āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3470

গল্পঃ বিচ্ছেদ
.
' ও মা শোননা ' বলিয়া মায়ের হাতদুটো ধরিয়া  বসিল আখি। আখির মা বলিলেন ' কি বলবি? ' আখি মাথা নাড়িয়ে বলিল ' আমাকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দিতে তোমাদের এত তাড়া কেন? ' এই কথা শুনিয়া আখির মা ক্ষুদ্র হাসিলেন তারপর বলিলেন ' নারে মা মেয়ে হয়ে জন্ম নিলে একদিন পরেরবাড়ি তো যেতেই হয় ' আখি চোখ মুছিতে লাগিল নিজের কিন্তু বাস্তব্য তাহার চোখে পানিমাত্র ছিলইনা। বলিল ' মা আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবনা ' আখির মা আখির মাথায় হাত রাখিয়া বলিলেন ' যখন ইচ্ছে আমার কাছে চলে আসবি। বেশী দূর তো আর নয় ' আখি কাঁঠাল দাগ মুখ বাঁকা করিয়া বলিল ' মা আমি ঐ ছেলেটাকে বিয়ে করবনা ' আখির মা অবাক হইলেন। বলিলেন ' কেন? শান্ত ছেলে। পড়াশোনা জানে। দেখতেও মাশাল্লাহ। তোর কেন অপছন্দ? ' আখি ভাবিতে থাকিল এই প্রশ্নের জবাবসূচক উত্তর কি দিবে? বলিল ' আমি অত কিছু জানিনা ' এই কথা বলিয়া ঘর হইতে বাহির হইয়া গিয়াছে আখি। আখির মা চিন্তায় পরিয়া গিয়াছেন। বাড়ির কর্তা বাড়িতে আসিলে তার সাথে বসে আলাপ আলোচনা করিতে বসিলেন। বিবাহ ভাঙ্গিয়া দেয়াটা বেশ জটিল ব্যাপারও বটে। তবুও তাহারা যথাসাধ্য চেষ্টা করিলেন। কিন্তু ফলাফল অপরিবর্তিতই থাকিল। আখি কাঁদিয়া কাঁদিয়া তার শোবার ঘর ভাসাইয়া দেয়। বিবাহ ভাঙ্গিবার কোন কার্যই স্থির হইলনা। যাহা হইবার ছিল তাহাই হইবে। শানাই বাজিয়া উঠিল। বাড়ির চতুরংশ রঙিন বাতি জ্বালাইয়া আলোকিত করিয়া তুলিল। আখি শুনিয়াছিল পাত্র লেখক মানুষ। পাশাপাশি তাহার ব্যাবসাও রহিয়াছে বটে। গভীরতর সত্য ইহা যে পাত্রও বিবাহ করিতে নারাজ। আখিকে বিয়ের সাজে সাজিতেই হইল। পাত্র সাহেবকেও পাঞ্জাবি পরিতে হইল। কাঙ্ক্ষিত ঘটনাস্থলে তাহারা এখন বাসর ঘরে অবস্থান করিয়াছে। সাধারণত মেয়েরা বাসর ঘরে কাঁদিয়া বুক ভাসাইয়া দেয় না। চোখের কোণে হয়ত চোখজল রয়। কিন্তু আখি কাঁদিয়াই যাইতেছে কাঁদিয়াই যাইতেছে। কান্নার তেমনতর আওয়াজ শোনা যাইতেছিলনা। ফয়সাল বাবু ভয়ে আর তার নবযৌবনা বধূর কাছে আসিলেন না। বালিশবিহীন সোফায় নিদ্রাবৃত হইবার চেষ্টা করিলেন। আখির মাত্র কান্না থামিল। নিজের প্রতি হিংসে হইতেছে তাহার। ভাবিতে লাগিল আমি কি দেখতে সুন্দরী নই? আমার পাশাপাশি আসিলনা কেন? অতকিছু মাথায় লইয়া ঘুমাইতে চেষ্টাকরণ করিয়াছে আখি।
...
