বালিশের নিচ থেকে সিগারেটের প্যাকেটটা নিয়ে
একটা সিগারেট ধরালাম। আরোহী আমার দিকে
চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে। বুঝতে অসুবিধা
হলোনা যে, এসময় ওর এটা খুবই বিরক্ত লাগছে!
আমি দ্রুত বারান্দায় চলে আসলাম। আরোহী বিছানায়
ফেলে আসা সিগারেটের প্যাকেটটা নিয়ে এসে
আমাকে দেখিয়ে বাহিরে ছুঁড়ে মারলো, ভীষণ
রাগে।
---আরে...এটা কি করলে তুমি? প্যাকেট ভর্তি
সিগারেট, মাত্র দুইটা খাইছি। একটা প্যাকেটের দাম কত
জানো? এটা বেনসন সিগারেট। (বিপ্লব)
বেনসন সিগারেট তো কি হয়েছে? উনার কিছু যায়
আসে না।
--আমার ইচ্ছে হইছে ফেলেছি। আর এই
প্যাকেটের দাম তোমার জীবনের থেকে
বেশি নয়! (আরোহী)
আমি কোন কথা বললাম না, একদম চুপ হয়ে আছি।
বাহিরের দিকে তাক করে হাতে থাকা সিগারেটটায় টান
দিলাম। ও আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়ে আছে
মনে হচ্ছে এটাও ওর সহ্য হচ্ছে না। হঠাৎ আমার
হাত থেকে জ্বলন্ত সিগারেটটা কেড়ে নিয়ে
এটাও বাহিরে ছুঁড়ে মারলো।
---এবার কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলছো!
--না, এখন তুমি সিগারেট খাবে না।
---আজব তো!!
আমি আর কোন কথা বললাম না, জানি এই পাগলীটার
সাথে এখন কথা বললে কিল-ঘুষি, চিমটি খেতে
হবে। তাই চুপচাপ রুমে চলে আসলাম। -আপনারা
বিশ্বাস করছেন না যে ও পাগলী? সবকিছু ঠিকঠাক
মত করবে, সবার সাথে ঠিকভাবেই কথা-বার্তা বলবে।
শুধু আমার সাথেই ওর এমন অদ্ভুদ আচরণ।-
ভাল্লাগেনা এসব।
.
ম্যানিব্যাগটা নিয়ে দরজার কাছে গেলাম। ঠিক এই
মূহুর্তে, ও আমার হাত ধরে বলছে.....
--কোথায় যাও?
---দোকানে, এখন আমার সিগারেট খেতেই হবে।
--না, তুমি সিগারেটও খাবে না আর কোথাও যাবে না।
---খবরদার, একদম চিমটি কাটবে না।
--তোমার জন্য এককাপ কফি বানিয়ে আনি?
যাইহোক, এবার একটু খুশি হলাম, এসময় কিছু একটা
দরকার ছিল। ও যখন নিজে থেকেই কফির প্রস্তাব
দিল, আমি আর না করলাম না।
---কিন্তু, একটা কফি কেন? তুমি খাবে না?
--হুমমম, খাবো। এই একটাই দু'জনে ভাগ করে খাব।
---ওলে বাবারে শখ কত?
--তুমি কিন্তু চলে যাবে না! এক কাজ কর, তুমি আমার
সাথে রান্নাঘরে চলো!
পাগলীটা বলে কি, এখন ওর সাথে রান্নাঘরে
যাবো। অসম্ভব এটা হতে পারে না।
---আরে বাবা, বললাম তো যাবো না। সত্যি বলছি
যাবো না।
ইসসসস্ এই পাগলীটাকে কিভাবে যে সামলাবো
এখন? টানাটানি শুরু করে দিল। রান্নাঘরে নিয়ে যাবেই।
একদম চোখেচোখে রাখতে চায়, যদি চলে যাই!
---তুমি ছাড়ো তো! আমি কোথাও যাবো না। তুমি
যাও কফি বানিয়ে নিয়ে আসো!
ও দ্রুত চলে গেলো রান্নাঘরে, মনে হচ্ছে খুব
দ্রুতই চলে আসবে।
এবার আমি একটু রিলাক্সে, টেবিল থেকে একটা
গল্পের বই নিয়ে বারান্দায় চলে গেলাম।
.
