জীবন থেকে নেয়া গল্প
.
মাধ্যমিক স্কুলে সবে পা রেখেছে সজিব। পড়ালেখায় খুব ভালো। চঞ্চল কিন্তু সাদা মনের মানুষ। আর্থিক অবস্থাও ভালো ছিলো সজিবের পরিবারের। একদিন ষষ্ঠ শ্রেণীর এক মেয়েকে সজিবের পছন্দ হয়। মেয়েটির নাম ছিলো লামিয়া। দেখতে শুনতে ভালই। লামিয়ার পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিলো না। সেদিন থেকে শুরু। মেয়েটার পিছনে ঘুরতে আরম্ভ করে। ক্লাস সিক্স পার হলো পিছনে ঘুরতে ঘুরতেই। লামিয়ার সাথে কথা আর বলতে পারেনি। সেভেনের প্রথম দিকে প্রথম কথা। সেদিন ছিলো সজিবের কাছে ঈদের মতো। কোনদিন স্কুল ফাঁকি দেইনি সজিব। লামিয়াকে দেখার জন্য সজিব কতো পাগল ছিলো তা সজিব আর আল্লাহই হয়তো জানে একমাত্র।
.
ক্লাস সেভেন পার হলো সজিব প্রপোজও করতে পারেনি। এইটের প্রথম দিকে প্রপোজ করেই বসে। মেয়েটা ঐদিন সজিবকে একটা থাপ্পড় মারে। তবুও সজিব লামিয়ার প্রতি একটুও রাগ হয়নি। ক্লাস নাইনের প্রথম দিকে অনেক কষ্টের ফলে লামিয়া রাজি হয়। ঐদিন লামিয়ার বড় বোনের নাম্বারও দিয়ে দেয়। শুরু হলো প্রেম। ভালই চলছিলো তাদের। সজিব মেয়েকে সত্যিই অনেক ভালবাসতো। মেয়েটাও বাসতো। প্রতিদিন টিফিন খরচের অর্ধেক সজিব লামিয়াকে দিতো। কদিন পরপর গিফট। এটা সেটা অনেক কিছু। স্কুল প্রেম স্বপ্নের মতোই চলছিলো। প্রতদিন দেখা হয় তাদের।
.
লামিয়ার বাবার আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় লামিয়ার পুরো পড়ার খরচ চালিয়ে গিয়েছে সজিব। নিজের পরিক্ষার ফিঃ লামিয়াকে দিয়ে সব পরিক্ষা পার করেছে। খুব ছোট হলেও তাদের স্বপ্ন ছিলো তারা বিয়ে করবে। লামিয়া তাই সজিবকে বলে তাদের পরিবারে কথা বলে রাখতে যে বিয়ের বয়স হলে তারা পরে বিয়ে করবে। সজিবও কথামতো তার বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলে। বড় ভাই বলে দেয় যে এমন পরিবারের সাথে ভবিষৎ কখনো কোনভাবেই সম্পর্ক করা যাবেনা। লামিয়ার বাবা ছিলো কৃষক আর সজিবের বাবা ছিলো অনেক বড় ব্যবসায়ী। মোটকথা শিল্পপতি। সজিব লামিয়াকে এসব বোঝিয়ে বললে লামিয়া ভুল বোঝে সজিবকে। লামিয়া বলেছিলো পালিয়ে বিয়ে করবে।
.
সজিব না করে দেয়। কারন মাত্র ক্লাস নাইনে পড়ে। এখনই এসব চিন্তা! না কখনোই না। তাদের মাঝে ব্রেকাপ হয়ে যায়। অনেক দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। তারপর লামিয়া সজিবকে দেখিয়ে আরেকটা ছেলের সাথে প্রেম করে। সজিবের সামনে ঘুরে। সজিব সত্যিই ভালবাসতো। তাই কোনদিন লামিয়ার দিকে চোখ তুলেও তাকায়নি। কিন্তু লামিয়া অনেক গালাগালি করতো সজিবকে। সজিব চুপ করে সব শুনে যেতো। লামিয়া নতুন করে যে ছেলের সাথে প্রেম করে তাঁর নাম মিথুন। সে কলেজে পড়ে। আস্তে আস্তে সম্পর্ক অনেক গভীর হয়। শারীরিক সম্পর্ক একবার নয় কয়েকবার হয় তাদের মধ্যে। কখনো মিথুন চাইতো, কখনো লামিয়া। একদিন তারা হাতে না হাতে ধরা পরে যায়।
.