নতুন ভোর হইয়াছে। সকালের সূর্য উঠিয়াছে। পাড়াপড়শি ভিড় লাগিয়েছে নববধূককে দেখিতে। আশ্চর্যজনক হইলেও ইহা সত্য যে নববধূর সাথে ফয়সাল বাবুর এখনো কোনপ্রকার কথাবার্তা হইয়া উঠেনি। কোন মহাজ্ঞানী বলিয়াছিলেন যে একটি দেশ চালানোর চেয়ে একটি সংসার চালানো কঠিন। কথাটি হারে হারে সত্য। কিছুদিন পার হইল। তবুও ফয়সাল বাবুর কোনধরনের পরিবর্তন লক্ষ করিতে পারিলনা আখি। সাহস করিয়া বলিয়াই ফেলিল ' সমস্যা কি আপনার বলবেন? মেয়ে মানুষদের মত এত লুকিয়ে লুকিয়ে থাকেন কেন? ' এই কথা শুনিবার জন্য প্রস্তুত ছিলইনা ফয়সাল বাবু। বলিলেন ' আপনার মত আমিও বিয়ে করতে ইচ্ছুক ছিলামনা। ' আখি ডেবডেব করিয়া তাকাইয়া রইয়াছে। ফয়সাল বাবু বাড়ির সামনের পুকুরপাড়ে যাইতে লাগিলেন। পুকুরে কেবলমাত্র ফয়সাল বাবু ছাড়া অন্য কারোরি গোসল করিতে আসা হইয়া উঠেনা । ফয়সাল বাবুর প্রিয় একটি জায়গা এই পুকুরপাড়। পুকুরপাড়ে বসিয়া ফয়সাল বাবু গল্প কবিতা উপন্যাস লিখিয়া তার ডায়েরীতে জমাইয়া রাখেন। কিছু বইও তার প্রকাশ পাইয়াছিল। এতেই তিনি অনেক জনচিনতা। অনেকেই একনামে চিনিয়া থাকে। আখির কিঞ্চিত রাগ হইয়াছে। ভাবিতে লাগিল এর জবাব দিবার হইবে। রাত্তিরে খাবার সময় ফয়সাল বাবুর বাসনে এক গাধা মরিচের গুঁড়া মিশাইয়া দিয়াছিল। ফলশ্রুতিতে ফয়সাল বাবুর পেট খারাপ করিল। বারবার তার বাথরুমে যাওয়া আসা করিতে হইতেছে। আখি আশ্চর্য হইল। কারণ ফয়সাল বাবু বুঝিয়াছিল যে কাজটা আখি করিয়াছে তবুও আখিকে কিছুই বলিল না! কিছু বলিবে দূরের কথা একটিবারের জন্য চোখ তুলিয়া তাকায়নি পর্যন্ত। হাফছেড়ে চৌকিতে শোয়ে রইয়াছে ফয়সাল বাবু। একেবারে পা তুলিয়া শোয় নি। কারণ আবার তাকে যাইতে হইবে। আখি পাশে বসিয়া নিচু গলায় বলিল ' সরি আমি বুঝতে পারিনি এতটা খারাপ হবে ব্যাপারটা ' কথা শুনিয়া ফয়সাল বাবু হাসিতে লাগিল। তারপর বলিল ' হাইরে বাঙ্গালী সরিটুকুও বাংলাতে বলতে পারেনা ' কথা শুনিয়া আখি কানে ধরিয়া দাঁড়াইয়া বলিল ' এই দেখুন কানে ধরে বলছি দুঃখীত ' ফয়সাল বাবু হাসিয়া হাসিয়া বলিল ' এ কিছুনা। ঘুমান তো আপনি ' আখি আর কিছু না বলিয়া শুইয়া পরিল। সারা রাত্তিরে বহুবার ফয়সাল বাবুকে বাথরুমের শরণাপন্ন হইতে হইয়াছিল। আর আখি বারবার নিজেকে বলিয়াছিল ' কেন যে এত মরিচের গুঁড়া দিতে গেলাম '
...
