গল্প: ইচ্ছে ঘুড়ি
লেখা> Abir Hasan Niloy (পেত্নীর বর)
.
"আমার মা একজন দেহ ব্যবসায়ী আবির। কীভাবে তোমাকে ভালোবাসবো আমি? এই সমাজ কীভাবে মানবে আমাদের? হাসাহাসি করবে মানুষ তোমাকে নিয়ে, এর থেকে তুমি আমাকে ভুলে যাও"।
----------
মন বস্তুটা খুব খারাপ জিনিষ। যাকে একবার মন থেকে ভালোবাসা যায় তাকে কখনই ভোলা যায় না। শত অবহেলার পরও সেই মানুষটাকে ভুলে থাকা যায় না। তবে আসলেই মন বস্তুটা অজস্র খারাপ। কারন মন তাকেই চাই যে অবহেলা করে। জিনিষটা কেমন যেনো বেমানান। তবে আমার কাছে অন্যরকমই। জান্নাতকে ভালোবাসি বলেই তাকে বললাম আমার কথাটি।
.
আজ প্রকৃতি যেনো সেজেছে নতুন রুপে। কারন আজই মনে হয় একবার বছরের প্রথম বৃষ্টিটা এই ব্যস্ত শহরে আছড়ে পড়বে। তাই নতুন সাজেই সেজেছে প্রকৃতি।
সকাল থেকে খুব খারাপ আকাশের অবস্থা। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই, শুরু হল বছরের প্রথম ঝুম বৃষ্টি। আমিও নেমে গেলাম ভেজার জন্য। নগরীর শেষ মাথায় চলে এসেছি নিরবে হেটে। চারিদিক কেমন যেনো অচেনা মনে হল।
কি মনে করে আশেপাশে তাকিয়ে বুঝতে চেষ্টা করছি কোথায় এসেছি। হঠাৎ দেখলাম, একটি দুইতলা বাড়ির ছাদে, কালো ড্রেস পরা এক মেয়ে বৃষ্টিতে ভিজছে। অঝর বৃষ্টিতে গভীরভাবে মিশে যেতে ইচ্ছে তার। তাকে দেখলেই সেটা বোঝা যাচ্ছে। তার চেহারাটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। দেখতে খুব একটা সুন্দর না হলেও সাদা ময়দার সুন্দরীর থেকে খুব মায়াবী।
.
"কোথায় ছিলি বাবা"
.
আমার মা নেই। ছোট বেলা থাকতেই আমি, তাকে হারিয়েছি। তাই বাবাটাই আমার সব। তিনি আমার কোনো কাজে কোনো অভিযোগ করেন না। খুব মিশুক আমার সাথে। বললাম " এইতো বাবা একটু হাটতে গেছিলাম"।
রুমে এসে ভাবছি, কে ঐ মেয়েটি। আগে তো দেখিনি...অবশ্য সে এলাকাতে যাওয়া পড়ে না। কিন্তু সেখানকার অনেককেই আমি চিনি। কেমন যেনো মায়া কাড়া একটি মুখ। দেখলে সব মনের কষ্টগুলো এক নিমিষেই হারিয়ে যায়। এভাবেই কাটলো কয়েকটা দিন।
মেয়েটাকে আমি সত্যিই ফিল করতে শুরু করেছি। হয়ত ভালোও বেসে ফেলেছি। তাই আজ একবার ঐ দিকে যাওয়া দরকার।
আজো মেয়েটি সেই ছাদেই দাড়িয়ে আছে,,এক দৃষ্টিতে কি যেনো দেখছে। তার দুষ্টি যেনো অনেক্ষন ধরেই কি যেনো দেখছে।
আমিও ল্যাম পোষ্টের খুটিতে হেলান দিয়ে তাকে দেখতে লাগলাম।
বেশ কয়েকদিন হল। আমি মেয়েটাকে দেখছি এখানে এসে। প্রতিদিনকার একটা রুটিন হয়ে দাড়িয়েছে। রোজ সকালে অফিস করা। আর ৫ টার পর এখানে এসে তাকে দেখা। আমি এখনো নামটাও জানিনা তার। কী অদ্ভুদ মায়া আছে মেয়েটির মুখে। নামটা জানবো কি করে? মেয়েটিকে তো আমি রোজ ছাদেই দেখতে পাই। কখনো তাকে বাইরে আসতে দেখিনি। এক দৃষ্টি দিয়ে সে বাইরের দিকে সবসময় তাকিয়ে থাকে। তবে আমাকে যে মাঝে মাঝে খেয়াল করে তা এ কদিনে বেশ ভালো ভাবেই বুঝে গেছি।
.
