গল্পঃ মায়াবতী
__Siam Ahmed Joy (গান গবেষক)
.
অফিসের কাজে একদম মন বসছে না সিয়ামের। বস অনেকগুলো ফাইল দিয়ে গিয়েছিলো। এখনো রেডি করা হয়নি! আজকে না জানি কত ঝাড়ি শুনতে হয়। কিছুক্ষণ পর বস ডাকলো। সিয়াম মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বস কিছু বললোনা। তার উপর বললো বাসায় যান আজকে আপনার ছুটি। সিয়াম চোখ তোলে তাকালে আবারো বলে হ্যাঁ আজকে আপনার ছুটি। মনে হয় বস মন খারাপের বিষয়টা বোঝতে পেরেছে। কিন্তু বাসায় গিয়েই কি করবে। গৃহিণী বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে অভিমান করে। তার উপর দুদিনে একবার ফোনও করেনি। বউদের এক সমস্যা। নিজে রাগ করে একা একা বাপের বাড়ি চলে যাবে কিন্তু একা একা আবার আসবে না। অফিস থেকে বের হয়ে ফুলের দোকানটা দেখে সিয়ামের মনে পড়লো আল্পনা বলেছিলো লাল গ্যান্ধা ফুল নিয়ে আসতে আসার সময়। শতরাগ ভেঙ্গে যায় গ্যান্ধা ফুল পেলেই। কিন্তু ঐদিন আর নেয়া হয়নি। তার উপর বাসায় গিয়ে ঝাড়ি দিয়েছে। সিয়ামের সাথে আল্পনার দেখা হয় এক বিয়ের অনুষ্টানে। সিয়ামের বন্ধুর বড় ভাইয়ের বিয়েতে। আল্পনা ব্যাগ থেকে পাঁচশো টাকা বের করতে গিয়ে বিশ টাকার একটা নোট নিচে পড়ে যায়। সিয়াম কিভাবে দেখে ফেলে। বিশ টাকা কুড়িয়ে আর আল্পনাকে পায়নি। একেবারে বিয়ের শেষে দেখা হয় সেখান থেকে বিশ টাকা ফিরিয়ে দেয়া। কাকতালীয়ভাবে আবারো একদিন বাসে দেখা সেখান থেকে পরিচয়। তারপর একবছর প্রেম করে বিয়ে করা আরকি। বাসায় গিয়ে আদুরে শালীকামণীকে ফোন দিলো।
- শালীকামণী কেমন আছেন?
- আরে ধুরু রাখেন আমি কেমন আছি। বুবু তো সারাক্ষণই মন খারাপ করে বসে থাকে।
- আমার ফোনটাও তো ধরছে না। তুমি একটু ফোনটা গিয়ে একটু দাওতো।
- এহহহ.. মাইর দিবো তো।
- তোমার জন্য গিফট আছে। দিবোনা কিন্তু।
- গিফট!! আচ্ছা নিয়ে যাচ্ছি।
রুমে গিয়ে ডাকদিলো।
- ঐ বুবু তোমার ফোন।
- কে ?
- দুলা।
- বল এই বাসায় আল্পনা নামে কেউ থাকেনা।
সিয়াম কথাগুলো শুনতেছিলো। খারাপ লাগছিলো অনেক।ফোনটা কেটে দিয়ে ফ্রিজের শশা খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছে বিকেল বেলা। আল্পনা ভাবে গর্ধভটা দুদিন ধরে কি খেয়ে থাকে? ফ্রিজেও কিছু রান্না করা ছিলোনা। খেতে মনে হয় একটু কষ্ট হয়। আবার অভিমানী গলায় মনে মনে বলে। হোক উনি তো মেসেও থেকেছে। পরেরদিন অফিসে গিয়ে সবকাজ শেষ করলো। লাঞ্চ টাইমে ক্যান্টিনে মন খারাপ করে বসে আছে। ভাবছে ভুলটা তো আমারই। অহেতুক বকাঝকা করেছি। যদিও মনটা খারাপ ছিলো। আর থাকা যাচ্ছেনা। অফিস শেষ করে অনেকগুলো গ্যান্ধা ফুল নিয়ে শ্বশুর বাড়ির দিকে রওনা দিলো। শালীকামণীকে ফোন দিয়ে আগেই বলে রেখেছে। হটাৎ বৃষ্টি আরম্ভ হলো। একটা চায়ের দোকানে আধ-ঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিলো। হালকা হালকা শীত করছে। দুদিনে অনিয়মে খাওয়ার জন্য কালো মুখটা আরো রোগীদের মতো হয়ে গিয়েছে। শালীকার জন্য গিফট হিসেবে নিয়েছে একটা বোরখা। ভয় হচ্ছে আজকালাকার মেয়েরা কি বোরখা গিফট হিসেবে পেলে খুশি হবে না গিফটকারীকে আবুল বলবে। শ্বশুর বাড়ির বেল চাপতেই আল্পনা দরোজা খুললো। কিন্তু কথা ছিলো শালীকামণী খুলবে। কাহিনি কি গড়বড় হয়ে গেলো! সিয়ামকে দেখে আল্পনার চোখে রাগের টর্নেডো হচ্ছে।
- আপনি কে? এ বাসায় আসছেন কেন?