সম্পুর্ণ শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে। লামিয়ার মান, ইজ্জত, সম্মান সব শেষ। ধুলোয় মিশে যায়। তবুও সজিব লামিয়াকেই ভালবাসে। মিথুনের যে কম গিয়েছে তাও না। দরবার ডাকা হলো। একটা বিহিত করা দরকার! খুব স্বাভাবিক তাদের শাস্তি তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়াই। দরবারে এটাই সিদ্ধান্ত নিলো সবাই যে তাদের বিয়ে দিয়ে দিবে। এবং তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। তবুও সজিব লামিয়াকেই ভালবাসে। ক্লাস টেনে আর উঠা হয়নি লামিয়ার। সংসার করতে হয়। কিন্তু সুখ নেই। সজিবের সাথে যা করেছে তা আর মানতে পারছেনা। বিবেগ কুড়ে কুড়ে খায় লামিয়াকে। এখন মিথুনও আছে, সব কিছুই আছে তবুও কেন জানি সুখ নেই শান্তি নেই। প্রতিদিন ঝগড়া হয়।
.
কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে মিথুন আর লামিয়ার মধ্যে। কিন্তু সজিবের জীনন ধ্বংস হয়ে যায়। ক্লাসের ফার্স্ট বয় ফেল করে টেষ্ট পরিক্ষায়। সিগেরেট থেকে শুরু করে এমন কোন নেশা নেই যা এখন সজিব করেনা। ভদ্র ছেলেটা আজ ঝগড়ায় মেতে থাকে। প্রতিদিন হাত কাটে। ব্লেড দিয়া লামিয়ার নাম লিখে হাতে। সিগেরেটে ধরিয়ে আগুন দিয়ে হাতে ফোটা দেয়। বিশ্রীরকম চ্যাহারা হয়ে যায়। দেখলেই মনে হয় মাত্র গাঞ্জা খেয়ে এসেছে। চোখ মুখ লাল হয়ে থাকে সারাক্ষণ। পরিবারে যত ঝামেলা। আর লামিয়াও এখন সারাক্ষণ কান্না করে। কিন্তু কোন লাভ নেই। সজিবের সাথে রাগ দেখিয়ে মিথুনের সাথে প্রেম করে। যার কারনে তার আজ চৌদ্দ বছরেই সংসার করতে হচ্ছে।
.
এখানেই শেষ নয়। সজিব আর লেখাপড়া করেনি। এস এস সি পরিক্ষা আর দেয়নি। স্কুলে মদ খেয়ে মাতলামি করার জন্য অসহ্য হয়ে স্কুল থেকে বের করে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। বেহায়া সজিবের মন এখনও লামিয়া লামিয়া করে। জীবনের আলো নিভে যায় সজিবের। অন্ধকার আর অন্ধকার। নেশা একমাত্র সঙ্গী তার। ভালবাসা না আবেগ সেটা কে জানে। কদিন পর হয়তো কোন বড় এক রোগে পৃথিবী ত্যাগ করবে সজিব। কারন ইতিমধ্যেই হাসপাতালে জীবনের সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আত্মহত্যা করতে গিয়ে শেষ মুহুর্তে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একটা চাইনিজ চুরি নিজের পেটে নিজেই ঢুকিয়ে দেয়। জীবনের শেষ নিশ্বাসও ত্যাগ করতে হয় সজিবকে। মরার আগেও বলে যায় লামিয়া তুমি সুখি হও। আটারো বছর বয়সে তরুণ মারা যায়। লামিয়া সজিবের মন নিয়ে খেলার ফলাফল সজিবের মৃতু। এরকম কত সজিবের মন নিয়ে খেলছে মেয়েরা। তাই জীবন থেকে নেয়া গল্পটা আমার আপনার সবার।
Siam Ahmed Joy
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļুāĻ্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ āĻ্āĻোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
3502
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ž:⧍⧍ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