ফয়সাল বাবুকে ঢাকায় যাইতে হইবে। শহর হইতে চিঠি আসিয়াছে। লেখক সম্মিলনে তাহাকে যোগদান করিতে হইবে। সকাল হইতে কাপড়চোপড় গুছাইতেছে আখি। ফয়সাল বাবুর দূপুর বেলায় রওনা দিবার কথা হইয়াছে। গোসল করিয়া হাত মুখ ধুইয়া খাওয়াদাওয়া শেষ করিলেন ফয়সাল বাবু। হাতে ব্যাগপত্র লইয়া ফয়সাল বাবু বলিল ' যাচ্ছি তাহলে। দোআ করবেন আমার জন্য ' আখির চোখের কোণে পানি আসিয়া পরিল। বলিল ' বলছিলাম যে নিজের খেয়াল রাখবেন ঠিকমত। আর চিঠি দিবেন কিন্তু সময় মত ' এই কথা বলিয়া শেষ করিতে পারিলনা আখি। ওমনিই গাড়িচালক আসিয়া ডাকাডাকি শুরু করিয়া দিলেন। ফয়সাল বাবু রওনা দিয়াছেন। যাইবার পথে বারবার আখির মুখখানি চোখের সামনে  ভাসিয়া উঠিতেছিল। শহরের আসিয়া মনটা ক্ষাণিক ভাল হইয়া উঠিয়াছে ফয়সাল বাবুর। তাহার সবচেয়ে বেশী ভাল লাগিয়াছে এখানকার শ্রমিকদের দেখে। রেললাইনের পাশে মানুষ ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া দিন পার করিতেছে। ফয়সাল বাবুর ইচ্ছে হইয়াছিল নিষিদ্ধ পল্লীতি গিয়ে তাহাদের আত্মকথন শুনিবার। শহরে এক সপ্তাহ থাকিতে হইবে ফয়সাল বাবুর। কিছু রমণীদের দেখিয়া আকাশচুম্বী আশ্চর্য হইয়াছিলেন ফয়সাল বাবু। ফয়সাল বাবু বিবাহিত শুনিয়াও অনেকেই বিবাহের প্রস্তাব দিয়াছিলেন। এই সাত দিনে মাত্র দুইবার চিঠিতে কথা হইয়াছে আখির সাথে। বাড়িতে ফিরিবার সময় হইয়াছে ফয়সাল বাবুর। মাঝপথে আসিয়া লক্ষ করিয়াছিল ফয়সাল বাবু যে রঙিন মেলা হইতেছে। সেখানে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করিলেন ফয়সাল বাবু। কিছু কাঁচের চুড়ি ফয়সাল বাবুর চোখে পরিয়া যায়। কাঁচের চুড়িগুলো কিনিয়া আবারো গাড়িতে উঠিয়া বসিলেন। রাত পার হইয়া সকালের সূর্য উঠিবে এমন সময় বাড়িতে পা রাখিল ফয়সাল বাবু। গাড়ির শব্দ শুনিয়া শোবার ঘর হইতে দৌড়াইয়া বাহির হইয়া আসিল আখি। আনন্দে তাহার চোখে পানি আসিয়াছে। এক দৌড়ে ফয়সাল বাবুর বুকে নিজেকে আবিষ্কার করিল আখি। নিজেকে ধরিয়া রাখিতে পারিয়াছিলনা সেই মুহুর্তে। কিছুক্ষণ পর লজ্জা পাইয়া বুক হইতে মাথা সরাইল আখি। পাঞ্জাবির পকেট হইতে চুড়িগুলো বাহির করিয়া আখির হাতে দিতেই তাহার মুখের মাঝে চন্দ্রহাসি ফুটিল। ফয়সাল বাবু সেই দৃশ্য দেখিয়া আনন্দ পাইতেছিল। ক্ষাণিক পরে বলিল ' আমার ভীষণ ঘুম আর ক্ষিদে পেয়েছে ' আখি বলিল ' ভাত আছে কিন্তু তরকারি নেই। সমস্যা নেই আমি ডিম ভাজী করে দিচ্ছি আসুন '
...