আল্পনা জিজ্ঞেস করলো।
- আমি একজন মানুষ আর এ বাসা আমার শ্বশুরবাড়ি।
- নাহ এ বাসা আপনার শ্বশুরবাড়ি না।
বলে দরোজা আটকিয়ে দিলো সিয়ামের মুখের উপরে। তখনি শালীকামণীর খোঁজ হলো। দৌড় দিয়ে দরোজার সামনে এসে বোঝতে পারলো কাহিনি যা ঘটার ঘটে গিয়েছে। তাৎক্ষণিক সিয়ামকে ফোন দিলো।
- দুলাভাই! সরি সরি। আমি ঘুমিয়ে পরেছিলাম।
- ভালো তো ঘুমাও! আমি যাই টা টা।
- আরে না না। বুবুকে দেখলাম চোখের পানি মুছছে। আসেন তারাতারি।
- আমাকে তো বললো!… আচ্ছা কি আর করবো।
সিয়াম আবার শ্বশুরবাড়ি যায়। আল্পনা ভাবছে ছিঃ আমি অপমান করলাম উনাকে। এটা কি করে করলাম। সিয়াম গিফটের বক্সটা শালীকামণীর হাতে দিয়ে আল্পনার রুমে গেলো ফুলগুলো নিয়ে। আল্পনা হাত কুঁচকাচ্ছে। আল্পনার মন খারাপ হলেই হাত কুঁচকায়। সিয়াম আস্তে করে বললো।
- হাই।
আল্পনা পিছনে ফিরে তাকালো। চোখে পানি টলমল করছে।
- আপনি এ বাসায় আসছেন কেন?
- নিতে আসছি। তবে আপনাকে না। আপনাকে তো ফুলগুলো দিয়েই চলে যাবো।
- তাহলে দিয়ে যান জলদি।
সিয়াম ফুলগুলো সামনের দিকে এগিয়ে দিলো। আল্পনা ফুলগুলো নিয়ে হাত দিয়ে দেখালো এবার যেতে।
- না মানে আমার ঘুম পাইছে। শ্বশুর আব্বার রুমে তো যাওয়া যাবেনা শরমের ব্যাপার। শালীকামণীর রুমে তো যাওয়া যাবেইনা। তাই এখানেই ঘুমুতে হবে।
- আমি আপনার শালীকামণীর রুমে চলে যাই। আপনি এখানে আরাম করে ঘুমান।
- ঠিকাছে গুড নাইট।
আল্পনা ভাবছে কি শয়তান একবার বললোও না থাকতে। সিয়াম শুয়ে পড়ে। মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে দুপূরের পরে আর খাওয়া হয়নি। এখন রাত হয়ে গিয়েছে।
- এইযে মিষ্টার উঠেন একটু।
- কাল সকালে কানে ধরবো এখন ঘুমাবো। দুদিন ঘুম হয়নি ভাল করে।
- এজন্য ডাকিনি। আর হলোনা কেন? আপনার গৃহিণী তো বাসায় ছিলোনা।
- কি জন্য ডাকলেন?
- দেখে তো মনে হচ্ছে সারাদিন না খেয়ে আছেন। আমি খাবার নিয়ে আসছি খেয়ে শুন।
- আর খাওয়া। সকালে শশা খেয়ে অফিস। দুপূরে সিঙ্গারা। যাহোক খাবোনা এখন ইচ্ছে হচ্ছেনা।
- ঠিকাছে আমিও আর বললাম না।
- ধন্যবাদ। আপনি খাইছেন?
