āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3051

***স্বামীর সুখ***
#গল্পপ্রেমী_মেয়ে
.
কালো বলে রোদেলার বিয়ে হচ্ছে না,এদিকে ছোট বোন বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যাচ্ছে।
আজ রোদেলা কে দেখতে আসছে ছেলের মা, বাবা,বোন সাথে ঘটক।
আজ ও নিজেকে সুন্দরী প্রমান করতে যত রকমের পাউডার আছে লাগাচ্ছে ,কিন্তু কেউ জানেনা ও টায়ার্ড আর পারছে না সইতে এর থেকে কুমারি থাকায়ই শ্রেয়।
সমাজ পরিবার কখনো তা মেনে নেবে না, আর কুমারি থাকার ও যোগ্যতা নাই ssc রেজাল্ট খারাপ হওয়াতে আজ তিন বছর পড়ালেখা থেকে বিরত।
রোদেলা একটা শান্ত বুদ্ধমতী মেয়ে, গুনে ভদ্র নম্রতায় দুই বোন এর থেকে এগিয়ে।
সালাম দিয়ে ছেলে পক্ষের সামনে বসলো,
তোমার নাম কি? ঘরের কাজ জানো?? রান্না জানো? মেহমানের আপ্যায়ন জানো?
ভাগ্য বসত সব কাজে রোদেলা দক্ষ এক কথায় ঘরোয়া টাইপ মেয়ে।
ছেলের মা এর মেয়ে পছন্দ হওয়ায় পাকা কথা দেয় ,যে করে হোক আমার ছোট ছেলের বউ রোদেলায় হবে।
যাওয়ার সময় উনি রোদেলার মাথায় হাত দিয়ে মনে মনে বললো মা তুমিই পারবে আমার সংসারটাকে এক সুতোই গুছিয়ে রাখতে,উনার বড় ছেলে বউ সামাজিক ব্যবহারি ছিলেন না কিন্তু সাদা সুন্দরী ছিলেন।এজন্যই কালো মেয়েকে ছোট ছেলের বউ করতে ইচ্ছুক।
রোদেলার মধ্যে সাদা চামড়ার অভাব ,কোন ছেলে যদি মন দিয়ে ওর ঐ মায়াবী হাসিটা দেখতো না হয় সহজ সরল টলমলে চোখের ভাষাটা বুঝতো প্রেমে পড়ে যেতো ।
*
নয়ন কে বাসর ঘরে এক প্রকার জোর করেই ঠেলে দিলো বন্ধুরা।
আস্তে আস্তে এসে খটের কোনায় বসলো,বসে বললো একটা সত্য কথা বলবো?
রোদেলা: হু বলেন।
নয়ন: যানো কেনো আমি তোমায় না দেখে বিয়ে করছি?
রোদেলা: না,বলেন..
নয়ন: দেখলে পছন্দ হতো না তোমায়,,
শুনছি তুমি শ্যাম বর্ন ( ভেবে নিয়েছি কালো),,আমার খুব ইচ্ছা ছিল আমার বউ সুন্দরী হবে,মা বাবার উপর রাগ করেই না দেখে বিয়ে করেছি।
রোদেলা: যতদিন আপনি মন থেকে মেনে না নিতে পারবেন আমি অপেক্ষা করবো,
তবে আপনাকে ভালোবাসতে বারন করবেন না,আমার জীবনে প্রথম পুরুষ আপনি এবং আমি চাই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ও আপনি থাকেন( মাথা নিচু করে)
নয়ন: আমি তোমায় এই মুহূর্ত থেকে ভালোবাসতে চাই( ডান হাত ধরে)
রোদেলা তো খুশিতে কথা বলতে পারছেনা মনে হচ্ছে পুরো শরীরে অবস হয়ে গেছে,শুধু মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো।
নয়ন: শাড়ী গহনা খুলে পেলো ,আল্লাহ কি ভাবে এতক্ষণ পরে আছো?
