমার লেখা পড়া কেমন চলছে ??
আমি : এই তো আংকেল ভালোই চলছে সামনেই ফাইনাল পরিক্ষা ...
লোক টা : যাক ভালো করে পরিক্ষা দিও বাবা...
আমি : যি আংকেল দোয়া করবেন আমার জন্য...
লোক টা : তা তো অবশ্যই.... আচ্ছা ওয়েট.... এই তিথির মা একটু এদিকে আসো তো... দেখো কে এসেছে ??
আমি : ( সেরেছে আন্টি দেখলে তো ফোন অফ কেন তা জিজ্ঞাসা করবে ...)
আন্টি : কে এসেছে গো... এতো উত্তেজিত হচ্ছ কেন ??
আংকেল : আরে আমাদের সোরাবের ছেলে সুমন এসেছে... কত বড় হয়ে গেছে দেখো...
আন্টি : আরে তুমি তাহলে সোরাব ভাইয়ের ছেলে ?? কত ভালো একটা ছেলে হয়েছে ভাই আপনার জানেন ?? ( বাবার দিকে তাকিয়ে বললো )
বাবা : কিভাবে জানলেন ভাবি ?? ওকে কি আগে কোথাও দেখেছেন ??
আন্টি : হ্যাঁ দেখেছি...অনেক বড় গল্প পরে একদিন বলবো... কিন্তু আপনার ছেলে অনেক পর উপকারী...
বাবা : তাই ??? জানতাম না... তবে ও কিন্তু অনেক উদ্ভট ও বটে ... তাই তো ওকে কনট্রোল করতে একটা বৌ মা খুঁজতেছি...
-
আমি সেখানে আর লজ্জায় থাকতে পারিনি ওখান থেকে সোজা এদের বাড়ির ছাদে চলে গেলাম... ... যাক আন্টি ফোনের কথা কিছু জিজ্ঞাসা করে নাই...
ছাদের এক কোনায় ঝগড়াটে চুন্নি টাকে দেখি দারিয়ে আছে ....আমি আর ওর কাছে যাই নি... ওর থেকে অনেকটা দূরে দারিয়ে আছি....
কিছুক্ষন পর কারো কাশির শব্দ শুনে পিছু ফিরলাম দেখি চুন্নিটা তাই পাত্তা না দিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলাম...
@@--- ঐ আপনি এত ঝালের সরবত টা খেলেন কিভাবে জানলেন??
------- ( চুপ )
@@--- কি হল কথা বলছেন না কেন ?? আগে এসে কথা বললাম বলে কি ভাব দেখাচ্ছেন ??
@@--- আমি ভাব দেখাতে যাব কেন ??
আপনার সাথে কথা বলার রুচি কিংবা ইচ্ছা কোনোটাই আমার নেই... @@--- কি আমার সাথে কথা বলতে আপনার রুচিতে বাধে ?? বের হন আমাদের বাসা থেকে আর যদি কখনও আমাদের বাসার আশেপাশে দেখি তাহলে পা মাথায় নিয়ে হাটতে হবে ??
------ এই আপনি কিন্তু এখন বেশী বেশী করছেন... অপমান করছেন কেন ???
@@--- বেশী করছি তো বেশ করছি... আপনাকে অপমান করছি না...যার সাথে কথা বলতে আপনার রুচিতে বাধে তার বাসায় থাকার কোন দরকার নেই যান তো...
-
আমার অনেক রাগ ধরছিল... এত অপমান সহ্য করার মতো না... তাই ওদের ছাদ থেকে নেমে সোজা আমাদের বাসায় এসে পরলাম....একেতো কত মরিচ খাওয়ালো তার উপরে এতো অপমান.... দেখে নিব একদিন....
-
ওকে কিভাবে দেখে নিব তা ভাবতে ভাবতে একটা বুদ্ধি এলো মাথায়... বাবা আসলেই তার কাছে বিচার দিব ওর নামে... এমন কিছু বলবো যাতে আমার বাবা ওর বাবার কাছে বললে ওকে অনেক বকা ঝকা করে....
