āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3514

গল্পঃ মনপোকা
__Siam Ahmed Joy (গান গবেষক)
.
- সিয়াম। তোমার সাথে আমি আর থাকতে পারবোনা।
- আমিও কাউকে আটকিয়ে রাখিনি।
- তুমি যা করছো তা কোন মেয়ে সহ্য করতে পারবেনা।
- তোমাকে সহ্য করতে বলেছে কে?
- ছিঃ সিয়াম এসব তো কথা ছিলোনা।
- তুমি প্রতিদিন ঘ্যানঘ্যান করবে এটাও কথা ছিলোনা।
- আমি কি স্বাদে করি?
- হ্যাঁ আমি তো মানুষ না পশু। আমার সাথে থাকা যায়না।
- তুমি সত্যিই আর মানুষ নেই। তুমি আগে এরকম ছিলেনা।
- বিয়ের পরে শুধু এটা লাগবে ঐটা লাগবে।
- আমি তো আমাদের ভালর জন্যই বলি।
- তোমার কি মনে হয়? আমি ভালো মন্দ বোঝিনা?
- তোমার ভাল তুমি একাই বোঝ। আমি আর তোমার সাথে থাকতে চাইনা।
- আমিও তোমাকে আর সহ্য করতে পারছিনা।
- লাগবেনা আর সহ্য করা। আমি কালিই চলে যাবো।
- কাল কেন আজই চলে যাও।
- হ্যাঁ যাবোই তো।
- যাওনা ধরে রাখছে কে?
- আমার মনে হয় আমাদের সেপারেট হওয়া উচিৎ।
- কাল কোর্টে হবে সব।
আর কোন কথা হয়নি। মেঘলা রুমে দেয়ালে পিঠ ঢেকিয়ে কাঁদছে। সিয়াম পাশের রুমে দরোজা বন্ধ করে কাঁদছে। রাতে কারোরি ঘুম হয়নি। সকালে দুজনেই তৈরি হচ্ছে কোর্টে যাবে। সিয়ামের দেয়া সব কিছুই রেখে যায় মেঘলা। মেঘলা বাসা থেকে বের হচ্ছে আর চোখের কোণ দিয়ে পানি পড়ছে। কি কথা ছিলো আর কি হচ্ছে। কত স্বপ্ন ছিলো কিন্তু! সিয়াম এতটা পরিবর্তন হয়ে যাবে মেঘলা ভাবেনি। ব্যবসায় ধরা খেয়ে ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে যত অশান্তি। সারাদিন কোথায় খায় কোথায় ঘুমায় কে জানে। এটা কোন বড় সমস্যা ছিলোনা। একবার ঝগড়ার কারনে সিয়াম একটা মেয়ের সাথে কিছু কাছের মুহুর্তের ছবি দেয়। কাজটা কিভাবে করেছিলো সিয়াম নিজেও জানেনা। মেয়েরা সব সহ্য করলেও এ বিষয়টা সহ্যের বাহিরে। যদিও বিয়েটা পারিবারিক ভাবেই হয়। এ ব্যাপারে দুজনের পরিবারের কেউ অতোটা জানেনা। কোর্টে একজন পরিচিত চাচা ছিলো। নতুন বিয়ে এজন্য চাচা বলেছে আরেকমাস একসাথে থেকে দেখতে যদি মনে হয় আর সম্পর্ক রাখা সম্ভব না তাহলে তখন ডিবোর্স হবে। মেঘলা বাপের বাড়ি চলে যায়। মেঘলার ব্যাগে ভুলে সিয়ামের ঘড়িটা থেকে যায়। ঘড়িটা দেখে সৃতি মনে পড়ে গেলো। কক্সবাজার থেকে বেড়িয়ে আসার সময় সিয়ামের জন্য এনেছিলো। সিয়ামের আছে বলতে এক বড় ভাই আর ভাবী। সিয়ামকে অনেক অনুরোধ করে মেঘলাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে কিন্তু কথা শুনেনা। মেঘলা সবসময়ই কাঁদে। ছয় মাসে অনেক সৃতি। অনেক রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করা খাবার সামনে রেখে। বেশি রাত হলে হয়তো টেবিলেই বসে ঘুমিয়ে পড়ে। তারপর সিয়াম আসলে একসাথে খাওয়া। রাতে চাঁদ দেখা। বৃষ্টিতে ভেজা। এক বালিশে ঘুমানো। এক বাসনে খাওয়া। কোন কিছুই এখন আর ভাল লাগেনা সিয়ামের। এক বন্ধু এসে তারকাছে সাহায্য চাচ্ছে। তার স্ত্রী অসুস্থ। সন্তান হবে কিন্তু টাকার সমস্যা। হাসপাতালে যায় সিয়াম। সব কিছুর দেখাশোনা করে। যদিও টাকা সব বন্ধুবান্ধব মিলে যোগার করেছে। বন্ধুর স্ত্রীটা বন্ধুর হাতটা ছাড়ছিলোনা। চোখ দিয়ে ইশারা করছে। মরার সময়এ যেন হাতে হাত রেখে মরতে পারে। প্রথম বাবা হওয়ার অনুভূতিটা অন্যরকম। সিয়াম ভাবছে একদিন আমিও তো বাবা হবো। কিন্তু এখন! বন্ধুটার ছেলে সন্তান হয়। মা, সন্তান দুজনেই সুস্থ এখন। কেবিনে বন্ধু বসে তার স্ত্রীর হাত ধরে আছে। দুজনেই সন্তানটির দিকে তাকিয়ে আছে। মেঘলা সবসময়ই বলতো। আমাদেরও একটা বাবু হবে। খুব ছোট ছোট হাত পা থাকবে। রাতে ঘুম পাড়ানোর গান শুনিয়ে ঘুম পাড়াবে। এসব মনে পড়ে সিয়ামের ভীতরে কিরকম মোচড় দিয়ে উঠলো। বোঝতে পারলো যা করেছি ক্ষমার অযোগ্য। পরেরদিন সকালে মেঘলাকে ফোন দেয়। মেঘলা ফোনের স্ক্রিনে সিয়ামের নাম দেখেই কিরকম আঁতকে উঠে। ইচ্ছা হচ্ছিলোনা সত্যেও রিসিভ করলো। সিয়াম কাঁদছে হাউমাউ করে। কোন কথা বলতে পারছেনা। মেঘলা জিজ্ঞেস করলো।
- আপনি এ নাম্বারে কি চান? ফোন দিয়েছেন কেন?