কিছুদিন ধরিয়া দুজনার মতের অমিল হইতেছে। ছোটখাটো ঝগড়াও হইতেছে মাঝেমধ্যে। সংসার যতই লম্বা হইতে থাকে '' ভাল লাগে না " রোগটা ততই নিকটে চলিয়া আসিতে থাকে। কিছুদিন গত হইবার পরে বাঁধিল এক তুমুলঝগড়া। ঝগড়াটা এতই গভীরতম হইয়াছে যে তাহারা আলাদা হইবার সিদ্ধান্ত নিয়াছে। এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিবে একথা কেহ চিন্তাও করিতে পারিয়াছিলনা। নিকটতম কাজীর শরণাপন্ন হইয়াছে দুজনে। আরো কিছুদিন গত হইবার পর দুজনে আলাদা হইয়াছে! মানুষের রাগ যখনি তীব্র পর্যায়ে উঠিয়া যায় তখন সাধারণ জ্ঞান মাথায় ধরিবে না। মানুষ নেশার ঘোরে খুনও করিবার পারে আবার সজ্ঞানেও খুন করিবার পারে। মানুষের সবচেয়ে বড় দুশমন হইল রাগ। সকাল হইলে ফয়সাল বাবু কাঁদিয়া কাঁদিয়া বুক ভাসাইয়া ফেলিয়া চিঠি লিখিয়া বড় যত্ন করিয়া রাখিয়া দেয়। চিঠি পাঠাইবার সাহসটুকু ফয়সাল বাবু পাইয়া উঠেনা। আখি প্রতিদিন বাড়ির দারোয়ানের সামনে যাইয়া হাটাহাটি করিয়া ক্লান্ত হইয়া যায়। দারোয়ানের মুখের দিকে তাকাইয়া রয় এই কথা শুনিবার জন্যে যে ' আপা একটি চিঠি এসেছে আপনার নামে। ' দিন পার হইয়া যায় মাস হইয়া যায় চিঠি আসিয়া পৌঁছিবার কোন নামগন্ধই নাই। হঠাৎ করিয়া একদিন ফয়সাল বাবু ঠিক করিলেন আখির উদ্দেশ্যে রওনা দিবার। সাজ সকালে কিছু না খাইয়া পকেটে পঁয়ত্রিশ টাকা লইয়া ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করিতে লাগিলেন। নির্দিষ্ট সময় গত হইবার পর ট্রেন আসিয়া থামিল। ফয়সাল বাবু ট্রেনে উঠিয়া ভাবিতে লাগিলেন তাহার আর কিছু দরকার নাই আখিকে তাহার লাগিবেই। সমাজতন্ত্র সমাজতত্ত্ব কিছুই ফয়সাল বাবু বুঝিতে চাহিলনা। আখির বাবার বাড়ির সামনে দাঁড়াইয়া রইয়াছে ফয়সাল বাবু । অনেক দিন আগে আসিয়াছিল তাই দারোয়ান চিনিতে পারিলনা। অনেক্ষণ সময় গত হইবার পরে দারোয়ান আসিয়া জিজ্ঞেস করিলেন ' কি চান এখানে? অনেক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছেন দেখছি ' কথা শুনিয়া ফয়সাল বাবু উত্তরে কি বলিবে বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছে না। বলিল ' আমি একজনের সাথে দেখা করতে এসেছিলাম। রহমতপুর থেকে এসেছি ' দারোয়ান বরহমপুর জায়গার কথা শুনিয়া আশ্চর্য হইলেন। দারোয়ান জানিয়াছিল যে আখি আপার শ্বশুরবাড়ি রহমতপুর! দারোয়ান দৌড়াইয়া যাইয়া আখির কাছে খবরটা পৌঁছাইয়া দিয়াছে। খবরটা আখি শুনিয়া পাহার তুল্য খুশি হইয়াছে। পাশাপাশি বুকের ভীতর ধুপধুপও তাহার করিতেছে। তাড়াতাড়ি বাড়ির গেটের সম্মুখে আসিল আখি। কাউকে দেখিতে পাইলনা। আরেকটু সামনে আগাইতেই আখির হৃদয়ের চাপ বাড়িতে লাগিল।
...
