গল্পঃ অবশেষে সুখের দেশে
__Siam Ahmed Joy (গান গবেষক)
.
রাতে নেশা করে বাসায় ফেরে প্রতিদিন অদিত। এনিয়ে অনেক সমস্যা চলছে পরিবারে। ভালো পথে, মাথার ঘাম পা'য়ে ফেলে টাকা কামাই করে নষ্ট করে ভিবিন্ন নেশার পিছনে। কেউ নেশায় এমনিই জড়ায় না। শ'তে পাঁচ জন হতে পারে কৌতহুল বা ইচ্ছা করে করে। কিন্তু বাঁকি পঁচানব্বই জনেরই নেশা করার পিছনে একটা কারন আছে। প্রত্যেকটা নেশাখোরের একটা গল্প আছে। অদিতেরও একটা গল্প আছে। স্পর্শীয়া নামে একটি মেয়ের সাথে পরিচিত হয় অদিতের ইংল্যান্ডে। একই সাথে পড়াশোনা শেষ করে সেখানে। হাই হ্যালো থেকে শুরু করে ফেসবুকে চ্যাটিং আস্তে আস্তে ফোনে কথা দিনে একটু আধটু খোঁজ খবর নেয়া। তারপর প্রতিদিন দেখা করা। একসময় অদিত স্পর্শীয়ার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে অদিত ঠিক করে রেখেছিলো স্পর্শীয়াকে প্রপোজ করবে। কিন্তু ঘটনা ঘটে উল্টো। স্পর্শীয়াই প্রপোজ করে অদিতকে। অদিত তো খুব খুশি। তারপর শুরু হয় আরেকটি প্রেমের গল্প। বেশ ভালই কাটছিলো তাদের। একসাথে স্বপ্ন দেখা। এটা ওটা মিলিয়ে বেশ গভীর হয়ে পড়েছিলো তাদের সম্পর্ক। অদিত স্পর্শীয়াকে ছাড়া আর কিছুই বুঝতোনা। সম্পর্কটা ছয় মাস পাড় হয়। ব্যবসা নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফেরার দিন অদিত অনেক বড় এক শক খেলো। অদিত একটু অন্যরকম ছিলো। মেয়েদের কেয়ার করতো না। কেয়ার করতো না বলতে অহেতুক টকিং, চ্যাটিং ইত্যাদি ইত্যাদি করতোনা। বিভাগের মেয়েরা খুব খ্যাপে অদিতের উপর। তাই সবাই মিলে একটা প্ল্যান করে অদিতের সাথে এই গেইমটা খেলে। স্পর্শীয়া দেখতে শুনতে কোনভাবেই কম ছিলোনা। অভিনয়টা বেশ ভালোই করেছে। বিমানে উঠার আগে একটা টেক্সট " কি মিষ্টার ভাবওয়ালা? ভালবাসেন না আমাকে? আহালে বাবু সরি" এই অদ্ভত মেসেজটা পেয়েই ফেসবুকে লগিন করে দেখলো স্পর্শীয়ার বন্ধুবান্ধবীরা মিলে একটা পিক আপলোড দেয় এবং একটা পার্টি এরেঞ্জ করে। অদিতের আর বোঝতে বাঁকি রইলোনা। অনেক কেঁদেছে অদিত অনেক। অনেকবার স্পর্শীয়ার কাছে গেলেও কোন লাভ হয়নি। সেই থেকে নেশায় আস্তে আস্তে আসক্ত হওয়া। তারপর নেশায় অন্ধ হয়ে যাওয়া। খুব উচ্চ পরিবারের ছেলে না অদিত, মধ্যবিত্তই। ব্যাবসার টাকা তো নেশায় ডুবাই'ই বাড়ি থেকে নিয়েও! অদিত আরও অন্ধকারে চলে যায় যখন স্পর্শীয়ার বিয়ের খবর শুনে। বিয়ের আগের দিনও অনেক কান্নাকাটি করেছে কিন্তু কোন লাভ নেই। পরিবার থেকে জোড় করে বিয়ে দেয়া হয় ফারিয়ার সাথে। বাসর রাতেও নেশা করে