-
চলবে....

গল্প : চুন্নির প্রেমে পাগল
-
পর্ব : ৫
-
বাবা আমার রুমে আসার সাথে সাথে বাবা কে বললাম......
@@--- বাবা তোমার সাথে কিছু কথা আছে....
------ ঐ তোর কথা শুনতে আমি আসি নি.... তুই ঐ বাসা থেকে কিছু না বলেই চলে আসলি কেন ??
@@--- আরে বাবা তাই তো বলবো বলছি.... ঐ আংকেলের বাসায় একটা মেয়েকে দেখেছি মুখ ঢাকা... জানো ঐ মেয়েটা আমাকে কি করেছে ??
------ কি করেছে ??
@@--- আমাকে জরিয়ে ধরে I love you বলেছে..... কিন্তু ঐ টা মনে হয় আংকেলের মেয়ে না... কারণ তারা কত ভদ্র আর মেয়েটা কত অভদ্র...
------ সত্যি বলছিস ?? মেয়েটা তোকে জরিয়ে ধরে প্রপোজ করেছে ?? কিন্তু কোথায় করেছে আমরা তো কিছু দেখলাম না...
@@---- আরে বাবা আমি একটু ওনাদের বাড়ির ছাদে গিয়েছিলাম আর ওখানেই এই অসহায় ছেলের ওপর হামলা হয়....
------ মিথ্যা কথা বলার আর জায়গা পাস না না ?? ঠাসসসস ( আমার গালে উত্তম মাধ্যম দিল )
@@--- বাবা তুমি আমাকে বিশ্বাস করছো না ?? ( গালে হাত দিয়েই বললাম )
------ ঐ হারামজাদা.... তুই কেন ওর বাবা এসে বললেও আমি বিশ্বাস করবো না যে ঐ মেয়ে ঐরকম করেছে... কারণ ওকে আমি ছোট বেলা থেকে চিনি.... ওর নাম তিথি.... আচ্ছা তুই ওর নামে মিথ্যা বললি কেন ??
@@--- বাবা তুমি ঐ মেয়েকে চিনো না.. জানো কত গুন্ডি মেয়ে ??
----- কেন তোকে আবার কি করেছে ?? তবে মিথ্যা বলবি না.....
@@--- তাহলে শোনো..... ( সব কিছু প্রথম থেকে বললাম.. )
------- হা হা হা..... আমার ছেলেটার গালের ওপর দিয়ে তাহলে অনেক বড় বড় ঝড় গেছে... ( হাসতে হাসতে লুটিয়ে পরছে )
@@--- তুমি আমার কথা শুনে হাসছো ?? আমার কষ্ট টা কেউ বুঝবে না.... সত্যি কথা টা যথার্থ যে যার মাথা তার ই ব্যথা.. ...
------ আরে মন ছোট করিস না.... মেয়েদের থাপ্পড় খাওয়া ভাগ্যের ব্যপার....
@@---রাখো তুমি তোমার ভাগ্য... আমার এত ভাগ্যের দরকার নেই.... আর তুমি যাও আমি এখন পড়তে বসবো...
------ তুই যে কত পড়তে বসবি তা জানা আছে.... যাইহোক আমি যাই...
@@--- হ্যাঁ হ্যাঁ যাও..
-
বাবা চলে গেলো.... এটা কোন কথা হল?? ভাবলাম মিথ্যা বলে বিচার টা দিলে বাবা রেগে ওর বাবাকে বলবে আর ঐ মেয়ের উত্তম মাধ্যম হবে কিন্তু আমার ই আবার উত্তম মাধ্যম হল... বাবা কে মনে হচ্ছে মার হাতে ২-৩ টা থাপ্পড় খাওয়াই তাহলেই বুঝতে পারবে.... যাই হোক পড়তে বসলাম যেহেতু সামনে পরিক্ষা আছে...
