āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3527 (2)

রহস্যময় মন্দির
পর্ব-৩

মঞ্জুরুল করিম

সুফিয়ানের মাথা দিয়ে প্রচন্ড রক্ত বের হচ্ছে,,, রক্ত বের হওয়া কিছুতেই বন্ধ হচ্ছেনা। তানভির,,,  ইশান আর ফাহিম তাকে ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে আসলো। তখন দীপু জেগে রয়েছিল,,সে তার ফার্স্ট-এইড বক্সটা বের করে সুফিয়ানের মাথায় ব্যান্ডেজ করে দেয়।  এতে তার রক্ত পড়া কিছুটা বন্ধ হয়।

কেউই বুঝতে পারে না তাদের সাথে কি হয়েছিল। বাকি সবাই ঘুমুচ্ছে।সুফিয়ানের কিছুতেই ঘুম আসছে না।  মাথায় চিনচিন ব্যথা অনুভব হচ্ছে। এত রাতে কেনই বা মন্দিরে সে যেতে  চাইলো আর কেনইবা এই ভূতুড়ে গ্রামে এ এলো এসব সে চিন্তা করতেছে।  হঠাৎ,,, বিদ্যুৎ চলে গেলো।  অত্যাধিক গরমে সবাই জেগে উঠে।

ঘরের ভিতরে প্রচণ্ড গরম থাকায়,,,,  ফাহিম বাহিরে বেরিয়ে  আসে। বাড়ির উঠোন থেকে মন্দিরটি  স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।সেদিন রাতের মত আজও মন্দিরে আলো জ্বলছে।  যেই মন্দিরে কেউ ঢুকে না,,, কারোর যাওয়া আসা নেই সেই মন্দিরে কেনো আলো জ্বলবে??  এই প্রশ্ন ফাহিমকে ভাবায়।  অনেক চিন্তা করে সে কিন্তু,,  কোন কারণ  খুঁজে পায়না।

সে রাতটা তারা জেগে জেগে কাটিয়ে দেয়।  সকালে সবাই দেরি করেই ঘুম থেকে উঠে।  অর্ণব অনেকক্ষণ থেকে বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে।ইশান ঘুম ঘুম চোখে দরজা খুলে দেখতে পায় যে,, বাহিরে অর্ণব দাঁড়িয়ে আছে।। সবাইকে ঘুমুতে দেখে অর্ণব প্রশ্ন করে,,,"কিরে কাল রাতে ঘুমাসনি তোরা কেউ???" ইশান জবাব দেয়,,,, রাতে লোডশেডিং এর কারণে কেউ ঘুমায়নি,,, তাই সবাই এখনো ঘুমুচ্ছে। অর্ণব কিছুটা অবাক হয়, ,,  পুরো বাড়িতেই সারা রাত বিদ্যুৎ ছিলো।  এই রুমে থাকবে না কেনো???

ইশান কিছুক্ষণ চুপ থাকে সে কোন কথাই বলে না।  কিছুক্ষণের মধ্যে বাকি সবাই ঘুম থেকে জেগে উঠে। সকালে খেয়ে সবাইকে নিয়ে এবার ফাহিম  আবার সেই মন্দিরটি দেখতে চাইলো কিন্তু এবার তাকে পিংকু বাধা দিলো।  এখন যদি তারা মন্দিরের আসেপাশে ঘুরে তাহলে তাদেরকে যেকোন কেউ সন্দেহ করতে পারে।  তাদেরকে যা করতে হবে রাতেই করতে হবে।

সারা দিন কেউ মন্দিরের ধারে কাছেও যায়নি। সন্ধ্যা নামার পর সবাই হাল্কা নাস্তা করে মন্দিরের দিকে চলে যায়।  তানভির,,, সবাইকে মন্দিরের ভিতরে যাবার গোপন রাস্তাটি দেখিয়ে দেয়। তবে গতকাল যেখানে সুফিয়ানের মাথা ফেটেছিল সেখানে অনেক রক্ত পড়ে থাকার কথা কিন্তু আজ সেখানে রক্তের কোন চিহ্ন নেই।  কে যেনো অনেক যত্ন করে জায়গাটা পরিষ্কার করে রেখেছে।কে পরিষ্কার করলো এইসব???এর কোন জবাব নেই তাদের কাছে।

