āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3025

চৌকাঠ
লেখা> Abir Hasan Niloy (অপদার্থ)
.
.
অফিসে যাওয়ার আগে একবার আড়চোখে জান্নাত এর দিকে তাকালাম। সে জানালার গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আমি কিছু না বলেই বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে আসলাম।
শুধু কেনো তাকে আবার রাগানো দরকার তাই ভেবেই আর কথা বলিনি।
কিন্তু জান্নাতের দিকে তাকিয়ে মনে হয়েছিলো সে কিছু বলতে বা শুনতে চাই।
অফিস এসে নিজের কাজ করছি। তখন কেনো জানি জান্নাতের কথা মনে পড়ে গেলো। আর ঠিক তখনি মনে পড়লো..জান্নাত আজ আমাকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যাবে। কারন..
জান্নাত মনে করছে আমার অন্য কোথাও এফেয়ার চলছে। যার কারনে সে আজ আমাকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যাবে। গত দুই দিন আগের কথা..
রুমে বসে আছি..
- আবির (জান্নাত)
- হুমমম
- মেয়েটা কে?
- কোন মেয়েটা?
- সেটা তুমিই ভালো করে জানো..
- দেখো জান্নাত তোমার কথা আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
- না বোঝার তো কিছু বলিনি
- মানে কি? বলবা কোন মেয়েটা?
- আর কয়টা মেয়ের সাথে ঘুরো রিকশা করে??
ঠিক তখনি মনে পড়ে গেলো,,সেই দিনের কথা যেদিন ইবনাত আমার সাথে রিকশাতে করে আসছিলো।
ইবনাত ছিলো আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড। তাই তার সাথে দেখা হয়েগিয়েছিলো বিধায় সে রিকশাতে করে আসছিল। কিন্তু জান্নাত কেনো রাস্তার দিকে গেছিলো?
- কি হল চুপ করে কেনো আছো?
- এমনি..
- তা হলে বলো? ঐ মেয়েটা কে?
- ইবনাত
- কি হয় তোমার?
- আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড
- কিহহ.
- হুমমম কিন্তু বিশ্বাস করো ওকে আর আমি ভালোবাসি না। আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি।
- জানি বুঝলাম
মুখটা যথেষ্ট মলিন করে জান্নাত কথাটি বললো। কেমন যেনো চাপা কষ্টের মত শোনা গেলো। কিন্তু সত্যি বলতে আমি ইবনাতকে ভুলে গেছি।
- কি মি. আবির সাহেব,, এত কি ভাবছেন?(কলিগ)
- নাহ মানে কিছু না।
- ভাবির কথা ভাবছেন নাকি?
- আরে না
- বুঝেছি বুঝেছি
অফিসে বসে কথাগুলো ভাবছিলাম। তখনি কলিক শফিউর এসে কথাগুলো বলে গেলো। কি লোক রে বাবা,কি ভাবছি সেটাও বুঝে গেছে।
কিন্তু জান্নাত যে আমাকে ছোট্ট কারনেই ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
বিয়ের ছ মাস এর মধ্যেই সে আমাকে ছেড়ে এভাবে চলে যাবে ভাবতে পারছি না। আসলে ইবনাতের কথা জান্নাতকে এতদিন বলিনি। কারন যে চলে গেছে তার কথা বলে কি লাভ?
কিন্তু জান্নাত আমাকে ভুল বুঝলো..।
.
অফিস শেষে বাড়িতে আসলাম। হুমম যা ভেবেছি তাই। জান্নাত চলে গেছে।
কাছে বাপের বাড়ি হওয়াতে এই একটি প্রবলেম। কিছু হোক বা না হোক বাপের বাড়ি একাই চলে যাবে।
কিন্তু বড় কোনো কারন ছাড়ায় জান্নাত চলে গেল? এটা কোনো কথা?
টেবিলের উপর একটা চিঠি দেখলাম। সেখানে লেখা..
""আবির, তোমাকে অনেক বিশ্বাস করতাম। কিন্তু তুমি ইবনাতের কথা আমার কাছে লুকিয়েছ।
যদি ওর সাথে তোমার কিছুই না থেকে থাকে তাহলে আমাকে এতদিনে অবশ্যই বলতে। তার মানে ইবনাতের সাথে তোমার কিছু আছেই।
আমাকে ভুলে যেও। আমি সরে আসলাম তোমার থেকে। বাই
.
- ধুরর এটা কি হল? কোনো বড় কারন ছাড়ায় এভাবে জান্নাত চলে যাবে? মানতে পারছি না। নিজের কাছে কেমন লাগছে।
.
(দুইদিন পর)
ভেবেছিলাম জান্নাত ফিরে আসবে। কিন্তু না সে এলো না। তাই আমাকেই যেতে হবে তাকে আনার জন্য।
কারন বড্ড ভালোবাসি যে আমি তাকে। তাই আজ বিকেলেই রওনা হবো তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য।
.
- জান্নাত..
শ্বশুর বাড়িতে এসে জান্নাতকে খুজতে খুজতে ছাদে আসলাম। দেখি মুখটি শুকনো করে বসে আছে সে।
কেমন যেন স্যাত করে উঠলো তাকে দেখে।