-
পরিক্ষা শেষ হল ১ মাস হয়েছে তাই ভাবছি কোথাও ঘুরতে যাবো... কারণ রেজাল্ট কখন বের হবে তা টিচারদের ও জানা নেই... পাবলিক ভার্সিটি বলে কথা.... বাবা মাকে বলে নানু বাড়িতে ঘুরতে যাবার প্লান করলাম.... বাবা টিকিট কেটে রাখলো.... পরের দিন ৩ টা টিকিট আমার হাতে দিলো ....
@@--- তোমরা ও কি যাবা বাবা ??
----- না আমরা যাবো না....
@@--- তাহলে ৩ টা টিকিট দিয়ে কি করবো ??
------ তোর সাথে আরো ২ জন যাবে তাই...
@@--- কারা যাবে বাবা ??
------ তিথি আর লিয়ন... ওদের ও এখন বন্ধ চলছে তাই ওরাও ঘুরতে যাবে..
@@-- কিইইইইইইই?? ঐ গুন্ডি মেয়েকে আমার সাথে ঘুরতে নিয়ে যাবো ?? impossible
------ তুই নিয়ে যাবি তোর ঘারে শুদ্ধ নিয়ে যাবে.... আমার কথা না শুনলে তোর এই বাসার ভাত বন্ধ....
@@-- কি বললা ?? তুমি সব কিছু জানার শর্তেও এই কথাটা বলতে পারলা ??
------- হ্যাঁ পারলাম.... এখন বল নিয়ে যাবি কিনা...
@@--- আমি কেন নিয়ে যাবো?? ও কি ওর বাবা মার সাথে যেতে পারে না ?? আর ওদের নানু বাড়ি নেই ?? যে আমার নানু বাড়ি নিয়ে যাবো...
-
বাবার সাথে এই ব্যপারটা নিয়ে অনেক তর্ক করেও লাভ হল না... বাবা আমাকে শেষ মেষ রাজি করিয়েই ছাড়লো..... এখন তিথি আর লিয়ন কে নিয়ে বাসে উঠলাম..
আমাদের সিট পরেছে একদম বাসের পিছনে যেখানে চারটা সিট একসাথে থাকে... তিথি জানালার পাশের সিট টাতে বসলো আর আমি আর একটা জানালার পাশের সিটে বসলাম আর লিয়ন তিথির পাশে বসেছে... ওদের বাসা থেকে নিয়ে আসা পর্যন্ত একটা কথাও আমি আর তিথি বলিনি.... যাইহোক আর একটা সিট কিন্তু খালি রয়ে গেলো.... আমার পাশের সিট টা... কারণ পিছনে তো চার জন বসে আর আমরা ৩জন...... দেখি আমার সঙ্গ দিতে কেউ বসে কিনা....
-
কিছুক্ষন পর একটা মেয়ে এসে বসলো.... এতো সোনায় সোহাগা.... আমি তো চেয়েছি যে কেউ পাশে বসলেই চলবে তার সাথে কথা বলে পুরো রাস্তা টা কাটিয়ে দিবো... কিন্তু এতো একটা মেয়ে.... যাক ভালোই হল তাহলে..... আমি তার সাথে কথা বলা শুরু করলাম...
@@---- আপনি কোথায় যাচ্ছেন ?? আই মিন বরিশালে আপনার কে থাকে ??
------- আমার দাদু বাড়ি যাচ্ছি... আপনি ??
@@--- ( যাক মেয়েটা তো ভালো ভাবেই কথার জবাব দিলো.... অবশ্য সবাই তো আর ঐ গুন্ডি মেয়েটার মতো না.....) আমি নানু বাড়ি যাচ্ছি..
------- ওহ !!! ওকে আমি কেয়া আর আপনি ??
@@--- আমি সুমন... আপনার নাম টা কিন্তু অনেক সুন্দর সাথে আপনার কণ্ঠ টাও.... মনে হচ্ছে আপনি অনেক সুন্দর গান গাইতে পারেন....
------- ধন্যবাদ আপনার নাম টাও কিন্তু অনেক সুন্দর.... আর আমি যে গান করি আপনি বুঝলেন কিভাবে ??
