__সাধনা__
__লেখা:-দোলা রহমান__
__পর্ব:-এক__
চারিদিকে শুনশান নিস্তদ্ধ৷অন্ধকারে ছেয়ে গেছে পুরো গ্রাম৷কোথাও জনমানবের চিন্থ পর্যন্ত নেই৷শুধু মাঝে মাঝে দূর থেকে লেয়ালের ডাক শোনা যাচ্ছে৷এই অন্ধকারের মধ্য কমোল হেঁটে যাচ্ছে নদীর বটগাছের নিচে৷কমোল এতদিন এই দিনটির জন্যই অপেক্ষা করে ছিল৷অাজ এতদিন পর দিনটি পেয়েছে৷অাজকে ঘোর অামোবষ্যা৷এইদিনে যে যার ইচ্ছা পূরুনে ব্যস্ত৷অাজকের দিন মানে প্রতিটি সাধকের অার জাদুকরদের শুভ দিন৷এই দিনে তন্ত্রমন্ত্রের বলে সাধক এবং জাদুকরেরা অারো শক্তিলাভ করে৷কমোল একজন সাধক৷কমোলের ইচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে শক্তিধর হবে সে৷সবাই তাকে প্রভু মানবে তার উপাসনা করবে৷কমোলের গুরু তাকে মানুষের উপকারের জন্য তন্ত্র সাধনার নিয়ম শিখায় কিন্তু কমোলের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন৷এতদিন পরে অাজকে কমোল মনের বাসনা পূর্ন্য করবে৷সাধনার জন্য কমোল একটি বাচ্চা চুরি করে৷বাচ্চাটাকে বলি দিয়ে সয়তানের বন্ধু হয়ে যাবে৷এবং শয়তানের শক্তি অর্জন করবে৷কমোল হাতে বাচ্চা অার কিছু ধুঁপ সিঁদুর নিয়ে হেটে চলেছে উদ্দেশ্য হলো নদির ধারের বটগাছ৷অন্ধকারে কমোল হেঁটেই চলেছে অার মনে মনে মন্ত্র যব করতেছে৷পাশকাটিয়ে একটা শেয়াল চলে গেল সেদিকে কমোলের দৃষ্টি নেই৷কিছুক্ষনের মধ্যে কমোল ওর গন্তর্ব্য স্থানে পৌঁছে গেলো৷পৌঁছানোর সাথে সাথে ঝড়ো হওয়া শুরু হয়ে গেছে৷কমোল দেরী না করে উপাসনার জন্য বসে গেলো বাচ্চাটিকে সামনে রেখে মন্ত্র জব করতে লাগলো৷একসময় সামনে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে দিলো৷পাশে রাখা সিঁদুর থেকে একমুঠো সিঁদুর ছুঁড়ে মারলো বাচ্চাটির গায়ে৷অাবার মন্ত্র পড়তে পড়তে এক মুঠো ধুপ হাতে নিয়ে বাচ্চাটার চারপাশে গোল দাগ দিয়ে দিলো৷কমোল খুশি মনে পাশে রাখা ছুরিটা হাতে তুলে নিল৷ছুরির উপর মন্ত্রপড়ে সিঁদুরের চিন্থ দিল৷ছুরিটা বাচ্চার গলায় চালাতে যাবে এমন একটা ঝড়োবাতাস এসে সামনে রাখা মোমবাতি নিভিয়ে দিল৷কমোল বুঝতে পারলো না এইটা কিসর ইঙ্গিত৷অাবার কমোল মোমবাতিা জ্বালিয়ে দিলো৷মৃদ্যু অালোয় দেখলো বাচ্চাটার গায়ে দেওয়া সিঁদূর অার ধুপ নেই৷তারপরও কমোল বাচ্চাটিকে বলি দিতে গেল কিন্তু এবারো মোমবাতি নিভে গেল৷এদিকে অামোবষ্যার সময় অার কিছুক্ষনের মধ্য শেষ হয়ে যাবে৷কমোল অাবার মোমবাতি জ্বালিয়ে বাচ্চাটির গলায় ছুরি চালাল৷এবার কমোল সফল হলো৷বাচ্চাটার গলায় ছুরি চালানোর সাথে সাথে মাথা অার দেহটা অালাদা হয়ে গেছে৷দেহটা একপাশে ছটপট করে যাচ্ছে৷তাতে কমোলের কিছু অাসে না৷কিন্তু কমোল পরের মন্ত্রটা ভুলে গেলো৷কিছুতেই মনে করতে পাচ্ছে না৷কিছুক্ষন পর পূর্নিমার চাঁদ ঝলমল করবে৷সে সময় তার মন্ত্র কোন কাজে