ঘরে যায়। সে কিরকম নেশাখোর সেদিনিই বুঝেছিলো ফারিয়া। কিন্তু ফারিয়ার পোড়া কপাল। বাইরে থেকে দেখলে এই ছেলেকে কেউ নেশাখোর কেন সিগেরেট খায় এটুকুই বোঝতে পারবেনা। বাচ্চাদের মতো মুখটা। কিন্তু এখন পুরো নষ্ট হয়ে গিয়েছে নেশা করে। অদিতের ফোন থেকে একদিন স্পর্শীয়ার কিছু পিক দেখছিলো ফারিয়া। স্পর্শীয়া দেখতে পরীর মতো ছিলো না বললেই না। ফোনটা ধরার সুযোগ হয়েছিলো কারন অদিত নেশা করে এসে সেই ঘুমে মাতাল অবস্থায়। ফোনটা ঢুকার সময় দরোজার কাছে পড়ে গিয়েছিলো। এমনিতে কারো সাথে খারাপ আচরণ করেনা। রাত করে ফেরে তারপর কোনরকম এসে বিছানা পর্যন্ত পৌঁছায়। সকালে আবার সব ঠিক। তৈরি হয়ে অফিসে যায়। ফারিয়ার সাথে একদম কথা বলেনা। ফারিয়ার সামনে গেলেই স্পর্শীয়ার কথা মনে পড়ে। আর স্পর্শীয়ার কথা মনে পড়লে নেশা টানে। ফারিয়াই জোড় করে টাই বেধে দেয়। নীল শার্টের সাথে নীল ঘড়িটাও সময় মতো রেখে দিয়ে যায়। কারন কোন কিছুর তো ঠিক নেই। ফারিয়া অনেক মানা করে। প্রতি রাতে কাঁদে। কিন্তু অদিতের সামনে গেলে অদিত চলে যায় আর কথা বলেনা নেশার কথা তুললেই। অদিত আর ফারিয়ার মধ্যে যে হাই হ্যালো সম্পর্কও নেই তা বাহির থেকে একটুও বোঝা যাবেনা। মনে হয় দারুণ জুটি, কাপল। প্রতিদিনের মতো আজও নেশা করে বাসায় ফিরেছে।
- আজকেও মদ খেয়েছ?
- (চুপ করে বিছানার দিকে পা বাড়াচ্ছে)
- একটা কথা বলেছিলাম শুনতে পেয়েছ?
- নাহ আমি খাঁটি গরুর দুধ খেয়ে এসেছি। জানোই তো কেন প্রতিদিন জিজ্ঞেস করো।
- এভাবে কারো জীবন চলতে পারেনা।
- তোমার ভাত কাপড়ের অভাব হয়? কোন কিছুর কমতি আছে? তুমি ঠিকঠাক আছো তো?
- সবকিছুরই কমতি আছে। ভাত কাপড়েই সব হয়না।
- কি লাগবে তোমার আমাকে বলো। কিভাবে ব্যাবস্থা করবো সেটা আমার ব্যাপার। তবুও প্লীজ এটা নিয়ে প্রতিদিন গ্যানগ্যান করোনা।
- ভালবাসা লাগবেনা। নেশাটা ছাড়া যায়না? ..।
- হাহহ ভালবাসা। এ শব্দটা আমার কাছে এখন হাস্যকর। মেয়েরা কতো ভালো অভিনয় করতে পারে তাইনা?
- সবাই স্পর্শীয়া হয়না।
- জানি জানি। সব মেয়েরাই এক।
এধরনের ঝগড়া প্রতিদিনের রুটিন। ফারিয়া কাঁদে শুধু কাঁদে। সবকিছু থেকেও কিছু নেই। কেঁদে কেঁদে চোখের জল শেষ প্রায়। ফারিয়া অদিতকে গল্প শুনায়। অদিত হাসে তখন। অদিতের হাতটাও ধরতে পারেনা। অদিত এখন বিশ্বাস করে ভালবাসা বলতে কিছুই নেই। এটা নিয়ে একসময় তর্ক হচ্ছিলো।
- ভালবাসা বলতে কিছুই নেই? (ফারিয়া)
- কেন হাসাও বলো তো।
- আচ্ছা আমার হাতটা একটু ধরো।
- আমার হাতে থাপ্পড় খেতে ভালো লাগবে?
