āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3052

গল্পঃ #নিয়তির_খেলা
.
(১)
গাড়ী থেকে নেমে হসপিটালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সিন্থি। দেশের সবচেয়ে বড় এবং উন্নতমানের হসপিটাল এটি। না,শারীরিক কোনো সমস্যার কারণে তার এখানে আসা নয়। এখানে আসার মূল কারণ হলো স্পেশাল একজন মানুষের সাথে দেখা করা। স্পেশাল মানুষটি আর কেউ না তার স্বামী ডা. সিয়াম চৌধুরী। গত মাসেই তার স্বামী এই হসপিটালে জয়েন করেছে। যেখানে জয়েন করার জন্য দেশের সব বড় বড় ডাক্তাররা মুখিয়ে থাকে সেখানে হঠাৎ করেই ডা.সিয়াম চৌধুরীর কাছে এই হসপিটালের জয়েন লেটার আসাটা সত্যিই অবাক করে দিয়েছিলো নতুন এই বিবাহিত কাপলকে। বিদেশী সব বড় বড় ডাক্তারদের নিয়মিত আসা গোনো এই হসপিটালে, যার ফলে মেধাবী ডাক্তারদের একটা বিশেষ সুযোগ থাকে বিদেশের কোনো ভালো হসপিটালে জয়েন করার। তাছাড়া দেশীয় এই হসপিটাল থেকেও ভালো অংকের বেতন পাওয়া যায়। তাই সকল ডাক্তারদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এই হসপিটাল।
.
হসপিটালের থার্ড ফ্লোরে যেতেই কিছু একটার সাথে ধাক্কা খায় সিন্থি। প্রচন্ড রকমের বিরক্ত এবং রাগী একটা লুক নিয়ে পিছনে তাকাতেই দেখে ধাক্কাটা নাসিমের সাথে খেয়েছে।
.
নাসিমঃ দুঃখিত, আমি আসলে দেখতে পারিনি একটু তাড়া ছিলো তাই।
.
সিন্থিঃ তোমার আবার তাড়া,হাসাইলা।
.
নাসিমঃ হুম,তুমি এখানে?
.
সিন্থিঃ আমি এখানে আসবো না তো কোথায় যাবো!! আমার স্বামী এই হসপিটালের অর্থো-সার্জারী বিভাগের একজন নামকরা ডাক্তার। জানো তার মাসিক ইনকাম কত! ১০ লক্ষ্য টাকা। ভাবছো কখনো এমন,যাই হোক এইসব কথা আমি তোমাকে বলছি কেনো। তুমি এখানে কি করছো? কেউ ভর্তি হয়েছে নাকি! টাকা-পয়সার ব্যাপারে কোনো সাহায্য লাগলে বলো,আমি সিয়ামকে বলে কিছু একটার ব্যবস্থা করে দিবোনি।
.
নাসিমঃ না,তেমন কিছু না,আসলে আমি এই হসপিটা......
.
সিন্থিঃ অহ আচ্ছা বুঝতে পেরেছি,তুমি এই হসপিটালে কাজ করো,যাক কিছু একটা করতে পেরেছো শুনে ভালো লাগলো।
.
নাসিমঃ থাক না, অতো কিছু জেনে কি করবা ( একটু মুচকী হেসে )। তাহলে ভালোই আছো?
.
সিন্থিঃ সেটা আমাকে দেখে বুঝতে পারছো না? এতো বড় একজন ডাক্তারের বউ ভালো না থেকে কি থাকতে পারি?
.
নাসিমঃ অহ আচ্ছা।
.
.
(২)
★১০ বছর আগে................
.
