āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3496

গল্পঃ বৃষ্টিস্নান
__ Siam Ahmed Joy (গান গবেষক)
.
বৃষ্টি হলেই তাহমিনার পাগলামু শুরু হয়। তাছাড়া যে পাগলামু করেনা তা কিন্তু নয়। কিছু কিছু জিনিষ দেখলে তাহমিনার মাথা ঠিক থাকেনা। যেমন চুড়ি দেখলেই লাগবে। লাগবে মানে লাগবেই। না কিনে দিলে বাচ্চা মেয়েদের মতো কাঁদে আর বলে, বুঝি তো সব বুঝি। এখন আর আমার আবদার পূরণ করতে কারো ভাল লাগেনা। আগে কেউ খুব বলতো আমাকে সারাজীবন ভালবাসবে। আসলে এগুলো বলে আমাকে আঘাত করে আরকি! চুড়ি কিনে দিলে বলবে, আমি কি করবো? রাস্তার পাশে লোকেরা চুড়ি নিয়ে বসে কেনো? আমি হাসি। তাহমিনার হাসির কাছে পৃথিবীর সব সুন্দর্য হার মানে। আর আমি সেই হাসি নষ্ট করতে পারিনা।
.
তাহমিনার সাথে আমার অফিসেই পরিচয় হয়। প্রথম দিনই হাসির জালে ফেঁসে গিয়েছিলাম। কোন কাজ না থাকলেও বারবার ডাকতাম। আসলে হেনতেন একটা কিছু বলে দিতাম। কিছুক্ষণ পর আবারো ডাকতাম। তাহমিনা মনে মনে রাগ করতো মনে হয়। কিন্তু কিছু বলতে পারবেনা কারণ আমি বস। লাঞ্চের সময় প্রায় সবাই অফিস থেকেই খেয়ে নিতেন। কিন্তু তাহমিনা বাড়ি থেকে রান্না করে নিয়ে আসতো। মাঝে মাঝে আমাকে বলতো একসাথে খেতে। একদিন দুদিন করে পরে প্রতিদিনই তাহমিনা রান্না করে আনতো আর আমি লাঞ্চ তাহমিনার হাতের রান্না দিয়েই করতাম। আর বলতাম, আপনার মতো কাউকে পেলে কবেই বিয়ে করে ফেলতাম। কমপক্ষে এরকম সুস্বাদু রান্নার জন্য।
.
তাহমিনা মুচকি মুচকি হাসতো। শুক্রবারে তো আর খাওয়া হতোনা। এজন্য তাহমিনার বাড়িতে গিয়ে খেয়ে আসতাম। আমি এমনি এমনি যেতাম না কিন্তু। আমাকে অবশ্যই আমন্ত্রণ করতো। তাহমিনার সাথে কদিন চলতে চলতে আমার কাছে মনে হতো তাহমিনা আমার বিয়ে করা বউ। ভালবেসে ফেলেছিলাম তাহমিনার সব কিছুকেই।  তাহমিনার হাসি, বাচ্চাদের মতো কান্না, কাজল কালো চোখ, হাঁটার স্টাইল, চলার স্টাইল, কথা বলার স্টাইল সবছিকেই। ভয় পেতাম ভালবাসার কথা বলতে। একদিন হঠাৎ সাহস করে  বলেই দিয়েছিলাম, তোমার হাতের রান্নার জন্য হলেও তোমাকে চাই। ঐদিন লাঞ্চের সময়েই বাসায় চলে এসে পরেছিলাম লজ্জায়। তাহমিনা কিছু বলেনি। তারপরের দিন বললাম, আমি তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি। তাহমিনা তখনও কিছু বলেনি।
.
এরপর থেকে তাহমিনাকে পটাতে কি না করেছি! তবুও যদি মেয়েটার মন গলতো। কত কবীর কবিতা চুরি করেছি, কত গীতিকারের কথা চুরি করেছি। তবুও কাজ হয়না। বলতাম সারাজীবন খুব খুব ভালবাসবো। যত ঝড় ঝাপটাই আসুক না কেন। বিশেষ করে এই কথাটা খুব বেশীই বলতাম যার জন্য এখন একটু অভীমান,রাগ হলেই এই কথা বলে। একদিন আমার কথার উত্তরে বলেছিলো, আমি একজনকে ভালবাসি। কথাটা শুনে আমি তৎক্ষণাৎ বাসায় চলে আসছিলাম। অফিস যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এক সপ্তাহ অফিসে যাইনি। ফোন বন্ধ ছিলো। এক সপ্তাহ পরে ফোন খোলা মাত্রই তাহমিনার ফোন। ইচ্ছে হচ্ছিলোনা ফোন তুলতে। অনেক গুলো মেসেজ দিয়ে রেখেছিলো তাই ধরেছিলাম।
.