রোদেলা ওয়াশরুম থেকে বাহির হয়ে বললো যান ওযু করে আসেন।
নয়ন বুঝতে পেরে ওযু করে জায়নামাজ নিয়ে হাজির।
রোদেলা বললো এইযে সাহেব জায়নামাজ রাখেন আগে সালাম করবো এই বলে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলো।
নয়ন হাত ধরে উঠিয়ে হাত দুটো বুকের মাঝে রেখে বললো তুমি আমার পরিবারটাকে এক সুতোয় বেঁধে রেখো আর মা বাবার দিকে খেয়াল রাখবে ।
মা বাবার জন্যই তুমি আমায় পেয়েছো।
রোদেলাও মাথা নেড়ে হ্যাঁ সুচক ইংগিত দিলো।
*
বিয়ের পরের দিন থেকে মনে হচ্ছে যা পাওয়ার তার চেয়ে বেশি পেয়ে গেছি।
এই সুখ কি আমার কপালে সইবে?
নয়নের ভালোবাসা, শশুর শাশুড়ির ভালোবাসা,ননদটা বোন এর মতো করে ভালোবাসে তার বোন নাই আমাকেই না কি বোন মনে করে।
আমার আল্লাহ্ এর কাছে একটাই পার্থনা নিশ্বাস থাকা পর্যন্ত যেনো এমন থাকে সবাই।
বিয়ের প্রায় দেড় মাস পর একদিন সন্ধ্যায় আমি বায়না শুরু করছি এই আমার না চিকেন খেতে ইচ্ছা করছে এনে দিবে প্লিজ
বিয়ের প্রথম প্রথম তো নতুন বউ এর কথা কি আর ফেলা যায়,
ঐ গুলা খাওয়ার পর শুরু হলো বমি,
আমি হতাশ আর ভয় মিশ্রিত চোখে নয়ন এর দিকে তাকিয়ে আছি।
কিন্তু না নয়ন হাসছে আর নিজ হাতে পানি মাথায় ঢেলে দিচ্ছে কুলি করিয়ে দিচ্ছে ।
তারপর ধরে ধরে রুমে এনে খাটে বসিয়ে তোয়ালে দিয়ে মাথার মুখের গাড়ের পানি মুছে দিচ্ছে আমার তো অবাক হওয়ার এরিয়া পার হয়ে যাচ্ছে।
যেখানে ও বললে এই পাঁজি মেয়ে আনার সাথে সাথেই গিলে বসে আছো একটু অপেক্ষা করো নাই কতো চৌরাস্তা তিন রাস্তা পার করে এনেছি তুমি জানোনা।
কিন্তুু না নয়ন খুশি কেন বুজতে পারছি না।
আস্তে করে বললাম আপনি এতো খুশি কেন?
আমার মেয়ে হবে তাই
আমি অবাক চোখে তার দিকে জিজ্ঞাসুক
দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছি।
কিন্তুু ও কিছু না বলে দু'চোখে দুটি আদর দিয়ে বসলো।
তার আদরে বুঝতে বাকি রইলো না আমি মা হবো।
বুঝতে পেরে লজ্জায় দ্রুত পায়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলাম।
*
আজ নয়ন প্রবাসে পাড়ি দিবে,মন ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে কিন্তুু চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে না।
একি নয়ন এর চোখে পানি? তাহলে আমার চেয়ে ওর ভালোবাসার গভিরতা বেশি,আমি তাহলে যোগ্যা স্ত্রী হয়ে উঠতে পারি নাই।
জড়িয়ে ধরে অনেক্ষণ কান্না করছে আমি শুধু দু'ফোটা চোখের পানি ফেলছি এ পানি ঝরার চেয়ে যদি কয়েক ফোঁটা রক্ত ঝরতো তাতেও মনে হয় এতো কষ্ট পেতাম না।
যতো দিন যাচ্ছে আমাদের সম্পর্ক যেন মজবুত থেকে আরো মজবুত হচ্ছে।
আমার স্বামী কে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছি তাই তার অন্যয় আবদার গুলা ও হাসি মুখে মেনে নিতাম।
কারন যা চাইনি তার থেকেও বেশি পেয়েছি কিভাবে তার কথার উপর না বলি।
*
বিয়ের আট বছর পর আমি এখন দুটি মেয়ের মা,তার উপর শাশুড়িও মৃত্যু পথের যাত্রী।
অনেক সেবা করেও বাঁচাতে পারলাম না ঐ দিন মনে হয়েছে বুকের একটা হাড়ের জোড়া ছিঁড়ে গেছে।
এর পর থেকে নয়ন কেমন দায় সারা ভাবে কথা বলে।
তারও কয়েক মাস পরে কথায় কথায় ছুতো খোঁজে ঝগড়া করে প্রথম প্রথম আগের মতো চুপ করে মেনে নিতাম আর কান্না করতাম।
এই বলে মনকে শান্তনা দিতাম আমার নয়ন ঠিক হয়ে যাবে,কিন্তুু না।
*
এর কয় মাস পর বাড়ীতে এলো আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করছে এখন আমি নাকি কালো ??