কিছুক্ষণ পর, হামাগুড়ি দিয়ে ও এককাপ কফি নিয়ে
আমার কাছে আসলো। -এতো দেখি সত্যিই একটা
কফি আনলো। তারপর ও আমার দিকে কফিটা এগিয়ে
দিল। ওর চোখের দিকে তাকিয়ে কফিটা হাতে নিলাম।
ইসসস্ একটুও লজ্জা বলতে নেই ওর। ঠাস করে
আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আমি জানি, ওকে এখন
সরানো যাবে না। তাই মিথ্যে চেষ্টাও করলাম না।
আমি মাত্র কয়েক চুমুক খেলাম, আর ও বললো.....
--তুমি একাই কফি খাবে? আমি খাবো না!
এটা বলেই আমার হাত থেকে কফির কাপটা নিয়ে
খাওয়া শুরু করলো।- কিছুটা খাওয়ার পর আবার আমাকে
কফিটা ফিরিয়ে দিল। ইসসসসসস্ এখন আমাকে কফির
সাথে মিশে যাওয়া ওর লাল লিপস্টিকটাও খেতে
হবে। আরো কত কিছু খাওয়াবে সে!! কফির
মধ্যেও ওর ছোঁয়া দিতে হবে? -যন্ত্রণা আর
ভাল্লাগেনা!!
.
আমি এখন বিছানায় শুয়ে আছি.....
পাগলীটা স্রেফ একদম আমার বুকে মাথা রেখে
শুয়ে আছে। আর হাত দিয়ে আমার জামাটা এমনভাবে
আকড়ে ধরে রেখেছে যেন একটু নড়লেই
খামচি দিয়ে ধরে রাখবে। আরে বাবা একটু এদিক-
সেদিকও তো করতে হয় তাই না? একদম বুকের
উপর ভর দিয়ে শুয়ে আছে। মনে হচ্ছে আমি
কোন মানুষই না। আর লম্বা কালো কেশগুলো
বারবার আমার মুখের মধ্যে ঢুকে পড়ছে। আরে
বাবা এসব কি..? আজব তো...! ওর হাতটা সরানোর
চেষ্টা করছি, আর বারবার সে খামচি দিয়ে আকটিয়ে
রাখছে। ইসসসসস, লাগছে তো!! এবার আমি জোর
করেই পাগলীটার হাতদু'টো সরিয়ে ওকে বুকের
উপর থেকে সরালাম। ওরে বাবা, এতো দেখি মহা
অন্যায় করে ফেলেছি..! রেগে একেবারে
চোখ লাল হয়ে আছে। খানিকটা ভয়ও পেলাম,
মেরেই ফেলবে নাকি এবার? তারপর ধুমধাম
পেটে আর বুকে কিল-ঘুষি মারলো। তৎক্ষণাৎ আমি
আগত অক্সিজেন নিয়ে মুখটা বন্ধ করে রাখলাম।
কিছুক্ষণ পরে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড জোরে
ত্যাগ করলাম। আর পাগলীটা রেগে চেয়ে
আছে। কতক্ষণ পরপর ইয়া বড় আঙ্গুলের
নখগুলো দিয়ে আমাকে চিমটি কাটছে..!!
ইসসসসসসসসস, কোন মায়া-দয়া নেই। স্বামীকে
কোন স্ত্রী কি এভাবে অত্যাচার করে...??
এরপর, আবার খামচি দিয়ে ধরে বুকে মাথা রেখে
নির্ধিধায় ঘুমানো শুরু করলো। ওটা ঘুম নাকি?... ঢং!
ঘুমালে তো ওকে সরানো যেত, হাতটা ধরলেই
বুকে আরো জোরে চাপ দিয়ে আটকে থাকে।
পাগলী আর বাচ্চাকে কি সামলানো যায়? ওরা কি কিছু
বুঝতে চায়..? ও তো একটা পাগলী। আর সবসময়
বাচ্চা মেয়েদের মত আচরন করে।
.
আমার ঠিক মনে আছে সেই দিনের কথা..!! সেদিন
এই পাগলীটাকে অসম্ভব লাজুক লেগেছিল..!!
এক শিশিরভেজা শীতের সকাল.....
খুব সকালে গায়ে একটা চাঁদর জড়িয়ে হাঁটছিল ও। ওর
আলতা রাঙা খালি পা, যখন শিশিরভেজা ঘাসের উপর
পড়েছিল তখন শীতটা আরো কয়েকগুণ বেড়ে
গেলো। কুয়াশায় ঘেরা চারদিক দেখতে দেখতে
মুগ্ধ হয়ে হাটতে থাকলো সে। ঠিক তখনই বেশ
খানিক দূরে থেকে কুয়াশা আচ্ছন্ন আমাকে
দেখতে পেল....
