āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3506

গল্পঃ একটি বিয়ে
__Siam Ahmed Joy (গান গবেষক)
.
ছোটবেলার কথা খুব একটা মনে নেই। খুব ছোট থাকতে মা মারা যান। তারপর বাবা আবারও বিয়ে করেন। এরপর থেকে সৎ মায়ের কাছে মানুষ। বাবাও মারা যান ছয় বছর বয়সে। সৎ মায়ের ছিলো এক ছেলে। অবহেলায় বড় হয়েছি। লেখাপড়া চালিয়ে গিয়েছি কখনো পিছুপা হয়নি। বাড়ির সব কাজ তো আমাকেই করতে হতো। আমার সব সময়ের সাথী ছিলো গল্পের বই। খেলাধুলা খুব পছন্দ করলেও একদম সময় হয়ে উঠেতোনা খেলার জন্য। স্কুল পেরিয়ে কলেজে উঠে বেশ কয়েকজন বন্ধু পেলাম। দিনকাল এভাবেই যাচ্ছিলো। মায়ের নির্যাতন ছাড়া জীবনটা বেশ ভালই যাচ্ছিলো। কবিতা লিখতে খুব ভাল লাগতো। কিন্তু একদম পারতাম না।
.
একদিন এক বন্ধু বললো বিয়ের দাওয়াতে যাবে সবাই মিলে। পাশের গ্রামে বিয়ে। সবাই মিলে বিয়েতে যাই। উপহার যে নেয়নি আমরা তা'ও না। সবাই যথাসাধ্য উপহার নিয়েই গিয়েছি। বিয়েতে গিয়ে দেখি একদম নিম্নমানের অনুষ্টান। বুঝা যাচ্ছে একদম দরিদ্র বাড়িতে বিয়ে। উঠোনে কিছু মানুষ খাওয়ার ব্যাবস্থা করেছে। আমরা চারজন ছিলাম। খাওয়াদাওয়া করতে বসেছি আমরা। বিয়ের পাত্র পাত্রী কে আমাদের তা দেখার সময় নেই। কাজী সাহেব বিয়ের ব্যাবস্থা করছেন। এবার কবুল বলার পালা। অপ্রত্যাশিতকর ঘটনা তখনই ঘটলো। পাত্র বলে উঠলেন এ বিয়ে সে করবেনা। তূমুল কান্ড বেধে গেলো। কেন বিয়ে করবেন না? প্রশ্নের জবাব পাত্র দিচ্ছেন না। বিয়ের আসর থেকে পাত্র পালিয়েই গেলো।
.
পাত্রীর বাবা কান্না করছে। পর্দার আড়াল থেকে পাত্রীর মা সহ আত্মীয়দের কান্নার আওয়াজ শুনা যাচ্ছে। প্যান্ডেল এর ভীতরের চৌকিতে পাত্রী বসা। সেও কান্না করছে। হৈ হুল্য করছে সবাই। পাত্রের বাবা ক্ষমা চেয়ে সবার কাছ থেকে চলে গেলেন। অনেক কষ্ট করে যে পাত্রীর বাবা বিয়ের আয়োজন করেছিলো তা চোখের পানিই বলে দিচ্ছে। আমাদের একজন ছিলো নউরিন। সেও কাঁদছে। বলছে। দোস্ত মেয়েটার কি হবে রে? জীবনে কালি লেগে গেলো। টাকাওয়ালার মেয়ে হলে আরেকটি বিয়ে দিতে কোন সমস্যা হতোনা। কিন্তু ইনি পারবেন না। চেয়ারে বসলাম। ভীতর থেকে কেমন যেন পীড়া অনূভব করলাম। কি যেন ভেবে বলে ফেললাম। আমি বিয়ে করবো!
.