অাসবে না৷যদি সে মন্ত্র না বলতে পারে তাহলে তার সাধনা ব্যর্থ হয়ে যাবে৷কমোল অনেক চেষ্টা করে একটা মন্ত্র মনে করলো৷অার এই মন্ত্রটাই কমোলের জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ালো৷ভুল মন্ত্র প্রয়োগ করে কমোল ধ্যানে বসে পড়লো৷কমোল বুঝতে পারেনি যে মন্ত্রটা পড়েছে সেটা ভুল৷কিছুক্ষন পর পূর্নিমার অালো ঝলমল করে ওঠলো৷পূর্নিমার চাঁদ ওঠার সাথে সাথে কমোলের গায়ে জ্বালাপোড়া করতে শুরু করে দিয়েছে৷এক সময় যন্ত্রনাটা বেশি হয়ে যায়৷কমোল বুঝতে পাচ্ছে না কি হচ্ছে তার সাথে৷এমনটা তো হওয়ার কথা নয়৷কমোল দাঁড়ানোর চেষ্টা করলো কিন্তু বার বার ব্যর্থ হলো৷একসময় কমোলের মুখ বিকৃতি হয়ে গেলো৷দেহে লোম গজিয়ে গেলো৷কমোল বুঝতে পারলো সে একটা দুষ্ট অাত্মায় পরিনত হতে যাচ্ছে৷তাই হলো ছটফট করতে করতে একসময় মানুষ থেকে দুষ্ট অাত্নায় পরিনত হয়ে গেলো৷কমোল এক দৌঁড়ে সামনের একটা পুরনো প্রসাদে প্রবেশ করলো৷অার নদির পাড়ে পরে থাকলো বাচ্চাটার মাথা কাটা দেহ৷কমোল যে প্রসাদে প্রবেশ করেছে সে প্রসাদের মালিক প্যারেসে থাকে যার ফলে প্রসাদটা ফাঁকায় থাকে শুধু দেখাশোনার জন্য একজন লোকমাঝে মাঝে এসে প্রসাদটা দেখে যায়৷কমোল থাকার জন্য এই প্রসাদটা বেঁছে নেয়৷দিনদিন কমোলের অাত্না ভয়ংকর হয়ে ওঠে৷কয়েক দিন যাবত প্রসাদের কেয়ারটেকার একটা জিনিস লক্ষ্যকরে প্রসাদের জিনিসপএ প্রসাদের ভেতর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে৷কিন্তু এই প্রসাদের চাবিতো একমাএ তার কাছে৷তাহলে কে এমন করতেছে৷কেয়ার টেকার চোর ভেবে পরের দিন রাতে তিনজন দারোয়ানকে প্রসাদ দেখার জন্য রেখে যায়৷দারোয়ানেরা প্রসাদের দরজায় বসে থাকে৷বসে থাকতে থাকতে তিনজন ঝিমিয়ে পড়ে মাঝ রাতে কিছু শব্দে তিনজনের ঘুম ভেঙ্গে যায়৷তিনজন মনে করে প্রসাদের ভেতর হয়তো চোর ঢুকেছে ৷তিনজনে প্রসাদের দরজা খুলে ঢুকতে যায়৷কিন্তু তিনজনে চমকে যায় প্রসাদের দরজার দিকে তাকিয়ে৷দরজার তালা অাগের মতোই অাছে তাহলে চোর ভেতরে প্রবেশ করলো কিভাবে৷অার কোন জানালা অথবা পিছনের কোন দরজা দিয়ে ঢোকা সম্ভব না৷এদিকে ভেতরে জিনিসপএ ফেলার শব্দ হয়ে যাচ্ছে৷দেখার জন্য তিনজনে প্রসাদের ভিতর প্রবেশে করে৷ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকারের জন্য কিছু দেখতে পারে না৷একজন অন্ধকারের মধ্য সুইচটা খুঁজে খুঁজে জ্বালিয়ে দেয়৷জ্বালিয়ে দেওয়ার সাথে সাথে তিনজন দেখতে পারে সব জিনস পএ হাওয়ায় ভাসতেছে৷এসব দেখে তিনজনে প্রসাদ থেকে বেরুতে যাবে এমন সময় দরজা অাপনা অাপনি বন্ধ হয়ে যায়৷তিনজনে দরজা খোলার অনেক চেষ্টা করে কিন্তু কিছুতে খুলতে পারে না৷তিনজনে ভয়ে কাঁপতে শুরু করে৷প্রসাদ থেকে বেরুনোর জন্য তিনজনে অন্যরাস্তা খুঁজতে শুরু করে ৷তিনজনে এক সময় কারো অাসার শব্দ পায়৷সাথে গোঙ্গানির অাওয়াজ ও পায়৷শব্দ শুনে তিনজনে উপরের দিকে দৌড় দেয় কিন্তু যত দৌড়াচ্ছে ততোই তিনজনে অাওয়াজটা বেশি শুনতে পাচ্ছে৷
