āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3520

গল্পঃ সুখবৃত্ত
__Siam Ahmed Joy (গান গবেষক)
.
সিয়াম, সৈকত নামজোড়া  কাছাকাছি যেরকম দুই ভায়ের মধ্যে তাঁর চেয়েও বেশি সুন্দর সম্পর্ক। তার চেয়ে বেশি অদ্ভুত! সিয়াম বড়, সৈকত ছোট। বয়সের পার্থক্য'টা ৫ বছরের কিন্তু তাঁদের তুই তুকারি সম্পর্ক। মা, বাবা মারা যায় সেই ছোটকালে। সিয়ামেরই মনে নেই মা, বাবার মুখটা। সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় তারা। এমনই এক দুর্ঘটনা যে লাশই আর খোঁজে পাওয়া যায়নি! সিয়ামের  বয়স কত আর হবে সাত কি বা আট। সৈকতের এর থেকে পাঁচ বছরের ছোট। মা, বাবা দুজনেই মানুষ গড়ার কারিগর ছিলেন। তখন পারিবারিক অবস্থা অতি নিম্ন ছিলো। যার ফলে সিয়াম আর সৈকত নানু বাড়ি থাকতো। আরেকটা ব্যাপার ছিলো শহর আর গ্রামের মধ্যে। তাদের এতো ব্যাস্ততার মধ্যে সন্তানদের সময় দেয়ার সময় খুব কম হয়েছিলো। সৈকতের এস,এস,সি পাশ  করা পর্যন্ত তারা নানুর বাড়িতেই ছিলো। সিয়াম  নিজের উদ্যমী পরিশ্রমে  আজ সে প্রতিষ্ঠিত বলা'ই যায়। ছোট একটা ব্যাবসার হাত ধরে আজ শহরের নামীদামী একটি কোম্পানির প্রধান। সোহানা। সোহানা সৈকতের সম্পর্কের খাতিরে প্রেমিকা। তবে এর সব দ্বায়-ভার বহন সিয়ামেরই করতে হয়। দেখবেন? নাহ ঠিকাছে শুনুন আজ সকালের কান্ড!
- ভাইয়া (সৈকত)
সিয়াম  ফোনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলছিলো ফোন কেটে দিয়ে।
- হু, কি হইছে সাঁজ সকালে?
- এখনো সকাল আছে তোর মনে হয়? নয়টা বাজতে চললো।
- আমার হাতে, ফোনে, ঘরে সবখানেই ঘড়ি আছে দেখতে পাচ্ছি। কি বলবি বল।
- ঐতো, সোহা ফোন করছিলো।
- তো ফোন কি আমাকে করবে? তোকেই তো করবে নাকি?
- আরে সেটা তো আমিও জানি, কিন্তু..।
- কত লাগবে?
- এক পয়সাও না, তোকে লাগবে।
- আবার কি! আমি কি এখন গিয়ে সোহানার সাথে প্রেম করবো নাকি?
- যাহ, তুই কি সোহা'র দেবর নাকি? আমি না তোর বউ'র সাথে প্রেম করলাম।
- ফাইজলামু রাখবেন সাহেব? আমার অফিসে যেতে হবে।
- আরে ধুরু "গান"।
- গান মানে? ভাই তোর পায়ে পড়ি এখন বলিস না তোর সোহা তোর গলায় গান শুনতে চাইছে তুই পারবি না এখন আমাকে শুনাতে হবে।
- ইয়েস জান্টুস, এটাই। প্লীজ না করিস না। নাহলে খুব রাগ করবে। প্লীজ প্লীজ।
- এয়্যায়ায়া? আমি আর গান? এবার পারলাম না।
- পারবি না?
- নাহ।
- পারবি না তো?
- আমার মুখে গান শুনছিস কোনদিন?
- তোর মনে নাই ছোটবেলায় আমি ঘুমাতে চাইতাম না আর তুই গান শুনাতি।
- দিলি তো ইমোশনাল করে। তো দেখা করতে হবে না ফোনে হলেও চলবে?