কথাটা বলার পরই আবিস্কার করলাম সবাই আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। নিজেও বোঝতে পারছিনা কি বললাম। নউরিন বললো। ঐ কি বলতেছিস? বেশি খেয়ে ফেলছিস পেটুক। কাজী সাহেব এখনো বিয়ের আসর থেকে চলে যাননি। তিনি বললেন। কি বলছো বাবা? আমি কাজী সাহেবের কথায় উত্তর না দিয়ে পাত্রীর বাবাকে দূরে নিয়ে গিয়ে শুধু বললাম। আপনার মেয়ের দ্বায়িত্ব আমার। রাণীর মতো করে রাখতে না পারলেও কখনো দুঃখ দিবোনা। পাত্রীর বাবা কাঁদছেন। কিছু বলবেন। আমি থামিয়ে দিলাম। বললাম বিয়েটা শীগ্রই সম্পুর্ণ করা উচিৎ। আমার আর কে আছে? সৎ মা কে বললে কখনো রাজি হবেনা। তার উপর এতো নিচু পরিবার। কোন চাচাও নেই মামাও নেই।
.
অতঃপর সেখানে বিয়ে হলো। অনেক লোক আগেই চলে গিয়েছিলো বিয়ে বাড়ি থেকে। বাড়ি যাবো কি না সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। শেষ আশ্রয় যেতেই হবে। মা হুমাইরাকে দেখে মাথা ঘুরিয়ে পরে যাবার মতো অবস্থা। অনেক কটু কথা শুনিয়েছে। আমার থেকে বেশী বলেছে হুমাইরাকে। বাবা ছিলো প্রিন্সিপাল। সৎ মা খুব শিক্ষিত না। তিনিও ছোট ঘরেরই মেয়ে। এখন পা মাঠিতে পরেনা। শতহোক তবুও মা শব্দটা নামের পাশে যুক্ত আছে। অসম্মানের অ পর্যন্ত করিনি কোনদিন। বারান্দার ছোট রুমে জায়গা হলো আমাদের। বাবা থাকাকালীন এখানে বাড়ির কাজের লোকেরা থাকতো। এখন আর কাজের লোক নেই। সুতরাং এখানেই একমাত্র থাকার জায়গা। জানালা খুললে চাঁদের আলো আসে।
.
হুমাইরাকে আগে কখনো দেখিনি চিনিওনা। আমি স্বাভাবিকভাবে ক্ষমা চেয়ে নিলাম মায়ের ব্যাবহারের জন্য। হুমাইরা বোঝতে পারলো ইনি সৎ মা। চোখের পানি ঝড়ছে রীতিমত। আমি শুধু বললাম। আজকে আর ফ্রেশ হতে পারবেন না ঘুমানোর চেষ্টা করুন। জানি ঘুম আসবেনা সহজে তাও ঘুমান। নিজের চোখের পানি নিজেই মুছে বললো। আপনি কেনো আমাকে বিয়ে করতে গেলেন? আপনার সুন্দর জীবনটা আমার মতো একটা মেয়ের জন্য নষ্ট করে দিলেন। আমি বললাম। কপালে যা ছিলো তা কোনো না কোনো ভাবে হবেই। এসব চিন্তা করে আর কোন লাভ নেই। আপনার সাথে আমার বিয়ে আল্লাহ্‌'ই ঠিক করে রেখেছেন। টেবিলে বসে থেকে রাত পার করেছিলাম আমি।
.
সকালে মা বললো। তোমার বাবার টাকা পয়সা নিয়ে তুমি অন্য কোথাও চলে যাও। এই বাড়িতে এরকম মেয়ে নিয়ে থাকতে পারবেনা। কিছু না বলে রুমে যাই। হুমাইরা কাঁদছে। বলারও কিছু নেই। আমি ভাবছিলাম যাই হোক ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তো আর বের করে দিবেনা। বন্ধুবান্ধবরা অনেক উপহার দিয়েছে আমাদের। দুদিন পর হুমাইরার বাপের বাড়ি যাই। দুদিন পরে মেয়েটার মুখে হাসি ফুটেছে। প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম হাসির। আমি অবশ্য হুমাইরাকে নামিয়েই চলে আসি। আসার সময় আমার দিকে তাকিয়েছিলো। চোখ দিয়ে বলছিলো। এখন না গেলে হয়না? আমি চলে এসেছিলাম। মা একটা কাজ দিয়েছিলো। এমনিতেই কত ঝড় তার উপর বিয়ে করেছি। এখন কথা না শুনলে!