বলেছিলো, আমি মিথ্যে বলেছিলাম। এজন্য আপনি এমন করবেন? যত যাই বলুন আমি বিয়ের আগে প্রেমটেম করতে পারবোনা। আমার অনেক বান্ধবী বিয়ের আগে প্রেম করেছে পরে তাদেরকে ছেড়ে চলে গিয়েছে প্রেমিকরা। সত্যিই ভালবাসলে বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দিন। খুশিতে নাচতে নাচতে খাট ভেঙ্গে ফেলেছিলাম প্রায় সেদিন। তার কিছুদিন পরেই তাহমিনা আমার ঘাড়ে ঝুলে পরেছিলো। ইয়ে মানে আমিই ঝুলিয়ে নিয়ে ছিলাম। যত মিষ্টি মেয়েই হোকনা কেন। বেশী রাগ হলে তুই করে বলতেও ছাড়েনা। পরে অবশ্য তুই করে বলার জন্য নিজেই কাঁদে। সবচেয়ে বেশী খারাপ লাগে যখন খাওয়ার সময় তাহমিনা পাশে থাকেনা। রাগ হলে চুপ করে লুকিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায় একা একা।
.
ফোন দিয়ে যদি বলি, বাসায় আসো আমার একা একা ভাল লাগছেনা। তখন তাহমিনা বলে, আমি কি আপনার বিয়ে করা বউ ? আমি তো আপনার বিয়ে করা রাঁধুনী। তারপর আমাকেই গিয়ে নিয়ে আসতে হয়। মেয়ে মানুষ রাগ করে চলে গেলে আবার একা একা আসবে এটা কেমন দেখায়! আর তখনই চুড়ির বায়নাটা ধরে। চুড়ি না নিয়ে গেলে আমার সাথে আসেনা। ছোট ছোট আবদার গুলো পূরণ করার মাঝে ভালবাসার পূর্ণতা লুকিয়ে থাকে। চাঁদনী রাত থাকলে আমাকে কবিতা নাহয় গান শুনাতেই হয় নাহলে বলে, রান্না করবোনা বলে রাখলাম। না শুনালে সত্যি সত্যি রান্না করেনা। আমি অবশ্য মাত্র দুই লাইন গেয়েই রেহাই পাই।
.
চাঁদেরও আলো দিয়ে মুখখানি দেখবো.… পেয়ে নাকো লজ্জা খুব কাছে রাখবো। এটুকু শুনালেই খুব খুশি হয়। শুক্রবারে তাহমিনা ঘুমায় আর আমি বেশ মজার মজার রান্না করি ইয়ে মানে শুধু ডিম ভাজী! নাস্তা ডিম ভাজী দিয়েই দুজনের করতে হয়। দূপুরে সাধারণত বাহিরে খাওয়া হয়। কারণ শুক্রবার রাজরাণীর জন্য বরাদ্দকৃত। এক সপ্তাহে একদিন ঘুরাতে নিয়ে যেতেই হবে। নাহলে ঐযে বাপের বাড়ি চলে যায় আর আমার একা একা রান্না করে খেতে হয়। সন্ধায় বাসায় ফিরে অবশ্য তাহমিনাই রান্না করে। শেষ রাতে ঘুম ভাঙ্গলে বায়নে করে ফাঁকা রাস্তায় হাঁটবে। ব্যাস্ত শহর তখন নীরব থাকে। কোন শব্দ নেই, শান্ত পরিবেশ। আমারও হাঁটতে ভাল লাগে।
.
বসন্ত এসে গিয়েছে। আবহাওয়া দুষ্টু মিষ্টি। কখনো রোদ কখনো আকাশ মেঘে কালো। সব মিলিয়ে উপভোগ করার মতো একটি মাস। আজকে অনেক বৃষ্টি হলো। বৃষ্টির জন্য অফিসে যাওয়া হলোনা। বৃষ্টি হলে তাহমিনাকে খুব মিস করি যদি পাশে না থাকে। আজও তেমনটি হলো। তাহমিনা বাপের বাড়ি। হঠাৎ তাহমিনার মা ফোন করেছে তাই গিয়েছে। আজকে আমার সাথে থাকলে নিশ্চিত বায়না ধরতো বৃষ্টিতে ভিজবে। আমি বৃষ্টিতে ভিজি খুব কম। ছোট বেলায় খুব ভিজতাম। এখন গা'য়ে হালকা ঠান্ডা পানি লাগলেই জ্বর আসে। তাহমিনাকে ফোন দিলাম। তাহমিনা ফোন রিসিভ করে বললো, ফোন দিলে কেনো? আমি কথা বলবোনা। এখন আমার কথা মনে হলো? সারা সকাল যে বৃষ্টি হলো।
.