@@--- আপনার কণ্ঠ টা এতো সুন্দর যে যে কেউ বুঝবে ( চাপা মারলাম যাতে এতো প্রশংসা শুনে তিথির হিংসা হয়... কারণ আমি শুনেছি মেয়েরা নাকি অন্য কোন মেয়ের প্রশংসা সহ্য করতে পারে না.... )
------- কি যে বলেন না.... আপনি না অনেক সুইট....
@@--- আপনি কি কম সুইট বলেন... ( মেয়েরা মিথ্যা প্রশংসা শুনলেই একদম গলে যায়.... ওদিকে তিথির দিকে তাকিয়ে দেখি ও তো বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে.. মনে হচ্ছে এখন ই গিলে খাবে... ইসসসস এখন যদি ওর মুখ টা দেখতে পেতাম তাহলে আরো মজা হত দেখতে ওর হিংসে মাখা চেহারাটা... )
-
যাই হোক বাসটা এক জায়গায় থামালো..... কিছু খাবার জন্য অথবা ওয়াশ রুমে যাবার জন্য... আমি লিয়ন কে জিজ্ঞাসা করলাম ওরা কিছু খাবে নাকি.. কিন্তু তিথি কিছুই খাবে না.. লিয়নের জন্য কেক আর চকলেট আনতে বললো.... আর পাশের মেয়েটাকেও জিজ্ঞাসা করে নিলাম যে ও কিছু খাবে কিনা....আমি খাবার এনে দেখি কেয়া নেই বাসে হয়তো ওয়াশ রুমে গেছে... তাই লিয়নের খাবার টা ওকে দিয়ে আমার সিটে বসে আছি এর মধ্যেই দেখি লিয়ন সরে এসে আমার পালের সিটি টাতে বসলো আর কেয়া এসে যখন দেখলো আমার সাথে লিয়ন বসা তখন লিয়ন কে উঠতে বললো.... কিন্তু লিয়ন বললো আপনি ঐ সিট টাতে বসুন ( মানে তিথির পাশে ).....
তো কেয়া বললো আমাকে যে ওনারা আমার সাথে এসেছে কিনা.... আমি হ্যাঁ বলার সাথে সাথে দেখি মেয়েটার মুখ কালো হয়ে গেছে... আর ও কিছু না বলে তিথির পাশে বসে পরলো.....
তিথি কত বড় চাল বাজ মেয়ে... লিয়ন কে আমার পাশে বসতে শিখিয়ে দিয়েছে নইলে লিয়ন কে উঠতে বললে সিট ছেড়ে দিত... যেহেতু ওর বোন বলেছে তাই সিট ছাড়েনি.... তার মানে আমার বুদ্ধি টা কাজে লেগেছ.... তিথি হিংসেতে জলে পুরে জাচ্ছিলো.... এখন একটু শান্তি লাগছে.... যাই হোক ভোর ৬ টায় বরিশাল বাস স্টেশন এ পৌঁছলাম.... ওখান থেকে আর একটা গাড়ি তে চরলাম ডিরেক্ট নানুর বাড়ির সামনে আমাদের নামিয়ে দিবে আর কেয়া ও চলে গেলো অন্য গাড়ি তে...
২০ মিনিট পর নানু বাড়ি তে পৌঁছলাম....আমি ওদের কে নিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকলাম... ভেতরে যেতেই মামা মামি আর নানু কে দেখলাম আমার কাছে আসলো... সবাই কত খুশি.... কিন্তু তারা আমার কাছে আসে নাই তিথির কাছে গেলো...
নানু : তুমি তিথি তাই না ??
তিথি : যি হ্যাঁ...আসসালামু আলাইকুম নানি...
নানু : তুমি বুঝলে কি করে যে আমি সুমনের নানি ??
তিথি : কারণ এখানে আপনি সবার বড় বয়সে ...তাই বুঝতে পারলাম...
মামি : দেখছেন মা মেয়ের কত বুদ্ধি..