.
পরেরদিন সকালে গিয়েছিলাম হুমাইরাকে আনতে। গরীব লোকেরা আদর সম্মান করতে জানে। টাকাওয়ালারা আভিজাত্য নিয়ে থাকে। হুমাইরার ছোট বোন আছে সে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। সন্ধায় ফিরবো ভেবেছিলাম। কিন্তু নতুন বিয়ে করা বউদের নাকি সন্ধায় বেরোনো মানা! আমি অবশ্য এসব মানিনা। যাহোক কি আর করা! সকালে হুমাইরাকে নিয়া বাড়িতে ফিরি। বাবার নামের সুবিধার্তে চাকরীও হয়ে গেলো। হুমাইরা চুপচাপ থাকতো সবসময়। আমি হুমাইরার কাছে গিয়ে কখনো ছোঁয়ার ইচ্ছেটুকু করিনি। আমার খুব ইচ্ছে করে হুমাইরার সাথে গল্প করার। একদিন অফিস থেকে ফিরে দেখি টেবিলে বসে কি পড়ছে যেন! আমার ভয় হচ্ছিলো। আমার লেখা কবিতা গুলোর মধ্যে চোখ যায়নি তো! যেই কথা সেই কাজ!
.
আমাকে দেখে থ হয়ে গেলো। দরোজাটা খুলা ছিলো। মা মনে হয় বাহিরে গেলো মাত্র এজন্য। আমি বললাম। কি পড়ছো? হুমাইরা নিচের দিকে তাকিয়ে ছোট্ট করে বললো কবিতা! আমি তখন লজ্জায় লাল। অস্ফুট স্বরে বললাম। আর কিছু পেলেনা? এমনিই ছোট বেলায় অবসর সময় পার করার জন্য লিখতাম। হুমাইরা মুচকি হেসে বললো। আমার তো ভালই লেগেছে। তবে কলেজে পড়ার সময় আপনি মনে হয় ছোট ছিলেন না! আপনি ফ্রেশ হোন আমি শর্বত আনছি। আমি এখনো দাঁড়িয়েই আছি। এরকম হাঁটুভাঙ্গা কবিতাও কারো ভাল লাগে! শর্বত দিয়ে মায়ের কাছে চলে গেলো হুমাইরা। সারাদিনই হুমাইরাকে মা অপমান করে তবুও মায়ের কাছেই যায়। কেনো আমি বোঝিনা!
.
আমি জিজ্ঞেস করলে বলে। বকাঝকা তো মা'ই করবে। মারধর তো আর করেনা। আমি এসব কানে নেইনা। আর কে আছে যে বকবে? আমি তখন হুমাইরার কথার উত্তর খোঁজে পাইনা। দুটো জিনিষ হুমাইরা কখনো ভুল করেনা। এক মায়ের সেবা। দুই আমার সেবা। জানিনা কেন তবুও মা হুমাইরাকে দেখতে পারেনা। হুমাইরা শুধু বলে। আপনিই তো বলেন কপালে যা আছে তাই হয়। সেটা নিয়েই চলতে হয়। আমি কখনো হুমাইরার উপরে রাগি না। হুমাইরার মতো মেয়ের উপরে রেগে থাকা যায়না। তবুও যখন মন খারাপ হয় তখন আলাদা থাকতে ভাল লাগে। হুমাইরাও আমাকে কিছু বলেনা । চুপ করে বসে থাকে। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় ঝগড়া করি একটু।
.