- নাহ কাল শুক্রবার তিনজন এক সাথে লং ড্রাইভে যাবো। হাতে কাজ রাখিস না।
- জ্বী মহারাজ।
- হয়, যা এখন, আর শোন আসার সময়...  আচ্ছা আমি ফোন দিয়ে বলবো আনিস দরকার আছে।
এই হচ্ছে তাঁদের রোজকার নাট্য। সোহানা একটা আবদার করবে আর তা চাপিয়ে দিবে সিয়াম এর উপর সৈকত খালাস। কখনো সোহানা রাগ করেছে গোলাপ নিয়ে যেতে হবে, আবদার, মাঝ-রাতে আইস্ক্রিম নিয়ে যেতে হবে। আরো কত কি। সিয়াম প্রেম, রিলেশনে যাওয়ার সময় পায়নি বা হয়তো কপালে নেই আবার এটাও হতে পারে আল্লাহ ভাগ্যে দেন নি এখনো। পড়াশোনার পর ব্যাবসা। এসব নিয়ে ভাবার একদমই সময় হয়নি। আজ শুক্রবার তিনজনের লং ড্রাইভে যাওয়ার কথা। ছোট ভাইয়ের ইয়ে বড় ভাই সাহায্য করছে হা হা। ড্রাইভ শেষে একটি ব্যাপার জটিল হয়ে দাঁড়ালো।  সোহানার বাসা থেকে বিয়ের জন্য তাড়া দিচ্ছে আর এদিকে সিয়াম এখনো অবিভাহিত। সৈকতের লেখাপড়া শেষ হতে আরো কয়েকবছর। কিন্তু এখন এটা কোন সমস্যা নাহ। সৈকতের বিয়ে সিয়াম নিজের হাতে দিলেও মামা'রা মনে কষ্ট পাবে। তাই দুই ভাই আর সোহানা একসাথে যুক্তি করে একটাই বুদ্বি বের করলো। আর তা হলো সিয়ামের  বিয়ে দিতে হবে অতি শীগ্রই। এজন্য ছোট মামাকে খবর দেয়া হলো। বড় মামা জাপানে আছে। ছোট মামা তাই বাসায় এসেছে। তারাহুরু করে এক ঘটকের সাহায্যে আজ প্রথম মেয়ে দেখতে যাওয়ার কথা। সৈকত আর ছোট মামা সেই সকালেই রেডি হয়ে বসে আছে। সিয়াম জরুরী কাজ পড়ে যায়। অবশ্য অন্য একজনকে কাজটা বোঝিয়ে দিয়ে সিয়ামও হাজির আছে। সামনে একটি মেয়ে বসে আছে। সৈকত হা করে তাকিয়ে আছে। এ দেখে সিয়ামের নিজের'ই লজ্জা লাগছে কিরকম। সায়েম আর পাত্রীকে আলাদাভাবে কথা বলতে দেয়া হয়েছে। সায়েম শুধু একটা কথাই বলেছে, তার জীবন, মরন, স্বপ্ন একটিই শব্দ সৈকত। সৈকতের মুখে হাসি দেখতে চায় শুধু আর কিছুনা। আর কিছু চায় না। পাত্রী অবশ্য একটু চোখ বড় বড় করে বলেছে।
- ঐযে গাধার মতো হা করিয়ে তাঁকিয়ে ছিলো ঐ তো?
সিয়াম  ঠোঁটগুলো বাঁকা করে মুচকি হাসি দিয়ে বললো।
- হ্যাঁ ওর বিয়ের জন্যই তো আসলাম।
পাত্রী হা করে বলে।
- এয়ায়ায়া? তার বিয়ের জন্য?
- না না আমার বিয়ের জন্যই।
বাড়ি ফেরার সময় সায়েম সৈকতকে জিজ্ঞেস করেছিলো
-  পছন্দ হইছে তোর?