- লাগবে আগে তো হাতটা ধরো।
- পারবোনা। (জোড় করেই হাতটা ধরলো অদিতের ফারিয়া। রাগে চোখ লাল হয়ে গেলো অদিতের)
- এবার আমার চোখে তাকাও তো। দেখো তো ভালবাসা দেখতে পাও কিনা।
(অদিত সত্যিই অনেক জোরে একটা থাপ্পড় দিয়ে দিলো)
- নেক্সটাইম মনে থাকে যেন।
বেলকনি থেকে দৌড়ে গিয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে কাঁদছে অদিত। আর বেলকনিতে দাঁড়িয়ে ফারিয়া। অদিত অনেক্ষন ধরেই কাঁদছে। বালিশে মাথা লুকিয়ে । এর কিছুক্ষন পর ফারিয়া এসে নরম সুরে বললো।
- নিজেই থাপ্পড় দিলেন আবার নিজেই কাঁদছেন। এটাও কিন্তু ভালবাসা মিষ্টার।
-( অদিত অবাক। এতো জোড়ে একটা থাপ্পড় দিলো.. তারপরেও এসে এভাবে নরমালি কিভাবে কথা বলছে )
- আচ্ছা আমি দুঃখীত। আর কোনদিন হাত ধরবোনা এই প্রমিস। তবুও একটু কান্নাটা থামান।
(এবার নিজের অজান্তেই উঠে গিয়ে ফারিয়াকে জড়িয়ে ধরলো। তবুও কোন কথা বলছে না অদিত। ফারিয়া বিশ্বাস করতে পারছেনা।)
- সরি ফারিয়া। আমি ইচ্ছে করে দিতে চাইনি। মাফ করে দিয়ো। আমি একটু বেশিই করে ফেলেছি।
- নাহ ভুলটা তো আমারই।
দুজন দু-বিছানায় তারপর। অদিত বোঝতে পারলোনা। থাপ্পড় দিলো ফারিয়াকে। কিন্তু মেয়েটা নরমালি বিহেব করছে। আর ফারিয়া ভাবছে অদিতের সাদামাটা মনটা এখনও আছে। নাহলে এমানুষটা থাপ্পড় দিয়ে নিজেই বাচ্চাদের এভাবে কাঁদতোনা। রোগ হলো স্পর্শীয়ার প্রভাব বা সাইড ইফেক্ট হলো নেশা। এই রোগ না সাড়ার আগ পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবেনা। পরেরদিন ঠিকই আবার নেশা করলো। কিন্তু আজকে আর ফারিয়া রাত জেগে বসে নেই। ঘুমিয়ে আছে। অদিতের কিরকম জেলাস হলো। আবার ভাবছে ধুরু আমার জেলাস হচ্ছে কেন? ঘুমিয়ে আছে ভালো হয়েছে নাহলে শুধুশুধু ঝগড়া করতো। সকাল সকাল অফিসে যাওয়ার আগে ঘড়ি, শার্ট, পারফিউম সব মিলিয়ে লাগলো এক প্যাঁচ। একটাও ঠিক জায়গায় নেই। থাকবে কিভাবে ছিলোইতোনা। আজকে ফারিয়াও সব ঠিকঠাক করে রাখেনি। এবার একটু রাগই হলো ফারিয়ার উপর। আবার মনে হলো। কাছে আসলে তো আমিই বকা দেই। আধ-ঘন্টা লেট করে গেলো অফিসে। দূপুরের খাবার সময় পাড় হয়ে গেলো। হটাৎ মনে হলো আজ ফারিয়া ফোন দেয়নি। ফোন দিলেই তো ব্যাস্ত, ঝামেলা, এটা ওটা বলে কেটে দেয়। অফিস শেষ করে বারবার ফোনের দিকে তাকাচ্ছে কার যেন ফোনের আশায়। বারে বসে আছে কিন্তু আজ মদে মন নেই। ফোনের ইনবক্সে বারবার চোখ যাচ্ছে। কে যেন টেক্সট করে বলবে "রাত হয়েছে এবার বাসায় আসা যায়?" কিন্তু নো টেক্সট। পুরোনো টেক্সট গুলো পড়ছে অদিত। কেন জানি নিজের অজান্তে চোখ দিয়ে পানি ঝড়ে গেলো। পরিচিত ওয়েটার প্রতিদিন এখানে এসে মদ খাওয়া হয় তাই ভালো একটা সম্পর্ক তাদের মাঝে এসে বললো।
- স্যার বারবার ফোনে তাকাচ্ছেন। আজকে মনে হয় বাসায় যাওয়া উচিৎ এখনি।
- (অদিত চুপ)
- ভাবীর সাথে ঝগড়া?