অনেকক্ষণ ঘাটাঘাটির পরে মন্দিরের পিছনে তেমন কিছুই দেখা গেলোনা শুধু এই রাস্তাটি ছাড়া। 

ফাহিম মনেমনে অপেক্ষা করছে কখন মন্দিরের ভিতরে আলো জ্বলে উঠবে আর তারা বাহির থেকে ভিতরে কি হচ্ছে দেখবে,,,,কিন্তু আজ রাতে মন্দিরের ভিতরে কোন আলো জ্বলে উঠলোনা। আজ রাতে সবার সাথে দীপুও এসেছিল কিন্তু দীপুকে কোথাও খুঁজে  পাওয়া যাচ্ছেনা। সকলের সাথেই ছিলো দীপু,,, পিছন থেকেই সে গায়েব,,,,,,,

ফাহিমের এবার ভয় হয়,,,,, এই বোকা ছেলেটাকে বাড়িতেই রেখে আসা উচিত ছিল তাদের।  যদি দীপুর কিছু হয়ে যায় তাহলে তার বাবা-মাকে কি জবাব দিবে তারা???

কিছুক্ষণের মধ্যে মন্দিরের ভিতরে আলো জ্বলে উঠে,,,,  অদ্ভুত অদ্ভুত সব শব্দ শুনা যাচ্ছে। অনেক গুলা হাসির শব্দ আসছে মন্দির থেকে।  বিকট আর বিশ্রী শব্দে কারা যেনো মন্দিরের ভিতরে হাসছে।  সবাই এই হাসির শব্দ শুনে ভয় পায়। 

এত গুলা হাসির শব্দের মধ্যে মন্দিরে একটা করুণ কান্নার শব্দ শুনা যাচ্ছে।  কার কান্না হতে পারে এটা???  সবাই কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়ে,,,  পিংকুর মনে নতুন প্রশ্ন জাগে,,,,  এটা দীপুর কান্না নাতো???

ফাহিম,,,তার কথায় একমত এই পিচ্ছি দীপুটাই এই রকম কান্না করতে পারে,,,  সর্বোচ্চ শক্তি দিয়েও কান্না করলে তার কান্না স্পষ্ট শুনা যাবেনা কখনো,,,,

তবে দীপু কিভাবে মন্দিরের ভিতরে গেলো?? তার কোন ক্ষতি হবেনা তো??? সবাই দীপুর জন্য চিন্তিত।  এমন সময় মন্দিরের আলো নিভে গেলো,,, সাথে সাথে সে চিৎকার করে হাসির আওয়াজ আর কান্নার আওয়াজও গায়েব হয়ে গেলো।  তানভিরসহ সকলে মন্দিরের পিছনে বসে ভাবতেছে কি করা যায়?? কিন্তু,, তারা কি করবে বা কি করা উচিত এর কিছুই বুঝতে পারেনা। 

এদিকে মসজিদের মাইক থেকে ফজরের আজান স্পষ্ট শুনা যাচ্ছে।  তার মানে কিছুক্ষণের মধ্যে ভোর হয়ে যাবে,,,  দীপুর জন্য সবার মন খারাপ কিন্তু কিছুই করার নেই।সবাই বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে এসে সবাই একটা ঘুম দিবে ভাবছিলো কিন্তু কারোরই ঘুম আসছে না।  দীপুর জন্য সবার মন খারাপ। 

ফাহিম,, সবাইকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে দীপুর কিছুই হবে না,,,, আজ রাতেই আমরা মন্দিরের ভিতরে ঢুকবো,,,,, ফাহিমের কথায় সবাই একমত।  সকলে হাল্কা ঘুমুবার চেষ্টা করতেছে তবে কিছুক্ষণের মধ্যে,,, অর্ণব এসে দরজায় ধাক্কা দিতে লাগলো । সে সবার জন্য নাস্তা নিয়ে হাজির। 

অর্ণব সবার জন্যই নাস্তা  গুণে নিয়ে আসে।  তবে আজ  একজনের ভাগের নাস্তা কম। আর দীপুও আজ নেই।  কিন্তু,, অর্ণব কিভাবে জানলো আজকে দীপুর নাস্তা লাগবেনা?? দীপু হারিয়ে গিয়েছে???