সৈকত লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস টেনে।
- এমন একটা পরীর সাথে তোর বিয়ে হবে এজন্যই মনে হয় তুই একটাও প্রেম করতে পারিস নাই। পছন্দ হইছে মানে..  মনে হচ্ছে আমিই বিয়া করে ফেলি।
সায়েম চোখের দিকে তাকিয়ে।
- তাই? সোহানাকে ফোন দিবো এখন? বলি আমি তুই..  এই মেয়েটার নাম কি এটাই তো জানা হয় নাই।
সৈকত চোখ নামিয়ে।
- ভুলেও ফোন দিস না, দিলেও বিশ্বাস করবে না।
  সিয়াম আর কোন কথাই বললোনা। খুব তারাতারি করে বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়। আসছে শুক্রবারেই। হাতে আছে চারদিন মাত্র। বিয়ের কেনাকাটা করা হয় অল্প সময়ে। অতঃপর ধুমধামে, ঝমঝমিয়ে, শানাই বাজিয়ে, ঝলমলে আলোর সমাবেশে বিয়ে হলো। সদ্য বিবাহিত বউ বাসর ঘরে ঘোমটা টেনে বসে আছে। সিয়াম কিছু সময় পর বাসর ঘরে  প্রবেশ করেছে। রীমার কাছে পাঁচ মিনিট সময় নিয়ে বলে।
- আমাদের তো পারিবারিক ভাবে বিয়ে। আমিও আপনাকে চিনিনা ভালো করে আর আপনিও আমাকে। আমার আপন বলতে তো পৃথিবীতে কেউ নেই। মা, বাবাকে হারিয়েছি সেই ছোট কালে। আছে বলতে একটা ভাই'ই। আমার পৃথিবী। মা বাবার কষ্ট খুব একটা বোঝতে দেইনি। শুধু এটুকু বলতে পারি। ওর সুখের জন্য আমি পুরো পৃথিবীর বিপক্ষে যেতে পারি। বোঝতেই পারছেন আমি কি বলতে চাচ্ছি।
রীমা মাথা নাড়িয়ে জবাব দিলো।
-  হ্যাঁ।
সিয়াম পাশ থেকে একটা বালিশ হাতে নিয়ে বলে।
- আপনি এখানে শুয়ে পড়েন আমি এই সোফাটায় শুই।  আসলে দুইভাই একসাথে জড়াজড়ি করে থেকেছি তো সবসময়। ঘুমের মধ্যে আমি ওকে লাত্থি.. ও আমাকে। বোঝতেই পারছেন আপনার অসুবিধে হবে।
এবার নববধূ ঘোমটা নিজেই সরিয়ে বলে।
- অসুবিধে হবেনা। আমারও অভ্যাস আছে। বড় আপুর বিয়ের আগ পর্যন্ত আমরা এভাবেই থাকতাম।
সিয়াম বালিশ'টা হাত থেকে নামিয়ে জবাব দেয়।
- তাহলে আর কি..  রাত একটা পার হয়ে গিয়েছে। একটার আগে না ঘুমুতে পারলে আমার আর ঘুম আসেনা। গল্প করা যায়?
মাথা নাড়িয়ে।
- হ্যা করা যায়। আমার ও গল্প করতে খুব ভালো লাগে। তবে সারারাত জেগে থাকতে পারবোনা। হটাৎ হয়তো গল্পের মধ্যে ঘুমিয়ে যাবো।
সিয়াম মুচকি হাসি দিয়ে।
- তা বোঝতে পারছি।
- বোঝলে ভালো.. আচ্ছা বাসায় তো আপনারা দুভাই ছাড়া আর কেউ থাকেনা। তাহলে রান্না করে কে?
- কাশেম চাচা, তিন বেলা এসে রান্না করে দিয়ে যায়। তবে সৈকত বাহিরেই বেশি খায় বন্ধুবান্ধবদের সাথে। আমার সকালে নাস্তা বাসায় লাঞ্চ অফিসে রাতে দুভাই কার্টুন ছেড়ে গলাগলি করে ডিনার একসাথে।
- কার্টুন কেন?
- কারন কারোর যদি মন খারাপ থাকে তাহলে কার্টুন দেখলে মন ভাল হয়ে যায় তারপর বোঝেনই তো।
-  অদ্ভুত!! তবে কাশেম চাচাকে আর এসে রান্না করে দিয়ে যেতে হবেনা। এখন থেকে আমি রান্না করবো।
-  কিছুদিন যাক.. তারপর রান্না..  দুভাই'র মধ্যে নিজেকে মানিয়ে নিন আগে।
- একটু সময় লাগবে অবশ্য। আচ্ছা আমার ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমাবো। পারলে আপনিও ঘুমান। রাত জাগলে দিনে চোখ শুধু ঝিমায়..  ভালো লাগেনা তখন।
- ওকে গুড নাইট।
অতঃপর দুজনে ঘুমের রাজ্যে হারাবে এমন সময় সৈকতের ডাকাডাকি।
- ভাই..  এই ভাই দরোজা খুল...?
