_____বন্ধুত্ব....
-
হঠাৎ এফবিতে ডুকে দেখি সবাই ভালোই আড্ডা দিচ্ছে। আমাদের ডিপার্টমেন্টের একটা আড্ডা গ্রুপ আছে মেনেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট ২০১৬ নামে।
ওইটার মধ্যে যত প্রয়োজনীয় খবরাখবর আছে সবই পাওয়া যায়।
তবে আড্ডাই বেশি হয়।
সবারই হাস্যকর nick. নাম দেওয়া আছে।
এর মধ্যে এক জনের নাম জ্ঞান বাবা।
তার জ্ঞান এতটাও বেশি না যে,সে জ্ঞান বাবা হবে,তবে মজা করেই সবাই জ্ঞান বাবা বলে।
তাই আমি ও জ্ঞান বাবা ই বলি।
আমি একটু মজা করেই ম্যাসেজ করলাম,হায় জ্ঞান বাবা...
সাথে সাথে আমার inbox এ এসে বলল,সবাই জ্ঞান বাবা বলে তাই বলে কি তোমাকেও বলতে হবে??
আমি একটু অবাক হয়েই বললাম,কেন সবাই বললে সমস্যা নাই।তবে আমি বললে কিসের সমস্যা?
ও বলল,আর যাই বলো না কেন,তুমি অনতত জ্ঞান বাবা বলোনা।
আমি বললাম,আরে আমি বললে সমস্যাটা কই??
আছে,বহুত সমস্যা।যা তোমাকে বলে বুঝাতে পারবোনা।
যাই হোক,ভবিষ্যৎ এ একদম ই জ্ঞান বাবা বলবানা।মনে থাকবে??
আমি বললাম, হ্যা জ্ঞান বাবা,মনে থাকবে।
কি আবারো???
আবারো কি জ্ঞান বাবা??
পরে মনে হয় রাগ করছে,তাই বলল,ফাজিল মেয়ে আমাকে আর ম্যাসেজ ই করবানা।
আমি বললাম,ওক্কে জ্ঞান বাবা।
পরের দিন কলেজে গেলাম।
যাওয়ার পর দেখি মোটামুটি সবাই এসে পড়েছে।
আমাকে দেখেই সবাই আমার দিকে ভুত দেখার মতো করে তাকাচ্ছিল।
অনেকে তো গাল টিপে টিপে হাসছিলো ও।
আসি পুরাই বিপাকে পড়ে গেলাম।
লজ্জা লাগছিল খুব।
আজকে কেন জানি কলেজের পরিচিত বন্ধু বান্ধব গুলো কে ও অপরিচিত লাগছে।
যাই হোক ডিপার্টমেন্ট এ ডুকে একটা বেঞ্চিতে বসে পড়লাম।
তখন ই পিছন থেকে সজিব ডেকে বলল,কিরে রিদি আজকে রিয়াদ আসবেনা??বলা রাখা ভালো,রিয়াদই জ্ঞান বাবা।
আমি একটু অবাক হয়ে বললাম,সে কথা তুই আমাকে কেন জিঙ্গাসা করছিস??
রিয়াদের বাসা কি আমার বাসার সাথে, নাকি ওর সাথে আমার রোজ কথা হয়??
কথাটা শুনেই সজিব একটু ভাব নিয়ে বলল,কেন হয়না বুঝি??
মানে??কি বলতে চাচ্ছিস তুই?
সজিব বলল,না রে কিছুই না।
তবে তুই কি কিছুই বুঝিস না,নাকি বুঝে ও না বুঝার ভান করিস??
সজিবের কথাগুলোতে কেমন জানি রহস্যের গন্ধ পাচ্ছিলাম।
তবে কথা না বাড়িয়ে রেগে ডিপার্টমেন্ট থেকে ই বেড়িয়ে পড়লাম।
পরে সোজা বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় আসতেই রিয়াদের কল আসলো।
রিসিভ করতেই বলল,কি ব্যাপার রিদি,তুমি আজ কলেজে যাও নি??
যাবো না কেন,গিয়েছিলাম।
তবে চলে আসলে যে?তোমাকে কলেজে গিয়ে পেলাম না?
