#তবুও
লেখা> Abir Hasan Niloy (পেত্নীর বর)
....
- আমি তোমাকে ভালোবাসি। (আমি)
-......... (মেয়েটি)
- সত্যিই ভালোবাসি..
-...........।
- তুমি কি ডিস্ট্রাব ফিল করছো??
-...........।
- আমি ভালোবাসি তোমাকে,,তোমার কি কিছুই বলার নাই?
-..........।
- হ্যা অথবা না বলো... এমন ভাব নিচ্ছো কেনো??
.
হুটটট করেই মেয়েটি পাশ কাটিয়ে চলে গেলো। আর আমি হাদারাম এর মত দাঁড়িয়েই রইলাম।
মেয়েটিকে আমি আজ তিনমাস হল ফলো করি। কখনও কারো সাথে মিসতে বা কথা বলতে দেখিনি।
একই ভার্সিটিতে পড়ি। তবে আলাদা আলাদা ক্লাস এ।
রোজ মেয়েটিকে দেখতে দেখতে কেনো জানি কিভাবে ভালোবেসে ফেললাম। ভালোবাসাটা কখনই হুট করে আসে না। এটা আসে প্রকৃতির রুপ বদলানোর মত সময় নিয়ে। যেখানে প্রকৃতি যেমন বদলানোর আগে তার আভা জানিয়ে দেয়,,তেমনি ভালোবাসাটাও মনের মধ্যে হতে গেলে ভালোলাগা,,অনুভব করার অনুভূতি থাকা লাগে।
তেমনি ভাবে আমিও মেয়েটিকে ভালোবাসি। সত্যিই অনেকটা ভালোবাসি। তকে গত কয়েকদিন ধরে মেয়েটিকে মনের কথা বলার জন্য ঘুরতেছি। কিন্তু পারিনি। আজ যখন বললাম তখন কিছু না বলেই চলে গেলো। আর মজার ব্যাপার হল নামটাও জানি না।
(পরেরদিন)
- এই যে মিস..(আমি)
-........ (হেটেই চলে যাচ্ছে। আমি দৌড়ে সামনে যেয়ে আটকালাম)
- এই যে মিস...ডাকছি না তোমাকে?
-.........
সোজা চোখের দিকে তাকালাম। মেয়েটিও আমার চোখের দিকে তাকিয়ে নামিয়ে নিল ওর চোখ। সেই চোখে লেগে আছে কেমন একটা সংকোচতা..
- আচ্ছা বাবা নামটা তো বলুন...?
-.....
- আরে ভালোবাসি বলে পাত্তা দিবেন না??
আজো মেয়েটি কিছু না বলেই চলে গেলো পাশ কাটিয়ে।
আর আমি নিরবে দাড়িয়ে মেয়েটির চলে যাওয়া দেখলাম।
রোজ মেয়েটিকে আমি একই টাইমে এখানে দেখি। সাথে কোনো বন্ধুও থাকে না। ভাবলাম বন্ধুদের সাহায্যে খোজ নিতে হবে।
(ফোন দিলাম বন্ধু নিরব এর কাছে)
- দোস্ত...তোকে না একটা মেয়ের কথা বলেছিলাম মনে আছে? (আমি)
- হুমম আছে..ঐ চুপচাপ মেয়েটি তো?
- হুমম তবে ওর সব ইনফরমেশন লাগবে আমার।
- ওক্কে দোস্ত..
.
বন্ধুর কাছে থেকে মেয়েটির খালি নামটাই জানতে পারলাম। নাম রিমি। কারো সাথে কথা বলে না।
(পরেরদিন)
- আজ বলতেই হবে কিছু...কারন আমি তোমাকে ভালোবাসি।
-.....
- দেখো তোমাকে ভালোবাসি বলে কি কথা বলবে না?
-......
- আমি কি দেখতে খুব খারাপ??
-....
আজো পাশ কাটিয়ে চলে গেলো... খুব রাগ হতে লাগলো। আরে বাবা ভালোবাসি বলে কি এতটা অবহেলা সহ্য করতে হবে??