সিন্থির সাথে নাসিমের পরিচয় ভার্সিটি লাইফেই। অনেক দুষ্টু এবং ফাজিল টাইপের মেয়ে সিন্থি। সারাদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা এবং ফাজলামি নিয়েই ব্যস্ত থাকে। দুষ্টামি এবং ফাজলামির দিক দিয়ে আবার সিন্থির থেকে একধাপ এগিয়ে ছিলো নাসিম। যার ফলে খুব সহজেই তাদের মাঝে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে স্বাভাবিক নিয়মেই নাসিম সিন্থির উপর দুর্বলতা অনুভব করতে থাকে। এর কিছুদিন পর নাসিম প্রপোজ করতেই সিন্থিও সাথে সাথে রাজী হয়ে যায়। রিলেশনের প্রতিটা দিনই তারা অনেক উপভোগ করতে লাগলো। যদিও রিলেশনের পর থেকে সিন্থির চাহিদা বেড়ে যায় তারপরও সামান্য টিউশনির টাকা দিয়েই নাসিম সিন্থিকে খুশি রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করতো। এইভাবে চলতে চলতে কখন যে তাদের ভার্সিটি লাইফ শেষ হয়ে গেলো তারা বুঝতেই পারেনি। হঠাৎ করেই সিন্থির ফোন পেয়ে তাদের প্রিয় স্থানে দেখা করতে যায় নাসিম।
.
---কি ব্যাপার এতো জরুরী কিসের?
---এই নাও।
---কার বিয়ের কার্ড এটা!!
--- পড়ে দেখো।
---মানে কি এইসবের,আমি এটা কি দেখছি।
--- হুম,তুমি যা দেখছো ঠিকি দেখছো। বাবা আমার বিয়ের সবকিছু এরেঞ্জমেন্ট করেছে।
---তুমি রাজীও হয়ে গেলা?
--- রাজী না হয়ে কি করবো,এম.বি.বি.এস ডাক্তার, প্রতিষ্ঠিত ছেলে এমন সুযোগ কি বার বার আসে। আর তাছাড়া আমারো অনেক স্বপ্ন ছিলো একজন ডাক্তার ছেলের বউ হবো। আজ যখন সুযোগ পেয়েছি তা হাত ছাড়া করার প্রশ্নই উঠে না।
---- ডাক্তার ছেলেকেই বিয়ে করতে হবে এর কোনো মানে আছে? আমার ভালোবাসার কি কোনো মূল্যই নেই তোমার কাছে? ডাক্তার হওয়া ছাড়াও তো জীবনে অনেক কিছু করা যায়।
--- অবশ্যই আছে, ডাক্তার ছেলেকে বিয়ে করলে নাম,সম্মান আমি সব কিছুই পাবো, তোমাকে বিয়ে করলে আমি কি পাবো? তাছাড়া ভালোবাসার চেয়ে ভালো থাকাটাই বেশী জরুরী।
---নাম,সম্মান তো অন্য কিছুর মাধ্যমেই অর্জন করা যায়,যাই হোক সিদ্ধান্ত যখন নিয়েই নিছো তখন আমার আর কি করার আছে। তবে হ্যাঁ একদিন তুমি ঠিকি পস্তাবে তোমার এই সিদ্ধান্তের জন্য।
--- দেখা যাক কি হয়,তুমি তোমার চিন্তা করো আমাকে নিয়ে না ভাবলেও চলবে।
.
.
(৩)
তুমি তো বলেছিলে একদিন আমি আমার সিদ্ধান্তের জন্য পস্তাবো,কোথায়!আমি তো আরো আগের চেয়ে অনেক ভালো আছি। তুমি তো আমার বিয়েতে আসোনি, চলো আমার স্বামীর সাথে তোমাকে পরিচয় করে দেই। এই ফ্লোরেই ওর চেম্বার।
.
সিন্থি নাসিমকে নিয়ে ডা. সিয়ামের চেম্বারে যেতেই ডা. সিয়াম উঠে দাঁড়ালো এবং সালাম দিলো। সিয়ামের এমন আচারণে সিন্থি অবাক না হয়ে পারলো না। সিন্থি আরো বেশী অবাক হলো নাসিমকে স্যার ডাকায়। সিন্থি যেই কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনি সিয়াম বলে উঠলো তুমি এনাকে কিভাবে চিনো! জানো ইনি কে! ইনি হলেন আমাদের এই হসপিটালের চেয়ারম্যান। হসপিটালের চেয়ারম্যান কথাটা শুনে সিন্থির মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। এটা কিভাবে সম্ভব! এতো অল্প সময়ে এতো বড় হসপিটালের চেয়ারম্যান কিভাবে হলো ভাবতেই সবকিছু যেনো এলোমেলো লাগছে সিন্থির।
.