আমি বললাম,এমনি ভালো লাগছিল না তাই বাসায় চলে আসছি।
একটু মেজাজ দেখিয়ে বলল,ও গুড।
আমি ও বললাম,জ্বি।কিছু বলবেন??
বলার ইচ্ছে ছিল,কিন্তু বলবো না।
আমি বললাম,কেন?কেন??কেন???
তখন বলল,তুমি আমাকে আপনি করে কেন বলো??
আমাকে কি অপরিচিত মনে হয় নাকি??
আরে ভাই আপনাকে অপরিচিত মনে হওয়ার কি আছে?.
আর আপনি বললেও সমস্যা,জ্ঞান বাবা বললেও সমস্যা।
সব সমস্যা কি আমাকে ঘিরেই নাকি??
আপনার মূল সমস্যাটা কি আমি জানতে পারি??
আর কলেজের সবাই আপনাকে জড়িয়ে আমাকে এমন অদ্ভুদ প্রশ্ন কেন করে??
রিয়াদ বলল, তা আমি কি জানি??এইটা ওদের জিঙ্গাসা করো।
ওকে ওকে।ওদের কেই কাল কলেজে গিয়ে বাঁশ দিবো।
এখন আপনি ফোন রাখেন।
বলেই কল টা কেটে দিলাম।
মনে হচ্ছে যেন হাঁফ ছেড়ে বাচঁলাম।পরে রাতে এফবিতে ডুকেই দেখি গ্রুপের ম্যাসেজগুলো যেন আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে।কার আগে কে সামনে আসবে।
কোন কাজ নাই।তাই বসে বসে ম্যাসেজগুলো পড়তে লাগলাম।
এর মধ্যে সজিবের একটা ম্যাসেজে চোখ আটকে গেল।
ম্যাসেজ টা ছিল এই রকম যে,জ্ঞান বাবা,আর যাই করো না কেন,শুভ কাজে কিন্তু দেরি করা মুটেই ঠিক না।
তখন ফারিয়া ও সজিবের কথায় সায় দিয়ে বলল,যখন চোখের সামনে দিয়ে কেউ রিদি কে নিয়ে নিবে,তখন বুজবা মজনু, হারানোর ব্যথা।
আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না,মূল ব্যাপার টা কি।
কাউকেই আর কিছু ই বললাম না।
সারা রাত আর ঘুমাতেই পারলাম না।সবাই আমাকে অন্ধকারে রেখে আমাকে নিয়েই এত সমালোচনা??
খুব রাগ হচ্ছিলো সবার উপর।ভাবলাম তবে কি কলেজেই যাবোনা?
পরে যাই হোক,মশার সাথে রাগ করে,মশারি পুড়ানোর মতো বোকা আমি নই।
তাই খুব ভেবে একটা পাল্টা জবাব বের করলাম।
তারপর ঠিক তিনদিন পরে কলেজে গেলাম।
এর ভিতর এফবিতে ও যাইনি।ফোন এ অফ ছিলো।
আমি কলেজে ডুকতেই সবাই আমাকে এমন ভাবে ঘিরে ধরলো এবং এত এত প্রশ্ন করছিল যে,মনে হচ্ছিলো আমি কোন খুনের আসামী আর অনেক দিন পর ওরা আমাকে ধরতে পেরেছে।
আমি সবাই কে থামিয়ে দিয়ে বললাম,আগে আমাকে বলতে দে।
না হলে জানবি কি করে?
আসলে হঠাৎ-এর মধ্যে আমার কাজিনের সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
ওরা কাল ই আমাকে রিং পড়িয়ে রেখে গেছে।
তোদের বলার মতো সময় বা সুযোগ হয়ে উঠেনি।
আর মা ফোন টা ও নিয়ে নিয়েছিল।
বিয়ে ই পড়িয়ে ফেলতো,তবে সামনে আমার পরীক্ষা তাই বলল,পরীক্ষার পর একেবারে ওদের বাসায় নিয়ে যাবে।
হাতের রিং টা দেখিয়ে বললাম সবাই কে।
আমার এমন খবর শুনে কেউ যে খুশি নয় তা আমি ঠিক ই বুঝেছি।
তখন সজিব পিছন থেকে বলল,সালা হঠাৎ কোথা থেকে এসে বাজিমাত করে দিলো?আমাদের পরানের বন্ধুর বাড়া ভাতে ছাই দিল।
আমি বললাম,ঠিক বুঝলাম না সজিব?