(পরের দিন)
""আজো দাড়িয়ে আছি সেখানে কিন্তু মেয়েটির কোনো খোজই পেলাম না আজ। সারাক্ষণ পথের দিকে চেয়ে রইলাম সারাবেলা। তবুও সে এলোনা...""
মন খারাপ করে বাড়িতে আসলাম। কেমন যেন ফাকা ফাকা লাগছে। তবে এটা ভেবে সান্ত্বনা দিলাম। রিমি কাল আসবে।
(পরেরদিন)
""নাহ আজো মেয়েটির কোনো দেখা নেই। খুব খারাপ লাগছে আজ। দুইদিন রিমিকে দেখিনি। খুব বিষন্ন লাগছে""
...
আজ পাঁচদিন হল রিমির কোনো দেখা নেই। শিমুল গাছের নিচে মাথা নিচু করে বসে আছি। ঠিক তখনি ঘাড়ে কারো হাতের ছোঁয়া অনুভব করলাম। মাথা তুলে তাকিয়ে আমি অবাক..
- আরে আপনি??
রিমিকে দেখে একটা ছোট করে শকড খেলাম। কারন, যে মেয়ে কথায় বলে না আমার সাথে আর আজ কিনা সে আমার টাচ করেছে?
- আপনি এখানে? আর এতদিন কোথায় ছিলেন?
কোনো কথা না বলে ধপ করে পাশে বসে পড়লো। আমিও আর কিছু জিগাস করলাম না। তকে রিমির দিকে অবাক দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়েই আছি।
তখনি দেখলাম ও ব্যাগ থেকে কাগজ আর কলম বের করে একটা সাদা পৃষ্টাতে কিছু লিখল..
- ""আমাকে ভালোবাসেন""? (কাগজে লিখে রিমি বললো)
- হুমম..তবে এটা মুখে বলো? লিখে দিচ্ছো কেনো?
-....... (লিখতে লাগলো)
"" আজ তোমাকে কিছু কথা বলবো। তবে তার আগে বলো সত্যিই আমাকে ভালোবাসো কিনা""?
কাগজটি নিয়ে পড়লাম। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না রিমির কাজগুলো।
- সত্যিই ভালোবাসি কি না জানি না তবে তোমাকে আমার কেনো জানি দরকার। কারন, তোমাকে না দেখলে ভালো লাগে না। ঠিক তথনি মনটা তোমাকে চাই।
-........ (কাগজে লিখতে লাগলো)
"" আমি চাই না কেউ আমাকে ভালোবাসুক। আমার এই অন্ধকার জীবনে কাউকেই জড়াতে চাই না।""
- কিন্তু কেনো? কি হয়েছে তোমার??
রিমি আমার দিকে তাকলো এবার। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে সে চেয়ে আছে আমার দিকে। আর আমি তার তাকনোর মানে খুজতে লাগলাম।
তখন বুঝলাম এই চোখের দৃষ্টিতে কত কষ্টের কথা জমা পড়ে আছে। যা শোনানোর মত কোনো সঙ্গী তার নেই।
হুটট করেই একটা কাগজ হাতে দিয়ে সে চলে গেলো। দেখলাম এটা কোনো কাগজ না,,একটা চিঠি সেখানে লেখা..
"আমি কথা বলতে পারিনা। আমি বোবা..তবে জন্ম থেকে নয়। আমার মা এর সাথে রোড এক্সিডেন্ট করি। যখন ঙ্গান ফেরে তখন শুনি আমার মা মারা গেছে।
তখন কিছু বলতে যেয়ে দেখি আমি আর কথা বলতে পারি না। এরপর থেকেই চুপ আমি।
এক্সিডেন্টের কয়েক মাস পরেই বাবা আমার সৎমাকে নিয়ে আসে ঘরে। কিন্তু সে আসলেই সৎ থেকে যায়।
আমাকে সে দেখতেই পারে না। কাজের লোকের মত আমি বাড়িতে থাকি। বাবাও কিছু বলে না। খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করি।
তাই তোমাকে আমার জীবনে জড়াতে চাইনা। তবে সত্য বলতে আমি তোমাকেও ভালোবাসি। পারলে মাফ করে দিও"""
.