আমি বললাম, তোমাকে আবার মাঝে মাঝে মনে হয় নাকি? তুমিই আমার মন। সারাক্ষণ আমার সাথেই থাকো। কিন্তু ফোন দিলেই কি? তুমি তো আমার কাছে নেই। তাহমিনা বললো, তাতে কি? তোমার সাথে কথা তো বলতে পারতাম। বৃষ্টি পরছে, রিমঝিম শব্দ, তুমি আর আমি গুনগুন করছি। কত্ত ভাল হতোনা?  আমি ফোন কেটেই রওনা দিলাম। বৃষ্টি থেমে গিয়েছে অনেক আগে। দিনের যে হাল রাতে আবার বৃষ্টি হবে মনে হয়। বিকেলেও হতে পারে। আর এমন দিন তাহমিনাকে ছাড়া একদমই চলেনা। মার্কেটের দোকানপাট এক এক করে খুলছে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে কিছু চুড়ি কিনলাম। তাহমিনাকে খুশি করতে আর কিছু লাগেনা। টিপটিপ বৃষ্টি পরা শেষ হয়েছে।
.
আমাকে দেখে তাহমিনা অনেক খুশি হলো। বললাম, তোমাকে ছাড়া আর থাকা যাচ্ছেনা তাই নিতে এলাম। তাহমিনা বললো, দাঁড়াও চুড়িগুলো পরে আসি দেখি কেমন দেখায়। তারপর খাওয়াদাওয়া করে যাবো ঠিকাছে? আমি মাথা নাড়িয়ে জবাব দিলাম, হুম। তাহমিনা চুড়ি পরে এসে আমার সামনে হাত নাড়াচ্ছে। আর বলছে, অনেক সুন্দর হয়েছে না? খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাসার দিকে রওনা দিলাম। রিক্সায় আসতে আসতে বললাম, এই শুক্রবারে আর ঘুরতে যাওয়া লাগবেনা। না মানে আজকেই তো ঘুরা হয়ে যাচ্ছে। তাহমিনা আগুন চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, কেনো আমার সাথে ঘুরতে তোমার ভাল লাগেনা বুঝি হুম? আমি ঠোঁট বাকা করে বললাম, কেনো লাগবেনা অবশ্যই লাগে।
.
বিকেলে ঠিকই বৃষ্টি এলো। আমি কম্বলের নীচে ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম আর তাহমিনা খিচুরি রান্না করতেছিলো। বৃষ্টির দিন খিচুরি আহা সেই মজা। বৃষ্টি নামার সাথে সাথেই দৌড়ে এসে বললো, এই মিষ্টার বৃষ্টি হচ্ছে। আমি উঠে বললাম, হুম তো আমি কি করবো? তাহমিনা রেগে বললো, কি করবে মানে? কোলে নাও এক্ষণি, নিয়ে ছাদে যাও বৃষ্টিতে ভিজবোনা? আমি বললাম, হুহ তোমার ইচ্ছে হলে তুমি গিয়ে ভিজো আমার জ্বর আসে। তাহমিনা কাঁদো কাঁদো স্বরে বললো, নিবেনা কোলে? বৃষ্টিতে ভিজবেনা? এই তোমার সারাজীবন ভালবাসার নমুনারূপ? খিচুরি রান্না করতেছিলাম তোমার জন্য আমি এখন খিচুরি ফেলে দিবো খাওয়াবোনা তোমায়। বলে রুম থেকে বেরোবার জন্য পা বাড়ালো।
.
আমি বললাম, ঐ পাগলী দাঁড়াও। বলেই কোলে নিলাম। যদিও জানি নিশ্চিত রাতে আমার জ্বর আসবে আর কালকে অফিসে যাওয়া হবেনা। তাহমিনা লজ্জা পাচ্ছে। হাত দিয়ে চোখ লুকাচ্ছে। ছাদে গিয়ে তাহমিনাকে নামালাম। দুই হাত দুই দিকে ছেড়ে ঘুরছে আর বৃষ্টিতে ভিজছে। আমি এক কোণে দাঁড়িয়ে তাহমিনাকে দেখছি। মেয়েদের বৃষ্টিতে অপরুপ লাগে। গাল দিয়ে পানি বেয়ে পরছে। যেন সমুদ্রে পানি পরছে। আমাকে বললো, কি হলো দূরে দাঁড়িয়ে আছো কেনো? আসো একসাথে বৃষ্টিস্নান করি। আমি বললাম, না আমার জ্বর আসে। তাহমিনা বললো, তাহলে আমি আছি কি করতে? আমি যথেষ্ট মানুষের সেবা করতে পারি, আসোনা প্লীজ। আমি বললাম, শুনো, যদি তোমার জ্বর আসে?  কাছে এসে তাহমিনার চুলের পানি আমার মুখে বাড়ি দিয়ে মুখ বাকা করে বললো, তাহলে তুমি কি করতে আছো হুম.....………..?

Siam Ahmed Joy

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