কিছুনা।
যাই হোক।তোর স্বামীকে নিয়ে আসলিনা??
স্বামী কে?? হুম নিয়ে আসবো তো তবে অন্যকোন দিন।
মনে মনে ভাবলাম,আরে স্বামী পামু কই??
আগে তো রিয়াদের থেকে মুক্তি পাই।পরে সব সত্যিই বলে দিবো।
-
তারপর থেকে রোজ কলেজে যেতাম।ক্লাস করতাম।
তবে কেন জানি আগের মতো সবার সাথে মিশতে পারতাম না।
মনে হতো সবাই কেমন জানি আমাকে পর পর করে দিয়েছি।
তা ও কিছুই করার নাই।
-
ওইদিনের পর থেকে কেন জানি রিয়াদ কলেজে আসা বন্ধ করে দিলো।
৪-৫ দিন হয়ে গেলো সবাই কলেজে আসে শুধু রিয়াদ ছাড়া।
কাউকে যে জিঙ্গাসা করবো তাও সাহস করতে পারছিনা।
তাই আর না ভেবে রিয়াদ কে কল করেই ফেললাম। কিন্তু ওর ফোন টা বন্ধ।
কেমন জানি অস্থির অস্থির লাগছিলো।
আর পারছিলাম না রিয়াদের সাথে কথা না বলে থাকতে।
কি যে করি?
কোন উপায়ান্তর না পেয়ে বিকেলে গেলাম রিয়াদের বাড়ি।
দরজায় অনেকবার নক করার পর রিয়াদ এসে দরজা খুললো।আগেই বলে রাখা ভালো রিয়াদ একা ফ্লাটে থাকতো।
ওর বাবা মা গ্রামে থাকে।
রিয়াদ দরজা খুলে আমাকে দেখে এমন ভাবে হাসি দিলো,মনে হচ্ছিলো ও আমাকে দেখে অনেক খুশি।কিন্তু এতে অন্য রকম কোন বাধাঁ আছে।তাই মন খুলে হাসতেও পারছেনা।
আমি বললাম,বাহিরেই দাড় করিয়ে রাখবে??
ঘরের ভিতরে যেতে বলবেনা??
ও হুম।অবশ্যই।
ভিতরে আসো।
আমি ভিতরে গিয়ে রিয়াদের খাটের উপর বসলাম।
আমি বললাম,কি ব্যাপার?কলেজে ও যাওনা।ফোন অফ।কেন যোগাযোগ সব অফ করে দিবা নাকি?
একটা হাসি দিয়ে বললো,তা করতে পারলে তো বাচিঁ।
মানে??
মানে কিছুনা।বসো আমি চা করে আনছি।
রিয়াদ আমাকে বসিয়ে রেখে চা করতে গেলো।
রিয়াদ খুব শুকিয়ে গেছে।
কেমন জানি অগুছালো ছেলেদের মতো হয়ে গেছে।ঘরটা ও অগুছালো।
আমি বুঝতে পারছি কেন এমন হয়েছে।তবে প্রকাশ করিনি।
রিয়াদ চা করতে গেছে।এই সুযোগে আমি ওর রুমটা গুছাচ্ছিলাম।
বালিশ টা সরাতেই একটা ডাইরি চোখে পড়লো।আর একটা ছবি।
ছবিটা হাতে নিয়ে দেখি আমার ছবি।
আর ডাইরিটা এখানে পড়া সম্ভব না।
তাই ব্যগে ডুকিয়ে নিলাম।
পরে সমস্থ রুম গুছিয়ে,অনেক গল্প করে অনেকক্ষণ পর বাসায় চলে আসলাম।
-
বাসায় এসেই ডাইরিটা পড়তে লাগলাম।
প্রথম পাতায় লিখা ছিল",সম্পূর্ন ব্যক্তিগত,দয়া করে কেউ পড়বেন না"
আরে কে শুনে কার কথা।
খুলে পড়তে লাগলাম।
-
১-১২-২০১৫
আজকেই আমাদের কলেজের প্রথম দিন।
খুব স্মার্ট হয়ে কলেজে গেলাম।কারন আজকে কত সুন্দরী সুন্দরী মেয়ে আসবে।ছোট বেলা থেকেই খুব ইচ্ছে ভার্সিটি লেবেলে গিয়ে একটা রিয়েল প্রেম করবো।তারপর ওরে বিয়ে করবো।
কত মেয়ে আসলো আজকে,তবে কেন জানি চোখ আটকে গেলো সেই চশমা ওয়ালীর উপর।
মেয়েটার হাসিটা অস্থির।চশমার উপর দিয়ে কেমন করে জানি তাকায়।
চোখের চাহনিতে অনেক কিছু আছে।
মন কেড়ে নিল সেই চাহনি।
কিন্তু নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর কিছুই তো জানিনা।
যেভাবেই হোক এই অস্থির চোখ জোড়া আমার দিকেই দাবিত করতে হবে।
এই চোখ জোড়া শুধু আমাকে ই দেখবে,আর কাউকে না।
কিন্তু কিভাবে??