লেখা দেখে বুঝলাম দুই কি তিন দিন আগের লেখা হবে।
তবে যা বলে গেলো আমি সেটা বিশ্বাসই করতে পারছি না। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে আমার। রিমির এত কষ্ট?
ঠিক তখনি ভেবে নিলাম। তাকে এই কষ্টের রাজ্য থেকে বের করতেই হবে আমার। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে হলেও ওকে আমার চাই।
.
(ঠিক দশদিন পর)
আমি এই দশদিনে একবারো ওর সামনে যায় নি। হয়ত সে ভেবেছে আমি ভুলে গেছি আজ এসেছি ওর সামনে।
- রিমি..
-......
হালকা অভিমান এর চাহনি নিয়ে সে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। বোঝাতে চাচ্ছে কোথায় ছিলাম আমি এতদিন? বললাম..
- কোথায় যায়নি..বাড়িতে সবাইকে মেনেজ করছিলাম এ কদিনে।
- মানে? (কাগজে লিখে)
- মানে তোমাকে যে বিয়ে করতে হবে না নাকি?
- কি বলছো এসব? মাথা ঠিক আছে তো? (লিখে)
- হুমম আমি তো ভালোবাসি তোমাকে..চলো আজই বিয়ে করবো?
- নাহহ
- কেনো?
- বাসাতে মেনে নিবে না
- সেটা আমি বুঝবো...
- তুমি বুঝলেও হবে না।
- শোনো, কেনো হবে না?
( এইবার ও লিখতে লাগলো)
""সমাজ এ আমার কোনো মূল্য নেই। কারন এই সমাজের মানুষ অনেক বড় স্বার্থপর।""
- আমি তো এত কিছু জানতে চাই নি।
আর কোনো কথা না বলে সোজা ওর হাত ধরে কাজী অফিসের দিকে গেলাম আর বাড়িতে এতদিনে সব মেনেজ করে নিছি।
বিয়েটা তো হয়ে যাক আগে,,পরে বাবাকে ওদের বাসায় পাঠাবো সব মেনেজ করবে ওরাই।
রিমি আমার দিকে একবার আর আমার হাতের দিকে তাকাচ্ছে একবার।
হয়ত ভাবছে বিশ্বাস করবে কিনা সে আমাকে। যখন কাজী অফিসে পৌছালাম তখনও রিমি আমার কাজ দেখে অবাক এর দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে। এমনকি আমি সই করার সময়ও সে তাকিয়ে ছিলো।
- রিমি সই করো...
সে অবাক হয়ে নির্বাক এবং চোখটা গোল করে আমার দিকে সে তাকিয়ে আছে।
আমি তখনন ওর বাম হাতটা শক্ত করে ধরলাম। এই ধরায় তাকে বুঝিয়ে দিলাম,
- ভয় নেই,,আমি ছেড়ে যাবো না।
রিমি আর কিছু না দেখেই সই করে দিলো। তাকে নিয়ে বাইরে চলে আসলাম।
তবে রিমি এখনো অবাক। রিকশাতে যখন উঠলাম তাকে নিয়ে সে অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলো।
হুটট করে এক হাত দিয়ে তাকে জড়িয়ে নিলাম। সে আমার দিকে তাকাল..
- আমি তোমাকে বিশ্বাস দিয়ে আগলে রাখবো ভয় পেও না রিমি। তোমাকে কখনই কোনোরকম কষ্ট দিবো না।
আমার কথা শুন সে মুসকি হাসলো,,তার হাসিতে বুঝিয়ে দিলো ""জানি গো আমার পাগল,তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো আর কষ্ট দিবানা""
আমিও মুসকি হেসে ওর মাথা আমার কাধে রাখলাম।
ঠিক তখনি অনুভব করলাম রিমির চোখ দিয়ে অশ্রু পড়ছে।
আমি কিছুই বললাম না। কাঁদুক আজ সে। কারন আমি জানি এটা সুখের কান্না..গুন গুন করে গাইতে লাগলাম আমি..
""এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হত""
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