"আপনার নামটা কি একটু বলবেন প্লীজ"
তাকে দেখার ১৫ দিন পর, একদিন বিকালে তাকে বাইরে আসতে দেখি। ঠিক তখনি ছুটে যেয়ে তার কাছে তার নামটা জানতে চেয়েছি।
-কেনো?
- নাহ মানে নামটা জানতে পারলে কল্পনা করতে ভালোই হত।
.
কোনো কথার জবাব নি দিয়েই হেটে চলে গেলো। কিছুদুর যেতেই, পিছনে তাকিয়ে নামটা বললো, "জান্নাত"।
নামটা শোনা মাত্রই থমকে তাকিয়ে ছিলাম তার চলে যাওয়ার দিকে। হালকা চিৎকার করে বললাম আমি "আবির"।
কয়েকদিন থেকেই লক্ষ্য করছি। জান্নাত আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। কি একটা গভীর দৃষ্টি। সেই দৃষ্টিতে রয়েছে জমে থাকা কত কথা। আমাকে বলার মত শত কথা। উপলব্ধি করতে পারি তার মনের সব পেচানো কথা।
"আপনি আর আমাদের বাসার সামনে আসবেন না"
.
আনমনা হয়ে একদিন জান্নাতের কথা ভাবছি। তখনি কোথা থেকে এসে জান্নাত এই কথাটি বললো।
- কেনো আসবো না?
- আসবেন না মানে আসবেন।
এই কথাটি বলতে তার মুখে কেমন জানি জড়তা ছিলো। যেনো না চাওয়া সত্বেও আমাকে জোর করে কথাটি বলছে। মেয়েটি চলে যাচ্ছে। এইবার চিৎকার দিয়ে বললাম
"ভালোবাসি আপনাকে"
জান্নাত একটু দাড়িয়ে কি মনে করে ঘুরে দাড়িয়ে আমাকে দেখে হনহন করেই চলে গেলো। কিন্তু কেনো চলে গেলো।
দুই..
"আপনাকে আমি সত্যিই ভালোবাসি।"
আজ তাকে রাস্তা দিয়ে হাটকে দেখেছিলাম। ছুটে গিয়ে তাকে আমি আবারো ভালোবাসি বললাম।
- আমি তো বাসি না।
- কিন্তু কেনো?
- এমনি? আপনাকে মানা করা সত্বেও তাও এখানে এসেছেন?
- ভালোবাসি যে আপনাকে তাই।
- তা কতখানি ভালোবাসেন আমায়?
এইবার জান্নাত দাড়িয়ে আমাকে ঠিক ভাবে দেখে নিল। যেনো আমি নতুন কিছু বলেছি।
যেটা এ অবদি শুনিনি ও। কিন্তু কি এমন বললাম আমি? ভালোবাসি তাই তো বললাম...
- কি করতে পারবেন আমার জন্য?
- কি চাও তুমি?
- আমাকে ভুলে যান।
- কাউকে ভালোবাসলে মন থেকে ভোলা যে যায় না। জানিনা আপনি পারবেন কি না তবে আমি পারবো না।
কোনো কথা না বলেই একদম তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে সে আমার দিকে।
- হাহাহাহা...ভালোবাসেন আমাকে? আমি তো জানি সমাজের মানুষের মধ্যে আমাদের জন্য ভালোবাসা নেই। আছে শুধু লান্ঞ্চনা,,অপমান।
জান্নাতের কথাগুলো শুনে আমি নিজেই খুব অবাক হচ্ছি। কি সব আবোল তাবলো বকছে সে? কি হয়েছে তার? আমার মনের কথাটি হুট করে বুঝে ফেলে সে আবার বলতে শুরু করলো..