অবাক দৃষ্টিতে নাসিমের দিকে তাকাতেই নাসিম একটা রহস্যময়ী হাসি দিয়ে বাম পকেট থেকে একটা চিঠি বের করে সিন্থির হাতে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে চলে গেলো। সিন্থি কাঁপা কাঁপা হাতে চিঠি খুলতে লাগলো, সেখানে স্পষ্ট অক্ষরে লেখা আছে----
.
আমি জানি যখন তোমার হাতে এই চিঠিটা থাকবে তখন তোমার মনে থাকবে হাজারো কৌতূহলী প্রশ্ন। কারণ যেটা তুমি স্বপ্নেও ভাবোনি সেইটার সম্মুখীন তখন তুমি হবে। তোমাকে আমি বলেছিলাম না চেষ্টা এবং ইচ্ছা থাকলে অন্য কিছুর মাধ্যমেও নাম, সম্মান অর্জন করা যায়। বিধাতার খেলা দেখো আজ আমার ইনকাম দু-চারটা ডাক্তারের চেয়েও বেশী অথচো তুমি সেই ডাক্তারের জন্যই আমাকে ছেড়ে গেছো। যদিও তুমি চলে যাওয়ার পর আমি কিছুটা ভেঙ্গে পড়েছিলাম কিন্তু রিসার ভালোবাসা এবং কেয়ার আমাকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। ও হ্যাঁ রিসার কথা তো বলাই হয়নি। রিসা আমার বিবাহিত স্ত্রী। তুমি চলে যেয়ে ভালোই করেছো কারণ তুমি না চলে গেলে আমি রিসার মতো স্ত্রী কখনোই পেতাম না। এবং তোমাকে নিয়েও আমি কখনো সুখী হতে পারতাম না কারণ তোমার মতো লোভী মেয়েদের মন কখনোই ভরে না, তোমাদের লোভ এতোটাই বেশী যে মন কখনো ভরে না,তোমাদের লোভ এতোটাই বেশী যে মন একজনকে দিয়ে শরীর অন্যজনকে দিতেও দ্বিধা বোধ করো না। আর যে শরীর দিতে দ্বিধাবোধ করে না তার আর পতিতার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। বলেছিলাম না একদিন তোমার এই সিদ্ধান্তের জন্য পস্তাতে হবে, এখন কেমন বোধ করছো মিস লোভী। একটু ভালো করে খেয়াল করো তোমার কপাল বেয়ে ঘাম ঝড়ে পরছে। সামান্য চিঠির লেখা নিজের মুখে পড়তেই তোমার এই অবস্থা, আমি নিজের মুখে কথাগুলো বললে তোমার আরো কি হতো! খুব ইচ্ছা ছিলো তোমার ওই সময়ের চেহারাটা দেখার কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও তোমার প্রতি তাকানোর কোনো রুচিই নেই আমার যার ফলেই কথাগুলা চিঠিতে লেখা।
.
আশ্চার্যভাবে চিঠিটা পড়া শেষে এসি রুমে থাকা সত্বেও সিন্থি ঠিকি তার কপালে তরল জাতীয় কিছু আবিষ্কার করলো অন্যদিকে নাসিমের মুখে ফুটতে থাকলো একরকম প্রশান্তির হাসি যে হাসিটার জন্য সে অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছে। নিয়তির খেলা সত্যিই বুঝা দায়,খেলার নিয়ম কখন কার অনুকুলে যাবে কেউ জানে না।
.
★★লেখকঃ  #ShahaRier_Nasim_Sweet.

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