__সাধনা__
__লেখা:-দোলা রহমান__
__পর্ব:-দুই__
তিনজনে যত দৌড়ে পালাতে চাচ্ছে ততই শব্দটা বেশি করে শুনতে পাচ্ছে৷একসময় তিনজনে একটা রুমে ঢুকে পড়ে৷তারা দেখে রুমটাতে একজনের ছায়া দেখা যাচ্ছে৷অাস্তে অাস্তে ছায়াটা জন্তুর মতো অাকার ধারন করে তাদের দিকে এগিয়ে অাসতেছে৷তিনজনে ভয়ে রুম থেকে বেরুতে যায়৷কিন্তু বাইরে থেকে দরজা লক করে দেওয়া হয়েছে৷তারপরও তিনজনে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে কিন্তু পারে না৷অবশেষে তাদের মৃত্যুকে বরন করে নিতে হয়৷সকালে কেয়ারটেকার তিনজনের খোঁজখবর নেওয়া জন্য অাসে৷এসৈ দেখে প্রসাদের দরজা খোলা৷কেয়ারটেকার প্রসাদের ভেতরে গিয়ে দেখে সব জিনিসপএ মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অাছে৷তিনজনকে ডাক দিলে কোন সাড়াশব্দ পায়না৷অবশেষে তিনি প্রতিটা রুম চেক করতে থাকে৷কিন্তু কিছুতে তাদের খোঁজ পায় না৷একটা রুমের সামনে গিয়ে লক্ষ্যকরলো রুমের ভেতর থেকে রক্ত গড়িয়ে বাইরে চলে এসেছে৷কেয়ারটেকার ঘটনাকে সুবিধার মনে করলেন না৷তিনি পুলিশ কে ফোন করে ঘটনাটা জানিয়ে ডুবলিকেট চাবি দিয়ে খুলে ভেতরে যেতেই দেখতে পেল তিনজনের দেহ মাটিতে পড়ে অাছে অার মাথা গুলো নেই৷প্রতিটা দেহের থেকে কলিজা বের করে নেওয়া হয়েছে৷এ যেন এক নরপশুর কাজ৷সারা ঘরে রক্ত ছড়ানো৷কেয়ারটেকার লক্ষ্য করলো উপর থেকে কিছু একটা গায়ে পড়তেছে৷উপরে তাকিয়ে দেখে ফ্যানের সাথে তিনটা মাথা ঝুলে অাছে৷অার মাথা গুলো থেকে টপটপ করে রক্ত পড়তেছে৷এসব দেখে তিনি সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে ফেললো৷পুলিশ এসে লাশগুলোকে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়ে কেয়ারটেকার কে হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়৷তারপর থেকে এই প্রসাদে অার কেউ অাসে না৷প্রসাদটাকে পুলিশ সিল করে দিয়ে চলে যায়৷এখন সবাই জানে প্রসাদে কোন অাত্না থাকে৷দিনের বেলাতেও কেউ প্রসাদের কাছে অাসে না৷এভাবে কেটে যায় কিছু বছর৷
একদিন কলেজ ক্যান্টিনে বসে অাড্ডা দিচ্ছি অামি(দোলা)অার অামার কয়েক জন বন্ধু ,জুঁই,জাকির,রাব্বীনা অার মামুন৷অাড্ডা দিতে দিতে জাকির বললো তোরা কেউ কখনো অাত্না দেখেছিস৷অামরা সবাই হেসে বললাম অাত্নারা কি অামাদের মতো ঘুরে বেরায় নাকি দেখবো৷জাকির অামাদের থামিয়ে দিয়ে বললো কিন্তু অামি দেখেছি৷তোরা বিশ্বাস কর অার না কর অামি অাত্না অাছে বিশ্বাস করি৷
অামি:-অাত্না কি তোর বন্ধু নাকিরে৷অামাদের দেখা দিলনা অার তোকে দেখা দিল৷