- সে খোঁজ নেয়ার কি কেউ আছে? আছে শুধু বকাঝকা করার জন্য।
- আমার ক্ষিদা পাইছে এখন।
আল্পনা খাবার আনলো। রুমের লাইটটা অন করলো। সিয়াম খাবার নিয়ে বসে আছে কিন্তু খাচ্ছেনা।
- কি হলো? খাচ্ছেন না কেন?
- না আমার মায়াবতীর কথা মনে পরে গেলো। মায়াবতী না খেলে আমার গলা দিয়ে কিছু নামেনা।
- মায়াবতীর এতো চিন্তা করতে হবেনা আপনি খান।
সিয়াম একটু এগিয়ে বলে।
- প্লীজ হা করো আর কষ্ট দিয়োনা।
আল্পনার চোখ দিয়ে পানি পরছে।
- কষ্ট কি আপনার একার হয় আমার হয়না।
- তাহলে খাওয়ায় দেও।
- পারবোনা ।
- তাহলে হা করো এবার না করোনা তাহলে আমিও আজ খেলাম না।
আল্পনা হা করলো। সিয়াম খাইয়ে দিচ্ছে। সিয়াম দুদিন প্রায় পাড় করলো শশা খেয়েই। ভেবে আরো চোখ দিয়ে পানি আল্পনার। সিয়ামও খেলো। খাবার পরে সিয়াম আল্পনার হাত ধরে বলে।
- আমি দুঃখীত। খুব খুব খুব দুঃখীত। এ দুইদিনে বোঝেছি আমার মায়াবতীটাকে আমি কত্ত ভালবাসি। অফিসে যেতে, আসতে, বেলকনিতে, টেবিলে সবখানেই আমার মায়াবতীটাকে লাগে। আমার মনটা খারাপ ছিলো সেদিন। এখন তোমার ইচ্ছা কাল আমার সাথে যাবে কি না।
বলে সিয়াম শুয়ে পড়ে। আল্পনা বসে আছে। ঘুমিয়ে পড়েছে সিয়াম। পাশে রাখা ফুকগুলো দেখছিলো। চোখের পানি মুছে ঘুমন্ত সিয়ামের হাতটা ধরলো। আল্পনার স্পর্শে সিয়ামের কাঁচা ঘুম ভেঙ্গে গেলো। সিয়ামের কানের কাছে গিয়ে বলে।
- সরি।
সিয়াম কিরকম হাসি দিয়ে বললো।
- কেন?
- এইযে তোমাকে দুদিন শশা খেয়ে থাকতে হয়েছে।
- ও ব্যাপার না।
- ব্যাপার না মানে কি? দুদিনে কিরকম শুকিয়ে গেছো দেখছো?
- একটু শুকালে কিছু হয়না।
- তোমার অনেক কষ্ট হইছে না?
- নাহ। আমার কোন কষ্ট নেই ছিলোনা। তুমি আমার পাশে আছো তো।
- সরি তো। মাফ করে দাও তোমার মায়াবতীটাকে।
- ধুরু পাগলী। ভালবাসি তো।
- তাহলে কখন থেকে আমি এক হাত ধরে রেখেছি আর তুমি অন্য হাত ধরছোনা কেন?
- সরি ম্যাম এই ধরলাম।
- আমিও না দুদিন কিচ্ছু খেতে পারিনি। খেতে গেলেই তোমার দুষ্টুমীর কথা মনে পড়ে। তারপর আর খাওয়া হয়না।
- হে হে হে। এটা কিন্তু ঠিক করোনি।
- হাসা লাগবেনা আর। তোমার শালীকামণীর জন্য কি এনেছো আজ?
- বোরখা।
- বোরখা কেন?
- আর কিছু পাইনি তাই।
- তুমি জানো তোমার শালীকামণী কি বলছে খাবার আনতে যাওয়ার সময়?
- আমি কি আড়ি পেতে মানুষের কথা শুনি?
- বললো এরকম স্বামী সবার কপালে জুটেনা রে বুবু। খুব যত্নে রাখিস।
- হে হে। কোথায় যেন পড়েছিলাম স্বামীরা বাচ্চাদের মতো হয়। তাদের যত্ন করে রাখতে হয়।
- হইছে যত্ন। আর স্ত্রীরা বোঝি বুড়ীদের মতো হয়? যত্ন করতে হয়না?
- ঐ তোমারে আমি যত্ন করিনা?
- না। তোমার মায়াবতীটাকে করো হিহি।
অতঃপর আরেকটি রুমান্টিক গল্প শেষ হয়ে গেলো। [দুঃখ]
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļুāĻ্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ āĻ্āĻোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
3517
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ž:ā§Šā§¨ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