অনেক ভেবে চিন্তে ঠিক করলাম,আগে বন্ধুত্ব করবো।পরে প্রোপোজ করবো।
২-২-১৬
আজকে মনটা অনেক ভালো।আজকে আমার রিদির সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেছে।
তবে মেয়েটি কেমন জানি।
এত বুঝানোর চেষ্টা করি আমি যে ওরে ভালোবাসি , তাও সে বুঝেনা।
সব বন্ধুদের দ্বারা এত বুঝাই,সালী তাও বুঝেনা।
-
সালী??
লেখাটা পড়েই রাগ হলো।
সালা আমাকে পছন্দ করে,আবার সালী ও বলে।
যাই হোক পড়া শেষ করি।
কিন্তু পরে অনেক গুলো পাতা বাদ দিয়ে লিখছে।
আজকে আমার মনটা অনেক খারাপ।
এত চেষ্টা করে ও রিদিকে বুঝাতে পারলাম না।
রিদির বিয়ে ঠিক হয়ে গেল।
পারবোনা রিদি কে অন্যের বউ হতে দেখতে।
কলেজে গিয়ে রিদি কে দেখলেই এখন ভিতর টা জ্বলে পুড়ে যাবে।এইটা ভেবেই ভিতর টা কেপেঁ উঠে,রিদিকে আর চাইলেও পাবোনা।রিদি এখন অন্য কারো।
তাই ভেবে ঠিক করলাম,আর কলেজেই যাবো।
তবেই আর রিদি কে দেখতে হবেনা।
পড়াশোনা তো আর ছেড়ে দিতে পারবোনা।
অন্য কলেজে টান্সফার নিবো।
যাতে করে রিদির থেকে দূরে যেতে পারি।
লিখাটা পড়ে নিজের অজান্তেই দুফোঁটা জ্বল গড়িয়ে পড়লো চোখ দিয়ে।
এত ভালোবাসে আমাকে??
তাও আমি বুঝে ও না বুঝার ভান করি??
আর কষ্ট দিবো না রিয়াদ কে।
কিন্তু কি করে বলবো আমি এখন??
তাড়াতাড়ি কল করলাম সজিব কে। বললাম রিয়াদ আমাদের ছেড়ে অন্য কলেজে চলে যেতে চায়,এখন ওরে আটকানোর উপায় বের করো।কিন্তু আমি ও যে রিয়াদ কে ভালোবেসে ফেলেছি বা আমার বিয়ের ব্যাপারটা যে মিথ্যা তা সজিব কে বললাম না। তবে বললাম,কোন একটা উপায় বের করো।
সজিব বলল,তুমি চিন্তা করোনা।
আমরা সবাই কিছুনা কিছু পথ বের করবোই।
তুমি শুধু আমাদের কথা মত কাজ করবা।
ঠিক আছে বলেই কল কেটে দিলাম।
খুব অসস্থি লাগছিল।
কেন জানি রিয়াদ কে ছাড়া নিজেকে নিঃস্ব মনে হচ্ছিল।
প্রতিটা মিনিট হাজার মিনিটের মতো লাগছিল।
পরের দিন সজিবের কথা মতো আমি চলে গেলাম কলেজে।
কলেজে গিয়ে দেখি মোটামুটি পার্টির আয়োজন।
ডিপার্টমেন্ট এর সব বন্ধুরা আসছে।শুধু রিয়াদ ছাড়া।
আমি বললাম,কিরে সজিব রিয়াদ কই??