একজন মধ্যবয়স্ক লোক পিছনের দিকে তাকাইয়া রইয়াছে। কালো পাঞ্জাবি পরিয়া রইয়াছে। সামনের দিকে তাকাইতেই আখি দেখিল এই তো চিরচেনা মুখ। বরফের মত ঠান্ডা হইয়া দাঁড়াইয়া রইয়াছে আখি। ফয়সাল বাবু সামনে আসিয়া জিজ্ঞেস করিল ' কেমন আছ আখি? ' আখির মুখ হইতে কথা বাহির হইতেছিলনা। ফয়সাল বাবু কাঁদিতে লাগিল। সাহস করিয়া আখির হাতটাও ধরিয়া ফেলিল। ফয়সাল বাবু বলিল ' আমি দুনিয়ার কিচ্ছু জানতে চাইনা কিচ্ছু বুঝতে চাইনা। আমি শুধু তোমাকে চাই। তোমাকে নিতে এসেছি। যাবেনা আমার সাথে? ' আখি তাহার হাতটি ছুটাইল তারপর  দৌড়াইয়া বাড়ির ভীতরে চলিয়া গিয়াছে। ফয়সাল বাবু গেটের সামনে দাঁড়াইয়াই রইল। বাড়ির ভীতরে যাইবার কোন অধিকার তাহার নেই। সন্ধ্যা গড়াইয়া আসিতেছে। হাল্কা শীতও পরিয়াছে। হঠাৎ করিয়া আখি ব্যাগপত্র লইয়া বাহির হইল। সঙ্গে একটি চাদরও। ফয়সাল বাবুর সামনে আসিয়া বলিল ' কি ভাবছেন? কেন চলে এসেছি? মা বলে দিয়েছে জামাই ছাড়া যেন বাসায় না ফিরি। আর চাদরটা গায়ে জড়িয়ে নিন শীত পরেছে ' ফয়সাল বাবু হাসিল। ফয়সাল বাবু আখির হাতটি ধরিতে চাইল। আখি বলিল ' এত হাত ধরার ইচ্ছে তো এত পরে কেন? এতদিন পরে আমার কথা মনে পরল? আমি প্রতিদিনই আপনার চিঠির জন্য অপেক্ষা করেছি ' ফয়সাল বাবু আবারো হাসিল। কিছু বলিলনা। সন্ধার ট্রেন। হাল্কা হাল্কা শীত পরিয়াছে। একটাই কামড়া খালি রইয়াছে। আর দুজন। এক চাদরে  দুজনে বন্ধি হইয়া রইয়াছে। চাদরের নিচে আখির হাতটা শক্ত করিয়া ধরিয়া রইয়াছে ফয়সাল বাবু। আখি বলিল ' হাত ছাড়েন হুহ। এরকম আবহাওয়ায় কবিতা শুনতে ইচ্ছে করছে। তো লেখক সাহেব একটা কবিতা শুনাতে পারবেন? ' ফয়সাল বাবু আবারো হাসিল। বলিল ' জান তোমার হাতটা ধরে একটা কবিতা মাথায় আসল ' আখি খুশি হইয়া বলিয়া উঠিল ' তাই? বলেন বলেন ' ফয়সাল বাবু বলিতে লাগিল '  উপন্যাসে ডুবলে নিজেকে সাহিত্যিক মনে হয়... কবিতায় ডুবলে কবি ... গানে ডুবলে নিজেকে মিউজিসিয়ান মনে হয় ...আর তোমাতে ডুবলে মনে হয় আবারো সেই তোমার মাঝেই ডুবি... ' কবিতা শুনিয়া আখি বলিল ' এহহ পঁচা কবিতা। কিন্তু আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে ' |

Siam Ahmed Joy

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