ফাহিম,,,অর্ণবকে এই প্রশ্ন করতে চাইলেও ততক্ষণে অর্ণব সেখান থেকে চলে গেছে।  এবার ফাহিমের সন্দেহ হতে থাকে "অর্ণবের" উপর।  ছেলেটা গ্রামে এসে কেমন জানি বদলে গেছে।  কলেজে তাকে উদাসীন দেখা যেত সব সময় কিন্তু গ্রামে এসে সে এত হাসিখুশি থাকে কেমনে??

তানভির,, ফাহিমের পাশে এসে দাঁড়ায়। ফাহিম তার সন্দেহের কথা তানভিরকে খুলে বলে।  তবে তানভির এমন ভাব দেখায় যেনো ফাহিমের সন্দেহের কোন ভিত্তি নেই।  কারণ,,, ফাহিমই তাদেরকে গ্রামে নিয়ে এসেছে "অর্ণব"এর সমস্যার সমাধান করতে,,,, আর এখন তার "অর্ণব"কেই সন্দেহ হচ্ছে।

কিন্তু,,,ফাহিমের কথাও ফেলে দেবার নয়।  অর্ণব কে সবসময় ফলো করার জন্য রিদয় আর হাসনাতকে কাজে লাগিয়ে দেয় ফাহিম।

পুরোটা দিন এই সব আজগুবি চিন্তায় তাদের দিন কাঠে।  সন্ধ্যা হতেই সবাই মন্দিরে যাবার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরেই সবাই মন্দিরের দিকে পা বাড়ায়। মন্দিরের পিছনটা আজ বেশ নিরব।  কোথাও কোন আওয়াজ শুনা যাচ্ছেনা।  কান্না,, চিৎকার এসব কিছুই নেই।

তবে ঝোপঝাড়ের পিছনে কান্নার আওয়াজ শুনা যাচ্ছে।  সবাই ঝোপের দিকে নজর দেয়।  সেখানে দীপুর দেহ পড়ে আছে।  তবে কান্নার শব্দ তার না।  এখানে অন্য কেউ আছে  যে কাঁদছে।  দীপু মৃত না জীবিত তা ঠিক বুঝা যাচ্ছেনা,,,,,

(চলবে)

রহস্যময় মন্দির
পর্ব -৪

মঞ্জুরুল করিম

ফাহিম,,, দীপুর বুকে হাত দিয়ে বললো,,,, তার শ্বাস-প্রশ্বাস এখনো চলছে।তার মানে সে হয়তো বেঁচে আছে।  সবাই দীপুকে ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই পিছন থেকে কার যেনো অট্টহাসি শুনা যাচ্ছে।  কিন্তু,,,  পিছনে ফিরে কে হাসছে??? সেটা দেখার  কারো সাহস হয়না। তাছাড়া দীপুকে এই মূহুর্তে  বাড়িতে না নিয়ে গেলে তাকে হয়তো বাঁচানো  যাবে না।

তাই পিছনে কে হাসছে তা আর সে রাতে দেখা  হয়নি। বাড়িতে এসে দীপুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।  কিন্তু দীপু তখনও বেহুঁশ।  তার শরীরে  যখম খুব বেশি। সারা শরীরে বড় বড় নখের আচড় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।কিসের আঁচড় এগুলা?? বুঝা মুশকিল।  সবাই ভাবতেছে দীপু নিশ্চয় ভূতের কবলে পড়েছে,,,,কিন্তু,, ফাহিমের ভাবনা অন্যরকম এটা কোন বন্য জীবজন্তুর আক্রমণেও হতে পারে।তবে দীপু কেনো বন্য জীব জন্তুর কবলে পড়বে??? এর কোন উত্তর কারো জানা নেই।

কিছুক্ষণের মধ্যে দীপুর জ্ঞান ফিরে আসে।কিন্তু সে পুরোপুরিভাবে কথা বলতে পারতেছেনা।  তার প্রচুর বিশ্রাম দরকার।

ভোর হবার কিছুক্ষণ আগে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে।  তবে আজ সকাল ৯ টা বেজে গেলো কিন্তু "অর্ণব " আজ নাস্তা নিয়ে আসছে না।  অন্যান্য দিন অর্ণব খুব সকালেই নাস্তা নিয়ে হাজির হতো কিন্তু আজ তার কোন খবর নেই। ফাহিম,,,,রুম থেকে বেরিয়ে আসে। সে সরাসরি অর্নবের রুমে চলে যায়।