সে থমকে গেলো, ওর হৃদ স্পন্দন বেড়ে
গেলো, আমি বেশ অনেকটাই ওর দিকে এগিয়ে
আসলাম, অর্ধ স্পষ্ট ভাবে আমাকে দেখা যাচ্ছে,
শুধুই আকৃতি আর বোঝা যাচ্ছে আমার হাতে লাল
টকটকে কিছু আছে.....
ওর বুকের ধিক ধিক শব্দটা আরো দ্বিগুণ হয়ে
গেলো। ও মনে মনে ভাবছিল, ওটা কৃষ্ণচূড়া ফুল
নয় তো?
কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই ছিল যে কিছু বোঝা যাচ্ছে না,
আমার চেহারাটাও না! কিন্তু সে জানে ওটা আমিই। আর
কৃষ্ণচূড়া? সেটা তো ওর ভালোলাগার ফুল, তাই ও
নিশ্চিত আমার হাতে কৃষ্ণচূড়াই।
এর মধ্যেই প্রচন্ড শীতে কাঁপতে কাঁপতে আমি
ওর সামনে আসছি, হ্যাঁ হাতে কৃষ্ণচূড়া। আর চোখে
অসীম আনন্দের এক ছাপ, আমি কিছু না বলেই
অল্প কৃষ্ণচূড়া ওর হাতে দিলাম আর বাকিগুলো চুলের
বেনুনীর মধ্যে গেঁথে দিলাম আর বললাম,
ভালোবাসি তোমার ঘন কালো এই কেশ।
ও কপট রাগ দেখিয়ে বললো " তাহলে আমার
কেশ নিয়েই থাকো, আমি গেলাম " আমি ওর হাতটা
টেনে ধরে আমার বুকের বাম দিকে নিয়ে
চেপে ধরলাম আর মৃদু হেসে বললাম " তুমি তো
এখানে সবটা জুড়ে, শুধু ভালোবাসি বললে কি হয়? "
ও লজ্জায় লাল হয়ে আমার বুকেই মুখ লুকালো.....
ইসসসসসস, কি লজ্জায় না পেয়েছিল সেদিন, আর
এখন লজ্জা-শরম বলতেই নাই, বিক্রি করে দিছে।
যখন তখন ঝাপটিয়ে ধরে, আর বেশ জেদিও হয়ে
গেছে..!!
.
পরদিন সকালবেলা করলো আরেক কান্ড.......
রাতে তো আমাকে ঠিকমত ঘুমোতে দিবেই না,
আর সকালেও করবে যন্ত্রনা। ও অনেক্ষণ যাবত
আমাকে ডাকছে, শুধুই অকারনে। কোন কাজ
নেই। আমাকে জ্বালাতন না করলে ওর মন ভরে না।
উঠছিনা বলে কিছুক্ষণ পর, টেনে-হেঁচড়ে
আমাকে বিছানা থেকে নামালো। কি সাংঘাতিক
বাবারে...?? এ বউ না অন্যকিছু?
---কি হয়েছে তোমার, এমন টানাটানি করছো কেন?
(বিপ্লব)
--উঠছো না কেন?(আরোহী)
---দেখছো না ঘুমাচ্ছি? আজ কোন কাজ নেই তাই
ঘুমাবো। ডিস্টার্ব করবে না!
--তাই বলে এখনো ঘুমাবে?
---হুমমমম, ঘুমাবো।
--না, ঘুমাবে না। আমাকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে
যাবে।
---না, পারবো না। তোমার মত পাগলীকে নিয়ে
আমি ঘুরতে পারবো না।
--(খানিকের মধ্যেই চিমটি কাটতে শুরু করলো)
ইসসসসস লাগছে তো! ছাড়োওও....বলছি!
--না, ছাড়বো না। আগে বলো আমাকে নিয়ে
ঘুরতে যাবে?
---উফফফফ...ঠিক আছে যাবো। এখন ছাড়ো
প্লিজ...!
--সত্যি বলছো তো?