(ভাবী ডাকটা শুনেই কিরকম লাগলো অদিতের। ভাবী নাহ!! আমার বউ! ফারিয়া! ফারিয়ার সাথে কি আমার ঝগড়া? কই না তো ঝগড়া তো হয়নি। কিন্তু প্রতি মুহুর্তে খুব মিস করছে এটা সত্য)
- নাহ।
ওয়েটার আর কিছু না বলে চলে গেলো। রীতিমতো নেশা করেই ফেরার কথা। কিন্তু আজকে কি জন্য যেন গলা দিয়ে নামলোনা। বাসায় ফিরলো। আজকে নেশা না করে একটু আগেই। আজকেও ফারিয়া ঘুমুচ্ছে। অদিতের আরো জেলাস হলো। আরে আজকে আমি নেশা না করে বাসায় ফিরেছি আর ফারিয়া ঘুমুচ্ছে! ভাবছে আমার প্রতি ফারিয়ার কেয়ার কমে যাচ্ছে নাকি? আবার, আমার কি কেয়ার করবে? আমি তো ভালো করে কথাই বলিনা। স্পর্শীয়া রোগটা সাড়াতে হলে ফারিয়ার কাছে এটাই একমাত্র ঔষধ। সকাল হলো। অদিত তৈরি হচ্ছে অফিসে যাবার জন্য। আজকে টাই, ঘড়ি সব ঠিক জায়গায়ই রাখা আছে কারন কাল নেশা করেনি। অফিস যাবার আগে ফারিয়া বলেছে।
- আমি বিকেলে বাপের বাড়ি যাবো।
ঠিকই চলে গেলো। এখন রাত তিনটায় বাসায় ফিরলেও কেউ কিছু জিজ্ঞেস করবেনা। ভাবতে অদিতের ভালো লাগছে না। কিন্তু তার ভালো লাগার কথা। ফোনের ইনবক্স চেক করলো। গত তিন দিনে একটাও টেক্সট আসেনি ফারিয়ার কাছ থেকে। ফোন তো দেয়ইনি। ফারিয়ার দোষ কি? অদিতই বলেছে দূরে দূরে থাকতে। স্পর্শীয়ার কথা ইদানীং মনেই হচ্ছেনা। শুনেছে স্পর্শীয়া নাকি প্রেগন্যান্ট। ভালই তো আছে স্পর্শীয়া। দীর্ঘ তিনদিন পর বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসলো অদিতেরও বাবা। সারাদিনে দেখাই পাওয়া যায়না ফারিয়ার। একটা সময় অদিত বোঝতে পারলো। ফারিয়ার শাষন, বকুনি, আদোর, ভালবাসা, কেয়ার সবই দরকার। কিরকম ছন্যছাড়া লাগে ফারিয়াকে ছাড়া সবখানে। ফোনে যত স্পর্শীয়ার পিক ছিলো সব ডিলিট। ফেসবুকে ব্লক। নাম্বার সহ যোগাযোগ করার সব মাধ্যম বন্ধ। যদিও কথা হয়না। আগে ফোন লকের পাসওয়ার্ড ছিলো (Sporshia) আর এখন (Faria)। এর থেকে বোঝা যায় স্পর্শীয়া রোগটা সাড়ছে অদিতের।
- ফারিয়া
- হ্যাঁ বলো।
- বলছিলাম আমাদের রুমে দুটো খাটের দরকার নেই।
- আমাদের! দুটো খাট! হটাৎ?
- কেন দুজনে এক খাটে হবেনা?
- হবে। কেন হবেনা।
- তাহলে কাল সড়িয়ে ফেলবো।
- আচ্ছা।
ফারিয়া ভাবছে এন্টিবায়োটিক কাজ করেছে। অফিস শেষ করে সোজা বাসায় সঙ্গে গোলাপ ফুল। কিন্তু ফারিয়াকে আর দেয়া হয়না। কিভেবে যেন রেখে দেয় দরোজার পাশে। রাতে ফারিয়ার হাতটা ধরে শুয়ে ঘুমিয়ে আছে।
- ফারিয়া।
- হ্যাঁ।
- কথা বলো না কেন?
- ভয় হয়।
- কিসের ভয়?
- হাতটা ছেড়ে দিবে না তো?
- তা জানিনা। কিন্তু নেশা ছেড়ে দিবো তোমার কসম।
- তাহলে ছাড়ো হাত।
- না আমার বাবুর আম্মুর হাত আমি ছাড়তে পারবোনা।
- বাবুর আম্মু!!
- হুম। আচ্ছা কি নাম রাখবে বলো তো।
- নাম! নেশায় আছো!
- হুম তোমার।
- আমার? স্পর্শীয়ার নেশা গিয়েছে তো?