আমায় নিয়ে কিভাবে সারা জীবন কাটাবে।
অনেক খুঁজেও পেলাম না আমি আজ এতো বছর পর কালো হলাম কেনো?
অন্য কিছু মনে নিয়েও ছুঁড়ে ফেলে দিতাম।
আমি তো ওর কোন লস করি নাই খারাপ ব্যবহার করি নাই। বাসুর আর তার বউ এর থেকে এতো অত্যচার পাওয়ার পরও তো নয়ন এর কাছে অভিযোগ করি নাই।
নয়ন প্রচুর টাকা ইনকাম করে সবাইকে মুক্ত হস্তে দেয় একদিন ও তো বলি নাই তোমার ভবিষ্যৎ আছে অমন ভাবে খরচ করোনা।
আমি এটাই মন কে বুঝিয়েছি যার মন বড় তাকে আল্লাহ্ তাকে বাড়িয়ে দেয়।
তার সংসারের খরচ কমানোর জন্য সেলাই শিখছি ( নিজেরটা নিজে করতাম)।
নয়ন যা দিতো তার থেকে বাঁচিয়ে জমা করছি আবার তার হাতে তুলে দিতাম।
আমার এগুলা দেখে নিজেই জমানো শুরু করছে।
*
প্রবাসে যাওয়ার কয়দিন আগে জানতে পারলাম নয়ন এর মন অনেক বড় হয়ে গেছে তার মনে এখন আমি ছাড়াও আরেক জন বসত করে।
তাহলে আমাকে কাঁদানোর এই কারন নয়ন?
নিশ্চুপ ভাবে রুম থেকে বের হয়ে ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো।
এদিকে আমি তৃতীয় বারের মতো বাচ্ছা ধারন করলাম নয়নের।
নয়ন চলে গেলো আমার চোখে আড়ালে কেমন করে যানি তার দিকে চেয়ে থাকতাম নিজেও বুঝতাম না, নিজের অজান্তে চোখ ঝাপসা হয়ে যেত।
শুধু এটাই ভাবতাম এটাই কি শেষ দেখা এটাই কি আপন করে শেষ পাওয়া।
*
দুটো মেয়ে সিজারে পৃথিবীর আলো দেখে ।
যতোই দিন যাচ্ছে ততোই ভয় হচ্ছে ।
কারো কাছে বলি না সবাই হাসবে দুটো সন্তান হওয়ার পর ও নতুন বাচ্চা হওয়া মেয়ের মতো ঢং করছে।
ডেট প্রায় কাছে এসে যাওয়ায় ছোট বোন আসলো বাসায় যেন হাজার বছরের জমা কথা বলেও শেষ করতে পারছি না।
বোন আসার পাঁচ দিন পর শুধু কান্না পাচ্ছে।
বোনে অনেক বার জিজ্ঞাস করছে এই আপু তোর কি হইছে।
আমি বলতাম আরে কিছুনা।
বোন এর করুন চাহনি দেখে বললাম আমার না খুব ভয় হচ্ছে রাখি মনে হয়...