সজিব একটু ভাব নিয়ে বলল,রিয়াদের কি দরকার??
আমরা সবাই তো আছি ই।
মেজাজ টা গেল গরম হয়ে,মানে কি??
তোদের কাছে সাহায্য চাওয়াটাই কি ভুল হইছে??
সজিব বলল,তুকে তো রিং পড়িয়ে রাখছে,তবে রিয়াদ কে দিয়ে কি করবি??
রিয়াদ কে ওর মতই থাকতে দে।
ওর পুড়া গায়ে আর লেবুর রস দিয়ে কি করবি বল??
ওই তুই চুপ করবি??
নাকি তোর কানের নিচে একটা দিমু সয়তান?
কে বলছে তোরে আমার বিয়ে ঠিক??
ওইটা একটা নাটক মাএ।যাতে রিয়াদ আমাকে না বিরক্ত করে।
সজিব বলল,তবে তো হলোই।
রিয়াদ কলেজ ছেড়ে চলে যাবে,তোরে আর জ্বালাইবো না।
দূর আমি ও আজকের পর কলেজেই আসবো না।
সজিব বলল,তুই কেন কলেজ ছেড়ে চলে যাবি??
কারন আমি রিয়াদ কে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি।পারবোনা ওরে ছাড়া একা এই কলেজে পড়তে।তার চেয়ে ভালো কলেজেই আসবোনা। বলেই নিচে নেমে যেতে নিবো,ঠিক তখনই কেউ একজন হাত টা টেনে ধরলো।
ঘুরে তাকিঁয়ে দেখি রিয়াদ।
আমাকে বলল,কোথায় যাচ্ছিস??
আমাকে একা রেখে?
পারবি আমাকে ছাড়া থাকতে??
আমি প্রায় কেদেঁই দিলাম।
সাথে সাথে মাথা টা বুকে টেনে নিয়ে বলল,পাগলি রে আমি ও যে তুরে অনেক বেশি ভালোবাসি।সেই কলেজের প্রথম দিন থেকেই।
কিন্তু চেষ্টা করেও বুঝাতে পারিনি।
আমি আর কিছুই না বলে চুপটি করে দাড়িয়ে রইলাম।
সজিব পেছন থেকে এসে বলল,ভাবলি কি করে রে রিদি, তোদের ভালোবাসা এত সহজে হেরে যেতে দিবো।
সবাই খুব কাঠ খড়ি পুড়িয়ে আজকে রিয়াদ কে কলেজে এনেছি,আর নানা কৌশলে তোর মুখ থেকে সব সত্যি বের করেছি।
রিয়াদ তখন সজিব কে জড়িয়ে ধরে বলল,ভুলবোনা কখনই তোদের এই ঋণ।
বাকিরা সবাই পিছন থেকে ঘিরে ধরে বলল,ঋন সুদের কথা বাদ দে পার্টি কবে দিবি বল।
না হলে কিন্তু যত কাঠ খড়ি পুড়িয়ে মিল করিছি,তেমনি ভেঙে দিবো হুমমম।
কি বললি সালারা...
বলেই সবাই কে দৌড়াতে লাগলো রিয়াদ।
আমি সেখানেই ঠাঁয় দাড়িয়ে রইলাম।
একটু পর রিয়াদ পেছন থেকে এসে বলল,ডাইরি টা কি তোমার কাছেই রেখে দিবে নাকি ফেরত পাবো??
-আমি বললাম,কেন ওই ডাইরিতে নতুন কোন রিদির ব্যাপারে লিখবা নাকি??
হুম।লিখবো তো,না হলে নতুন রিদিকে পটাবো কি করে??
কি বললে,বলেই রিয়াদের বুকে কয়েক টা কিল ঘুষি বসিয়ে দিলাম।
রিয়াদ ও আমাকে শক্ত করে ধরে রাখলো।
-
Ha ha Happy Eneding.....
-
লিখাঃতানিয়া...
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§¨ā§Š āĻ āĻ্āĻোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
3547
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧧⧍:ā§Ēā§Ļ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