বাসর রাতেও শান্তি দিবেনা মনে মনে বলে।
- কি হইছে স্যার?
- খুলনা পরে বলছি।
- তোর কি বাসর রাতেও বিরক্ত করা লাগবে?
- খুল আগে।
এক পৃথিবী বিরক্ত নিয়ে দরোজা খুললো। সৈকত গ্লাসে করে দুধ নিয়ে এসেছে।
- দুধ আনছি! মনে করিস না তোর জন্য আনছি সর। ভাবী কই আমার?
- তোর ভাবী তো পাশের বাসায় ওখানে যা যাহ।
- সরবি না দুধ তোর গায়ে ঢেলে দিবো? আর এখন বাসায় তো  কেউ নাই। আমি ছাড়া আর কেউ দুধ দিয়েও যাবেনা।
- আরে ঘুমাচ্ছে এয়ার। ডাক দিয়ে আবার বিরক্ত করবি?
- না,না শুধু দুধটা দিয়েই চলে যাবো।
- ওকে.. আমাকে দে আমি দিয়ে দিচ্ছি।
- আমি কিন্তু চিল্লান দিবো এখন।
- ওকে আয় ।
রীমা ঘুমাচ্ছে। ডাক দিলো।
- ভাবীইইইই।
দুবার ডাক দেয়ার পর ঘুম থেকে উঠলো।
- জ্বী।
- দুধ আপনার জন্য থুক্কু তোমার জন্য ভাবী।
- অহ..  রেখে যান আমি খেয়ে নেবো আর শুনুন ধন্যবাদ।
- আমি কাঁদবো এখন।
- কেনো কিছু ভুল বললাম নাকি
- ভুল মানে মহা ভুল করছো।  আপনি করে বললা কেন? শুনো আমি ছাড়া কিন্তু তোমার কেউ নাই এই বাসায় হুহ।
- ঠিকাছে আমি খুবই দুঃখীত। তুমি এবার যাও।
- যাস না কেন ঘুমাবে তো। (সিয়াম)
- তারায় দিচ্ছো কেন তোমরা। বাই দা ওয়ে অভিনন্দন অবং শুভ কামনা।
- হইছে এবার যা না। 
বজ্জাত সৈকত বাইরে গেলো। সৈকত আজ অন্যরুমে প্রথমবারের মতো। খারাপ লাগছে আবার ভালোও লাগছে। বাসায় কোন মেয়ে মানুষ আসলো ভাবী হয়ে। কথায় আছে ভাবী মায়ের সমান। সিয়ামের বিয়েটা তো হয়েই গেলো এখন সোহানার বিয়ে আটকানোর পালা। সিয়াম আর রীমা সোহানার বাসায় যায়। সৈকতের ব্যাপারে কথা বলতে। প্রথমে বিয়েতে রাজি হয়নি বাসার লোকজন। পরে দুজনেরই সুখের কথা চিন্তা করে রাজি হলো। অপেক্ষা এখন আরেকটি বিয়ের। যেহেতু দুপক্ষ থেকেই বিয়েটা ঠিক সেহেতু বিয়ে আরো পিছালে সমস্যা হয়না। লেখাপড়াটা আরেকটু গোছাক। ঠিক করা হলো আরো দের বছর পর বিয়ে। সোহানা আর রীমার মধ্যে কাকতালীয় ভাবে দুজনের তিল মিলে যায়। মানে হলো দুজনেরই কানের নিচে তিল। দেখে সবাই অবাক। এরিমধ্যে রীমা গর্ভবতী। খাওয়াদাওয়া চলাফেরায় অনেক আস্তে ধীরে করতে হয়। এর মাঝে অবশ্য সোহানা আর সৈকতের [Engagement] হয়ে যায়। সোহানাও দুদিন পরপর এসে রীমাকে দেখে যায়। সিয়ামের চাইতে বেশি রীমার ঝগড়া হয় সৈকতের সাথে কারন বিছানা থেকেই উঠতে দেয়না। কিছু করতে গেলে ওমনিই বকা দেয়। তার কথা তাদের পরিবারে একমাত্র প্রিন্সেস আসবে যদি ও কোনরকম ব্যাথা পায় তো খবর আছে। একমাত্র চাচ্চু