- হুম একেবারে।
কিছুমাস পর ফারিয়া গর্ববতী। অদিতের তো অফিস করতেই ইচ্ছে হয়না। ইচ্ছে হয় সারাদিনিই ফারিয়ার সাথে থাকতে। রুমে ইতিমধ্যে বড় একটা বাবুর পোষ্টার লাগানো হয়ে গিয়েছে। বাবু কার মতো হবে এটা নিয়ে এক পর্ব ঝগড়া চলে।
- ফারিয়া।
- হ্যাঁ সাহেব।
- বাবু তোমাকে কিছু বলেনা?
- বলে তো।
- কি বলে? আমাকে তো কিছু বলোনা।
- বলে আব্বু অনেক পঁচা। আম্মু অনেক ভালো।
- এহহ। এর উল্টো বলেছে নিশ্চয়। এজন্য তুমি এরকম বলছো।
- একদমই না।
- একদমই হ্যাঁ।
- বিশ্বাস নাহলে তুমিই বাবুকে জিজ্ঞেস করো।
- আব্বু। বলোতো কে ভালো আর কে পঁচা। (ফারিয়ার পেটে মাথা রেখে)
- কি বলে হুম?
- কিছু বলেনা তো আমার কাছে।
- ভালো করে জিজ্ঞেস করো।
- হ্যাঁ বলেছে। বললো আমরা দুজনেই ভালো।
- হিহি আমার কাছে এটাই বলে।
তারপর একদিন হটাৎ ব্যাথা। প্রথমে অবস্থা অনেক সিরিয়াস হয়ে যায়। ডাক্তার বলেছিলো যে কোন একজনকে বাঁচানো যাবে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ করুণায় মা ছেলে দুজনেই বাঁচে। ঠিক কিছুক্ষন পর।
- চিন্তা করোনা। তুমার আর বাবুর কারোরি কিছু হয়নি।
- তুমি থাকতে কিভাবে আমাদের কিছু হয়?
- হুম।
নাম রাখা নিয়ে একসাপ্তাহ ঝগড়া করার পর দুজনে ঠিক করলো আফনান।
৭ বছর পর
- এদিকে একটু আসো তো।
- কেনো?
- তোমার ছেলের সাথে আমি একটুও পারিনা। একদম পড়েনা। তুমি এসে একটু পড়াও।
- আজকে ছুটি দিয়ে দাও আব্বুকে।
- হ্যাঁ আম্মু ছুটি দিয়ে দাও ঘুম পেয়েছে খুব। ( আফনান)
- কোন ছুটি নেই। সারাদিনে একবারও পড়তে বসোনা। না পড়লে বাবার মতো বড় হতে পারবেনা।
- আব্বু (আফনান)
- হ্যাঁ আব্বু ।
- ছুটি দিচ্ছেনা তো।
- ছুটি তুমার তুমি ঘুমাও। (পাশের রুম থেকে এসে বইগুলো বন্ধ করে)
আফনানকে ঘুম পাড়িয়ে ফারিয়াকে কুলে করে ছাদে নিয়ে গেলো অদিত।
- কি ব্যাপার শাহেব হটাৎ এতো সোহাগ?
- তাই আমি হটাৎ..?
- না না তুমি তো আমার.. আচ্ছা বলবোনা।
- থাক বলা লাগবেনা।
- কেন গো? রাগ করলে?
- নাহ ভাবছি মিথিলার কথা।
- মিথিলা? কোন মিথিলা?
- আমাদের মেয়ে।
- আহা। কেনো?
- না মানে আফনান তো তোমার ভক্ত হলোনা মিথিলা যদি হয় আরকি।
- হুহ আর ভাববে হবেনা।
- একটা কথা মনে পড়েছে কিন্তু বলবোনা।
- বলবেনা? না বললে ছাদ থেকে ফেলে দিবো।
- ঠিক তোমাকে আজ আমার বউটার মতো লাগছে।
- অন্য দিন কার বউর মতো লাগে হুম?
- না মানে মিথিলার আম্মুর মতো লাগে।
- হিহি একই। আর তোমাকে আফনানের আব্বু।
চাঁদ দেখছে দুজন। এটা ওটা নিয়ে মিষ্টি মিষ্টি ঝগড়া হবে। তারপর কেউ একজন মিষ্টি করে সরি বলে আবার আরেকটু ঝগড়া করবে। তারপর আফনান জেগে যাবে। এক দৌড়ে দুজন নিচে যাবে। অতঃপর দুজনে আফনানকে ঘুম পাড়াতে ব্যাস্ত।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļুāĻ্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ āĻ্āĻোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
3523
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ž:ā§Šā§Ŧ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