অর্ণবের "মা" কাঁদতেছেন ।  অর্ণব নাকি হারিয়ে গেছে,,,, গতরাত থেকে তার কোন খুঁজ নেই।ফাহিম,, কিছুটা শংকিত হয়।  অর্ণব তাদের সাথে ছিলোনা বা মন্দিরের রহস্য উদঘাটনে অর্ণবের কোন হাত নেই।  কিন্তু,, অর্ণবকে কেউ কেনো নিখোঁজ করবে?? নাকি অর্ণব নিজে নিখোঁজ হবার অভিনয় করতেছে???

এসব কিছুই ফাহিমের মাথায় আসেনা।  এবার সে তাদের রুমে চলে আসে। সকলের সাথে "অর্ণব " এর নিখোঁজ হবার ঘটনা শেয়ার করে।  কেউই এই কথায় বিশ্বাস করেনি।  কারণ,,, কিছুক্ষণ আগে দীপু ঘুম         থেকে উঠেছে।সে সেদিন রাতের ঘটনা সবাইকে খুলে বলেছে,,,

"" সেদিন রাতে বাকি সবাই যখন মন্দিরের ভিতরে যাবার ছোট রাস্তা নিয়ে ব্যস্ত তখন দীপু নাকি "অর্ণব "কে দেখতে পায়।  অর্ণব লুকিয়ে লুকিয়ে কার সাথে যেনো কথা বলতেছে,,,,দীপু এসব কথার কিছুই শুনতে পায়নি। তবে হঠাৎ করে অর্ণব,,, দীপুকে দেখে ফেলে।  তাকে কাছে ডেকে নেয়,,,,, দীপু অর্ণবের কাছে গেলে কে যেনো তাকে পিছন দিক দিয়ে মাথায় আগাত করে,,,, তারপর সে অজ্ঞান হয়ে যায়।  যখন দীপুর জ্ঞান ফিরে তখন সে নিজেকে একটা ছোট্ট ঘরে বন্দি হিসেবে দেখতে পায়। কিছুক্ষণ পরে সেই ঘরের আলো নিভে হয়ে যায়।  ঘরটি পুরো অন্ধকার ঠিক তখনি কেউ তার উপর লাটি আর চিকন লোহা দিয়ে আঘাত করতে থাকে আর জোরে জোরে হাসতে থাকে।  তার পর সে বেহুঁশ হয়ে যায় আর আজই তার জ্ঞান ফিরেছে।"""

দীপুর পুরো কাহিনীটি শুনে সকলের মনেই অর্নবকে নিয়ে সন্দেহ জাগে।  তাহলে কি এই" মন্দির রহস্যে " অর্নবের হাত আছে??? কিন্তু,, অর্নব একা এসব কিছুই করতে পারবে না।  নিশ্চয় তার কোন সহযোগী আছে।

সারাটা দিন সবাই দীপুর সেবা করতে থাকে,, যার ফলে দীপু খানিকটা সুস্থ হয়ে উঠে।  তবে তার পুরো সুস্থ হতে আরো কয়েকদিন লাগবে।।

রাতে দীপুকে বাড়িতে রেখে সবাই চলে যায় সেই মন্দিরের দিকে।  এবার মন্দিরের ভিতরে কি আছে তা তারা দেখেই ছাড়বে। কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই চলে যায় মন্দিরের পিছনে। আজ রাতে খুব বেশি অন্ধকার,,, কিছুই দেখা যাচ্ছে না।  তবে আন্দাজ করা যাচ্ছে অনেক কিছু।  সুফিয়ান তার টর্চ লাইটটা আনতে ভুলে গেছে।  এত অন্ধকার রাতে মোবাইলের আলোই শেষ সম্বল তাদের।