কিন্তু হুমাইরা কখনো ঝগড়া করেনা। ঝগড়া দূরের কথা আমি রেগে গেলেই আর কথা বলেনা। চা কিংবা শর্বত বানিয়ে হাতে ধরিয়ে দিয়ে গিয়ে রুমে চুপ করে বসে থাকে। আজকে দেখলাম খুব জ্বর। ঔষধ এনে খাইয়েছি। জানি মা কখনোই হুমাইরার কাছে আসবেনা। অফিস থেকে ছুটি চেয়ে নিয়েছি। বিছানা থেকে উঠতে চাইলো। আমি বললাম। উম না একদম না। যতক্ষণ পর্যন্ত জ্বর না কমবে তুমি বিছানা থেকে উঠবেনা। নিজের অজান্তে হুমাইরার হাতটা ধরে ফেলেছিলাম। তাই হাতটা ছুটাতে চাইছিলাম। হুমাইরা ছাড়ছেনা। আমার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখে পানি টলমল করছে। আমি চোখের পানি মুছে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে গেলো।
.
সকালে চা খেতে খেতে খবরের কাগজ পড়া আমার অভ্যাস। কি যেন ভেবে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালাম। মুহুর্তেই মধ্যেই হুমাইরা এসে জড়িয়ে ধরলো। আমি অবাক হয়ে গেলাম। যে মেয়ে চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেনা সে আজ আমাকে নিজে থেকে জড়িয়ে ধরেছে! অবাক কান্ড! বুঝতেছিলাম না কি হয়েছে। খারাপ লাগছেনা জড়িয়ে ধরে আছে। বললাম কি হয়েছে? হঠাৎ এতো খুশি? হুমাইরা বললো। আজকে আমি অনেক খুশি। আমি বললাম। বোঝলাম খুশি কিন্তু কেনো? হুমাইরা বললো। মা আমাকে আজ বউমা বলে ডেকেছে। বুকে টেনে নিয়েছে। আমার কথাটা বিশ্বাস হলোনা। বললাম। সত্যিই? হুমাইরা মাথা নাড়িয়ে বললো হুম। আমি আর কিছু বললাম না। আজকে হুমাইরার খুশির দিন!
.
গল্প করার স্বাদ মিঠলেও হুমাইরার সাথে ঝগড়া করার ইচ্ছেটা এখনো মিঠেনি। তাই আজ ঝাড়ি দিলাম সকালে ঘুম থেকে উঠেই। যদিও হুমাইরার কোন দোষ নেই। অকারণেই! শার্ট, ঘড়ি আর চা সঠিক সময়ে জায়গা মতোই আছে। চুপ করে বসে আছে। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করলাম। হুমাইরা রুম থেকেই বের হলোনা। নাহ মেয়েটা ইতিমধ্যে কান্না করা শুরু করে দিয়েছে নিশ্চিত। নাস্তা করে আবার রুমে গেলাম। হুমাইরা নিচের দিকে তাকিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললো। কি করেছি আমি? আমি মেয়েটার কালো মুখ আর দেখতে পারছিলাম না! বললাম। তুমি কিছু করোনি। ইচ্ছা করে ঝাড়ি দিয়েছিলাম। ঝগড়া করবো বলে। তুমি যে অতিরিক্র লক্ষী তাই ঝগড়া করা হবেনা। সরি। হুমাইরা আমার দিকে তাকিয়ে হাসি দিয়ে কাছে এসে দাঁড়িয়ে বললো। তাই যদি হয় তাহলে চোখের পানি মুছে দিন। পরে ঝগড়া করছি। আমি বললাম অফিসের সময় হয়ে গিয়েছে। যাই রাতে ঝগড়া হবে? হুমাইরা মুচকি হসে বললো। মনে থাকে যেন।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