সিয়াম কোন রকম বললো।
- নদীর পাড়ে অপেক্ষা করবো আমি কাল সারাদিন।
আর কিছু বলতে পারলোনা। পরেরদিন সিয়াম সেই চিরচেনা জায়গায় নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে। জায়গাটা মেঘলার অনেক পছন্দ। মন খারাপ হলেই সিয়ামকে বলতো এখানটায় নিয়ে আসতে। সকাল গেলো দুপূরও পাড় হচ্ছে মেঘলা আসছেনা। সিয়াম বসেই আছে নীল একটা শাড়ি নিয়ে। বিকেল চারটা পাড় হয়ে গেলো তবুও আসছেনা। মেঘলা আর না পেরে দেখা করতে গেলো। মেঘলা এলো দাঁড়িয়ে আছে। সিয়াম বারবার বলছে বসতে কিন্তু বসছেনা। মেঘলা শুধু বলছে।
- কি বলবেন তারাতারি বলেন। আমার যেতে হবে।
সিয়াম হাতটা জোর করে ধরলো।
- কি ব্যাপার হাত ধরলেন কোন অধিকারে?
- আমাদের এখনো ডিবোর্স হয়নি। মানুষ তো জীবনে একবার ভুল করে। আমিও করে ফেলেছি। ক্ষমা করা যায়না?
সিয়াম কাঁদছে। পরে আর কি বলবে তাও বলতে পারছেনা না কান্নার জন্য। মেঘলা বারবার হাতটা ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছেনা। সিয়াম ছাড়ছেই না। প্রায় দুঘণ্টা পাড় হয়ে গেলো সিয়াম হাত ছাড়েইনা। কেউ কোন কথাও বলছেনা। সিয়াম শুধু বলেছে।
- আমি এতো কিছু জানিনা। এই হাতটা আমি আর ছাড়তে পারবোনা।
এ কথাটা বলেছিলো আরো এক ঘন্টা আগে।
- ছাড়েন হাত।
- না।
- আর কোনদিন ছাড়বেন না তো?
- মরে গেলেও না।
- কথাটা মনে থাকবে?
- থাকবে। আগে বলো মাফ করেছো।
- ঘড়ি কই তোমার?
- জানিনা।
- আমার কাছে। এই নাও। প্যাকেটে নিশ্চয় শাড়ি?
- হ্যাঁ কিন্তু তুমি বোঝলে কি করে?
- ক্ষিদা লেগেছে আমার।
- বাসায় চলো।
- নাহ।
- চলোনা।
- নাহ। আগে হয় কোন চাকরী করো নাহয় নতুন করে ব্যবসা। আর নাহয় আমি আর তোমার বাসায় যাচ্ছিনা।
মেঘলা বাড়ি চলে এলো। আসার সময় শাড়িটা নিয়ে আসে। সকাল এগোরোটা বাজে প্রায়। সিয়াম নাস্তা করেনি। মেঘলাকে ফোন দিলো।
- ক্ষিদা পাইছে।
- তো খাও। বাসায় কি ভাবী রান্না করেনি?
- তোমার রান্না খাবো।
- চাকরী আগে ঠিকাছে?
- আমি একটু আসি তোমাদের বাসায়?
- নাহ। একদম না।
দেশে ঘুষ ছাড়া চাকরী পাওয়া একদম অসম্ভব ব্যাপার। অবশেষে একটা চাকরী পেলো। মেঘলাকে ফোন দিলো।
- একটা খুশির খবর আছে।
- খুশির খবর! বলো তো।
- না এভাবে বলবোনা। তুমি রেডি হয়ে নদীর পাড় এসো। আর হ্যাঁ নীল শাড়িটা পড়ে।
সিয়াম অপেক্ষা করছে। আজকে যেন সময় একদম যাচ্ছেনা। অপেক্ষার প্রহর গুনার সময় মেঘলা আসলো নীল শাড়ি পড়ে। টিপ দেয়নি। কারন সবসময় সিয়ামের কাছে টিপ থাকে। সিয়াম নিজের হাতে টিপ দিয়ে দেয়।
- এবার বলো তোমার খুশির খবরটা কি?
- চাকরী হয়ে গিয়েছে।
- কিহহ!! সত্যি?
- আর যাই করি আমি মিথ্যা বলিনা এটা তো জানো।
- এই কথাটা ফোনে বলতে পারলেনা?
- তখন তোমার এই চাঁদমাখা হাসি মুখটা কি দেখতে পেতাম?
- হুম এবার বাসায় যাওয়া যায়।
- নাহ আজকে সারাদিন আমরা রিকশায় করে ঘুরবো। রাতে বাইরে খাবো তারপর বাসায় যাবো ঠিকাছে?
- বেশি রাত করা যাবেনা কিন্তু। আমার ভয় করে।
- হেহে আমি আছিনা?
- হুম তা তো আছোই।
অতঃপর আরেকবার নতুন করে সারাজীবন একসাথে থাকার গল্প শুরু।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