সবাই সেই ছোট্ট রাস্তা অনুসরণ করে মন্দিরের দিকে আস্তে আস্তে এগুচ্ছে।  কারোর মুখে কোন কথা নেই।  ফাহিম আস্তে করে সবাইকে সচেতন ও সিরিয়াস থাকতে বলে দেয়।  কিছুক্ষণের মধ্যে সেই ছোট্ট রাস্তাটির শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছে সকলে।  মন্দিরের পিছনে থাকা বড় বটগাছের নিচ দিয়ে রাস্তাটি সোজা মন্দিরের ভিতরে গিয়ে শেষ হয়েছে।

বটগাছের নিচ দিয়ে যাওয়া রাস্তাটা অনেকটা গুহার মতোন।  যেমনটা আদিম কালের গোহা হতো,,,,,গোহা সম্পর্কে  অনেকগুলা কাহিনী পড়েছে,, ফাহিম,, এই গুহাটাও সেই কাহিনী গুলার মতোন। অদ্ভুত রকমের অন্ধকার পুরো গুহায়।মোবাইলের আলোয় সবাই এগুতে থাকে।  গুহার শেষ প্রান্তে এসে সকলেই মন্দিরে প্রবেশ করে।

মন্দিরটি পুরোনু আমলের হলেও এর কারুকাজ অনেক উন্নত।  যে কারোরই মন কাড়ার মতো সৌন্দর্য্যে এই মন্দিরের।  মন্দিরটি যদি সেকালে নির্মাণ না করে একালে নির্মাণ করা হতো তাহলে অনেক টাকা খরচ হতো নিশ্চয়,,,কিন্তু এসব চিন্তা করার মতো সময় নেই তাদের কাছে।

সবাই আস্তে আস্তে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে শুরু করলো।  এবার তারা মন্দিরের ভিতরেই ঢুকে গেলো,, একেকটা কক্ষ নিখুঁত ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করলো সবাই।  অনেকদিন যাবত মন্দিরটি বন্ধ থাকায় পুরো মন্দিরটি ধুলোবালি জমে একাকার হয়ে গেছে।  সমস্ত মন্দিরটি ঘুরে তেমন রহস্যময় কিছুই দেখতে পেলোনা তারা।  তবে মন্দিরের একটা কক্ষ বেশ পরিষ্কার করে রাখা।  এই কক্ষটি দেখলে বুঝা যায় না এই মন্দিরটি এতদিন ধরে  বন্ধ ছিলো।

সবাই যখন মন্দিরের সাজানো কক্ষে বসে আলোচনা করতেছে ঠিক তখনই সেই কক্ষের বাহিরে কারো আওয়াজ শুনা যায়।  সকলে আস্তে আস্তে বাহিরে চোখ রাখে।  তবে তারা সবাই যে ভিতরে এই খবর কেউ জানেনা হয়তো। 

বাহিরে দাঁডিয়ে কথা বলতেছে,,, "অর্ণব, সেলিম শেখ, এবং তাদের সাথে আরোও একজন লোক। " তৃতীয় ব্যক্তিটির মুখটা ঢাকা থাকায় কেউই তার মুখ স্পষ্ট দেখতে পায়নি।  কিছুক্ষণ কথা বলার পর অর্ণব আর সেলিম শেখ চলে যায় কিন্তু এই তৃতীয় ব্যক্তিটি মন্দিরের ভিতরেই রয়ে যায়।

সবাই তখনো লুকিয়ে লুকিয়ে তৃতীয়  ব্যক্তিকে অনুসরণ করছিল তখন তৃতীয় ব্যক্তিটি মন্দিরের ভিতরের দিকে আসতে লাগলো,,,, এই লোকটিই মনে হয় এই রুমে থাকে। সকলে এই রুম থেকে বের হয়ে অন্য একটি রুমে গিয়ে ঢুকে।  লোকটি ভিতরে আসার সময় নিজের মুখের মুখোশটি আস্তে আস্তে খুলতে লাগলো,,, এবার লোকটার মুখ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

এই লোকটাই হচ্ছে গ্রামের পাগলা "রহিম মিয়া"। যে কিছুদিন আগে মারা গিয়েছিল এবং তার লাশ মন্দিরের সামনে পাওয়া গিয়েছিল। এলাকাবাসী নিজ হাতে তাকে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করেছিল। এই মৃত "রহিম মিয়া" মন্দিরের ভিতরে কিভাবে এলো?? কেনোইবা এলো???এসব রহস্যের সমাধান কারোর জানা নেই।

(চলবে)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