জাকির:-হাসিস না তোরা যদি দেখতে চাস তাহলে অামি তোদের দেখাতে পারি৷কিন্তু অামি তোদের যেখানে নিয়ে যাবো সেখানে যেতে হবে৷
অামি:-অাচ্ছা অামরা তোর সাথে যাবো কিন্তু যদি কিছু না দেখাতে পারিস তাহলে কিন্তু তোর রক্ষা নেই৷
জাকির:-অাচ্ছা অামার এক ফুফাতো ভাই অাছে ও প্ল্যানচেট করে অাত্মাকে অানতে পারে৷তোরা যদি সত্যি দেখতে চাস তাহলে অামি অামার ভাই কে ডাকতে পারি৷
জুঁই:-তাহলে ডাক এক ঠেলে দুই পাখি মারা হবে তোর ফুফাতো ভাইকেও দেখা হবে তার সাথে অাত্নাকেও দেখা হবে৷
ঠিক অাছে বলে জাকির ওরে ভাইকে ফোন দিয়ে বললো অাসতে৷কিছুক্ষনের মধ্য ওর ফুফাতো ভাই অাসলো৷অামাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল৷নাম খালিদ৷তিনি অামাদের বললো অামি তোমাদের অাত্না দেখাতে পারি কিন্তু তার অাগে তোমাদের একটা ভৌতিক বাড়ি খুঁজে বের করতে হবে৷যেটা অনেক দিন ধরে বন্ধ অাছে এবং কোন মানুষের যাতায়াত নেই৷এমন বাড়ির কথা শুনে মামুন অামাদের বললো এমন একটা প্রসাদ অামার দাদুর গ্রামের বাসায় অাছে৷অনেক দিন অাগে শুনেছিলাম দাদুর মুখে ওখানে নাকি একটা বড় প্রসাদ অাছে যেটার অাশেপাশে কোন মানুষ যায় না৷ওই প্রসাদে তিনজনের কাটা মাথাও পাওয়া গেছে৷কারো কোন অাপওি না থাকলে অামরা ওখানে যেতে পারি৷অামরা সবাই মামুনের কথায় সায় দিলাম৷ঠিক হলো পরেরদিন অামরা রওনা দিব৷সবাই যে যার বাসায় চলে গেলাম৷৷পরেরদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গল জাকিরের ফোনে৷
অামি:-কি রে তোর অার কোন কাজ নেই সকাল সকাল ঘুমটা ভেঙ্গে দিলি৷
জাকির:-সইতান কালকের কথা ভুলে গেলি৷অামরা সবাই মামুনের দাদুর বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়ে বসে অাছি অার তুই ঘুমাচ্ছিস৷ঘুমা ঘুমা অামরা চলে যাচ্ছি তুই থাক৷
অামি:-ইস অামার মনে ছিল না অামি কয়েক মিনিটের মধ্য যাচ্ছি তোর একটু অপেক্ষা কর৷
অামি তড়িঘড়ি করে বের হয়ে রওনা দিলাম৷গিয়ে দেখি সবাই দাঁড়িয়ে অাছে অামার জন্য কাছে যেতেই জাকির অামার কান ধরে বললো এতক্ষনে মহারানির অাসার সময় হলো অামি কোনমতে ওর হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে বললাম যদি ঘুম না ভাঙ্গে অামি কি করবো৷দেখলাম জাকিরের পাশে ওর ফুফাতো ভাই দাঁড়িয়ে৷সবাই অার দেরী না করে বাসে ওঠে রওনা দিলাম৷প্রায় চার ঘন্টা পরে অামরা মামুনের দাদুর বাড়িতে উপস্থিত হলাম৷সম্ভবতো অামাদের অাসার কথা মামুন অাগে বলে দিয়েছিল৷দেখলাম অামাদের জন্য দুইটা রুম পরিষ্কার করা হয়েছে৷একটা মেয়েদের জন্য অন্যটা ছেলেদের৷সবাই দিনের বেলা ঘোরাফেরা করে রাতে সুয়ে পড়লাম৷খালিদ অামাদের উদ্দেশ্যটা গোপন রাখতে বললো৷সকালে ঘুম থেকে ওঠে হালকা নাস্তা খেয়ে মামুনের দাদুর সাথে অাড্ডা দিতে লাগলাম
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