- আবোল তাবোলই বকছি তাই না? হয়ক তাই। তবে আপনি ভালোবাসতে পারবেন না কারন ভালোবাসা এত সহজ না। কত দেখলাম এমন ভালোবাসা। প্রথম সবাই ভালোবাসবে। পরে যখন জানবে আমার মা একজন দেহ ব্যবসায়ী, আপনাদের সমাজের মানুষের চোখে আমার মা যখন বেশ্যা তখন এসব শুনেই সবার ভালোবাসা এক নিমিষেই উড়ে চলে যায়। আইছে ভালোবাসা দেখাতে যান বাসায় যান।
- আমি সত্যিই তোমাকে ভালোবাসি।
এ কথা শোনার পরই জান্নাত একদম উপরের কথাটি আমাকে বলেছিলো। যে সমাজের সবাই হাসাহাসি করবে আমি তাকে ভালোবাসলে। সে চলে গেলো এইটুকু বলেই।
.
তিন
জান্নাত গেট থেকে বের হতেই। তাকে বললাম
"আসুন রিকশাতে"
কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই হাত ধরে টেনে উঠিয়ে নিলাম রিকশাতে। অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। বারবার জিগাস করছে "কোথায় নিয়ে যাচ্ছি ওকে" কিন্তু বলছি না আমি। চুপচাপ তার হাতটি ধরে বসেই আছি।
" কি ব্যাপার আপনি আমাকে এখানে কেনো আনলেন"?
জান্নাতের শেষ কথাটি শুনে বাসায় চলে গেছিলাম। তিন দিন জান্নাতদের ওখানে আর যায়নি। হয়ত মেয়েটি ভেবেছিলো আমিও সবার মত কদিন ভালোবাসা দেখিয়ে কেটে পড়েছি।
"দেখতে পাচ্ছো না কোথায় এনেছি"?
সে চারিদিক আরো একবার ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলো আমি তাকে কাজী অফিসের সামনে এনেছি। সে আমার আচরনে এতটা অবাক হবে সেটা আমিও বুঝেছিলাম। অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। এই দৃষ্টির সাথে আমি পরিচিত। কারন সে এখন ভাবছে, এখানে কি করতে এনেছি
- হুমম তোমাকে বিয়ে করতেই এখানে এনেছি। আর শোনো, দুই তিন দিন কেনো আপনাদের ওখানে যায় নি জানেন?
আরে ভাববার ও তো একটা সময় আছে। বাবাকেও তো রাজি করাতে হবে নাকি? সব কিছু মেনেজ করতে আপনাদের ওখানে যেতে পারিনি। বাট ভালোবাসি আমি কিন্তু সত্যিই তোমাকে।
"সে চেয়ে আছে আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে। জানি এখন তার চোখ কি বলতে চাচ্ছে। বোঝাতে চাচ্ছে এই সমাজ তাকে মানবে না।
- ভয় নেই। আমি তোমাকে ছেড়ে হারিয়ে যাবো না। এই সমাজের গুলি মারি। যেই সমাজে, একটা মানুষ খারাপ হলে তাকেই ঘৃনা করি। একবারো বুঝতে চাই না কেনো সে আজ খারাপ। তাই এই সমাজ বড্ড নির্দয়া।
জান্নাত কোনো কথা না বলে, খুব জোরেই কেদে দিল। তবে আমি বুঝলাম এটা কোনো কষ্টের কান্না নয়। এই কান্নাটা সুখের কান্না।
হুটট করেই বুকের মাঝে চলে আসলো সে, খুব শক্ত করে জড়িয়ে নিল আমায়। যেনো আমাকে সে আকড়ে ধরেই বাঁচতে চাই।
"আমি জানতে চাইনি তার অতিতের কথা। শুধু তাকেই ভালোবেসেছি। আর একটা মেয়ে তখনি আপনাকে ভালোবাসবে,যখন সে বুঝতে পারবে কাউকে আকড়ে ধরে নতুন ভাবে বাচার আশা।
' ' ' ' ' ' ' ' ' (সমাপ্ত) ' ' ' ' ' ' ' ' '
(27)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§¨ā§Š āĻ āĻ্āĻোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
3539
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧧⧍:ā§Šā§Ŧ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