একথা বলার আগে মুখ চেপে ধরে বলে আপু কি সব বলছিস।
আর তিন দিন আছে হাসপাতাল ভর্তি হওয়ার ।
দুপুরের পর নয়ন কল করছে
পাঁচ মিনিট কথা বলার পর নয়ন জিজ্ঞাস করলো রোদেলা কখন ভর্তি হবে?
এই তো পরশু, কিন্তু...
বলে আর বলতে পারলাম না ও যদি চিন্তা করে।
নয়ন: কিন্তু কি বলো,
রোদেলা:আমার যদি আবার ও মেয়ে হয় মুখ দেখাবো কি করে সবার সামনে।
নয়ন: প্রতিবার যে ভাবে দেখাইছো ঐ ভাবে দেখাবে।
রোদেলা: একটা কথা বলবো?
নয়ন: হু বলো।
রোদেলা: আমায় মাফ করে দিও অনেক ভুল ত্রুটি করছি যদি আর সুযোগ না পাই।( কেঁদে কেঁদে)
নয়ন: আরে নেকা কান্না কেঁদো নাতো, তোমার কই মাছের জান তুমি মরবা না আমায় ও মুক্তি দিবা না।
রোদলা: আমি তো তোমায় মুক্তি দিতেই চাই,আল্লাহ্ কাছে দোয়া করো যেন পরশু আমার শেষ দিন হয়।তুমি আমায় মন থেকে ক্ষমা করে দিও প্লিজ নয়ন।
নয়ন: তুমি(তুই) যদি মরোস তাহলে তোর চার দিনের দিন বিরানি খাওয়াবো।
বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনেক কেঁদেছি আর আল্লাহর কাছে বলি এর চেয়ে কঠিন কিছু শুনার আগে দেখার আগে আমার মৃত্যু দাও।
*
আজকের সকালটা মন ভরে দেখছি আর ভাবছি আজকের দিনটা অন্ততো যদি নয়ন আমার পাশে থাকতো হয়তো আমি পৃথিবীর সব চেয়ে ভাগ্যবতী স্ত্রী হতাম।
কিন্তু না তার ভালো ব্যবহারটুকুও পাই নাই।সে এখন অন্যতে ডুবে আছে ।
সোনার সংসার তিল তিল করে সাজিয়েছি সব গুলো ঘুরে ফিরে দেখছি আর ভাবছি আমি না থাকলে এগুলা কে ভোগ করবে?
আবার মনকে সান্তনা দেই,আরে দূর কি ভাবছি আমার কিছু হবে না আমার সন্তানদের জন্য বাঁচতে হবে।
নয়ন তো বলেই দিছে আমার চোখের সামনে সুন্দর মেয়ে নিয়ে সংসার করবে।
তোদের মুখের দিকে তাকিয়ে সব মেনে নেব।
ও ওর সংসার করবে আমি তোদের কে নিয়ে সংসার পাতবো।
*
সাদা পোশাক পরিয়ে অপারেশন রুমে নিয়ে যাচ্ছে।
যতোই রুমের দিকে এগুচ্ছে ততোই ভয় শুধু বাড়তেছে।
অপারেশন সম্পর্ণ হলো আমি আমার পুতুলটার দিকে তাকিয়ে ভাবছি যদি একটু কোলে নিতে পারতাম।
*
রোদেলা মারা যাওয়ার কথা শুনে দিনে দিনে চলে আসছে নয়ন।
অনেক কান্না ও করছে এমনটা যে হবে ভাবতে পারে নাই।
নয়ন এর জন্য ভালোই হলো সুন্দরী নওরিন এর সাথে সম্পর্কটা মজবুত করে গেল।
বিদেশ যাওয়ার ছয় থেকে সাত মাস পর সবাই যানতে পারলো নয়ন বিয়ে করেছে।
মেয়ে গুলা এখনো নানার বাড়িতে।
রোদেলা চলে যাবার পর তো কারো কিছু হারায় নাই।
রোদেলার মা মেয়েকে হারিয়েছে,
রোদেলার সান্তান মা কে হারিয়েছে।
(সমাপ্ত)
#গল্পপ্রেমী_মেয়ে
#sopnile

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