---ইসসসস দেখতো, কি করেছো তুমি? এই
তোমার নখ কাটবে আজকেই।
--না, পারবো না। কত শখ করে রেখেছি। আর উনার
জন্য কেটে ফেলবো। আমি পারবো না।
---আর বাহিরে কিন্তু এরকম কিল-ঘুষি, চিমটি কাটা যাবে
না। তাহলে কিন্তু স্রেফ চলে আসবো!
ও যদিও বাহিরে ওসব কখনোই করে না, তারপরও
বলে রাখলাম। কারন ওরে এ ব্যাপারে বিশ্বাস করা যায়
না। লোকজনের সামনে হঠাৎ কিল-ঘুষি মেরে
বসে থাকবে, আরেক বিপদ হবে। চিমটি কাটলে
অবশ্য কেউ দেখতে পারবে না। যাইহোক, ও
কখনোই বাহিরে এসব করেনি আজকেও করবে
না মনে হচ্ছে।
--কি ব্যাপার উঠছো না কেন?
---আরে বাবা, উঠছি তো।
তারপর দ্রুত ফ্রেশ হয়ে চলে আসলাম নাস্তার
টেবিলে। ও সেখানেই বসে আছে।
নাস্তার টেবিলে বসতেই ও বললো.....
--আমার জন্য একটা টুথব্রাশ আনতে হবে! কাল
রাতে ব্রাশ করার সময় জানালার বাহিরে হাত রাখতেই
ওটা পড়ে গেলো।
---আচ্ছা, ঠিক আছে ওটা পড়ে গেছে যাক। নতুন
একটা নিয়ে আসবো।
খানিক্ষণ পর আমার মাথায় আসলো, তাহলে ও
সকালে ব্রাশ করলো কিভাবে?
---এই তুমি তাহলে সকালে ব্রাশ করেছো কিভাবে?
(বিপ্লব)
--কেন তোমারটা দিয়ে।(আরোহী)
মূহুর্তেই আমার চোখ বড় হয়ে গেলো। খানিকটা
বিস্ময়ে...
---আমার ব্রাশ দিয়ে তুমিও ব্রাশ করেছো।
ছিঃ ছিঃ শেষ পর্যন্ত এটাও করলো সে, আর কিছু
বাকী রাখলো না। এইমাত্র এটা দিয়েই তো আমি
ব্রাশ করে এসেছি। ইসসসসসস্ জঘন্যতম লাগছে!
দ্রুত নাস্তা খেয়ে রুমে চলে গেলাম।
.
ও আমার সামনে হলুদ একটা শাড়ি পড়ে আসলো, জানি
আমাকে ইমপ্রেস করার জন্য। ওর বাহানা সব জানা
আছে। মাথায় খোপা করে, একটা সুগন্ধি ফুলও
দিয়েছে। সবকিছু বাহানা, আমাকে ভূলানোর জন্য!
ওকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। হঠাৎ রাস্তায়
আইসক্রিমওয়ালা, আইসক্রিম লাগবেই ওর। রিক্সাটা দাড়
করিয়ে দু'টো আইসক্রিম নিলাম। আমি আইসক্রিম
তেমন একটা খাই না, তবে প্রচন্ড গরম লাগলে না
খেয়ে উপায় নেই। কিন্তু এখন খেতেই হবে ওর
সাথে। পরপর ও তিনটা আইসক্রিম খেয়ে
ফেললো। আইসক্রিম খেলেই ওর ঠান্ডা লাগে,
তবুও খাবে। জেদি মেয়ে না সে! খাবেই তো!
তারপর ঠান্ডা লাগবে, রাতে আমার বুকে মাথা রেখে
ঘুমাবে, আর নাকের ওই সুন্দর ঘিগুলো আমার বুক
মাখাবে। ইসসসসসস্ ভাবতেই জঘন্য লাগছে।
কোনমতে বুঝিয়ে শুনিয়ে এখান থেকে নিয়ে
গেলাম নদীর ধারে। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে।
যেখানে আছে বিশুদ্ধ বাতাস, মুগ্ধ পরিবেশ, অনাবিল
শান্তি, সবুজ বৃক্ষ আর নিরবতা। সেখানে ও ইচ্ছামত
পাগলামী করতে পারবে। সারাদিন বাকৃবি ক্যাম্পাসের
অলিগলি হাতে হাত ঝাপটিয়ে ধরে ঘুরলাম। দুপুরে
একটা রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করলাম। আসার সময় ওর
জন্য একটা নীল রঙের শাড়ি কিনলাম। নীল রঙের
শাড়ি আমার পছন্দ নয়, ওরে বুঝাবে কে? নীল
রঙের শাড়িটা ইচ্ছে করেই কিনেছে, আমাকে
রাগানোর জন্য। একটা হলুদ পাঞ্জাবীও নিয়েছি
আমার জন্য। ওর প্রতি ভীষণ রাগ হচ্ছে, মানা করা
স্বত্বেও নীল রঙের শাড়িটা নিল।
.