হবে। আর শুধু রীমাকে বলে দেখো তোমার মেয়ে কিন্তু পুরো ভাইর মতো হবে আর এরপরে যে রাজপুত্র আসবে ও হবে আমার মতো। রীমা মুচকি মুচকি হাসে সবসময়ই কথাগুলো শুনে। কিন্তু একটা বিষয়ে জেলাস লাগে সেটা হলো মেয়ে হলে আব্বুর মতো হবে কেন? আম্মুর মতো হবে। সেটাও সৈকত মানতে রাজি না। সৈকতের কথাটাই সত্যি হলো। রাজকন্যাই আসলো কিন্তু ছোট আব্বুর পাগল। আব্বু বলার আগে সবসময়ই শুধু শেখায় ছোটুউউব্বু। অরিনও ঠোঁট মুখ বাকা করে প্রথম ছোটই শিখে গিয়েছে। এদিকে সৈকত আর সোহানার বিয়েটারও কাছে এসেসে গিয়েছে। সব ব্যাস্ততা নিয়ে আরেকটা বিয়ের শানাই বাজলো। এখন বাসায় অরিনের দুই আম্মু আর দুই আব্বু। রীমাই অরিনকে পায়না সারাদিনে। সৈকত আর সোহানা সবসময়ই টানাটানি করে অরিনকে নিয়ে। অরিনের মুখ থেকে ছোটম্মু আর ছোটব্বু বলানো নিয়ে তারা সবসময়ই খুনসুটিতে মেতে থাকে। বাসায় এখন সবসময়ই হৈচৈ লেগেই থাকে, সুখের হৈচৈ, আনন্দের হৈচৈ। বাচ্চাদের মাঝে সর্গ আছে আমি সবসময়ই বলি। চারজনের আদরে বড় আদুরী হয়েছে অরিন। দুপূরে অরিনকে কোলে নেয়া নিয়ে একপর্ব ঝগড়া করার পর সিয়ামকে ফোন দিলো।
- ভাই।
- হুম বল।
- তোর মেয়েকে আর আমি কোলে নিবোনা।
- হা হা কেনো।
- আরে আমার কাছে আসেই না। কোলে নিতেই পারিনা সোহার জন্য।
- দুঃখীত স্যার এই বিচার আমি করতে পারবোনা।
- লাগবোনা করা। অরিন একদম তোর মতো হইছে কথা শুনেনা একটুও।
- সেখানেও আমার দোষ? ফোন রাখবি? লাঞ্চ টাইমেও মেজাজ খারাপ করোস।
সৈকত ভাবীর কাছে গেলো।
- ভাবীইই।
- কি হলো?
- কিছুনা একটা আবদার করতে আসছি।
- বলে ফেলেন। তবে কোন হাস্যকর বিষয় যেন না হয়।
বলেই মুখ লুকিয়ে হাসছে রীমা। সোহানা আর সৈকতের মধ্যে একটু ঝগড়া হলেই ছোট বাচ্চাদের মতো নালিশ করে তো এজন্য।
- শুনো হলো তো একটা পঁচা রাজকন্যা। ভাইর মতো একটুও কথা শুনেনা। রাজপুত্রই ভালো। বংশ রক্ষা করবে আর আমার মতো হবে।
- ইশ দেবরজির একটুও শরম নাই। ভাগো ভাগো। আর সোহাকে এ রুমে আসতে বলো অরিনকে নিয়ে  কথা আছে।
- ধ্যাৎ....। 
রাগে রুম থেকে বের হয়ে গেলো সৈকত রুমে গিয়ে সোহাকে বলে।
- আপনারে ভাবী ডাকতেছে যান অরিনকে নিয়ে।
সৈকতের কথা বলার ভঙ্গী দেখে সোহানা বোঝতে পেরেছে কাহিনি কি।
- ইশ রে ভাবী বিচার করলোনা বোঝি!
সৈকত প্রচণ্ড রেগে বললো।
- ঐ যাবা তুমি?
এই হচ্ছে তাদের বৃত্ত। সুখ দিয়ে ঘেরা বা সুখের ছাদরে ঘেরা। রাগ অভিমান ঝগড়া খুনসুটিতে ভরপুর।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