আবারো ডাক দিলাম..
- জান্নাত..
- কেন এসেছেন এখানে?
- চলো
- কোথায়?
- বাড়িতে।
- আপনি চলে যান,,আমি যাবো না।
- জান্নাত প্লীজ বিশ্বাস করো আমার সাথে ইবনাতের কোনো রিলেশন নাই। ও ঐদিন রিকশার জন্য ওয়েট করেছিল। আমি আসাতে উঠে পড়েছিল।
- হুমমম
- প্লীজ চলো জান্নাত..
হাত ধরে টেনে আনতেই..ঝটকা মেরে সরিয়ে দিলো।
- আচ্ছা বলছি শোনো কি ছিলো ওর সাথে। এরপর যদি তোমার ভালো মনে হয় তাহলে যাবে। আর খারাপ মনে হলে যাবে না।
পুরোনো সেই কথাগুলো বলতে শুরু করলাম।
।।
- ""ইবনাত ছিলো আমার প্রথম গার্লফ্রেন্ড। আমি তাকে খুব ভালোবাসতাম। সেও আমাকে ভালোবাসতো।
তবে প্রবলেম হয়েছিলো ওর পরিবার থেকে।
সবে পড়াশোনা শেষ করেছিলাম তখন। চাকরি পাইনি।
আর সে সময় ইবনাত আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে ছিলো।
- আবির..আমাকে বিয়ে করবে না?
- ইবনাত দেখছো না তুমি? আমি এখনো বেকার।
- তা হলে আমার কি হবে?
- জানিনা..
- চলো বিয়ে করে ফেলি।
- এরপর কি খাওয়াবো তোমাকে?
- জানিনা..আচ্ছা চলো তোমাকে আমার আব্বুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিই।
- আচ্ছা ঠিক আছে
ঐদিন গেছিলাম ইবনাতদের বাড়িতে। কিন্তু ইবনাতের আব্বু আমাকে অপমান করে। উনি বলেছিলো
- তুমি তো কিছুই করো না তোমার সাথে ইবনাতের বিয়ে কিভাবে দেবো?
- আংকেল কদিন পরেই তো চাকরি পাবো ইনশাল্লাহ।
- এসব দিয়ে হবে না। দুইটাকা কামাই করার ক্ষমতা নেই। সে করবে আমার মেয়ের বিয়ে।
এর থেকে যাও বস্তির কোনো মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করো।
- আংকেল ইবনাত আমাকে ভালোবাসে আর আমিও।
- আরে রাখো তোমার ভালোবাসা। টাকা নেই কাছে আসছে ভালোবাসা দেখাতে। ঘাড় ধরে বের করার আগে চলে যাও।
.
সেদিন মাথাটা নিচু করে চলে আসি। আসলেই তো ইবনাতের বাবা ঠিকই বলেছে।
টাকা নেই যার কাছে তার ভালোবাসারও অধিকার নেই।
সেদিন থেকে আর এ অবদি আমি ইবনাতের সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করিনি।
.
কথাগুলো শেষ করে জান্নাতের দিকে তাকালাম।
সে আমার দিকে অপলক তাকিয়ে আছে। আমি বললাম..
- বিশ্বাস করো জান্নাত,, আমি এখন তোমাকেই ভালোবাসি। ইবনাতকে নয়। কারন ওদের কাছে টাকাই মুল্যবান। ভালোবাসা নয়। প্লীজ তুমি আমাকে ছেড়ে যেও না।
কথাগুলো বলে আমি নির্বাগ হয়ে তাকিয়ে রইলাম জান্নাতের দিকে। কারন তাকে আমার দরকার। জান্নাতকে আমি অনেক ভালোবাসি।
- কি হল জান্নাত..কিছু বলবে না?
চুপ করেই আছে সে..
তাই আর কিছু না বলেই মাথাটা নিচু করে চলে আসলাম ওদের বাড়ি থেকে।
নিজেকে আজ অসহায় মনে হচ্ছে। কেু থাকলো না আমার। রাতে শুয়ে শুয়ে এসব ভাবছি।
কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝতে পারিনি।
সকালে গায়ের উপর পানি পড়াতে ঘুম ভেঙে গেলো।
ধড়ফড় করে উঠেই দেখলাম জান্নাত তার ভেজা চুলের পানি আমার গায়ে ফেলছে..
- আরে তুমি??
- হুমম,,
- কেনো? কিভাবে?
- কেনো মানে? অন্য কেউ আসবে নাকি?
- নাহ,,তবে কাল যে আসলেনা?
- এমনি...ভাবলাম আবার বোকা স্বামীটা কেমন সাদাসিধে।
তবে আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না।
তোমার টাই বেধে কে দেবে শুনি? আমি যদি না আসতাম?
- হুমম
- তোমার রান্না করে কে দেবে শুনি?
- হুমম
- তোমার বুকের উপর মাথা রেখে কে ঘুমাবে হুমম?
- হুমম
- তোমার কেয়ার কে নেবে আমি যদি না আসি? আমার পাগল একটা।
- তবে কাল আসোনি যে?
- বললাম না এমনি..
- ওহহহ
কিছু বলার আগেই জান্নাত কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।
- এই কি হচ্ছে কি? আগে ফ্রেশ হয়ে অফিসে যাও তারপর বাসায় এসে সব হবে..
- নাহহ এখন একটু..
- একটু কি?
- বলতে পারবো না তবে দেখাচ্ছি.....

          ""(সমাপ্ত)""

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