তারপর রাতে.......
আমি এখন বাহিরে যাবো এটা শুনেই দৌড়ে এসে
আমাকে জড়িয়ে ধরলো পাগলীটা।
---কি হইছে, ছাড়োওও আমাকে!!(বিপ্লব)
--না ছাড়বো না। তুমি কোথাও যাবে না।(আরোহী)
---তুমি ছাড়বে আমাকে..?
--না....!
---(জোর করে ছাড়ানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু ও
জোকের মত আকড়ে ধরে আছে। কোন
উপায় না পেয়ে ওকে এভাবেই নিয়ে
ড্রেসিংটেবিলের সামনে গেলাম। চিরুনিটা নিয়ে
এলোমেলো চুলগুলো ঠিকঠাক করলাম) আচ্ছা,
এবার তুমি ছাড়বে..?
--না ছাড়বো না! এত রাতে তুমি কোথায় যাবে?
---যেখানে মন চায় সেখানে। তোমার কি তাতে..?
--আমার অনেক কিছুই আছে। যেতে দিব না।
---আজব তো..! তাহলে কি আমি এই বাচ্চা মেয়ের
চিমটি আর খামচি খাবো..?
--না, দিব না।
---তুমি কি এখন ছাড়বে আমাকে নাকি জোর করতে
হবে...?
--(কিছু না বলে আরো জোরে আকড়িয়ে
ধরলো)
কিছুক্ষণ পর দেখি আমার শার্টটা পানিতে ভিজে
গেছে। ওলে বাবা রে...এত কান্না করছে
পাগলীটা। বুঝতেও দিল না। চুপচাপ কেঁদে কেঁদে
চোখের পানি দিয়ে আমার বুকটা ভাসিয়ে দিল।
---কি হয়েছে তোমার, কান্না করছো কেন..?
--(কোন কথা নেই শুধুই কান্না করছে)
---দ্যাত...কিছু হলেই তোমাকে কাঁদতে হবে?
--তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না বলো..!!
---তাহলে তুমি এমন করো কেন, বাচ্চা
মেয়েদের মত? দেখতো, চিমটি কাটতে কাটতে
আমার হাতদু'টো কি করেছো, লোকজন দেখে
কি বলে? আর সারক্ষণ শুধু তোমার এই পাগলামীর
জেদ নিয়ে থাকো। এমন পাগলামী কেউ করে
নাকি...?
--সত্যি বলছি আর এমন করবো না। তুমি আমাকে একা
ফেলে রেখে কোথাও যাবে না প্লিজ....!!
---আচ্ছা, ঠিক আছে যাবো না। কান্না বন্ধ করো...!!
--সত্যি বলছো..?
---হুমমমমম, সত্যি সত্যি সত্যি...!
--আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি, তোমাকে
ছাড়া আমার কোন কিছু ভালো লাগে না। তাই তোমার
সাথে এমন করি। আমি প্রমিস করছি আর এমন করবো
না তোমার সাথে।
---এই পাগলী, কান্না বন্ধ করো! আমিও তো
তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তাই তো তোমার
পাগলামী সহ্য করি। তবে মাঝেমধ্যে একটু বেশি
বেশি করে ফেলো।
--বিশ্বাস করো আমি আর করবো না। প্লিজ.....
---হুমমমমম, করবে কিন্তু বেশি বেশি না। ওসব আমার
সহ্য হয়ে গেছে।
পাগলীটা কিন্তু এখনো আমাকে ছাড়েনি।
.
পাগলীটার উদ্দেশ্যে আমার কিছু কথা.....
তবে তুমি পাগলী হও আর যাই হও, তুমি আমার বউ।
আমার বউ মানে আমার বউ। আমি জানি, তুমি আমাকে
অনেক ভালবাসো বলেই এমনটা করো। তাই তো
তোমার প্রতি আমার এত্তগুলো ভালোবাসা।।
Collected
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