āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3498

- আমি এক্ষণি বেরিয়ে যাবো। থাকবোনা আর  বাসায়।
- হি হি। যাও তো দেখি পারো কি না?
- তোমার কি আমার কথায় বিশ্বাস হয়না? সত্যি সত্যিই বেরিয়ে যাবো।
- যা পারবেনা তা বলতে তোমার শরম করেনা?
- শরম আমার করবে কেনো? শরম, লজ্জা এগুলো মেয়েদের করে।
- আচ্ছা তোমার শরম, লজ্জা নাই। যাও বেরিয়ে যাও তো দেখি। একা একা একটু ঘুমাই। কতদিন একা ঘুমাইনা। একা একা ঘুমানোর মজাই আলাদা। সারাটা খাট গড়াগড়ি করা যায় আহা..!
- এরকম দয়ামায়াহীন মহিলা আমি খুব কম দেখেছি।
- কি বলো! আমি মহিলা না তো। আমি তো বুড়ী।
- হ্যাঁ তুমি পাষানী, ব্যাঙ, সাপ, কুমীর এগুলো সব।
- আরো আছে তো অগুলো বলবেনা? পেঁচা, কুমড়া, পঁচা লাউ।
- হ্যাঁ। আমি কিন্তু চলে যাচ্ছি। দাও আমার বালিশটা দাও।
- শুধু বালিশে হবেনা তো। কাঁথাটাও দিয়ে দিচ্ছি।
- তাহলে তুমি ঘুমাবে কিভাবে? শীত করবেনা?
- নাহ একদম শীত করবেনা। কম্বল নামিয়ে নিয়ে নিবো।
- তাহলে কি বাহিরে চলেই যাবো?
- হ্যাঁ যাও যাও। যত্তসব, যা পারবেনা তা নিয়ে লাফালাফি।
- আমি কিন্তু চলেই যাবো। এই দেখো চলে যাচ্ছি।
- দয়া করে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করুন।
- কেনো আমি কি তোমার পেইন নাকি?
- শুধু পেইন? তুমি একটা মহা পেইন।
- তাহলে কি কালকে পেইন কিলার আনবো তোমার জন্য?
- পেইন কিলার দিয়ে কি করবো? তারচেয়ে বরং তুমিই চলে যাও। আমার পেইনও চলে যাবে।
- কোন মেয়ে নিজের স্বামীকে এভাবে বলতে পারে! তুমি এরকম কেনো?
- হ্যাঁ আমি এরকমই। যাওনা অরীণের কাছে যাও। সে তো অনেক ভালো। তোমার খেয়াল রাখে, তুমি মাঝরাতে কি স্বপ্ন দেখে জেগে যাও সেটাও জানে। তোমরা একসাথে লাঞ্চ করো। প্রতিদিন তোমার জন্য নানান জাত রান্না করে আনে তাইনা? আমি অরীণের মতো এতো কিছু করতে পারবোনা।
- আল্লাহ আমাকে উদ্ধার করো! অরীণ আমার খুব ভালো বন্ধু। আমরা একসাথে কাজ করি। আমার কলিগ সে।
- হ্যাঁ বন্ধু বলেই তো.....  থাক আর বললাম না। যাও দেখি বেরিয়ে যাও।
- হ্যাঁ যাবোই এখন। যেখানে বিশ্বাস নেই সেখানে ভালবাসাও নেই, যাচ্ছি।
- তোমার ফোনটা নিয়ে যাও। আর অরীণের বাসা চিনো তো? সাত নম্বর রোড, উনিশ নাম্বার বাসা।
- অরীণ তো এখন ঘুমুচ্ছে।
- তা আপনি জানলেন কিভাবে?
- জানবোনা? একসাথে কাজ করি আমরা। কতো কথাই তো হয়।
- বাহ, সে খবরও রাখেন। ভাল তো। আচ্ছা তুমি রুম থেকে বেরোও আমি ঘুমাবো। মাথাটা ভীষণ ব্যাথা করছে।
- কি বলো? আচ্ছা আমি গেলে যদি তোমার পেইনও চলে যায় তাহলে যাচ্ছি।
বালক সত্য সত্যই বের হয়ে গেলো। বালিকা রুমের দরোজা খুলে শুয়ে আছে। জানে পাঁচ মিনিটের ভীতরে বালক ঠিকই চলে আসবে। এর আগে অনেকবার এরকম হয়েছে। কি ব্যাপার? বালক এখনো আসছেনা। আধ-ঘন্টা পার হয়ে গেলো। বালিকা চিন্তায় পরে গেলো। আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বালিকা ফোন দিলো।
- সমস্যা কি তোমার? কই তুমি?
- সমস্যা নেই তো। অরীণকে ফোন দিলাম। বললো সমস্যা নেই একরাত থাকতে পারবো অরীণের ছোট ভাইয়ের সাথে।
