āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3491

প্রথম দিনঃ
.
- ভালবাসেন?
- না।
- তাহলে আমার পিছনে ঘুরাঘুরি করেন কেন?
- কে বললো এই কথা?
- আমার কি চোখ নেই?
- তারমানে আপনিও আমাকে দেখেন?
- তা কেন হবে? আপনি আমাকে ফলো করেন তা আমার চোখে পরে।
- আচ্ছা দুঃখীত।
- আর কোনদিন যেন আমার পিছনে না দেখি ঠিকাছে?
বালক বালিকার কথা শুনে মন আকাশ মেঘলা করে চলে গেলো।
.
দ্বিতীয় দিনঃ
.
- ভালবাসি।
- বিশ্বাস করিনা।
- কি করলে বিশ্বাস করবেন?
- আপনি আমার ব্যাপারে কি কি জানেন?
- আপনি একটি মেয়ে। আপনার চোখ, কান, নাল, চুল আছে। আর কিছুনা।
- আর কিছুনা? তাহলে ভালবাসেন কিভাবে?
- ভালবাসলে এতো কিছু জানা লাগেনা। বেশী জেনে ফেললে ভালবাসায় গভীরতা থাকেনা।
- আপনি জানেন আমার বাবা এখানকার পুলিশ অফিসার? বলবো বাবাকে?
- হ্যাঁ বিয়ের কথা বলতে হবেনা?
- আপনি তো মহা ফাজিল।
- আচ্ছা গেলাম। আমার সময় শেষ।
.
বালিকা হাফ ছেড়ে বাঁচলো। বাসায় আসার পর থেকে কেন জানি মনটা উড়ুউড়ু করছে। মনটা চুরি হয়ে গেলো মনে হয়! নাহ কোনমতেই ছেলেটার কথা মাথা থেকে নামছে না! ইদানিং  ভার্সিটি শেষে বাসায় আসার সময় সেই পুরোনো বটগাছের নিচের বেঞ্চটায়  আড়ি চোখে তাকায় বালিকা। কিন্তু বালকটাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়না। বালিকার মন মানেনা। বালিকাও সেই বালককে ভালবেসে ফেলেছে! কিন্তু কিরকম ভালবাসা এটা। বালক কি তাকে সত্যিই ভালবেসে ছিলো? তাহলে এভাবে হঠাৎ হারিয়ে গেলো কেন? হঠাৎ সেই বটগাছ তলায় আবার সেই বালক দাঁড়িয়ে আছে। বালিকা ইতস্তত ভাবে জিজ্ঞেস করলো।
.
তৃতীয় দিনঃ
- কোথায় ছিলেন এতদিন?
- কেনো?
- পাল্টা প্রশ্ন না করে উত্তর দিন।
- আমার তো এখানে প্রতিদিন উপস্থিত থাকার কথা না।
- ভালবাসেন?
- কেন?
- জানা জরুরী।
- আপনার বাবা তো পুলিশ অফিসার।
- তাতে কি? আমি তো আর পুলিশ অফিসার না।
- কি জানা জরুরী?
- ভালবাসেন?
- সেটা নিয়ে আমিও দন্দে আছি।
- কেন এখন দন্দ কেন? ঐদিন তো বললেন ভালবাসেন।
- আচ্ছা একটা কথা বলুন তো ।
- কি?
- আমি একটা ব্যাপারে নিশ্চিত।
- কোন ব্যাপারে?
- আপনি আমাকে ভালবেসে ফেলেছেন। কি ঠিক বললাম?
বালিকা চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো। বালক বালিকার চোখে তাকিয়ে দেখছে ভালবাসার সমুদ্র। এই সমুদ্রে অনেক দিন আগেই ডুব দিয়েছিলো।
- কি ঠিক বললাম?
বালিকা কিছু না বলে চলে গেলো। বালক খুশিতে আত্মহারা। কিন্তু বালিকার ফোন নাম্বার, বাসার ঠিকানা কিছুই জানেনা। 
.
চতুর্থ দিনঃ
.
- উত্তর টা পেলাম না। [বালক]
- আমার উত্তরও পাইনি [বালিকা]
- আচ্ছা আমার উত্তর যা আপনার উত্তরও কি তা?
- আপনার উত্তর কি?
- যেটা আপনার উত্তর।
- আমার উত্তর কি?
- সেটা আপনি জানেন।
- এতো কথা বুঝিনা। ভালবাসেন কি না বলেন?
- কেন না বললে কি আপনার বাবা, পুলিশের হাতে দিবেন?
- হ্যাঁ দরকার পরলে সেটাও করবো।
- তার মানে আপনিও আমাকে ভালবাসেন। আমি এবার নিশ্চিত।
- হু ভাল করছেন।
- আমার উত্তর শুনবেনা?
বালিকা আশ্চর্য হয়ে বালকের দিকে তাকালো।
- জ্বী।
- আমিও তোমাকে ..!
- আমিও তোমাকে কি? ঐদিন তো ফট করেই বলে ফেলেছিলেন।
- আচ্ছা তোমার নামটা যেন কি?
- কিহ? আপনি আমার নামটাও জানেন না?
- না। নাম জেনে কি করবো?
- বাহ! ভালবাসেন আর নাম জানেন না ।
- ভালবাসি কে বললো?
- আপনিই বলেছিলেন।
- ভালবাসিনা। আগে এমনিই বলেছিলাম।
- সত্যি তো?
- হুম।
- দেখুন। সত্যি সত্যি বলুন।
- তো কি মিথ্যা মিথ্যা বলছি?
- আমি কিন্তু কাঁদবো এখন।
- না তা করবেন না প্লীজ। পুলিশের মেয়ে কাঁদলে কেমন দেখায়?
- বারবার পুলিশ পুলিশ করে খোঁচা দেন কেন?
- আচ্ছা আমি গেলাম। আপনাকে বলতে হবেনা ভালবাসি।
- আমি তোমাকে ভালবাসি।
- হুহ। নামই জানেনা আসছে ভালবাসে!
- তাহলে আল্লাহ হাফেজ।
- হুহ আল্লাহ হাফেজ। আর শুনোন। আদিবা আমার নাম আদিবা।
সেদিনের পর থেকে শুরু হয়েছিলো তাদের পথচলা। আজও চলছে। গন্তব্য মনের বাড়ির শেষ উঠোনের নিমগাছের শেষ নিশ্বাস। নিমগাছ কিন্তু সহজে মরেনা!
.
__ পুরোনো বটগাছ

Siam Ahmed Joy

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