নানু : তা তো দেখতেই পারছি... বোন তোমার বাবা মা কেমন আছে ??
তিথি : যি নানি ভালো আছে.... আপনাদের সবার শরীর ভালো আছে ??
মামি : সবার শরীর ভালো আছে... এই টা বুঝি তোমার ছোট ভাই ?? নাম কি তোমার বাবা ?? ( সক্ষম কে বললো )
লিয়ন : আমার নাম লিয়ন...
আমি : এইসব কি ?? আমি এতদিন পর গ্রামে এলাম কিন্তু আমার কোন পাত্তাই নেই আর এই বাইরের মানুষ গুলোদের নিয়ে কত লাফালাফি.... আমি কিন্তু চলে যাবো তোমরা থাকো এই দুই টাকে নিয়ে... ( বাইরের দিকে হাটা ধরলাম )
নানু : ঐ এত ঢং করস কেন ?? ওরা তো অতিথি আর তুই তো আর অতিথি নস তাই এইরকম করা... ( আমাকে ধরেই বললো )
আমি : হ্যাঁ এর জন্য আমাকে ভুলেই যাবা ??
নানু : নারে ভাই তোকে কি আর আমরা ভুলতে পারি ?? খুশিতে তোর দিকে খেয়াল দিতে পারিনি নানু ভাই...
আমি : হয়েছে আর বলতে হবে না... কিন্তু ও যে তিথি তোমরা বুঝলে কি করে আর ওর নাম জানলা কি করে ??
নানু : তোর বাবা ফোন করে বলেছে সব... তাই জানি...
আমি : ওহ আচ্ছা.... মামি আমার না অনেক ক্ষুধা পেয়েছে আমাকে কিছু খেতে দাও নইলে মারাই যাব...
মামি : ধুররর হতভাগা... সবসময় বাজে কথা... তুই আগে হাত মুখ ধুয়ে আয় এরপর খাবার দিচ্ছি...
আমি : ওকে মামি ....
-
নানু বাড়ি আসলে যেই রুমটাতে সবসময় থাকতাম সেই রুমেই গেলাম... ফ্রেশ হয়ে খেতে গেলাম... খাবার টেবিলে তিথি কে দেখতে পেলাম না....তাই নানু কে ওর কথা জিজ্ঞাসা করলাম...
@@-- নানু তিথি কোথায় ?? ও কিন্তু বাসেও কিছু খায়নি...
------- বাহ!! তিথির প্রতি এত চিন্তা... আমার জন্য কখনও চিন্তা করতে দেখলাম না তো...
@@--- ধুররর নানু কি যে বলো... ও আমাদের অতিথি তাই বললাম...
------ হুম বুঝছি... ও রুমে খাবে... এখানে খেলে তো মুখ ঢেকে রাখতে পারবে না....
@@-- ঢং কত মেয়ের... ওর মুখ দেখলে মনে হয় আমরা কোটি পোতি হয়ে যাবো তাই দেখতে দেয় না...
------ ঐ বদমাশ থাম তো... পর্দাশীল নারী পাওয়া অনেক দুষ্কর.... ও কত ভালো মেয়ে আর তুই ওর নামে ফালতু কথা বলছিস ??
@@--- কত যে ভালো তা তো পুরো পুরি জানো না তাই বললা.... এই মেয়ে যার ভাগ্যে আছে তার জীবন তেজ পাতা হয়ে যাবে...
------ এখন খাওয়া শেষ কর তো আজে বাজে কথা না বলে...
-
খাওয়ার পর্ব শেষ করে বাহিরে ঘুরত যাবো এমন সময় লিয়ন পিছন থেকে ডাক দিলো...
@@--- এই বড় ভাই কই যান ??
----- এই তো একটু ঘুরতে যাচ্ছি..
@@--- আমাদের ও নিয়ে যাবেন ভাই প্লিজ ??
------ তোমেকে নিয়ে যেতে পারি কিন্তু তোমার বোন কে নিয়ে যাবো না...
তিথি : এই যে আপনাকে নিয়ে যেতে হবে না... আপনারা যান আমি আপনাদের পিছন পিছন যাব...
আমি : যা ইচ্ছা আপনার... লিয়ন চল যাওয়া যাক.... ( কি নির্লজ্জ মেয়েরে বাবা )
-
আমি আর লিয়ন হাটছি আর তিথি আমাদের পিছু পিছু আসতেছে.... কিছু দূর যেতেই সিয়াম এর সাথে দেখা.... সিয়াম আমার মামাতো ভাই....
আমি : কিরে সিয়াম কেমন আছিস ?? আর কোথায় ছিলি আমরা সেই কখন আসলাম....
সিয়াম : আরে কাল রাতে বন্ধুদের সাথে পিকনিক করে ওদের বাসায় ই থেকে যাই তাই মাত্র আসলাম...
আমি : ও আচ্ছা... ভালো আছিস তো নাকি??
সিয়াম : হ্যাঁ ভাই ভালো আছি.... এরা কি তোর সাথে এসেছে ??
আমি : হ্যাঁ ...এরা বাবার বন্ধুর ছেলে মেয়ে... এহচ্ছে লিয়ন আর ঐ টা হচ্ছে ওর বোন...
সিয়াম : বোন তো বুঝলাম কিন্তু নাম কি ?? আচ্ছা আমি ই জিজ্ঞাসা করে নিচ্ছি... ( ও তিথির কাছে গেলো )
হায় ! আমি সিয়াম... আপনার নাম কি ??
তিথি : আমার নাম তিথি..
সিয়াম : ওয়াও নাইস নেম.... আর আপনার চোখ দুটো আরও নাইস....
তিথি : প্রশংসার মাত্রা টা একটু বেশী হয়ে গেলো না ?? আর আমার চোখ কেমন তা আমি প্রতিদিন আয়নাতে দেখি তাই না বললেও হবে...
সিয়াম : সরি মাইন্ড করলেন মনে হচ্ছে....
তিথি : মাইন্ড করি নি... যা সত্য তাই বললাম... আর আমি অন্য মেয়েদের মত না যে ছেলেদের মুখে মিথ্যা প্রশংসা শুনে লুতুপুতু খাবো...
( কথা গুলো আমাকে খোচা মেরে বললো.. কিন্তু আমার হাসি পাচ্ছে সিয়ামের ওপর... বেচারা পটাতে গিয়ে নিজেই পঁচে গেলো... )
সিয়াম : আমি কিন্তু মিথ্যা প্রশংসা করিনি... যাই হোক আপনি সত্যি অন্য মেয়েদের মত না... আপনার সাথে অন্য কারো তুলনা দেয়া যাবে না.....
আমি : প্লিজ রাস্তার মধ্যে নেকামো বন্ধ কর... আমরা ঘুরতে বেরিয়েছি... এখন কি এখানেই বসে থাকবো ??
সিয়াম : ওহ ! চল তাহলে... আচ্ছা তিথি আমরা কি বন্ধু হতে পারি ??
( তিথি আমার দিকে একবার তাকিয়ে ওকে বললো.. )
তিথি : অবশ্যই... কারণ দুনিয়ার সব কিছু কে না বললেও বন্ধু হওয়াতে না বলা যায় না...
( আমার অনেক রাগ লাগছে ওদের কথা বাত্রা শুনে... কেন তা নিজেও জানি না... )
সিয়াম : আচ্ছা আজকে থেকে আমি তোমাকে আমাদের পুরো গ্রাম টা দেখানোর দায়িত্ব নিলাম.. আচ্ছা তুমি করে বললে রাগ করবে না তো ??
তিথি : না রাগ করব না কিন্তু আমি তুমি করে বলতে পারবো না...
সিয়াম : ওকে নো প্রবলেম... চলো আমরা যাই...
-
ওদের কে রেখেই আমি লিয়ন কে নিয়ে হাটা শুরু করছি.....এত আদিক্ষেতা সহ্য হচ্ছিল না...
-
চলবে........
Collected

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