- আজীব! সাহস তো তোমার কম না। বললাম বলেই অরীণের বাসায়!....  তোমার মানসম্মান নেই? অরীণ কি ভাববে? তুমি অরীণকে কি বলেছো?
- কি যে বলো! আমি আর কি বলবো! আমি শুধু বলেছি, তুমি আমার সাথে থাকতে চাওনা, আমি একটা মহা পেইন, তাই বাসা থেকে বের করে দিয়েছো, তুমি একা একা ঘুমাবে। এটুকুই।
- কাঁদবো কিন্তু এখন। আমি কি মন থেকে বলেছি? বাসায় আসো তারাতারি। কোন ছিনতাইকারী যদি ধরে?
- কাঁদবে কেনো? পেইন চলে এসেছে। এখন তুমি শান্তিতে ঘুমাও। আর ধরলে আর কি? হয়তো ফোনটা নিয়ে যাবে। না দিতে চাইলে পেটে ছুরি মারবে। আর আমি না থাকলে তো তোমার পেইনও সারাজীবনের জন্য দূর হয়ে যাবে।
- তোমার কথাগুলো বলতে একটুও বুক কাঁপলোনা? দেখো পাগলামু করোনা। রাত হয়েছে অনেক। তারাতারি বাসায় আসো। আচ্ছা তুমি বাসায় আসো আমি কান ধরে সারারাত দাঁড়িয়ে থাকবো। তাও আসো তারাতারি।
- গুড নাইট। অরীণের বাসার নীচে এসে গিয়েছি।
বলেই বালক ফোন কেটে ফ্লাইট মুড করে রাখলো ফোন।  বালিকার চোখের কোণে পানি জমেছে। মনে মনে বলছে, কেনো এতো বললাম বেশী বেশী? এখন অরীণের বাসার লোকেরা আমার সমন্ধে কি ভাববে? এরকম হাজারো চিন্তা করতে করতে বালিকা বসেবসে ঘুমিয়ে পরলো প্রায়। রুমের লাইট অফ করা। অপেক্ষা  বালক আসার। কিছুক্ষন পর হঠাৎ রুমের লাইট জ্বলে উঠলো। রুমের দরজা খোলাই ছিলো। বালিকা হাল্কা ভয় পেলো। ভাবলো বালক তো অরীণের বাসায়! চোখ ক্যাঁচলিয়ে ভালো করে তাঁকিয়ে দেখলো না বালকই। অস্ফুট স্বরে বললো।
- তুমি?….!
- হুম আমি। গিয়েছিলাম তোমার জন্য পেইন কিলার আনতে। নাহলে তো  তোমার রাতে ঘুম হবেনা। আবার চলে যাবো অরীণকে বলে রেখেছি।
বালিকা কিছু না বলে বালককে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। কেঁদে কেঁদে বললো।
- তোমার সত্যি সত্যিই মনে হয় আমি অগুলো মন থেকে বলেছি?
- কিজানি...!
- কিজানি কি? বলো তুমি। মন থেকে বলো।
- আসলে মেয়ে মানুষ তো। না বিশ্বাস করা যায়। না অবিশ্বাস করা যায়।
বালিকা কি বলবে বুঝতে পারছেনা। বালককে ছেড়ে দিয়ে খাটে বসে বসে কাঁদছে। বালক হাসছে লুকিয়ে লুকিয়ে। বালিকা কাঁদলে একদম বাচ্চা মেয়েদের মতো লাগে। বালিকা টের পেয়ে বললো।
- হাসছো কেনো?
- দেখছি তোমাকে। কাঁদলে বুড়ীটাকে কিরকম বাচ্চা বাচ্চা লাগে। কাঁদো কাঁদো আমি মন ভরে দেখি।
- তাই না? আমি কাঁদলে তোমার....!
বালিকা আরো জোরে জোরে কাঁদছে। বালক এসে বালিকার মুখ চেপে ধরলো। তারপর বললো।
- জোরে কাঁদলে ভালো দেখায় না। আস্তে আস্তে কাঁদো। পারলে গুনগুনিয়ে কাঁদো। হিহিহি।
- কুত্তা, গরু, হাস, মুরগ, ছাগল, মহিষ, কুমীর, ভাল্লুক। সব তুমি, সব তুমি। আমাকে শুধু কাঁদাও। একটুও ভালোবাসোনা আগের মতো। আমাকে শুধু কষ্ট দাও।
- তাই না? মন থেকে বললে?
- মন থেকে বললে কি করবে?
- বেরিয়ে যাবো।
- এই না.... একদম না.... ।
বালক হাল্কা হেসে বালিকার কপালে চুমু দিলো। বালিকা শক্ত করে বালককে জড়িয়ে ধরে আছে। যেন বেরিয়ে পরতে চাইলে সে বেরিয়ে যেতে দিবেনা…..।
.
__ অভিমান পর্ব

Siam Ahmed Joy

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